Category: বিদেশ

  • আরব আমিরাতে লটারি জিতে কোটিপতি দুই বাংলাদেশি প্রবাসী

    আরব আমিরাতে লটারি জিতে কোটিপতি দুই বাংলাদেশি প্রবাসী

    সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি র‌্যাফেল বিগ-টিকিটের সাপ্তাহিক লটারিতে ভাগ্য খুলেছে দুই বাংলাদেশির। তারা প্রত্যেকে জিতেছেন আড়াই লাখ দিরহাম, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় দেড় কোটি টাকারও বেশি। বিজয়ীদের একজন পেশায় গাড়ি চালক, অন্যজন নিরাপত্তা প্রহরী।

    সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) লটারি কর্তৃপক্ষ এক ঘোষণায় জানায়, মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক ভুঁইয়া ও আলমগীর হাফেজুর রহমান এই সপ্তাহের বিজয়ী।

    ৪৭ বছর বয়সী মোজাম্মেল হক ভুঁইয়া গত ১৩ বছর ধরে দুবাইয়ে গাড়ি চালকের কাজ করছেন। সাত বছর আগে তিনি প্রথমবারের মতো এ লটারির কথা জানতে পারেন এবং ২০ জন বন্ধুর একটি গ্রুপের সঙ্গে প্রতি মাসে টিকিট কিনতে শুরু করেন। বিজয়ের আনন্দে তিনি বলেন, “আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি, এটি অবিশ্বাস্য! এখনও ঠিক করিনি এই অর্থ কীভাবে ব্যবহার করব, তবে নিশ্চিতভাবেই বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করে নেব, যেমনটা আমরা সবসময় করেছি। আমি আরও টিকিট কিনব এবং অন্যদের বলব—অবিরত চেষ্টা চালিয়ে যান, একদিন আপনিও জিতবেন।”

    অন্যদিকে, ৪২ বছর বয়সী নিরাপত্তা প্রহরী আলমগীর দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে দুবাইয়ে আছেন এবং ১০ জন বন্ধুর সঙ্গে লটারির টিকিট কিনতেন। বিজয়ী হওয়ার খবর পেয়ে উচ্ছ্বসিত আলমগীর বলেন, “ফোন পেয়ে আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ি। এই অর্থ বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করে নেব, যা আমাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনবে। আমি বাংলাদেশে থাকা ঋণ পরিশোধ করব এবং কিছু অর্থ পরিবারের সহায়তার জন্য পাঠাব। আমাদের লক্ষ্য এখন সবচেয়ে বড় পুরস্কার—২ কোটি দিরহাম জেতা।”

  • কাতারে অবৈধ প্রবাসীদের জন্য নতুন ক্ষমার সুযোগ

    কাতারে অবৈধ প্রবাসীদের জন্য নতুন ক্ষমার সুযোগ

    কাতারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নতুন করে অবৈধ প্রবাসীদের জন্য সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা দিয়েছে। যারা কাতারের আবাসন আইন লঙ্ঘন করেছেন এবং যাদের আইডি বা ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তারা এই সুযোগের মাধ্যমে জেল বা জরিমানা ছাড়াই দেশত্যাগ করতে পারবেন।

    ক্ষমার মেয়াদ

    এই সাধারণ ক্ষমার সুযোগ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে শুরু হয়ে তিন মাস পর্যন্ত চলবে।

    প্রক্রিয়া

    এই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে:

    • অবৈধ প্রবাসীরা হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করে সরাসরি নিজ দেশে ফিরে যেতে পারবেন।
    • অথবা “সার্চ অ্যান্ড ফলো-আপ ডিপার্টমেন্ট, সালওয়া রোড”-এ উপস্থিত হয়ে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন।

