আইইএলটিএস ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়?

আইইএলটিএস ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়?

Which European countries can go without IELTS?

আইইএলটিএস ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায় এমন প্রশ্ন প্রায়ই শোনা যায়। অনেকেই আইইএলটিএস পরিক্ষা দেয়া বা এই পরিক্ষায় ভালো স্কোর করা ছাড়াও ইউরোপ যেতে চান। তাদের থেকেই এমন প্রশ্ন বেশি শোনা যায়।

আপনিও যদি IELTS ছাড়া ইউরোপের কোনো দেশে যেতে চান, তবে এই পোস্টটি আপনার জন্যই। আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো আইইএলটিএস ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে আপনি যেতে পারবেন এই বিষয়টি নিয়ে। তো চলুন, পোস্টের মূল বিষয়ে ফিরে আসা যাক।

আইইএলটিএস কী?

আইইএলটিএস বা IELTS এর পূর্ণরূপ হচ্ছে – International English Language Testing System । এটি হচ্ছে একটি পরিক্ষা যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তির ইংরেজি ভাষার উপর দক্ষতা কেমন তা যাচাই করা হয় এবং স্কোর দেয়া হয়। আইইএলটিএস পরিক্ষার সর্বোচ্চ স্কোর হচ্ছে ১০। ইউরোপের অনেক দেশে যদি আপনি যেতে চান, তবে আইইএলটিএস স্কোর লাগে।

যেসব দেশে ইংরেজি ভাষায় কথা বলা হয়, এমন দেশে কাজ করার উদ্দেশ্যে যেতে চাইলে কিংবা পড়ালেখা করার উদ্দেশ্যে যেতে চাইলে IELTS স্কোর ভালো থাকা বাধ্যতামুলক। ইংরেজিতে বলা, লেখা, শোনা এবং পড়ার উপর ভিত্তি করে একটি পরিক্ষা নেয়া হয় এমন এই পরিক্ষার উপর একটি স্কোর দেয়া হয়ে থাকে। এই স্কোর অনেক গুরুত্বপূর্ণ যদি আপনি অন্য কোনো দেশে যেতে চান।

আইইএলটিএস দিয়ে কোন কোন দেশে যাওয়া যাবে?

আইইএলটিএস স্কোর ভালো হলে আপনি বিশ্বের ১৪০+ দেশে যেতে পারবেন কোনো সমস্যা ছাড়াই। কিন্তু, আপনার যদি আইইএলটিএস স্কোর ভালো না হয় তাহলে বেশিরভাগ দেশের ভিসা নিতে পারবেন না। অধিকাংশ দেশের বিশেষ করে ইউরোপ মহাদেশের দেশগুলোতে যেতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই ভালো আইইএলটিএস স্কোর অর্জন করতে হবে।

অন্যান্য দেশে পড়ালেখা করার জন্য কিংবা কাজের জন্য, আইইএলটিএস স্কোর অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই, বিশ্বের যেকোনো দেশে সহজেই যেতে চাইলে আপনার আইইএলটিএস স্কোর ভালো হতে হবে। আইইএলটিএস স্কোর ভালো হলে আমেরিকা, কানাডা সহ বিশ্বের অনেক উন্নত রাস্ট্রে যেতে পারবেন।

IELTS ছাড়া ইউরোপের দেশে যাওয়া যাবে কি?

IELTS ছাড়া আপনি ইউরোপের অনেক দেশে যেতে পারবেন। এসব দেশে কাজ করার জন্য হোক কিংবা পড়ালেখা করার জন্য, কোনো প্রকার আইইএলটিএস স্কোর প্রয়োজন হবে না। আপনি যদি পড়ালেখা করার জন্য অন্য দেশে যেতে চান এবং আপনার আইইএলটিএস স্কোর ভালো না হয়, তবে IELTS ছাড়া ইউরোপের অনেক দেশে যেতে পারবেন।

আইইএলটিএস ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায় তা নিয়ে আরও বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হয়েছে। 

