Blog

  • আরব আমিরাতে লটারি জিতে কোটিপতি দুই বাংলাদেশি প্রবাসী

    আরব আমিরাতে লটারি জিতে কোটিপতি দুই বাংলাদেশি প্রবাসী

    সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি র‌্যাফেল বিগ-টিকিটের সাপ্তাহিক লটারিতে ভাগ্য খুলেছে দুই বাংলাদেশির। তারা প্রত্যেকে জিতেছেন আড়াই লাখ দিরহাম, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় দেড় কোটি টাকারও বেশি। বিজয়ীদের একজন পেশায় গাড়ি চালক, অন্যজন নিরাপত্তা প্রহরী।

    সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) লটারি কর্তৃপক্ষ এক ঘোষণায় জানায়, মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক ভুঁইয়া ও আলমগীর হাফেজুর রহমান এই সপ্তাহের বিজয়ী।

    ৪৭ বছর বয়সী মোজাম্মেল হক ভুঁইয়া গত ১৩ বছর ধরে দুবাইয়ে গাড়ি চালকের কাজ করছেন। সাত বছর আগে তিনি প্রথমবারের মতো এ লটারির কথা জানতে পারেন এবং ২০ জন বন্ধুর একটি গ্রুপের সঙ্গে প্রতি মাসে টিকিট কিনতে শুরু করেন। বিজয়ের আনন্দে তিনি বলেন, “আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি, এটি অবিশ্বাস্য! এখনও ঠিক করিনি এই অর্থ কীভাবে ব্যবহার করব, তবে নিশ্চিতভাবেই বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করে নেব, যেমনটা আমরা সবসময় করেছি। আমি আরও টিকিট কিনব এবং অন্যদের বলব—অবিরত চেষ্টা চালিয়ে যান, একদিন আপনিও জিতবেন।”

    অন্যদিকে, ৪২ বছর বয়সী নিরাপত্তা প্রহরী আলমগীর দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে দুবাইয়ে আছেন এবং ১০ জন বন্ধুর সঙ্গে লটারির টিকিট কিনতেন। বিজয়ী হওয়ার খবর পেয়ে উচ্ছ্বসিত আলমগীর বলেন, “ফোন পেয়ে আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ি। এই অর্থ বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করে নেব, যা আমাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনবে। আমি বাংলাদেশে থাকা ঋণ পরিশোধ করব এবং কিছু অর্থ পরিবারের সহায়তার জন্য পাঠাব। আমাদের লক্ষ্য এখন সবচেয়ে বড় পুরস্কার—২ কোটি দিরহাম জেতা।”

  • কাতারে অবৈধ প্রবাসীদের জন্য নতুন ক্ষমার সুযোগ

    কাতারে অবৈধ প্রবাসীদের জন্য নতুন ক্ষমার সুযোগ

    কাতারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নতুন করে অবৈধ প্রবাসীদের জন্য সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা দিয়েছে। যারা কাতারের আবাসন আইন লঙ্ঘন করেছেন এবং যাদের আইডি বা ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তারা এই সুযোগের মাধ্যমে জেল বা জরিমানা ছাড়াই দেশত্যাগ করতে পারবেন।

    ক্ষমার মেয়াদ

    এই সাধারণ ক্ষমার সুযোগ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে শুরু হয়ে তিন মাস পর্যন্ত চলবে।

    প্রক্রিয়া

    এই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে:

    • অবৈধ প্রবাসীরা হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করে সরাসরি নিজ দেশে ফিরে যেতে পারবেন।
    • অথবা “সার্চ অ্যান্ড ফলো-আপ ডিপার্টমেন্ট, সালওয়া রোড”-এ উপস্থিত হয়ে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন।

    সময়সূচি

    প্রতিদিন দুপুর ১:০০ টা থেকে রাত ৯:০০ টা পর্যন্ত এই সুবিধা পাওয়া যাবে।

  • বুলগেরিয়া কাজের ভিসা এবং টাকার মান কেমন

    বুলগেরিয়া কাজের ভিসা এবং টাকার মান কেমন

    ইউরোপ যাওয়ার ইচ্ছে থাকলে ইউরোপ মহাদেশের বুলগেরিয়া যেতে পারেন। বুলগেরিয়া যেতে চাইলে বুলগেরিয়া কাজের ভিসার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। কারণ,সার্কুলার প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত আপনি বুলগেরিয়া কাজের ভিসায় আবেদন করতে পারবেন না।

    আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে বুলগেরিয়া কাজের ভিসা এবং বুলগেরিয়া টাকার মান কেমন এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। ইউরোপের উন্নত দেশ বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চাইলে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। এতে করে, কীভাবে ওয়ার্ক পারমিট পাবেন এবং ওয়ার্ক পারমিট দিয়ে ভিসা আবেদন করবেন এসব তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন।

    এছাড়াও, বুলগেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে, বুলগেরিয়া ভিসা করতে কি কি লাগে এসব বিষয় সম্পর্কেও জানতে পারবেন। তো চলুন, পোস্টের মূল বিষয়ে ফিরে আসা যাক।

    বুলগেরিয়া কাজের ভিসা

    বুলগেরিয়া সরকার কর্তৃক প্রতি বছর কাজের ভিসা সার্কুলার প্রকাশ করা হয়ে থাকে। এই সার্কুলার প্রকাশ হওয়ার পর কাজের ভিসায় আবেদন করে আপনি বুলগেরিয়া ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন। নিজে থেকে অনলাইনে সরকারি সার্কুলার দেখে আবেদন করতে পারেন কিংবা বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য বিভিন্ন ভিসা এজেন্সির সহযোগিতা নিতে পারেন। বুলগেরিয়া যেতে ভিসা খরচ, ফ্লাইট টিকেট সহ আনুসাঙ্গিক খরচ সহ মোট ৭-৮ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে থাকে।

    বুলগেরিয়া থেকে বিভিন্ন ভিসায় শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে বুলগেরিয়া দেশের সরকার। তাই, আপনি উক্ত কাজগুলোতে ভিসা আবেদন করতে পারবেন। এজন্য, প্রথমেই আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট নিতে হবে। বুলগেরিয়া থেকে প্রকাশিত জব সার্কুলারে আবেদন করবেন আপনি উক্ত কাজগুলোর মাঝে যে কাজে বেশি দক্ষ, সেই কাজে। বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য আবেদন করতে কাজের দক্ষতার প্রমাণপত্র সাবমিট করতে হতে পারে।

    ওয়ার্ক পারমিট পেয়ে গেলে উক্ত ওয়ার্ক পারমিট সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র, পাসপোর্ট, ছবি, মেডিকেল রিপোর্ট সহ অন্যান্য তথ্য দিয়ে ভিসা আবেদন করতে পারবেন। ভিসা প্রসেসিং ফি থেকে শুরু করে ফ্লাইট টিকেট ক্রয় করা পর্যন্ত পায় ৭-৮ লক্ষ টাকার মতো খরচ হয়ে থাকে। তবে, আপনি যদি নিজে থেকে অনলাইনে ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য আবেদন এবং ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পর ভিসা আবেদন করতে পারেন, তবে আরও কম খরচ হবে।

    যারা নিজে থেকে অনলাইনে বুলগেরিয়া কাজের ভিসায় আবেদন করতে পারেন না, তারা চাইলে বিভিন্ন ভিসা এজেন্সির সহযোগিতা নিতে পারেন। তবে, এক্ষেত্রে খরচ আরেকটু বেশি হবে। নিচে বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে অন্যান্য তথ্য বিস্তারিত উল্লেখ করে দিয়েছি। চলুন, জেনে নেয়া যাক।

    বুলগেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫

    বুলগেরিয়া যেতে ৭-৮ লক্ষ টাকা লেগে থাকে। বুলগেরিয়া থেকে কাজের সার্কুলার প্রকাশিত হওয়ার পর আপনি যদি সরকারিভাবে বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট এবং ভিসার জন্য আবেদন করেন, তবে ভিসা খরচ, ভিসা প্রসেসিং, পাসপোর্ট, ফ্লাইট টিকেট সহ অন্যান্য খরচ মিলে মোট ৭-৮ লক্ষ টাকা লাগবে। যদি নিজে থেকে অনলাইনে ভিসা আবেদন করেন, তবে ৪-৫ লক্ষ টাকার মাঝেই হতে পারে।

    বুলগেরিয়া জব ভিসা সার্কুলার প্রকাশ হওয়ার পর ভিসা এজেন্সির সহযোগিতা না নিয়ে নিজে থেকে আবেদন করার চেষ্টা করুন। এজন্য, বুলগেরিয়া বা ইউরোপের অন্যান্য দেশ গেছে এমন কারও সহযোগিতা নেয়ার চেষ্টা করুন। এতে করে সহজেই অনলাইনে ওয়ার্ক পারমিট আবেদন করতে পারবেন। ওয়ার্ক পারমিট পেয়ে গেলে ভিসা আবেদন করতে পারবেন।

    বুলগেরিয়া ভিসার ধরণ অনুযায়ী কত টাকা লাগে তা নির্ভর করে। বুলগেরিয়া কাজের ভিসায় যেতে চাইলে ৬-৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে। বুলগেরিয়া গার্মেন্টস ভিসায় যেতে চাইলে ৫ লক্ষ টাকা লাগতে পারে। কোনো ভিসা এজেন্সির সহযোগিতা নিলে ৬-৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।

    বুলগেরিয়া যেতে চাইলে সার্কুলার এর জন্য অপেক্ষা করুন এবং যে কাজের জন্য যেতে চাচ্ছেন সেই কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করুন। দক্ষ এবং অভিজ্ঞ হলে বুলগেরিয়া গিয়ে ভালো বেতনে কাজ করতে পারবেন। নিচে বুলগেরিয়া কোন কাজের বেতন বেশি এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

    বুলগেরিয়া কাজের বেতন কত

    বুলগেরিয়া কাজের ভিসায় গেলে প্রতি মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতে পারবেন। যে ভিসায় বুলগেরিয়া যাবেন, সেই কাজে দক্ষ এবং অভিজ্ঞ হলে প্রতি মাসে ৮০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বেতন পাবেন। তাই, যে কাজে দক্ষ সেই কাজের ভিসার জন্য আবেদন করুন।

    বুলগেরিয়া থেকে বিভিন্ন ভিসায় শ্রমিক নিয়ে থাকে। যে কাজে দক্ষ সেই কাজের ভিসার জন্য আবেদন করলে বুলগেরিয়া যাওয়ার পর ভালো বেতনে চাকরি করতে পারবেন। বুলগেরিয়ায় প্রায় সব কাজের দাম রয়েছে। তাই, ভালো বেতনে কাজ করতে চাইলে দক্ষতা অর্জন করুন। 