    সময়সূচি

    প্রতিদিন দুপুর ১:০০ টা থেকে রাত ৯:০০ টা পর্যন্ত এই সুবিধা পাওয়া যাবে।

  • বুলগেরিয়া কাজের ভিসা এবং টাকার মান কেমন

    বুলগেরিয়া কাজের ভিসা এবং টাকার মান কেমন

    ইউরোপ যাওয়ার ইচ্ছে থাকলে ইউরোপ মহাদেশের বুলগেরিয়া যেতে পারেন। বুলগেরিয়া যেতে চাইলে বুলগেরিয়া কাজের ভিসার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। কারণ,সার্কুলার প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত আপনি বুলগেরিয়া কাজের ভিসায় আবেদন করতে পারবেন না।

    আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে বুলগেরিয়া কাজের ভিসা এবং বুলগেরিয়া টাকার মান কেমন এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। ইউরোপের উন্নত দেশ বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চাইলে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। এতে করে, কীভাবে ওয়ার্ক পারমিট পাবেন এবং ওয়ার্ক পারমিট দিয়ে ভিসা আবেদন করবেন এসব তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন।

    এছাড়াও, বুলগেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে, বুলগেরিয়া ভিসা করতে কি কি লাগে এসব বিষয় সম্পর্কেও জানতে পারবেন। তো চলুন, পোস্টের মূল বিষয়ে ফিরে আসা যাক।

    বুলগেরিয়া কাজের ভিসা

    বুলগেরিয়া সরকার কর্তৃক প্রতি বছর কাজের ভিসা সার্কুলার প্রকাশ করা হয়ে থাকে। এই সার্কুলার প্রকাশ হওয়ার পর কাজের ভিসায় আবেদন করে আপনি বুলগেরিয়া ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন। নিজে থেকে অনলাইনে সরকারি সার্কুলার দেখে আবেদন করতে পারেন কিংবা বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য বিভিন্ন ভিসা এজেন্সির সহযোগিতা নিতে পারেন। বুলগেরিয়া যেতে ভিসা খরচ, ফ্লাইট টিকেট সহ আনুসাঙ্গিক খরচ সহ মোট ৭-৮ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে থাকে।

    বুলগেরিয়া থেকে বিভিন্ন ভিসায় শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে বুলগেরিয়া দেশের সরকার। তাই, আপনি উক্ত কাজগুলোতে ভিসা আবেদন করতে পারবেন। এজন্য, প্রথমেই আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট নিতে হবে। বুলগেরিয়া থেকে প্রকাশিত জব সার্কুলারে আবেদন করবেন আপনি উক্ত কাজগুলোর মাঝে যে কাজে বেশি দক্ষ, সেই কাজে। বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য আবেদন করতে কাজের দক্ষতার প্রমাণপত্র সাবমিট করতে হতে পারে।

    ওয়ার্ক পারমিট পেয়ে গেলে উক্ত ওয়ার্ক পারমিট সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র, পাসপোর্ট, ছবি, মেডিকেল রিপোর্ট সহ অন্যান্য তথ্য দিয়ে ভিসা আবেদন করতে পারবেন। ভিসা প্রসেসিং ফি থেকে শুরু করে ফ্লাইট টিকেট ক্রয় করা পর্যন্ত পায় ৭-৮ লক্ষ টাকার মতো খরচ হয়ে থাকে। তবে, আপনি যদি নিজে থেকে অনলাইনে ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য আবেদন এবং ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পর ভিসা আবেদন করতে পারেন, তবে আরও কম খরচ হবে।

    যারা নিজে থেকে অনলাইনে বুলগেরিয়া কাজের ভিসায় আবেদন করতে পারেন না, তারা চাইলে বিভিন্ন ভিসা এজেন্সির সহযোগিতা নিতে পারেন। তবে, এক্ষেত্রে খরচ আরেকটু বেশি হবে। নিচে বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে অন্যান্য তথ্য বিস্তারিত উল্লেখ করে দিয়েছি। চলুন, জেনে নেয়া যাক।

    বুলগেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫

    বুলগেরিয়া যেতে ৭-৮ লক্ষ টাকা লেগে থাকে। বুলগেরিয়া থেকে কাজের সার্কুলার প্রকাশিত হওয়ার পর আপনি যদি সরকারিভাবে বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট এবং ভিসার জন্য আবেদন করেন, তবে ভিসা খরচ, ভিসা প্রসেসিং, পাসপোর্ট, ফ্লাইট টিকেট সহ অন্যান্য খরচ মিলে মোট ৭-৮ লক্ষ টাকা লাগবে। যদি নিজে থেকে অনলাইনে ভিসা আবেদন করেন, তবে ৪-৫ লক্ষ টাকার মাঝেই হতে পারে।

    বুলগেরিয়া জব ভিসা সার্কুলার প্রকাশ হওয়ার পর ভিসা এজেন্সির সহযোগিতা না নিয়ে নিজে থেকে আবেদন করার চেষ্টা করুন। এজন্য, বুলগেরিয়া বা ইউরোপের অন্যান্য দেশ গেছে এমন কারও সহযোগিতা নেয়ার চেষ্টা করুন। এতে করে সহজেই অনলাইনে ওয়ার্ক পারমিট আবেদন করতে পারবেন। ওয়ার্ক পারমিট পেয়ে গেলে ভিসা আবেদন করতে পারবেন।

    বুলগেরিয়া ভিসার ধরণ অনুযায়ী কত টাকা লাগে তা নির্ভর করে। বুলগেরিয়া কাজের ভিসায় যেতে চাইলে ৬-৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে। বুলগেরিয়া গার্মেন্টস ভিসায় যেতে চাইলে ৫ লক্ষ টাকা লাগতে পারে। কোনো ভিসা এজেন্সির সহযোগিতা নিলে ৬-৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।

    বুলগেরিয়া যেতে চাইলে সার্কুলার এর জন্য অপেক্ষা করুন এবং যে কাজের জন্য যেতে চাচ্ছেন সেই কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করুন। দক্ষ এবং অভিজ্ঞ হলে বুলগেরিয়া গিয়ে ভালো বেতনে কাজ করতে পারবেন। নিচে বুলগেরিয়া কোন কাজের বেতন বেশি এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

    বুলগেরিয়া কাজের বেতন কত

    বুলগেরিয়া কাজের ভিসায় গেলে প্রতি মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতে পারবেন। যে ভিসায় বুলগেরিয়া যাবেন, সেই কাজে দক্ষ এবং অভিজ্ঞ হলে প্রতি মাসে ৮০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বেতন পাবেন। তাই, যে কাজে দক্ষ সেই কাজের ভিসার জন্য আবেদন করুন।

    বুলগেরিয়া থেকে বিভিন্ন ভিসায় শ্রমিক নিয়ে থাকে। যে কাজে দক্ষ সেই কাজের ভিসার জন্য আবেদন করলে বুলগেরিয়া যাওয়ার পর ভালো বেতনে চাকরি করতে পারবেন। বুলগেরিয়ায় প্রায় সব কাজের দাম রয়েছে। তাই, ভালো বেতনে কাজ করতে চাইলে দক্ষতা অর্জন করুন। 

    বুলগেরিয়া সর্বনিম্ন বেতন ৪০ হাজার টাকা থেকে শুরু। তাই, আপনি যত ভালো কাজ করতে পারবেন এবং যত বেশি দক্ষ হবেন, তত বেশি ইনকাম করতে পারবেন। বুলগেরিয়া কাজের বেতন কত টাকা আশা করছি বুঝতে পেরেছেন। 

    বুলগেরিয়া যেতে কত দিন লাগে

    বুলগেরিয়া কাজের ভিসার জন্য আবেদন করার পর ভিসা প্রসেসিং হওয়া থেকে শুরু করে বুলগেরিয়া যেতে ৫ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত সময় লেগে থাকে। ভিসা প্রসেসিং হতে সময় লাগে, তাই ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য আবেদন করার পর ভিসা আবেদন করে প্রায় কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে। এ সময়ের মাঝে যে কাজের ভিসার জন্য আবেদন করেছেন, সেই কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করতে পাবেন। ফলে, বুলগেরিয়া যাওয়ার পর ভালো বেতনে কাজ করতে পারবেন।