আইইএলটিএস ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়

আইইএলটিএস ছাড়া ইউরোপের অনেক দেশে যাওয়া যায়। আমরা জানি যে ইউরোপের যেকোনো দেশে যেতে চাইলে অবশ্যই আইইএলটিএস স্কোর ভালো করতে হয়। তবে, আইইএলটিএস স্কোর অল্প কিংবা একদম না থাকলেও ইউরোপের অনেক দেশে যেতে পারবেন। IELTS ছাড়া ইউরোপের যেসব দেশে যেতে পারবেন এমন দেশের তালিকাগুলো নিচে উল্লেখ করে দিলাম। চলুন, দেখে নেয় যাক।

  • পোল্যান্ড
  • হাঙ্গেরি
  • ফ্রান্স
  • বুলগেরিয়া
  • সার্বিয়া
  • ক্রোয়েশিয়া
  • রোমানিয়া
  • গ্রিস
  • ইতালি
  • পর্তুগাল
  • মালটা

উপরের তালিকায় উল্লিখিত দেশগুলো কোনো প্রকার আইইএলটিএস স্কোর ছাড়া যেতে পারবেন। অনেকেই এসব দেশ কাজ করার উদ্দেশ্যে গিয়ে থাকে। তাই, আপনিও যদি এসব দেশ যেতে চান তবে কোনো প্রকার আইইএলটিএস স্কোর জানা লাগবে না। এসব দেশে IELTS স্কোর ছাড়া যেতে পারবেন এবং ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

IELTS এর প্রস্তুতি নেয়ার পদ্ধতি

IELTS পরীক্ষাটি ইংরেজি ভাষার দক্ষতা পরিমাপের একটি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত পরীক্ষা। বিদেশে উচ্চশিক্ষা, অভিবাসন এবং কর্মসংস্থানের জন্য IELTS পরিক্ষা দেয়া এবং ভালো স্কোর করা অতিব প্রয়োজন। IELTS পরীক্ষা মূলত চারটি অংশে বিভক্ত। নিচে এগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি :

  • লিসেনিং (Listening): এই অংশে পরীক্ষার্থীদের একটি অডিও রেকর্ডিং শুনে প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়।
  • রিডিং (Reading): এই অংশে পরীক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরণের পাঠ্য পড়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়।
  • রাইটিং (Writing): এই অংশে পরীক্ষার্থীদের দুটি রচনা লিখতে হয়: একটি গ্রাফ বা চার্টের বিবরণ এবং একটি বিশ্লেষণাত্মক প্রবন্ধ।
  • স্পিকিং (Speaking): এই অংশে পরীক্ষার্থীদের একজন পরিক্ষকের সাথে কথা বলতে হয়।

IELTS পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে চাচ্ছেন? কারণ আইইএলটিএস পরিক্ষার প্রস্তুতি নেয়ার মাধ্যমে ভালো স্কোর অর্জন করতে পারবেন এবং বিশ্বের ভালো দেশে যেতে পারবেন। IELTS পরিক্ষার প্রস্তুতি নেয়ার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে পারেন।

নিজের দক্ষতা মূল্যায়ন করুন : IELTS পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার প্রথম পদক্ষেপ হল আপনার বর্তমান দক্ষতা মূল্যায়ন করা। আপনি IELTS প্রাক-পরীক্ষা বা অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স করে এটি করতে পারবেন। ইংরেজিতে আপনি কতটা দক্ষ এটি জানতে পারলে আপনি অনেক সহজে আপনার গোলে ফোকাস করতে পারবেন।

পরীক্ষার কাঠামো এবং স্কোরিং পদ্ধতি সম্পর্কে জানুন :  IELTS পরীক্ষার কাঠামো এবং স্কোরিং পদ্ধতি সম্পর্কে জানলে আপনি পরীক্ষার জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নিতে হতে হবে তা বুঝতে পারবেন। IELTS ওয়েবসাইটে পরীক্ষার বিশদ বিবরণী দেয়া থাকে। এটি অনুসরণ করেও স্কোরিং পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারবেন।

প্রস্তুতি নেয়া : IELTS পরীক্ষার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই প্রস্তুতি নিতে হবে। পরিক্ষা দেয়ার জন্য আপনি কতটা প্রস্তুত তা যাচাই করা, কোথাও দুর্বলতা থাকলে সেগুলো সংশোধন করা সহ প্রস্তুতি আরও বেশি করতে পারবেন।