    বুলগেরিয়া সর্বনিম্ন বেতন ৪০ হাজার টাকা থেকে শুরু। তাই, আপনি যত ভালো কাজ করতে পারবেন এবং যত বেশি দক্ষ হবেন, তত বেশি ইনকাম করতে পারবেন। বুলগেরিয়া কাজের বেতন কত টাকা আশা করছি বুঝতে পেরেছেন। 

    বুলগেরিয়া যেতে কত দিন লাগে

    বুলগেরিয়া কাজের ভিসার জন্য আবেদন করার পর ভিসা প্রসেসিং হওয়া থেকে শুরু করে বুলগেরিয়া যেতে ৫ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত সময় লেগে থাকে। ভিসা প্রসেসিং হতে সময় লাগে, তাই ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য আবেদন করার পর ভিসা আবেদন করে প্রায় কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে। এ সময়ের মাঝে যে কাজের ভিসার জন্য আবেদন করেছেন, সেই কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করতে পাবেন। ফলে, বুলগেরিয়া যাওয়ার পর ভালো বেতনে কাজ করতে পারবেন।


    আরও পড়ুনঃ সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা পাওয়ার উপায় ও যাওয়ার খরচ

    আরও পড়ুনঃ কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ও টাকার রেট

    আরও পড়ুনঃ মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার নিয়ম


    বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

    বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করার মাধ্যমে বুলগেরিয়া যাওয়া যায়। এছাড়া বুলগেরিয়া কাজের জন্য যাওয়ার অন্য কোনো উপায় নেই। তবে, আপনি চাইলে ভ্রমণ ভিসায় বুলগেরিয়া যেতে পারেন। এজন্য ভ্রমণ ভিসার আবেদন করতে হবে। তবে কাজ করে টাকা ইনকাম করার ইচ্ছে থাকলে কিংবা বুলগেরিয়া যাওয়ার পর ইউরোপের অন্য দেশ যেমন ইতালি যাওয়ার ইচ্ছে থাকলে বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।

    বুলগেরিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে

    বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে ১৮ বছর বয়স লাগে। তবে সার্কুলার অনুযায়ী বয়স কম বা বেশি লাগতে পারে। তবে, বুলগেরিয়া কাজের ভিসায় যেতে সর্বনিম্ন ১৮ বছর থেকে ২১ বছর লাগতে পারে। আপনার বয়স ১৮ বছর বা এর বেশি হলেই বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং ভিসা নিয়ে বুলগেরিয়া যেতে পারবেন। 

    বুলগেরিয়া গার্মেন্টস ভিসা

    বুলগেরিয়া গার্মেন্টস ভিসার জন্য আবেদন করলে বুলগেরিয়া গিয়ে ভালো বেতনে কাজ করতে পারবেন। বুলগেরিয়া থেকে প্রতি বছর কাজের ভিসার পাশাপাশি গার্মেন্টস ভিসার সার্কুলার প্রকাশ করা হয়ে থাকে। গার্মেন্টস এর কাজে অভিজ্ঞ হয়ে থাকলে গার্মেন্টস ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। বুলগেরিয়া গার্মেন্টস ভিসায় প্রতি মাসে ৬০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন নিতে পারবেন। কাজের দক্ষতার উপর নির্ভর করে আপনার বেতন আরও বেশি হতে পারে।

    বুলগেরিয়া থেকে ইতালি

    বুলগেরিয়া থেকে ইতালি যেতে চাইলে বুলগেরিয়া কাজের ভিসা ব্যবহার করতে পারবেন। তবে, ইতালি শুধুমাত্র ভ্রমণ করার জন্য যেতে পারবেন। কারণ, বুলগেরিয়া শেনজেন ভুক্ত একটি দেশ। তাই শেনজেন ভুক্ত অন্য দেশগুলো ভ্রমণ করতে পারবেন। কিন্তু, ভুলেও অবৈধ পথে বুলগেরিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করবেন না। যদি ধরা পড়েন, তাহলে ভিসা বাতিল হওয়া থেকে জেল এবং জরিমানা হতে পারে।

    বুলগেরিয়া টাকার মান কত

    বুলগেরিয়া ১ টাকা বাংলাদেশের ৬০ টাকা ৮৪ পয়সা। বুলগেরিয়া থেকে ১০০ টাকা পাঠালে বাংলাদেশে ৬,০৮৪ টাকা আসবে। বুলগেরিয়া ১ হাজার টাকা সমান বাংলাদেশের ৬০,৮৪০ টাকা। 

    আমাদের শেষ কথা

    আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে বুলগেরিয়া কাজের ভিসা, বুলগেরিয়া গার্মেন্টস ভিসা এবং বুলগেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে সহ বিভিন্ন তথ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি, পোস্টটি থেকে আপনি উপকৃত হয়েছেন।

  • সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা পাওয়ার উপায় ও যাওয়ার খরচ

    সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা পাওয়ার উপায় ও যাওয়ার খরচ

    সিঙ্গাপুর কাজের ভিসায় যেতে চাচ্ছেন কিন্তু কিভাবে সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট নিতে হবে এবং ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে জানেন না? এই পোস্টে আপনাদের সাথে সিঙ্গাপুর কাজের ভিসায় যাওয়ার সম্পূর্ণ গাইডলাইন শেয়ার করবো।

    কাজের ভিসায় সিঙ্গাপুর যেতে চাইলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। কিভাবে সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে হবে, সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে কি কি লাগবে এবং সিঙ্গাপুর ভিসা করতে কত টাকা লাগবে এসব তথ্য বিস্তারিত আলোচনা করেছি এই পোস্টে। তো চলুন, পোস্টের মূল বিষয়ে ফিরে আসা যাক।

    সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা ২০২৫

    বিশ্বের উন্নত রাস্ট্রগুলোর মাঝে সিঙ্গাপুর অন্যতম। আমাদের দেশের অনেকেই প্রবাসে গিয়ে টাকা উপার্জন করার সুযোগ আসলেই সিঙ্গাপুর যাওয়ার চিন্তা করে থাকেন। কারণ, সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি অনেক বেশি শক্তিশালী। ফলে, কাজের ভিসায় সিঙ্গাপুর গেলে অল্প সময়ে অধিক টাকা উপার্জন করা যাবে।

    যারা সিঙ্গাপুর কাজের ভিসায় যেতে চাচ্ছেন, তাদের মাঝে অধিকাংশ মানুষই জানেন না যে সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে, সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা পেতে কি কি লাগে এবং সিঙ্গাপুর কাজের ভিসার আবেদন কিভাবে করতে হয়। তো চলুন, এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

    সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে

    সিঙ্গাপুর যেতে চান কিন্তু সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে এ প্রশ্নটি করেননা এমন মানুষ বোধহয় খুঁজে পাওয়া যাবে না। সিঙ্গাপুর যেতে সাধারণত ৪-৫ লক্ষ টাকা লেগে থাকে। আপনি যদি কাজের ভিসায় সিঙ্গাপুর যেতে চান, তবে ৪-৫ লক্ষ টাকা লাগবে। তবে, সরকারীভাবে সিঙ্গাপুর যেতে পারলে আরও কমে যেতে পারবেন।

    এক্ষেত্রে, অবশ্যই আপনার কাজের দক্ষতা থাকতে হবে। দক্ষতা ছাড়া বা অল্প দক্ষতায় সিঙ্গাপুর যেতে চাইলে হোটেল ক্লিনার, সেবামূলক কাজ, মেশিনারিজ, কনস্ট্রাকশন ইত্যাদি কাজ করতে পারবেন। এসব কাজ করেও অনেকেই ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করছে।

    সিঙ্গাপুর যাওয়ার সময় যদি আপনি কোনো ভিসা এজেন্সির সহযোগিতা নিয়ে থাকেন, কিংবা কোনো দালালের শরণাপন্ন হন, তবে ৪-৫ লক্ষ টাকার বেশি লাগতে পারে। ভিসা এজেন্সি বা দালাল ভেদে এই খরচ আরও বেশি হতে পারে। তবে, নিজে থেকে সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করুন। এতে করে অল্প খরচে সিঙ্গাপুর যেতে পারবেন।

    সিঙ্গাপুর যেতে কি কি লাগে

    এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে বা অন্য একটি দেশে কাজের জন্য ভিসা করতে গেলে অবশ্যই তাদের নিয়ম মানতে হবে। তেমনি, সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা পেতে চাইলে আপনাকেও কিছু ডকুমেন্ট দিতে হবে। সিঙ্গাপুর যেতে কি কি লাগবে তার একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করে দিয়েছি। চলুন, দেখে নেয়া যাক।

    • পাসপোর্টে কমপক্ষে ১টি পাতা খালি থাকতে হবে
    • পাসপোর্ট এর মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস থাকতে হবে
    • এনআইডি কার্ডের কপি
    • সিঙ্গাপুরে রয়েছে এমন ব্যক্তির থেকে আমন্ত্রণপত্র
    • ভিসা ফি বাবদ ৩০০ সিঙ্গাপুর ডলার
    • সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি রঙ্গিন ছবি। ব্যাকগ্রাউন্ড হবে সাদা এবং ছবির সাইজ ২৫:৩৫ মিলিমিটার

    সিঙ্গাপুর যেতে চাইলে উপরোক্ত শর্তগুলো মানতে হবে এবং এসব ডকুমেন্ট দিতে হবে। এছাড়াও, ভিসা আবেদন করার সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে তথ্য দিতে হবে। তবেই আপনি সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা ২০২৫ এর জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং ভিসা নিয়ে সিঙ্গাপুর যেতে পারবেন।

    সিঙ্গাপুর যেতে কত বছর বয়স লাগে

    সিঙ্গাপুর যেতে চাইলে আপনার বয়স সর্বনিম্ন ১৮ বছর থেকে সর্বনিম্ন ৫০ বছর হতে হবে। এর মাঝে যদি আপনার বয়স না হয়, তবে আপনি সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

    সিঙ্গাপুর ভিসা আবেদন করার নিয়ম

    সিঙ্গাপুর যেতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই সিঙ্গাপুরে বসবাসরত কোনো ব্যক্তির নিকট হতে একটি আমন্ত্রণপত্র পেতে হবে। তবেই আপনি ৩০০ সিঙ্গাপুর ডলার ভিসা ফি দিয়ে সিঙ্গাপুর ভিসা করে সিঙ্গাপুর যেতে পারবেন। সিঙ্গাপুর ভিসা আবেদন করার জন্য উপরোক্ত দুইটি জিনিস যদি আপনার কাছে থাকে এবং পাসপোর্ট ও অন্যান্য সবকিছু থাকে, তবে এগুলো নিয়ে যেকোনো একটি ভিসা এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

    সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করলে তারা আপনার জন্য সিঙ্গাপুর ভিসা আবেদন করে দিবে। বাংলাদেশে অবস্থানরত কিছু সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্সি হচ্ছে , ডিসকভারি ট্যুরস অ্যান্ড লজিস্টিক, আন্তর্জাতিক ভ্রমণ কর্পোরেশন, লেক্সাস ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, নভোএয়ার লিমিটেড, পার্কওয়ে হসপিটালস সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিঃ, রিজেন্সি ট্রাভেলস লিমিটেড, সাইমন ওভারসিজ, সিল্কওয়েজ কার্গো সার্ভিসেস লিমিটেড সহ আরও অনেক।

    এসব ভিসা এজেন্সির সহযোগিতা নিয়ে আপনি সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করতে পারবেন এবং ভিসা নিয়ে সিঙ্গাপুর যেতে পারবেন।

    বাংলাদেশের সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্ট লিস্ট

    সিঙ্গাপুর যেতে চাইলে যেকোনো একটি সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্ট এর সহযোগিতা নিতে হবে। এজন্য, Ministry of Foreign Affairs, Singapore থেকে অনুমোদিত বাংলাদেশে অবস্থিত কিছু সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্ট এর তালিকা নিচে উল্লেখ করে দিলাম। এগুলো থেকে তাদের সাথে যোগাযোগ করে সিঙ্গাপুর কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

    Serial Agent Contact
    1 Discovery Tours & Logistic বনানী, যোগাযোগ: +8802222275820
    2 International Travel Corporation Limited গুলশান, যোগাযোগ: +8802222262788, +8802222264445
    3 Lexus Tours & Travels বাংলামোটর, যোগাযোগ: +880255138716-19
    4 NovoAir Limited বনানী, যোগাযোগ: 55042385, হটলাইন: 01978443717
    5 Parkway Hospitals Singapore Pte Ltd গুলশান যোগাযোগ: +8802222281423, +8801736000000 (24 ঘন্টা হেল্প লাইন)
    6 Regency Travels Limited উত্তরা টেলিফোন: +880255080828
    7 Saimon Global Limited গুলশান যোগাযোগ: +880209606999966
    8 Shams Air Tours and Travels গুলশান যোগাযোগ: +8802222286760, +880258816761
    9 Union Tours & Travels Ltd গুলশান যোগাযোগ: +8802222285771-72
    10 Valencia Air Travels & Tours Limited মতিঝিল যোগাযোগ: +8802223382931
    11 Victory Travels Ltd মতিঝিল, যোগাযোগ: +8802223389608-9
    12 MediConsult Limited গুলশান, যোগাযোগ: +8802222280033, +8801721000000
    13 Talon Corporation Ltd গুলশান, যোগাযোগ: +880248811860

    সিঙ্গাপুর কাজের বেতন কত

    সিঙ্গাপুর যেতে চায় এমন মানুষদের মাঝে একটি সাধারণ প্রশ্ন দেখা যায়। এটি হচ্ছে, সিঙ্গাপুর কাজের বেতন কত? সিঙ্গাপুর গিয়ে কত টাকা বেতনে চাকুরী করতে পারবো। আপনি যদি একটি ভালো এজেন্সির সহযোগিতা নিয়ে সিঙ্গাপুর যান, তবে অনেক ভালো বেতনে কাজ করতে পারবেন। এছাড়াও, আপনার কাজের উপর দক্ষতা থাকলে আরও বেশি বেতনে চাকুরী করতে পারবেন।

    কাজের দক্ষতা না থাকলে অল্প বেতনে কাজ করতে হবে। কিন্তু, আপনি যে কাজে দক্ষ, সেই কাজ করলে অধিক বেতন পাবেন। সিঙ্গাপুরে আপনার সর্বনিম্ন বেতন ৪২০+ মার্কিন ডলার হতে পারে। কাজের উপর দক্ষতা থাকলে এই বেতন আরও বেশি বৃদ্ধি পাবে।

    এছাড়াও, আপনার কাজের দক্ষতা থাকলে বেতন বৃদ্ধি করে দেয়ার সুযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে, ৫০০ ডলার থেকে শুরু করে আরও বেশি অব্দি প্রতি মাসে ইনকাম করতে পারবেন। সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা আবেদন করার সময় আপনি যে কাজে দক্ষ সেই কাজের ভিসা নেয়ার চেষ্টা করুন।

    আমাদের শেষ কথা

    আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা করতে কি কি লাগে, সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা আবেদন করার নিয়ম এবং এবিষয়ক সকল তথ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে থাকলে আপনিও যেকোনো একটি সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্সির সহযোগিতা নিয়ে সিঙ্গাপুর যেতে পারবেন। এছাড়াও, আরও কোনো প্রশ্ন থাকলে নিচে উল্লিখিত সাধারণত জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলীগুলো দেখতে পারেন।


    আরও পড়ুনঃ পর্তুগালে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় ২০২৫

    আরও পড়ুনঃ সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায়

    আরও পড়ুনঃ কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ও টাকার রেট


    সাধারণত জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী

    সিঙ্গাপুর যেতে বয়স কত লাগে?

    সিঙ্গাপুর যেতে ১৮ বছর থেকে ৫০ বছর বয়স এর মাঝে হতে হবে।

    বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যেতে কত সময় লাগে?

    বাংলাদেশ থেকে নন-স্টপ ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর যেতে ৪ ঘণ্টা সময় লাগে।

    বাংলাদেশে অনুমোদিত সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্ট কারা?

    Ministry of Foreign Affairs, Singapore এর অনুমোদিত ১৫ টি সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্ট রয়েছে। পুরো তালিকা এবং তাদের সাথে যোগাযোগ করার মাধ্যম জানতে সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্ট লিস্ট এ ক্লিক করতে পারেন।

  • হাতের লেখা সুন্দর করার ৫টি কৌশল

    হাতের লেখা সুন্দর করার ৫টি কৌশল

    হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল জানা থাকলে আপনিও অনেক সহজেই হাতের লেখা সুন্দর করতে পারবেন। কিভাবে হাতের লেখা সুন্দর করতে হয় এ বিষয়টি নিয়ে আজকের এই ব্লগে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো। 

    হাতের লেখা সুন্দর হলে পরিক্ষার খাতায় ভালো মার্ক পাওয়া যায়। কারণ, খারাপ হাতের লেখার কারণে শিক্ষক অনেক সময় লেখা বুঝতে পারেন না। ফলে, ঠিক লিখলেও ভুল মনে করে অনেক সময় মার্ক কাটা যেতে পারে। তাই, সুন্দর হাতের লেখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

    আমাদের মাঝে যাদের হাতের লেখা খারাপ, তারা খুব করেই চাই যে আমার হাতের লেখা অন্যদের মতো সুন্দর হোক। কিন্তু, সঠিক নিয়ম না জানার কারণে আমরা হাতের লেখা সুন্দর করতে পারি না। তো চলুন, কিভাবে হাতের লেখা সুন্দর করা যায় তার কৌশলগুলো জেনে নেয়া যাক।

    হাতের লেখা সুন্দর করার উপায়

    হাতের লেখা সুন্দর করার একমাত্র এবং একমাত্র উপায় হচ্ছে অনেক বেশি পরিমাণে লেখালেখি করা। আমরা অনেকেই প্রতিদিন লেখালেখি করি না। প্র্যাকটিস না থাকার কারণে এজন্য আমাদের হাতের লেখা অনেক খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু, আপনি যদি প্রতিদিন অন্তত ১ঘণ্টা হাতে লেখার চর্চা করেন, তাহলে কয়েক মাসের মাঝেই আপনার হাতের লেখার মাঝে অনেক পার্থক্য দেখতে পাবেন।

    ক্লাসে টপারদের হাতের লেখা দেখে কার না ঈর্ষা হয়? কিন্তু আমরা কি জানি যে টপাররা তাদের হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য কত পরিশ্রম করেছে? সুন্দর হাতের লেখা পাওয়ার জন্য আপনিও যদি প্রতিদিন লেখার চর্চা করেন, তবে কয়েক মাসের মাঝেই লেখা সুন্দর করতে পারবেন। এছাড়াও, দ্রুত লেখার জন্য প্রতিদিন লেখার চর্চা করতে হয়।

    অনেকদিন পর লিখতে বসলে দেখবেন আপনি লিখতে ভুলে গেছেন এমন একটি অবস্থা তৈরি হয়। তাই, প্রতিদিন হাতের লেখা প্র্যাকটিস করলে হাতের লেখা সুন্দর এবং দ্রুত হয়।

    হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল

    হাতের লেখা সুন্দর করার কিছু কৌশল অনুসরণ করলে অনেক সহজেই হাতের লেখা সুন্দর করা যায়। নিচে আপনাদের সাথে হাতের লেখা সুন্দর করার কয়েকটি কৌশল উল্লেখ করে দিয়েছি। এগুলো অনুসরণ করলে আপনার হাতের লেখা কিংবা বাচ্চার হাতের লেখা সুন্দর করতে পারবেন। 

    হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল – ১

    হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য অবশ্যই লেখার সরঞ্জাম ভালো হতে হবে। হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য শুধুমাত্র ফাউন্টেইন পেন এর প্রয়োজন নেই। একটি পেন্সিল বা কলম দিয়েও সুন্দর হাতের লেখা পাওয়া সম্ভব। এজন্য অবশ্য ভালো মানের একটি কলম বা পেন্সিল বাছাই করতে হবে। 

    বাচ্চার হাতের লেখা ভালো করার জন্য ভালো মানের একটি পেন্সিল এবং রাবার দিতে হবে। পেন্সিলে যেন বেশি চাপ দিতে না হয় এবং রাবার দিয়ে অল্প চাপে লেখা মিশিয়ে নিতে পারে সেটির দিকে লক্ষ রাখতে হবে। এছাড়াও, একটি ভালো মানের খাতা বা নোটবুক নিতে হবে। কারণ, খাতার মানের উপর নির্ভর করেও হাতের লেখা ভালো বা খারাপ হয়ে থাকে।

    হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল – ২

    হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য অবশ্যই সঠিকভাবে পেন্সিল বা কলম ধরতে হবে। অনেকেই পেন্সিল বা কলম অনেক শক্ত করে ধরে লিখে থাকেন। এতে করে পেন্সিল বা কলমের উপর অনেক শক্তি প্রয়োগ করতে হয়। এজন্য, তাদের হাতের লেখা ভালো হয় না। লেখা সুন্দর করার জন্য কলম বা পেন্সিল ধরতে হবে বৃদ্ধাঙ্গুলি, তর্জনী এবং মধ্যমা আঙ্গুল দিয়ে। 