    আরও পড়ুনঃ সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা পাওয়ার উপায় ও যাওয়ার খরচ

    আরও পড়ুনঃ কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ও টাকার রেট

    আরও পড়ুনঃ মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার নিয়ম


    বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

    বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করার মাধ্যমে বুলগেরিয়া যাওয়া যায়। এছাড়া বুলগেরিয়া কাজের জন্য যাওয়ার অন্য কোনো উপায় নেই। তবে, আপনি চাইলে ভ্রমণ ভিসায় বুলগেরিয়া যেতে পারেন। এজন্য ভ্রমণ ভিসার আবেদন করতে হবে। তবে কাজ করে টাকা ইনকাম করার ইচ্ছে থাকলে কিংবা বুলগেরিয়া যাওয়ার পর ইউরোপের অন্য দেশ যেমন ইতালি যাওয়ার ইচ্ছে থাকলে বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।

    বুলগেরিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে

    বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে ১৮ বছর বয়স লাগে। তবে সার্কুলার অনুযায়ী বয়স কম বা বেশি লাগতে পারে। তবে, বুলগেরিয়া কাজের ভিসায় যেতে সর্বনিম্ন ১৮ বছর থেকে ২১ বছর লাগতে পারে। আপনার বয়স ১৮ বছর বা এর বেশি হলেই বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং ভিসা নিয়ে বুলগেরিয়া যেতে পারবেন। 

    বুলগেরিয়া গার্মেন্টস ভিসা

    বুলগেরিয়া গার্মেন্টস ভিসার জন্য আবেদন করলে বুলগেরিয়া গিয়ে ভালো বেতনে কাজ করতে পারবেন। বুলগেরিয়া থেকে প্রতি বছর কাজের ভিসার পাশাপাশি গার্মেন্টস ভিসার সার্কুলার প্রকাশ করা হয়ে থাকে। গার্মেন্টস এর কাজে অভিজ্ঞ হয়ে থাকলে গার্মেন্টস ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। বুলগেরিয়া গার্মেন্টস ভিসায় প্রতি মাসে ৬০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন নিতে পারবেন। কাজের দক্ষতার উপর নির্ভর করে আপনার বেতন আরও বেশি হতে পারে।

    বুলগেরিয়া থেকে ইতালি

    বুলগেরিয়া থেকে ইতালি যেতে চাইলে বুলগেরিয়া কাজের ভিসা ব্যবহার করতে পারবেন। তবে, ইতালি শুধুমাত্র ভ্রমণ করার জন্য যেতে পারবেন। কারণ, বুলগেরিয়া শেনজেন ভুক্ত একটি দেশ। তাই শেনজেন ভুক্ত অন্য দেশগুলো ভ্রমণ করতে পারবেন। কিন্তু, ভুলেও অবৈধ পথে বুলগেরিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করবেন না। যদি ধরা পড়েন, তাহলে ভিসা বাতিল হওয়া থেকে জেল এবং জরিমানা হতে পারে।

    বুলগেরিয়া টাকার মান কত

    বুলগেরিয়া ১ টাকা বাংলাদেশের ৬০ টাকা ৮৪ পয়সা। বুলগেরিয়া থেকে ১০০ টাকা পাঠালে বাংলাদেশে ৬,০৮৪ টাকা আসবে। বুলগেরিয়া ১ হাজার টাকা সমান বাংলাদেশের ৬০,৮৪০ টাকা। 

    আমাদের শেষ কথা

    আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে বুলগেরিয়া কাজের ভিসা, বুলগেরিয়া গার্মেন্টস ভিসা এবং বুলগেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে সহ বিভিন্ন তথ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি, পোস্টটি থেকে আপনি উপকৃত হয়েছেন।

  • সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা পাওয়ার উপায় ও যাওয়ার খরচ

    সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা পাওয়ার উপায় ও যাওয়ার খরচ

    সিঙ্গাপুর কাজের ভিসায় যেতে চাচ্ছেন কিন্তু কিভাবে সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট নিতে হবে এবং ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে জানেন না? এই পোস্টে আপনাদের সাথে সিঙ্গাপুর কাজের ভিসায় যাওয়ার সম্পূর্ণ গাইডলাইন শেয়ার করবো।

    কাজের ভিসায় সিঙ্গাপুর যেতে চাইলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। কিভাবে সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে হবে, সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে কি কি লাগবে এবং সিঙ্গাপুর ভিসা করতে কত টাকা লাগবে এসব তথ্য বিস্তারিত আলোচনা করেছি এই পোস্টে। তো চলুন, পোস্টের মূল বিষয়ে ফিরে আসা যাক।

    সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা ২০২৫

    বিশ্বের উন্নত রাস্ট্রগুলোর মাঝে সিঙ্গাপুর অন্যতম। আমাদের দেশের অনেকেই প্রবাসে গিয়ে টাকা উপার্জন করার সুযোগ আসলেই সিঙ্গাপুর যাওয়ার চিন্তা করে থাকেন। কারণ, সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি অনেক বেশি শক্তিশালী। ফলে, কাজের ভিসায় সিঙ্গাপুর গেলে অল্প সময়ে অধিক টাকা উপার্জন করা যাবে।

    যারা সিঙ্গাপুর কাজের ভিসায় যেতে চাচ্ছেন, তাদের মাঝে অধিকাংশ মানুষই জানেন না যে সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে, সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা পেতে কি কি লাগে এবং সিঙ্গাপুর কাজের ভিসার আবেদন কিভাবে করতে হয়। তো চলুন, এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

    সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে

    সিঙ্গাপুর যেতে চান কিন্তু সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে এ প্রশ্নটি করেননা এমন মানুষ বোধহয় খুঁজে পাওয়া যাবে না। সিঙ্গাপুর যেতে সাধারণত ৪-৫ লক্ষ টাকা লেগে থাকে। আপনি যদি কাজের ভিসায় সিঙ্গাপুর যেতে চান, তবে ৪-৫ লক্ষ টাকা লাগবে। তবে, সরকারীভাবে সিঙ্গাপুর যেতে পারলে আরও কমে যেতে পারবেন।

    এক্ষেত্রে, অবশ্যই আপনার কাজের দক্ষতা থাকতে হবে। দক্ষতা ছাড়া বা অল্প দক্ষতায় সিঙ্গাপুর যেতে চাইলে হোটেল ক্লিনার, সেবামূলক কাজ, মেশিনারিজ, কনস্ট্রাকশন ইত্যাদি কাজ করতে পারবেন। এসব কাজ করেও অনেকেই ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করছে।

    সিঙ্গাপুর যাওয়ার সময় যদি আপনি কোনো ভিসা এজেন্সির সহযোগিতা নিয়ে থাকেন, কিংবা কোনো দালালের শরণাপন্ন হন, তবে ৪-৫ লক্ষ টাকার বেশি লাগতে পারে। ভিসা এজেন্সি বা দালাল ভেদে এই খরচ আরও বেশি হতে পারে। তবে, নিজে থেকে সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করুন। এতে করে অল্প খরচে সিঙ্গাপুর যেতে পারবেন।

    সিঙ্গাপুর যেতে কি কি লাগে

    এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে বা অন্য একটি দেশে কাজের জন্য ভিসা করতে গেলে অবশ্যই তাদের নিয়ম মানতে হবে। তেমনি, সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা পেতে চাইলে আপনাকেও কিছু ডকুমেন্ট দিতে হবে। সিঙ্গাপুর যেতে কি কি লাগবে তার একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করে দিয়েছি। চলুন, দেখে নেয়া যাক।

