লুক্সেমবার্গ হচ্ছে পশ্চিম ইউরোপের একটি দেশ। লুক্সেমবার্গ গিয়ে টাকা আয় করতে চাইলে লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে হবে। লুক্সেমবার্গ যেতে কত টাকা লাগে, লুক্সেমবার্গ বেতন কত টাকা এবং লুক্সেমবার্গ কোন কাজের চাহিদা বেশি তা নিয়েই আজকে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
অনেকের ইচ্ছে ইউরোপ গিয়ে টাকা উপার্জন করা। ইউরোপের টাকার মান বেশি, জীবনযাত্রার মান অনেক উন্নত হওয়ার কারণে আমাদের দেশের অনেকেই ইউরোপ যেতে চান। ইউরোপের উন্নত দেশগুলোর মাঝে লুক্সেমবার্গ অন্যতম। বলা হয়ে থাকে লুক্সেমবার্গের প্রতিটি মানুষ মিলিয়নিয়ার।
তো চলুন, কিভাবে লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে হয় এবং লুক্সেমবার্গে কোন কাজের চাহিদা বেশি জেনে নেয়া যাক।
লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে হলে প্রথমেই আপনাকে একটি ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করতে হবে। আপনি যে কোম্পানি বা যার অধীনে কাজ করতে যাচ্ছেন, তার থেকে ওয়ার্ক পারমিট নিতে পারবেন। ওয়ার্ক পারমিট নেয়ার পর ভিসা আবেদন করতে হবে। ভিসা আবেদন করতে স্থানীয় লুক্সেমবার্গ ভিসা এম্বাসিতে যোগাযোগ করতে হবে।
লুক্সেমবার্গ ভিসা এম্বাসিতে যোগাযোগ করে ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। এরপর, সকল কাগজপত্র জমা দিতে হবে। এজন্য একটি অ্যাপয়েনমেন্ট নিয়ে ভিসা আবেদন ফরম সহ সকল কাগজপত্র জমা দিতে হবে। জমা দেয়ার পর ভিসা প্রসেসিং হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করার জন্য কিছু ডকুমেন্ট লাগবে। এছাড়াও, লুক্সেমবার্গ কাজের ভিসা আবেদন করতেও কিছু ডকুমেন্ট লাগবে। যা যা লাগবে –
উপরোক্ত ডকুমেন্টগুলো দিয়ে লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক পারমিট দিয়ে ভিসা আবেদন করতে পারবেন। ভিসা তৈরি হয়ে গেলে লুক্সেমবার্গ গিয়ে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তো চলুন, লুক্সেমবার্গ যেতে কত টাকা লাগে জেনে নেয়া যাক।
লুক্সেমবার্গ যেতে ভিসা প্রসেসিং ফি, ফ্লাইট টিকেট, মেডিকেল চেকআপ, পাসপোর্ট সহ আনুসাঙ্গিক খরচ মিলে মোট ৭-৮ লক্ষ টাকা লেগে থাকে। তবে, যদি কোনো ভিসা এজেন্সির সহযোগিতা নেন কিংবা দালালের সহযোগিতা নেন, তাহলে লুক্সেমবার্গ ভিসা করতে আরও বেশি খরচ হতে পারে।
লুক্সেমবার্গ কাজের ভিসা করতে ৭ লক্ষ টাকা থেকে ৮ লক্ষ টাকা লাগতে পারে ভিসা ফি, প্লেনের টিকেট, মেডিকেল চেকআপ এবং আনুসাঙ্গিক খরচ সহ। তাহলে, বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসায় লুক্সেমবার্গ যেতে পারবেন। লুক্সেমবার্গ গিয়ে যে কাজে দক্ষ সেই কাজ করে অল্প সময়ে ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
লুক্সেমবার্গে আইটি এবং টেকনোলজি, বৈদেশিক ভাষা বিশেষজ্ঞ, স্বাস্থ্যসেবা, ইঞ্জিনিয়ারিং, নির্মাণ ইত্যাদি কাজে অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে। এই কাজগুলো করে অল্প সময়ে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে, আপনাকে অবশ্যই এসব কাজের উপর দক্ষতার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে।
লুক্সেমবার্গ এ প্রায় সকল কাজেই চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি কোনো কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন, তাহলে যেকোনো কাজ করেই ভালো পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবেন। লুক্সেমবার্গ এর সকলেই মিলিয়নিয়ার এমন একটি প্রবাদ প্রচলিত আছে। তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন লুক্সেমবার্গ কাজের ভিসায় গিয়ে কী পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
এই পোস্টে আপনাদের সাথে লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার নিয়ম, ভিসা করতে কি কি লাগে এবং লুক্সেমবার্গ কোন কাজের চাহিদা বেশি এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসায় লুক্সেমবার্গ যেতে চান, তবে আশা করছি পোস্টটি আপনার জন্য সহায়ক হবে।
প্রিয় পাঠক বন্ধু, আজকের এই পোস্টে আমরা লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যাওয়ার উপায়, খরচ ও আবেদনের নিয়ম সম্পর্কে জানলাম। পরবর্তী পোস্টে আমরা ইউরোপের অন্য কোনো দেশের ভিসার আপডেট সম্পর্কে জানবো। নিয়মিত ইউরোপের উচ্চশিক্ষা, মধ্যপ্রাচ্যের ভিসা আপডেট ও শিক্ষার আপডেট জানতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট। এবং ফেসবুকে নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের অফিশিয়াল পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন।
[…] লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়… […]
[…] লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়… […]