    এভাবে কলম ধরে লেখার সময় অল্প চাপ প্রয়োগ করতে হবে। বেশি চাপ প্রয়োগ করলে হাতের লেখা সুন্দর হয় না এবং লিখতে অনেক সময় লাগে। লেখা সুন্দর এবং দ্রুত করার জন্য অবশ্যই সঠিকভাবে কলম ধরতে হবে এবং আলতো চাপ দিয়ে লিখতে হবে।

    হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল – ৩ 

    লেখার সময় শরীরের পজিশন ঠিক না থাকার কারণেও লেখা খারাপ হয়ে থাকে। অনেকেই লেখার সময় একদম শুয়ে পড়েন বা অনেক বেশি ঝুঁকে যান। এজন্য হাতের লেখা খারাপ হয়ে থাকে। লেখার সময় অবশ্যই মেরুদণ্ড সোজা রাখতে হবে। পা মেঝেতে রেখে চেয়ার বা বেঞ্চের পিছনে হেলান দিয়ে লিখতে হবে।

    এতে করে সুন্দর হাতের লেখা পাওয়া সম্ভব। 

    হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল – ৪

    লেখা সুন্দর করতে হলে শব্দ, বর্ণ ইত্যাদি সঠিকভাবে লিখতে হবে। বাংলা লেখার সময় আকার বা মাত্রা ঠিকভাবে দিতে হবে। একটি শব্দ লেখার পর একদম গা ঘেঁষে অন্য শব্দ না লিখে অল্প পরিমাণ ফাঁকা রাখতে হবে। আবার একটি শব্দ থেকে অন্য শব্দের দূরত্ব অনেক বেশি হলেও সুন্দর লাগে না।

    শব্দের মতো বর্ণ লেখার পর কিছু জায়গা ফাঁকা রেখে আরেকটি বর্ণ লিখতে হবে। অনেক বেশি পরিমাণ জায়গা ফাঁকা রাখা যাবে না। শব্দ এবং বর্ণ ঠিকভাবে এবং সুন্দর করে লিখতে পারলে হাতের লেখা সুন্দর করা সম্ভব। লেখার সময় অবশ্যই প্রতিটি শব্দ এবং বর্ণ একই আকারে লিখতে হবে। একটি বড় এবং একটি ছোট হলে লেখা অনেক খারাপ হয়ে যাবে।

    শব্দ এবং বর্ণ লেখা সুন্দর করার জন্য ডট লাইনের উপর পেন্সিল ঘুরিয়ে লেখার চর্চা করা যেতে পারে। এতে করে লেখার প্র্যাকটিস থাকবে এবং লেখা সুন্দর হবে। বাংলা লেখার সময় মাত্রাযুক্ত এবং মাত্রাহিন শব্দ ঠিকভাবে লিখতে হবে। নাহলে হাতের লেখা অনেক খারাপ হবে।

    হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল – ৫

    হাতের লেখা সুন্দর করার একমাত্র এবং একমাত্র অধিক কার্যকরী উপায় ও কৌশল হচ্ছে অনেক বেশি পরিমাণে চর্চা করা। প্রতিনিয়ত হাতের লেখা চর্চা না করলে সুন্দর হাতের লেখা অধিকারি যে কেউ তার হাতের লেখার ধরণ হারিয়ে ফেলবে। আগে হাতের লেখা সুন্দর ছিলো, কিন্তু এখন অনেকদিন হাতের লেখা চর্চা না করায় লেখা খারাপ হয়ে গেছে এমন অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায়।

    তাই, হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য কিংবা সুন্দর হাতের লেখা ধরে রাখার জন্য প্রতিনিয়ত লেখার চর্চা করতে হবে। অনুশীলন যত বেশি করা হবে, লেখার ধরণ তত সুন্দর হবে। এছাড়াও, অনুশীলন করার পাশাপাশি হাতের লেখা দ্রুত করার চেষ্টা করতে হবে। এতে করে লেখার ধরণ যেমন সুন্দর হবে, তেমনি অল্প সময়ে অনেক লেখা যাবে।

    পরিক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য শুধু ভালো এবং সুন্দর হাতের লেখাই যথেষ্ট নয়। দ্রুত হাতের লেখার অভ্যাস করতে হবে। হাতের লেখা সুন্দর কিন্তু লিখতে অনেক বেশি সময় লাগে এমন হলে হিতে বিপরীত হয়ে যাবে। নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে লেখা শেষ করার জন্য প্রতিনিয়ত হাতের লেখা চর্চা করতে হবে।

    ছোটদের হাতের লেখা সুন্দর করার উপায়

    ছোটদের হাতের লেখার সুন্দর করার কৌশল হচ্ছে তাদেরকে প্রতিনিয়ত লেখার প্র্যাকটিস করাতে হবে। এছাড়াও, বাচ্চাদের জন্য তাদের লেখার সরঞ্জাম ভালো রাখতে হবে। ভালো মানের পেন্সিল এবং রাবার হলে বাচ্চারা অনেক সুন্দর লিখতে পারে। বাচ্চাদের হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য তাদেরকে ডট লাইনের উপর লেখার চর্চা করাতে হবে।

    বাচ্চাদের হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য তাদেরকে শব্দ এবং বর্ণ সুন্দর করে লেখার প্র্যাকটিস করাতে হবে। বর্ণ, শব্দ, আকার, ঠিকভাবে লিখতে পারলে হাতের লেখা অটোমেটিক সুন্দর হয়ে যাবে।


    আরও পড়ুনঃ মেট্রোরেলের এমআরটি পাস কেনার নিয়ম

    আরও পড়ুনঃ প্রবাসী সন্তানদের বৃত্তি আবেদন করার নিয়ম

    আরও পড়ুনঃ অনলাইনে বিমানের টিকেট চেক করার নিয়ম


    উপসংহার

    আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে হাতের লেখার সুন্দর করার কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছি। সুন্দর হাতের লেখার ৫টি কৌশল অনুসরণ করলে কয়েক মাসের মাঝেই আপনার হাতের লেখা করতে পারবেন পূর্বের তুলনায় অনেক সুন্দর। এছাড়াও, উপরোক্ত কৌশলগুলো অনুসরণ করে প্রতিনিয়ত হাতের লেখা চর্চা করলে লেখা সুন্দর হওয়ার পাশাপাশি দ্রুত হবে। 

  • মেট্রোরেলের এমআরটি পাস কেনার নিয়ম

    মেট্রোরেলের এমআরটি পাস কেনার নিয়ম

    মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে হলে পাস কিনতে হয়। বারবার যেন টিকেট কাটতে না হয় এজন্য রয়েছে এমআরটি পাস। মেট্রোরেলের এমআরটি পাস কেনার নিয়ম নিয়ে আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

    এমআরটি পাস ব্যবহার করে পুরো ১০ বছর মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে পারবেন। এজন্য প্রতিবার যাতায়াত করার জন্য সিঙ্গেল পাস টিকেট কিনতে হবেনা। মেট্রোরেলে যাতায়াত করেন সিঙ্গেল পাস টিকেট ব্যবহার করে, কিংবা মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে চাচ্ছেন তাহলে অবশ্যই এমআরটি পাস কেনার নিয়ম জানতে হবে।

    তো চলুন, কীভাবে মেট্রোরেলের এমআরটি পাস কিনতে হয় তা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

    মেট্রোরেলের এমআরটি পাস কেনার নিয়ম

    ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড এর ওয়েবসাইট https://dmtcl.gov.bd/ থেকে এমআরটি পাসের ফরম ডাউনলোড করতে পারবেন। এরপর, এই ফরমটি পূরণ করে মেট্রোরেলের টিকেট কাউন্টারে জমা দিতে হবে। ফরমটি পূরণ করতে নাম, পিতা-মাতার নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার (এনআইডি) অথবা পাসপোর্ট নাম্বার, মোবাইল নাম্বার এবং ই-মেইল অ্যাড্রেস দিতে হবে। এছাড়া, মেট্রোরেলের এমআরটি পাস কেনার জন্য ৫০০ টাকা দিতে হয়। এর মাঝে ৩০০ টাকা এমআরটি পাসে ব্যালেন্স হিসেবে জমা থাকে এবং ২০০ টাকা কার্ডের জামানত হিসেবে নিয়ে থাকে।

    ফরম পূরণ করে ফরমটি টিকেট কাউন্টারে জমা দেয়ার সময় ৫০০ টাকা দিতে হবে। অতঃপর, উক্ত এমআরটি পাস ব্যবহার করে পরবর্তী ১০ বছর মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে পারবেন। ব্যালেন্স শেষ হলে টিকেট কাউন্টার থেকে, টিকেট বিক্রির টপআপ মেশিন থেকে ব্যালেন্স রিচার্জ করে নিতে পারবেন।

    নিচে ধাপে ধাপে মেট্রোরেলের এমআরটি পাস কেনার নিয়ম উল্লেখ করে দিয়েছি। চলুন, দেখে নেয়া যাক।

    • প্রথমেই https://dmtcl.gov.bd/ ওয়েবসাইট ভিজিট করুন এবং এমআরটি পাসের ফরম ডাউনলোড করে নিন।
    • ফরম ডাউনলোড করার জন্য উক্ত ওয়েবসাইটের মেইন মেনু থেকে আমাদের সম্পর্কে লেখার উপরে হোভার করুন/ক্লিক করুন এবং MRT Pass নিবন্ধন ফরম লেখার উপরে ক্লিক করুন।
    • ক্লিক করার পর অটোমেটিক ডাউনলোড শুরু হবে। নয়তো, MRT Pass নিবন্ধন ফরম লেখার উপরে ক্লিক করলে সরাসরি এমআরটি পাস ফরম ডাউনলোড করতে পারবেন।
    • এরপর, ফরমটি প্রিন্ট করে নিন এবং আপনার নাম, পিতা-মাতার নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার (এনআইডি) অথবা পাসপোর্ট নাম্বার, মোবাইল নাম্বার এবং ই-মেইল অ্যাড্রেস সহ সকল তথ্য দিয়ে ফরমটি পূরণ করে নিন।
    • পূরণ করা ফরমটি নিয়ে মেট্রোরেলের টিকেট কাউন্টারে জমা দিন। এরপর, তারা টাকা চাইলে ৫০০ টাকা দিন।
    • অতঃপর, তারা আপনাকে মেট্রোরেলে যাতায়াত করার জন্য এমআরটি পাস দিয়ে দিবে। এই এমআরটি পাসে ৩০০ টাকা ব্যালেন্স থাকবে। MRT পাসটি ব্যবহার করে যাতায়াত করতে পারবেন। ব্যালেন্স শেষ হয়ে গেলে টিকেট কাউন্টার থেকে কিংবা টপআপ মেশিন থেকে ব্যালেন্স রিচার্জ করে নিতে পারবেন।