নিয়মিত অনুশীলন করুন : IELTS পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল নিয়মিত অনুশীলন করা। আপনি অনলাইনে টেস্ট পরীক্ষা, প্রস্তুতিমূলক কোর্স বা একজন এক্সপার্ট এর সহযোগিতা নিয়ে নিয়মিত অনুশীলন করতে পারবেন।

পরীক্ষার দিনের জন্য প্রস্তুত হন : IELTS পরীক্ষার দিনের জন্য প্রস্তুত হওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষার আগে ভাল ঘুমানো, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে যথাসময়ে পৌঁছানো গুরুত্বপূর্ণ।

IELTS পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেয়ার জন্য অনেকেই অনেক পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকে। আইইএলটিএস পরিক্ষা যেহেতু অনেক কঠিন হয়ে থাকে, তাই এই পরিক্ষার প্রস্তুতি নেয়ার জন্য আমাদেরকে বিশেষ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। নিচে কিছু নির্দিষ্ট টিপস দেওয়া হয়েছে। এগুলো অনুসরণ করলে আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবেন।

  • লিসেনিংয়ের জন্য, আপনি অডিও বই, পডকাস্ট এবং সংবাদমূলক প্রোগ্রাম শুনে অনুশীলন করতে পারেন।
  • রিডিংয়ের জন্য, আপনি বিভিন্ন ধরণের লেখা পড়ে অনুশীলন করতে পারেন, যেমন সংবাদ নিবন্ধ, বই এবং গবেষণাপত্র।
  • রাইটিংয়ের জন্য, আপনি বিভিন্ন ধরণের রচনা লিখে অনুশীলন করতে পারেন, যেমন গ্রাফ বা চার্টের বিবরণ এবং বিশ্লেষণাত্মক প্রবন্ধ।
  • স্পিকিংয়ের জন্য, আপনি একজন বন্ধু বা পরিবারের সদস্যের সাথে কথা বলে অনুশীলন করতে পারেন।

IELTS পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া সময় এবং প্রচেষ্টার প্রয়োজন। তবে ভালো স্কোর অর্জন করতে পারলে আপনি থাকবেন সবার থেকে এগিয়ে। এছাড়া এই পরিক্ষায় ভালো স্কোর করতে পারলে বিশ্বের প্রায় ১৪০+ দেশে যাওয়ার সুযোগ তো থাকছেই।

আইইএলটিএস ছাড়া ইউরোপ যাওয়ার উপায়

আইইএলটিএস ছাড়া ইউরোপের অন্য দেশে যেতে চাইলে অনেক দেশে আপনার ইংরেজি দক্ষতা প্রমাণ করতে বলবে। এজন্য আপনি IELTS এর পরিবর্তে TOEFL/PTE/DET পরিক্ষার স্কোর দেখাতে পারেন। এতে করে এসব দেশের ভিসা পাবেন এবং যেতে পারবেন। তবে, অনেক দেশে যেতে চাইলে তাদের দেশের ভাষা শেখা লাগে। এসব দেশে যেতে চাইলে আপনাকে সেই দেশের ভাষা শিখতে হবে। 


আরও পড়ুনঃ সৌদি আরব কোন কাজের চাহিদা কেমন ও যেতে খরচ কত টাকা

আরও পড়ুনঃ কাজের ভিসায় ফিনল্যান্ড যাওয়ার নিয়ম


তবে, বেশিরভাগ দেশেই আইইএলটিএস স্কোর চেয়ে থাকে। আপনার যদি আইইএলটিএস স্কোর ভালো না হয়ে থাকে, তবে TOEFL পরিক্ষার মাধ্যমেও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যেতে পারবেন। সাধারণত যারা বিশ্বের বিভিন্ন ভার্সিটিতে পড়ালেখা করতে চান, তাদের ক্ষেত্রে IELTS প্রয়োজন হয়। বিকল্প হিসেবে TOEFL অনেক দেশেই স্বীকৃত।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© 2024 All rights reserved ScholarBest