    • পাসপোর্টে কমপক্ষে ১টি পাতা খালি থাকতে হবে
    • পাসপোর্ট এর মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস থাকতে হবে
    • এনআইডি কার্ডের কপি
    • সিঙ্গাপুরে রয়েছে এমন ব্যক্তির থেকে আমন্ত্রণপত্র
    • ভিসা ফি বাবদ ৩০০ সিঙ্গাপুর ডলার
    • সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি রঙ্গিন ছবি। ব্যাকগ্রাউন্ড হবে সাদা এবং ছবির সাইজ ২৫:৩৫ মিলিমিটার

    সিঙ্গাপুর যেতে চাইলে উপরোক্ত শর্তগুলো মানতে হবে এবং এসব ডকুমেন্ট দিতে হবে। এছাড়াও, ভিসা আবেদন করার সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে তথ্য দিতে হবে। তবেই আপনি সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা ২০২৫ এর জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং ভিসা নিয়ে সিঙ্গাপুর যেতে পারবেন।

    সিঙ্গাপুর যেতে কত বছর বয়স লাগে

    সিঙ্গাপুর যেতে চাইলে আপনার বয়স সর্বনিম্ন ১৮ বছর থেকে সর্বনিম্ন ৫০ বছর হতে হবে। এর মাঝে যদি আপনার বয়স না হয়, তবে আপনি সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

    সিঙ্গাপুর ভিসা আবেদন করার নিয়ম

    সিঙ্গাপুর যেতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই সিঙ্গাপুরে বসবাসরত কোনো ব্যক্তির নিকট হতে একটি আমন্ত্রণপত্র পেতে হবে। তবেই আপনি ৩০০ সিঙ্গাপুর ডলার ভিসা ফি দিয়ে সিঙ্গাপুর ভিসা করে সিঙ্গাপুর যেতে পারবেন। সিঙ্গাপুর ভিসা আবেদন করার জন্য উপরোক্ত দুইটি জিনিস যদি আপনার কাছে থাকে এবং পাসপোর্ট ও অন্যান্য সবকিছু থাকে, তবে এগুলো নিয়ে যেকোনো একটি ভিসা এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

    সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করলে তারা আপনার জন্য সিঙ্গাপুর ভিসা আবেদন করে দিবে। বাংলাদেশে অবস্থানরত কিছু সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্সি হচ্ছে , ডিসকভারি ট্যুরস অ্যান্ড লজিস্টিক, আন্তর্জাতিক ভ্রমণ কর্পোরেশন, লেক্সাস ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, নভোএয়ার লিমিটেড, পার্কওয়ে হসপিটালস সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিঃ, রিজেন্সি ট্রাভেলস লিমিটেড, সাইমন ওভারসিজ, সিল্কওয়েজ কার্গো সার্ভিসেস লিমিটেড সহ আরও অনেক।

    এসব ভিসা এজেন্সির সহযোগিতা নিয়ে আপনি সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করতে পারবেন এবং ভিসা নিয়ে সিঙ্গাপুর যেতে পারবেন।

    বাংলাদেশের সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্ট লিস্ট

    সিঙ্গাপুর যেতে চাইলে যেকোনো একটি সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্ট এর সহযোগিতা নিতে হবে। এজন্য, Ministry of Foreign Affairs, Singapore থেকে অনুমোদিত বাংলাদেশে অবস্থিত কিছু সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্ট এর তালিকা নিচে উল্লেখ করে দিলাম। এগুলো থেকে তাদের সাথে যোগাযোগ করে সিঙ্গাপুর কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