    কোনো কারণে যদি আপনার এমআরটি পাস হারিয়ে যায়, ক্ষতিগ্রস্থ হয়, ভেঙ্গে যায় বা ফেরত দেন, তাহলে কার্ডে থাকা টাকা ফেরত পাবেন। মনে করুন আপনি কার্ডটি হারিয়ে ফেলেছেন, তাহলে আবারও একটি কার্ড নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে কার্ডে থাকা ব্যালেন্স নতুন কার্ডে যুক্ত হবে। এছাড়া, কার্ড ফেরত দিলে ব্যালেন্স এবং কার্ড নেয়ার সময় যে টাকা ডিপোজিট করেছিলেন, সেটি ফেরত নিতে পারবেন।

    মেট্রোরেলের এমআরটি পাস নেয়ার সময়

    মেট্রোরেলের এমআরটি পাস কেনার নিয়ম অনুসরণ করে MRT পাস নিতে পারবেন প্রতিদিন সকাল ১২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। তবে, আপনি চাইলে এমআরটি পাস ছাড়াও মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে পারবেন। এজন্য, সিঙ্গেল টিকেট ক্রয় করতে হবে। বারবার মেট্রোরেলে যাতায়াত করার প্রয়োজন হলে সিঙ্গেল পাস কেনার থেকে এমআরটি পাস কেনা উত্তম। কারণ, এটি রিচার্জ করা যায় এবং সম্পূর্ণ ১০ বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। 


    আরও পড়ুনঃ প্রবাসী সন্তানদের বৃত্তি আবেদন করার নিয়ম

    আরও পড়ুনঃ অনলাইনে বিমানের টিকেট চেক করার নিয়ম

    আরও পড়ুনঃ ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য কোন ব্যাংক সবচেয়ে ভালো


    শেষ কথা

    আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে মেট্রোরেলের এমআরটি পাস কেনার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করেছি। ফ্রিতে মেট্রোরেলের এমআরটি পাসের জন্য ফরম ডাউনলোড করে সেটি পূরণ করে জমা দেয়ার মাধ্যমে মাত্র ৫০০ টাকায় নিতে পারবেন এই পাস। যেখানে ৩০০ টাকা ব্যালেন্স হিসেবে জমা থাকবে।

  • পর্তুগালে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় ২০২৫

    পর্তুগালে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় ২০২৫

    পর্তুগালের স্থায়ী নাগরিক হতে চাচ্ছেন? পর্তুগালে স্থায়ীভাবে থাকতে হলে নাগরিকত্ব পেতে হবে। আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে পর্তুগালে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে কীভাবে পর্তুগালের নাগরিকত্ব পাবেন এ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

    অভিবাসনের জন্য সেরা দেশ বলা হয়ে থাকে পর্তুগালকে। তাই, প্রবাস হিসেবে যারা পর্তুগালকে বেছে নেন, তাদের মাঝে অনেকেই পর্তুগালে থাকার জন্য পর্তুগালের নাগরিকত্ব পাওয়ার চেষ্টা করেন। কারণ, একবার নাগরিকত্ব পেয়ে গেলে স্থায়িভাবে কাজ করে টাকা ইনকাম করার সুযোগ, চিকিৎসা, শিক্ষা সহ সকল খাতে বিশেষ সুবিধা পাওয়া যায়। এছাড়াও, পর্তুগালের নাগরিক হতে পারলে আরও অনেক সুযোগ পাওয়া যায়।

    তো চলুন, পর্তুগালে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় ২০২৫ নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

    পর্তুগালে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়

    পর্তুগালে নাগরিকত্ব পেতে হলে আপনাকে উক্ত দেশে জন্মগ্রহণ/পিতা-মাতা বা যেকোনো একজন পর্তুগিজ/সে দেশে ১০ বছরের বেশি সময় যাবত থাকতে হবে। এছাড়াও, আরও কয়েকটি উপায়ে আপনি পর্তুগালে নাগরিকত্ব পেতে পারেন। পর্তুগালে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়গুলো নিচে বিস্তারিত উল্লেখ করে দিয়েছি, চলুন জেনে নেয়া যাক।

    পর্তুগালে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় ১ – আপনি যদি পর্তুগালে জন্মগ্রহণ করেন কিংবা আপনার পিতা-মাতা যদি পর্তুগিজ হয় অথবা পিতা-মাতার যেকোনো একজন পর্তুগিজ হয় তাহলে পর্তুগালের নাগরিকত্ব পাবেন। যদি পর্তুগালে জন্মগ্রহণ করে থাকেন, তাহলে নাগরিকত্বের আবেদন করতে হবেনা। আপনাতেই পেয়ে যাবেন।

    পর্তুগালে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় ২ – আপনার পিতা-মাতা অন্য দেশের নাগরিক কিন্তু আপনার জন্ম হয়েছে পর্তুগালে। যেকোনো ভাবে হোক না কেন, আপনার জন্ম যদি পর্তুগালে হয়ে থাকে এক্ষেত্রে ২ বছর পর্তুগালে থাকার পর পর্তুগালে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে, এজন্য আপনাকে অবশ্যই পর্তুগালের প্রাইমারি স্কুল থেকে পড়ালেখা শেষ করতে হবে।

    এছাড়াও,পিতার রেসিডেন্স পারমিট এর বয়স যদি ২ বছর বা এর বেশি হওয়ার পর সন্তানের জন্ম হয়ে থাকে, তবে উক্ত সন্তানের জন্য পর্তুগাল নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করা যাবে।

    পর্তুগালে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় ৩ – বৈধভাবে পর্তুগালে ৬ বছরের কম সময় এবং ৫ বছরের বেশি সময় যাবত থাকার পর, আপনি চাইলে পর্তুগালের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে, এক্ষেত্রে আপনাকে পর্তুগিজ ভাষা কমপক্ষে A2 পর্যন্ত শেষ করতে হবে। এছাড়াও, আপনার নামে কোনো মামলা থাকা যাবে না এবং থাকলেও তার সাজা ২ বছরের বেশি হওয়া যাবে না। এসব শর্ত অনুযায়ী আপনি ৫ বছর পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

    পর্তুগালে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় ৪ – পর্তুগিজ নাগরিককে বিয়ে করলে কিংবা তার সাথে লিভ টুগেদার এ ৩ বছর বা এর বেশি সময় যাবত থাকলে আপনি চাইলে পর্তুগিজ নাগরিক হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। যদি বিয়ে থাকে, তবে বিয়ের অফিসিয়াল ডকুমেন্ট সাবমিট করতে হবে। লিভ টুগেদার এর ক্ষেত্রে মিউনিসিপালিটিতে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

    পর্তুগালের নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় ৫ – পর্তুগালের কোনো নাগরিক যদি আপনাকে দত্তক নেয়, তাহলে সে দেশে ৩ বছর থাকার পর আপনি পর্তুগালের নাগরিক হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। ঠিক একইভাবে পর্তুগিজ যে কেউ যদি কাউকে দত্তক নেয়, তবে ৩ বছর পর তার জন্য নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবে।

    পর্তুগালের নাগরিক হওয়ার উপায় ৬ – পর্তুগালে জন্মগ্রহণ হওয়ার পর যদি কেউ ১০ বছর পর্তুগালে অবৈধভাবে থাকে, তবে সে ব্যক্তি চাইলে নাগরিক হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে।

    পর্তুগালের নাগরিক হওয়ার উপায় ৭ – ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর যেকোনো একটি দেশের কোনো নাগরিককে বিয়ে করার পর যদি পর্তুগালে ৫ বছর থাকতে পারেন, তবে আপনি চাইলে পর্তুগালের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

    উপরোক্ত নিয়মগুলো অনুসরণ করে আপনি পর্তুগালের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার পর সকল তথ্য সঠিক হলে আপনি পর্তুগিজ নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন এবং একজন পর্তুগিজ হয়ে যাবেন। পর্তুগিজ নাগরিক হওয়া সম্পর্কিত আরও কিছু তথ্য নিচে উল্লেখ করে দিয়েছি। চলুন, সেসব তথ্য জেনে নেয়া যাক।

    পর্তুগালের নাগরিকত্ব পেতে কি কি লাগবে

    পর্তুগালের নাগরিক হওয়ার জন্য অবশ্যই কিছু শর্ত মানতে হবে। পর্তুগালের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য যা যা লাগবে তার একটি তালিকা নিম্নরূপ –

    • অবশ্যই বৈধভাবে পর্তুগালে ৫ বছরের বেশি সময় এবং ৬ বছরের কম সময় যাবত থাকতে হবে।
    • নিজ দেশে কিংবা পর্তুগালে কোনো মামলায় ২ বছরের বেশি সাজা হওয়া যাবে না। আপনার নামে যে কোনো বড় ধরনের ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই এটি প্রমাণ করার জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে।
    • আপনার অরিজিনাল জন্ম সনদ (বাংলাদেশি)
    • অরিজিনাল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট (বাংলাদেশি)
    • পর্তুগিজ ভাষার সার্টিফিকেট যা মিনিমাম A2 লেভেলের হতে হবে।
    • পর্তুগাল থেকে নেয়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট

    উপরোক্ত তথ্যগুলো এবং ডকুমেন্টগুলো হলে আপনি পর্তুগাল নাগরিক হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে, আপনার বাংলাদেশি জন্ম সনদ অরিজিনাল এবং অরিজিনাল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা নোটারি পাবলিক, আইন মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়িত করে নিতে হবে। অতঃপর, আবারও একই ডকুমেন্ট বাংলাদেশ হাইকমিশন ইন নিউ দিল্লি থেকেও সত্যায়িত করে নিতে হবে। এরপর, পর্তুগিজ কনস্যুলেট, অ্যাম্বাসি ইন নিউ দিল্লি থেকে সত্যায়িত করে নিতে হবে।

    অতঃপর, এসব ডকুমেন্ট পর্তুগালে পর্তুগিজ ভাষায় অনুবাদ করে সেখানে থেকে নোটারি করে নিতে হবে। এরপর, আপনি পর্তুগালের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং সকল তথ্য সঠিক হলে পর্তুগালের নাগরিক হতে পারবেন।

    পর্তুগালে বৈধ হওয়ার উপায়

    পর্তুগালে বৈধ হওয়ার উপায় হচ্ছে পর্তুগালের ভিসা করা। পর্তুগালে থাকতে চাইলে এবং পর্তুগালে থেকে কাজ করতে চাইলে পর্তুগালের ভিসা করতে হবে। তবে, আপনি যদি স্থায়ীভাবে পর্তুগালে বসবাস করতে চান, তবে পর্তুগালের নাগরিকত্ব পেতে হবে। এজন্য, পোস্টে উল্লেখ করে দেয়া পর্তুগালে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় ২০২৫ অনুসরণ করতে পারেন। এরপর, উক্ত নিয়মগুলো অনুযায়ী নাগরিক হওয়ার জন্য আবেদন করলে নাগরিকত্ব নিতে পারবেন।

    পর্তুগালে অবৈধভাবে বসবাস করা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় আপনার জেল সহ জরিমানা হতে পারে। তাই, পর্তুগালে থাকতে চাইলে বৈধ ভিসা থাকতে হবে। আপনার যদি ভিসা থাকে, তবে উপরোক্ত নিয়মগুলো অনুযায়ী আপনি চাইলে পর্তুগিজ নাগরিক হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার পর প্রায় ১ বছরের মতো সময় লাগতে পারে আপনার নাগরিকত্ব অনুমোদিত হওয়ার জন্য।

    পর্তুগালে নাগরিকত্ব পেতে কত সময় লাগে

    পর্তুগালে গেলেই, হোক সেটি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কিংবা স্টুডেন্ট ভিসায়, উক্ত ব্যক্তি পর্তুগালের একটি অস্থায়ী নাগরিকত্ব পেয়ে যায়। স্থায়ী নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য পর্তুগালে ৫ বছরের বেশি সময় এবং ৬ বছরের কম সময় যাবত থাকতে হয়। এছাড়া, পর্তুগিজ ভাষায় দক্ষতা থাকলে এবং কোনো মামলা না থাকলে পর্তুগালে নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। আবেদন করার ৬ মাস থেকে ১ বছরের মাঝে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়।

    পর্তুগালের নাগরিক হওয়ার জন্য আবেদন করার সময় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সাবমিট করতে হবে। বাংলাদেশি হলে বাংলাদেশের এবং পর্তুগালের এবং অন্য দেশের হলে সে দেশের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এবং পর্তুগালের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট। এছাড়াও, উপরে উল্লেখ করে দেয়া ডকুমেন্টগুলো লাগবে। এছাড়াও, এসব ডকুমেন্ট অবশ্যই সত্যায়িত করে নিতে হবে। 


    আরও পড়ুনঃ সরকারিভাবে দক্ষিন কোরিয়া যাওয়ার উপায়

    আরও পড়ুনঃ সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায়

    আরও পড়ুনঃ অনলাইনে বিমানের টিকেট চেক করার নিয়ম


    আমাদের শেষ কথা

    আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে পর্তুগালে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় ২০২৫ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে কীভাবে পর্তুগালের নাগরিক হওয়ার জন্য আবেদন করতে হয় এবং কি কি শর্ত রয়েছে তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

  • সরকারিভাবে দক্ষিন কোরিয়া যাওয়ার উপায়

    সরকারিভাবে দক্ষিন কোরিয়া যাওয়ার উপায়

    সরকারিভাবে দক্ষিন কোরিয়া যেতে চাচ্ছেন? সরকারিভাবে দক্ষিন কোরিয়া যাওয়ার উপায় জানতে হলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়তে হবে। কারণ, আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে সরকারি উদ্যোগে দক্ষিন কোরিয়া যাওয়ার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলচনা করবো।

    আপনি যদি দক্ষিন কোরিয়া যেতে চান, তবে মাত্র ১-২ লক্ষ টাকার মাঝেই যেতে পারবেন। এজন্য, লাগবে না কোনো এজেন্সির সহযোগিতা বা দালালের সহযোগিতা। সম্পূর্ণ সরকারিভাবে দক্ষিন কোরিয়া যেতে পারবেন এবং প্রতি মাসে ১ লক্ষ টাকার অধিক উপার্জন করতে পারবেন।

    কিভাবে দক্ষিন কোরিয়া যাওয়া যায় বা কিভাবে দক্ষিন কোরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে জানতে হলে শুরু থেকে শেষ অব্দি পড়ুন। তো চলুন, পোস্টের মূল বিষয়ে ফিরে আসা যাক।

    সরকারিভাবে দক্ষিন কোরিয়া যাওয়ার সুযোগ

    সরকারিভাবে দক্ষিন কোরিয়া থেকে এখন অনেক শ্রমিক নিচ্ছে। আপনি যদি দক্ষিন কোরিয়া যেতে চান, তাহলে এসময় আবেদন করলে বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে দক্ষিন কোরিয়া যেতে পারবেন মাত্র ১-২ লক্ষ টাকার মাঝেই। এছাড়াও, প্রতি মাসে ১ থেকে ১.৫ লক্ষ টাকা উপার্জন করার সুযোগ রয়েছে।

    নতুন করে বাংলাদেশ থেকে দক্ষিন কোরিয়ায় লোকবল নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। তাই, আপনি যদি দক্ষিন কোরিয়া যেতে চান, তাহলে এখন আবেদন করতে পারেন। কোনো এজেন্সি বা দালালের সহযোগিতা ছাড়া সাউথ কোরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে পারবেন। 

    ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় গিয়ে কাজ শেষ আবার দেশে ফিরে আসতে হবে। অভিবাসনের কোনো সুযোগ নেই। তবে, আপনি অনেক ভালো বেতনে কাজ করতে পারবেন। 

    সরকারিভাবে দক্ষিন কোরিয়া যেতে কি কি লাগে

    সরকারিভাবে দক্ষিন কোরিয়া যেতে কি কি লাগে তার একটি বিস্তারিত তালিকা নিচে উল্লেখ করে দিয়েছি। আপনি যদি দক্ষিন কোরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চান, তবে নিচে উল্লিখিত কাগজপত্রগুলো সংগ্রহ করে রাখুন।

    • কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদি একটি পাসপোর্ট
    • সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
    • জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি
    • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
    • কোরিয়ান ভাষার সার্টিফিকেট
    • শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট
    • ইমিগ্রেশন ফি এবং অন্যান্য

    এসব কাগজপত্র এবং তথ্য থাকলে আপনি কোরিয়ান ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং সরকারিভাবে দক্ষিন কোরিয়া গিয়ে কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। কিভাবে দক্ষিন কোরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হয় তা নিয়ে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করেছি।

    সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কত টাকা লাগে

    সরকারিভাবে দক্ষিন কোরিয়া যেতে মাত্র ২ লক্ষ টাকা থেকে ৩ লক্ষ টাকা লাগে। এর মাঝে ১ লক্ষ টাকা বোয়েসেল জামানত হিসেবে জমা থাকে। যা আপনি চাকুরী বা কাজ শেষে দেশে আসার পর আবারও ফেরত নিতে পারবেন। অর্থাৎ, সরকারিভাবে দক্ষিন কোরিয়া যাওয়ার খরচ অনেক কম। 

    বলা যায়, আপনি ১-২ লক্ষ টাকার মাঝেই দক্ষিন কোরিয়া যেতে পারবেন। ভিসা ফি, পাসপোর্ট ফি, ফ্লাইট টিকেট এবং অন্যান্য আনুসাঙ্গিক খরচ মিলে ১-২ লক্ষ টাকা হলেই আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় দক্ষিন কোরিয়া যেতে পারবেন অনেক সহজেই। 

    সরকারিভাবে দক্ষিন কোরিয়া যাওয়ার উপায়

    সরকারিভাবে দক্ষিন কোরিয়া যাওয়ার জন্য দুইটি পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে। একটি হচ্ছে, লটারির মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়া এবং আরেকটি হচ্ছে লটারি ছাড়া দক্ষিন কোরিয়া যাওয়া। লটারি দিয়ে এবং লটারি ছাড়া কিভাবে দক্ষিন কোরিয়া যাওয়া যায় এসব বিষয় নিয়ে নিচে আরও বিস্তারিত আলোচনা করেছি। চলুন, দেখে নেয়া যাক।

    লটারির মাধ্যমে সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায়

    দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মসংস্থানের জন্য প্রতি বছর লটারির মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচন করা হয়। এই লটারিতে অংশগ্রহণ করতে হলে আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল)-এর ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদনকারীর অবশ্যই একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।

    লটারির মাধ্যমে দক্ষিন কোরিয়া যেতে চাইলে আবেদনকারীকে নিম্নলিখিত কাগজপত্রগুলো জমা দিতে হবে:

    • পাসপোর্টের ফটোকপি
    • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের ফটোকপি
    • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের ফটোকপি
    • মেডিকেল রিপোর্ট এর ফটোকপি

    আবেদনকারীর আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করে যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়ে থাকে। তালিকা প্রকাশের পর লটারির মাধ্যমে প্রার্থীদের নির্বাচন করা হয়। লটারি জয়ী প্রার্থীদের কোরিয়ান ভাষার কোর্স এবং স্কিল টেস্টে অংশগ্রহণ করতে হয়। কোরিয়ান ভাষার কোর্স এবং স্কিল টেস্টে উত্তীর্ণ হলে প্রার্থীদের ভিসা দেওয়া হয়। ভিসা পাওয়ার পর প্রার্থীরা দক্ষিণ কোরিয়ায় ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে যেতে পারেন।

    লটারি ছাড়া সরকারিভাবে দক্ষিন কোরিয়া যাওয়ার উপায়

    লটারি ছাড়া সরকারিভাবে দক্ষিন কোরিয়া  যাওয়ার কয়েকটি উপায় রয়েছে। লটারি করা ছাড়া কিভাবে দক্ষিন কোরিয়া যেতে পারবেন এমন কিছু উপায় নিচে উল্লেখ করে দিলাম। চলুন, দেখে নেয়া যাক। 

    সরাসরি কোরিয়ান কোম্পানির মাধ্যমে চাকরি পাওয়া

    এটি দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায়। এক্ষেত্রে, আবেদনকারীকে কোরিয়ান ভাষা জানা থাকতে হবে এবং কোরিয়ান কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। কোরিয়ান কোম্পানির মাধ্যমে চাকরি পাওয়ার জন্য, আবেদনকারীকে কোরিয়ান কোম্পানির ওয়েবসাইটে গিয়ে চাকরির জন্য আবেদন করতে হবে। অথবা, কোরিয়ান কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে সরাসরি চাকরির জন্য আবেদন করতে পারেন। আবেদন করার পর তারা যদি আপনার আবেদন অনুমোদন করে আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট দেয়, তাহলে আপনি দক্ষিন কোরিয়া যেতে পারবেন।

    কোনো কোরিয়ান এজেন্সির মাধ্যমে চাকরি পাওয়া

    এটিও দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়ার একটি ভালো উপায়। এক্ষেত্রে, আবেদনকারীকে কোরিয়ান ভাষা জানা থাকতে হবে। কোরিয়ান এজেন্সির মাধ্যমে চাকরি পাওয়ার জন্য, আবেদনকারীকে কোরিয়ান এজেন্সির ওয়েবসাইটে গিয়ে চাকরির জন্য আবেদন করতে হবে। অথবা, কোরিয়ান এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করে সরাসরি চাকরির জন্য আবেদন করতে হবে।

    এছাড়াও, বাংলাদেশে অবস্থিত কোনো কোরিয়ান এজেন্সির সহযোগিতা নিয়ে ওয়ার্ক পারমিট নিতে পারেন। ওয়ার্ক পারমিট নেয়ার পর আপনি ভিসা করে দক্ষিন কোরিয়া যেতে পারবেন অনেক সহজেই। 

    দক্ষিণ কোরিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য যাওয়া

    দক্ষিণ কোরিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য যাওয়ার মাধ্যমেও দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়া যায়। এক্ষেত্রে, আবেদনকারীর উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট থাকতে হবে এবং দক্ষিণ কোরিয়ান ভাষা জানা থাকতে হবে। দক্ষিণ কোরিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করার জন্য, আবেদনকারীকে দক্ষিণ কোরিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে। অথবা, দক্ষিণ কোরিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ করে সরাসরি আবেদন করতে হবে।

    আবেদন করার পর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যদি অ্যাডমিশন লেটার দেয়া হয়, সেটি দিয়ে ভিসা আবেদন করে আপনি দক্ষিন কোরিয়া যেতে পারবেন। এরপর, সেখানে চাইলে পার্ট টাইম কাজ করে টাকাও উপার্জন করতে পারবেন। এভাবে করে নিজের খরচ নিজেই চালাতে পারবেন এবং পড়ালেখা করতে পারবেন।

    দক্ষিণ কোরিয়ায় পর্যটক হিসেবে যাওয়া

    দক্ষিণ কোরিয়ায় পর্যটক হিসেবে যাওয়ার মাধ্যমেও দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়া যায়। এক্ষেত্রে, আবেদনকারীর পাসপোর্ট থাকতে হবে এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ভ্রমণের জন্য ভিসা থাকতে হবে। দক্ষিণ কোরিয়ায় ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য, আবেদনকারীকে দক্ষিণ কোরিয়ান দূতাবাস বা কনস্যুলেটে আবেদন করতে হবে।

    পর্যটক হিসেবে যাওয়ার জন্য দক্ষিন কোরিয়ার ভাষা জানা থাকতে হবে না। ভিসা আবেদন করার পর আপনি অনেক সহজেই দক্ষিন কোরিয়া যেতে পারবেন। তবে, ভিসা মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ভিসা রিনিউ করতে হবে বা দেশে ফিরে আসতে হবে।


    আরও পড়ুনঃ পোল্যান্ড ভিসা পাওয়ার নিয়ম, পোল্যান্ড কোন কাজে বেতন কত, টাকার মান

    আরও পড়ুনঃ প্রবাসী সন্তানদের বৃত্তি আবেদন করার নিয়ম

    আরও পড়ুনঃ সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায়


    আমাদের শেষ কথা

    আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে সরকারিভাবে দক্ষিন কোরিয়া যাওয়ার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। লটারি ছাড়া দক্ষিন কোরিয়া যাওয়ার উপায় এবং লটারি দিয়ে দক্ষিন কোরিয়া যাওয়ার উপায় নিয়েও আলোচনা করেছি। পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে দক্ষিন কোরিয়া কিভাবে যাবেন এবং ওয়ার্ক পারমিট পাবেন এসব বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। 

    আরও এমন তথ্য জানতে প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। 

  • পোল্যান্ড ভিসা পাওয়ার নিয়ম, পোল্যান্ড কোন কাজে বেতন কত, টাকার মান

    পোল্যান্ড ভিসা পাওয়ার নিয়ম, পোল্যান্ড কোন কাজে বেতন কত, টাকার মান

    পোল্যান্ড ভিসা পাওয়ার নিয়ম এবং পোল্যান্ড কোন কাজে বেতন কত টাকা এসব বিষয় নিয়ে আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

    আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে পোল্যান্ড যেতে চান এবং পোল্যান্ড গিয়ে কাজ করে টাকা উপার্জন করতে চান, তবে এই পোস্টটি আপনার জন্যই। পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে পোল্যান্ড টাকার রেট সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে পারবেন। 

    পোল্যান্ড হচ্ছে শেনজেন এর অন্তর্ভুক্ত ২৭টি দেশের মাঝে একটি দেশ। তাই, আপনি যদি পোল্যান্ড ভিসা করতে চান, তবে আপনাকে শেনজেন ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। শেনজেন ভিসা পেয়ে গেলে আপনি শেনজেন অন্তর্ভুক্ত ২৭টি দেশেই যাতায়াত করতে পারবেন। 

    তবে, আপনি যদি পোল্যান্ড যাওয়ার জন্য শেনজেন ভিসা করেন, তবে পোল্যান্ড যেতে হবে এবং পোল্যান্ড থেকেই ফেরত আসতে হবে। অর্থাৎ, আপনি শেনজেন অন্তর্ভুক্ত অন্য দেশগুলোতে সরাসরি প্রবেশ করতে পারবেন না বা সেই দেশ থেকে নিজের দেশে আসতে পারবেন না। এজন্য, অবশ্যই যে দেশের ভিসা করেছেন, সেই দেশ থেকে যাতায়াত করতে হবে।

    পোল্যান্ড ভিসা পাওয়ার নিয়ম

    পোল্যান্ড ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে পোল্যান্ড ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। পোল্যান্ড ভিসা আবেদন করার জন্য পোল্যান্ড যেতে যা যা লাগবে সেগুলো সংগ্রহ করতে হবে। এরপর, অনলাইন থেকে পোল্যান্ড ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে এবং পোল্যান্ড এম্বাসিতে কিংবা সুইডেন এম্বাসিতে অ্যাপয়েনমেন্ট বুকিং করে আবেদন জমা দিতে হবে।

    তাহলে, আপনি পোল্যান্ড ভিসা আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন এবং পোল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে পোল্যান্ড যেতে পারবেন। পোল্যান্ড যেতে কি কি লাগবে তার একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করে দিয়েছি। চলুন, দেখে নেয়া যাক।

    পোল্যান্ড যেতে কি কি লাগে

    পোল্যান্ড যেতে চাইলে কি কি লাগে বা পোল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে চাইলে কি কি লাগে তার একটি বিস্তারিত তালিকা নিচে উল্লেখ করে দিয়েছি। পোল্যান্ড ভিসার জন্য অনলাইনে আবেদন করার করার আগে অবশ্যই এসব কাগজপত্র সংগ্রহ করে রাখতে হবে। 

    • সর্বনিম্ন ৬ মাস মেয়াদের পাসপোর্ট 
    • সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
    • শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট ও মার্কশীট (ন্যূনতম HSC)
    • কভার লেটার ও সিভি
    • ওয়ার্ক পারমিট
    • জব কন্ট্রাক্ট
    • কোম্পানির কাছ থেকে থাকার চুক্তি
    • পরিবহন চুক্তি (যদি থাকে)
    • মেডিকেল ইনস্যুরেন্স (১ বছর)

    উপরোক্ত কাগজগুলো যদি আপনার কাছে থাকে, তাহলে পোল্যান্ড ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। অনলাইনে পোল্যান্ড ভিসার জন্য আবেদন করার নিয়ম বিস্তারিত নিচে পেয়ে যাবেন।

    পোল্যান্ড ভিসা আবেদন করার নিয়ম

    পোল্যান্ড ভিসা পাওয়ার জন্য ভিসা আবেদন করতে হবে। পোল্যান্ড ভিসা আবেদন করার জন্য কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হবে। এসব ধাপ নিচে বিস্তারিত উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে। পোল্যান্ড ভিসা পেতে চাইলে নিম্নোক্ত ধাপগুলো অনুসরণ করুন।

    ধাপ ১ –  পোল্যান্ড ভিসা আবেদন করার জন্য অনলাইনে পোল্যান্ড এম্বাসিতে আবেদন করতে হবে। বাংলাদেশে পোল্যান্ড এর কোনো এম্বাসি নেই। তাই, পোল্যান্ড ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে ভারতের পোল্যান্ড এম্বাসি থেকে আবেদন করতে হবে। এজন্য, Poland Visa Application Form, New Delhi লিংকটি ব্যবহার করতে পারবেন।

    ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ছাড়া স্বল্প মেয়াদি অন্য যেকোনো ভিসা যেমন ট্রাভেল ভিসার জন্য আবেদন করতে চাইলে শেনজেন ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। শেনজেন ভিসা পেলে আপনি শেনজেন এর অন্তর্ভুক্ত ২৭টি দেশে যাতায়াত করতে পারবেন আলাদা কোনো ভিসা ছাড়াই।

    ধাপ ২ – পোল্যান্ড ভিসার জন্য অনলাইনে ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করার পর আপনাকে একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং করতে হবে। পোল্যান্ড এম্বাসির অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং করার জন্য https://visa.vfsglobal.com/ind/en/pol/ এই ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। এরপর, Book an Appointment এ ক্লিক করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে পারবেন। 

    ধাপ ৩ – পোল্যান্ড এম্বাসির অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করার পর আপনাকে পোল্যান্ড এম্বাসিতে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে ভিসা আবেদন জমা দিতে হবে এবং ভিসা ফি জমা দিতে হবে। সাথে আপনার বায়োমেট্রিক তথ্য যেমন আঙ্গুলের ছাপ ইত্যাদি নিবে। 

    ধাপ ৪ –  ভিসা আবেদন জমা দেয়া হয়ে গেলে ভিসা আবেদন অনুমোদন হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ভিসা আবেদন একবার অনুমোদন হয়ে গেলে পাসপোর্ট এবং ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। এরপর, পাসপোর্ট ও ভিসা নিয়ে আপনি পোল্যান্ড যেতে পারবেন। 

    পোল্যান্ড কোন কাজে বেতন কত

    পোল্যান্ডে বেতন মূলত কাজের ধরন, অভিজ্ঞতা, এবং দক্ষতার উপর নির্ভর করে থাকে। সাধারণত, পোল্যান্ডে বেতন প্রতি মাসে প্রায় ১০,০০০ থেকে ১৫,০০০ পোলিশ জ্লোটিতে (PLN) হয়ে থাকে।

    পোল্যান্ডে বেতন বেশি এবং জনপ্রিয় এমন কিছু কাজের তালিকা ও সেসব কাজের বেতন প্রতি মাসে কত টাকা তার একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করে দিলাম। 

    • ফ্যাক্টরি শ্রমিক: প্রতি মাসে প্রায় ১০,০০০ থেকে ১২,০০০ PLN
    • সেবা খাতের কর্মী: প্রতি মাসে প্রায় ১২,০০০ থেকে ১৫,০০০ PLN
    • ডাক্তার: প্রতি মাসে প্রায় ৩০,০০০ থেকে ৫০,০০০ PLN
    • ইঞ্জিনিয়ার: প্রতি মাসে প্রায় ২৫,০০০ থেকে ৪০,০০০ PLN
    • শিক্ষক: প্রতি মাসে প্রায় ১৫,০০০ থেকে ২০,০০০ PLN

    পোল্যান্ডে বেতন সাধারণত মাসিক বেতন হিসেবে প্রদান করা হয়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে সাপ্তাহিক বা দৈনিক বেতনও প্রদান করা হয়। পোল্যান্ডে ন্যূনতম বেতন প্রতি ঘন্টায় ১২.৫০ PLN। অর্থাৎ, একজন কর্মী প্রতি মাসে কমপক্ষে ১৫,০০০ PLN ইনকাম করতে পারে।

    পোল্যান্ডে বেতন সাধারণত প্রদান করা হয় পোলিশ জ্লোটিতে (PLN)। তবে, কিছু ক্ষেত্রে ইউরোতেও বেতন প্রদান করা হয়। এটি কর্মক্ষেত্র বা কোম্পানির উপর নির্ভর করে থাকে।

    পোল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে

    ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় পোল্যান্ড যেতে ৪-৫ লক্ষ টাকা লেগে থাকে। ভিসা ফি, ফ্লাইট টিকেট, ইনস্যুরেন্স এবং আনুসাঙ্গিক খরচ সহ মোট ৪-৫ লক্ষ টাকা হলে কাজের ভিসায় পোল্যান্ড যেতে পারবেন। তবে, আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় পোল্যান্ড যেতে চান, তবে ১ লক্ষ টাকার মাঝেই পোল্যান্ড যেতে পারবেন। 

    এছাড়াও, ১.৫ থেকে ২ লক্ষ টাকার মাঝে পোল্যান্ড ট্রাভেল ভিসায় গিয়ে পোল্যান্ড ভ্রমণ করে আসা যায়। আপনি যদি পোল্যান্ড যান, তবে পোল্যান্ড থেকে আরও ২৬ টি দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন আলাদা কোনো ভিসা ছাড়াই। তবে, এজন্য আপনাকে অবশ্যই শেনজেন ভিসা নিতে হবে। 

    পোল্যান্ড টাকার মান কত

    পোল্যান্ড যেতে ইচ্ছুক এমন অনেকেই পোল্যান্ড টাকার মান কত জানতে ইচ্ছুক। পোল্যান্ড এর ১ টাকা বাংলাদেশের আজকের টাকার রেট অনুযায়ী 27.99 বা প্রায় ২৮ টাকা। আপনার কাছে যদি ১টি পোল্যান্ড এর মুদ্রা থাকে, সেটির মান বাংলাদেশে ২৮ টাকার সমান। পোল্যান্ড ১০০ টাকা সমান বাংলাদেশে ২৭৯৯ টাকা।  

    পোল্যান্ড টাকার মান বেশি হওয়ার কারণে অনেকেই পোল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করে পোল্যান্ড গিয়ে থাকেন। এতে করে, অল্প সময়ের মাঝে অধিক টাকা উপার্জন করা যায়। এছাড়াও, পোল্যান্ড এ কাজের দাম অনেক বেশি। আপনি যদি কোনো কাজে দক্ষ হন, সেই কাজটি করে অনেক বেশি পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।


    আরও পড়ুনঃ সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায়

    আরও পড়ুনঃ সৌদি আরব কোন কাজের চাহিদা কেমন ও যেতে খরচ কত টাকা

    আরও পড়ুনঃ কাজের ভিসায় ফিনল্যান্ড যাওয়ার নিয়ম


    শেষ কথা

    পোল্যান্ড অনেক উন্নত একটি দেশ। আমাদের দেশের অনেকেই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে পোল্যান্ড যাচ্ছেন। আবার অনেকেই পড়ালেখা করার জন্য পোল্যান্ড যাচ্ছেন। আপনিও যদি পোল্যান্ড যেতে চান, তবে পোল্যান্ড ভিসা ফরম পূরণ করে একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং করে ভিসা আবেদন জমা দিয়ে ভিসা নিতে পারবেন এবং পোল্যান্ড যেতে পারবেন।

    এই পোস্টে আপনাদের সাথে পোল্যান্ড ভিসা পাওয়ার নিয়ম, পোল্যান্ড কোন কাজের বেতন বেশি এবং পোল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। এছাড়াও, পোল্যান্ড টাকার রেট কত এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। 

  • প্রবাসী সন্তানদের বৃত্তি আবেদন করার নিয়ম

    প্রবাসী সন্তানদের বৃত্তি আবেদন করার নিয়ম

    প্রবাসী সন্তানদের বৃত্তি দিবে বলে জানিয়েছে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড। প্রবাসী সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়তে হবে।

    আপনি যদি প্রবাসী হয়ে থাকেন বা প্রবাসে আপনার পরিবারের কেউ থাকে, তবে উক্ত প্রবাসীর সন্তানেরা চাইলে প্রবাসী সন্তানদের বৃত্তি ২০২৪ এর জন্য ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডে আবেদন করতে পারবে।

    কিভাবে এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হবে, আবেদন করতে কি কি লাগবে এসব বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো আজকে। তো চলুন, পোস্টের মূল বিষয়ে ফিরে আসা যাক।

    প্রবাসী সন্তানদের বৃত্তি ২০২৪

    যেসব প্রবাসীদের সন্তান ২০২২ সালে এইচএসসি বা সমমান পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে এবং বর্তমানে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বা মেডিকেলে অধ্যনরত আছেন এমন বা ২০২৩ সালে এসএসসি বা সমমান পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে এবং এখন দেশের বিভিন্ন কলেজে বা ডিপ্লোমা বিভাগে পড়ালেখা করছে তারা তাইলে প্রবাসী সন্তানদের জন্য চালু করা বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

    ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড ঘোষণা দিয়েছে যে তারা প্রবাসীদের মেধাবি সন্তানদেরকে বৃত্তি প্রদান করবেন। আপনি যদি প্রবাসী হয়ে থাকেন, তবে আপনার সন্তানের জন্য এই বৃত্তির আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও, আপনার পরিচিত কেউ যদি প্রবাসে থাকেন, তার সন্তানরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

    এই হচ্ছে প্রবাসীদের মেধাবি সন্তানদের জন্য চালু করা নতুন বৃত্তি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। যারা প্রবাসী নন, তাদের জন্য এই বৃত্তি নয়। প্রবাসীদের মেধাবি সন্তানদের বৃত্তির জন্য আবেদন করতে কি কি লাগবে নিচে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

    প্রবাসী সন্তানদের বৃত্তি আবেদন করতে কি কি লাগবে ২০২৪

    প্রবাসীরা তাদের মেধাবী সন্তানদের জন্য বা পিতা প্রবাসে আছেন এমন সন্তানেরা চাইলে অনলাইনে এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে, আবেদন করার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে। অর্থাৎ, এই আবেদন করার জন্য কিছু ডকুমেন্ট লাগবে। আবেদন করতে কি কি লাগবে নিচে উল্লেখ করে দিয়েছি।

    • বিদেশে কর্মরত প্রবাসী কর্মীর সন্তান
    • ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সদস্যতাপ্রাপ্ত প্রবাসী কর্মীর সন্তান
    • বিএমইটির ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত প্রবাসী কর্মীর সন্তান
    • ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের আর্থিক অনুদান পেয়েছেন বা পাবেন এমন মৃত প্রবাসী কর্মীর সন্তান

    উপরোক্ত শর্তগুলো যদি আপনার সাথে মিলে যায়, তাহলে শিক্ষাবৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন আপনিও। চলুন, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড থেকে দেয়া শিক্ষাবৃত্তি সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। এরপর আমরা আবেদন করার পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করবো।

    ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড শিক্ষাবৃত্তি

    বিদেশে কর্মরত স্বল্প আয়ের প্রবাসী কর্মীর সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ বহন করতে সহায়তা করার জন্য ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড ২০১২ সাল থেকে তাদের মেধাবী সন্তানদের বৃত্তি প্রদান করে আসছে। পূর্বে, পিইসি, জেএসসি, এসএসসি বা সমমান এবং এইচএসসি বা সমমান পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হলেও বর্তমানে শুধুমাত্র এসএসসি বা সমমান এবং এইচএসসি বা সমমান পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে।

    আপনি প্রবাসী হয়ে থাকলে বা আপনার পিতা যদি প্রবাসী হয়ে থাকেন, তবে এসএসসি বা এইচএসসি পর্যায়ে অধয়নরত প্রবাসীর সন্তানের জন্য এই শিক্ষাবৃত্তির আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার নিয়ম নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

    প্রবাসী সন্তানদের বৃত্তি আবেদন করার নিয়ম ২০২৪

    প্রবাসীদের মেধাবি সন্তানদের জন্য যে বৃত্তি চালু করা হয়েছে, এটি আপনার সন্তানের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে, এজন্য অবশ্যই আপনার সন্তানকে এসএসসি বা এইচএসসি থেকে উত্তীর্ণ হতে হবে। পূর্বে, পিইসি, জেএসসি, এসএসসি এবং এইচএসসি পর্যায়ে বৃত্তি দিলেও এখন শুধুমাত্র এসএসসি বা সমমান এবং এইচএসসি বা সমমান উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের দেয়া হচ্ছে।


    আরও পড়ুনঃ অনলাইনে বিমানের টিকেট চেক করার নিয়ম

    আরও পড়ুনঃ ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য কোন ব্যাংক সবচেয়ে ভালো

    আরও পড়ুনঃ বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ কিভাবে করবেন


    ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড থেকে দেয়া শিক্ষাবৃত্তির জন্য আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন। এরপর, ওয়েব পোর্টালে নিয়ে যাবে। সেখানে গিয়ে সকল তথ্য সাবমিট করে আবেদন করতে পারবেন।