    Serial Agent Contact
    1 Discovery Tours & Logistic বনানী, যোগাযোগ: +8802222275820
    2 International Travel Corporation Limited গুলশান, যোগাযোগ: +8802222262788, +8802222264445
    3 Lexus Tours & Travels বাংলামোটর, যোগাযোগ: +880255138716-19
    4 NovoAir Limited বনানী, যোগাযোগ: 55042385, হটলাইন: 01978443717
    5 Parkway Hospitals Singapore Pte Ltd গুলশান যোগাযোগ: +8802222281423, +8801736000000 (24 ঘন্টা হেল্প লাইন)
    6 Regency Travels Limited উত্তরা টেলিফোন: +880255080828
    7 Saimon Global Limited গুলশান যোগাযোগ: +880209606999966
    8 Shams Air Tours and Travels গুলশান যোগাযোগ: +8802222286760, +880258816761
    9 Union Tours & Travels Ltd গুলশান যোগাযোগ: +8802222285771-72
    10 Valencia Air Travels & Tours Limited মতিঝিল যোগাযোগ: +8802223382931
    11 Victory Travels Ltd মতিঝিল, যোগাযোগ: +8802223389608-9
    12 MediConsult Limited গুলশান, যোগাযোগ: +8802222280033, +8801721000000
    13 Talon Corporation Ltd গুলশান, যোগাযোগ: +880248811860

    সিঙ্গাপুর কাজের বেতন কত

    সিঙ্গাপুর যেতে চায় এমন মানুষদের মাঝে একটি সাধারণ প্রশ্ন দেখা যায়। এটি হচ্ছে, সিঙ্গাপুর কাজের বেতন কত? সিঙ্গাপুর গিয়ে কত টাকা বেতনে চাকুরী করতে পারবো। আপনি যদি একটি ভালো এজেন্সির সহযোগিতা নিয়ে সিঙ্গাপুর যান, তবে অনেক ভালো বেতনে কাজ করতে পারবেন। এছাড়াও, আপনার কাজের উপর দক্ষতা থাকলে আরও বেশি বেতনে চাকুরী করতে পারবেন।

    কাজের দক্ষতা না থাকলে অল্প বেতনে কাজ করতে হবে। কিন্তু, আপনি যে কাজে দক্ষ, সেই কাজ করলে অধিক বেতন পাবেন। সিঙ্গাপুরে আপনার সর্বনিম্ন বেতন ৪২০+ মার্কিন ডলার হতে পারে। কাজের উপর দক্ষতা থাকলে এই বেতন আরও বেশি বৃদ্ধি পাবে।

    এছাড়াও, আপনার কাজের দক্ষতা থাকলে বেতন বৃদ্ধি করে দেয়ার সুযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে, ৫০০ ডলার থেকে শুরু করে আরও বেশি অব্দি প্রতি মাসে ইনকাম করতে পারবেন। সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা আবেদন করার সময় আপনি যে কাজে দক্ষ সেই কাজের ভিসা নেয়ার চেষ্টা করুন।

    আমাদের শেষ কথা

    আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা করতে কি কি লাগে, সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা আবেদন করার নিয়ম এবং এবিষয়ক সকল তথ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে থাকলে আপনিও যেকোনো একটি সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্সির সহযোগিতা নিয়ে সিঙ্গাপুর যেতে পারবেন। এছাড়াও, আরও কোনো প্রশ্ন থাকলে নিচে উল্লিখিত সাধারণত জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলীগুলো দেখতে পারেন।


    আরও পড়ুনঃ পর্তুগালে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় ২০২৫

    আরও পড়ুনঃ সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায়

    আরও পড়ুনঃ কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ও টাকার রেট


    সাধারণত জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী

    সিঙ্গাপুর যেতে বয়স কত লাগে?

    সিঙ্গাপুর যেতে ১৮ বছর থেকে ৫০ বছর বয়স এর মাঝে হতে হবে।

    বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যেতে কত সময় লাগে?

    বাংলাদেশ থেকে নন-স্টপ ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর যেতে ৪ ঘণ্টা সময় লাগে।

    বাংলাদেশে অনুমোদিত সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্ট কারা?

    Ministry of Foreign Affairs, Singapore এর অনুমোদিত ১৫ টি সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্ট রয়েছে। পুরো তালিকা এবং তাদের সাথে যোগাযোগ করার মাধ্যম জানতে সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্ট লিস্ট এ ক্লিক করতে পারেন।

  • সরকারিভাবে দক্ষিন কোরিয়া যাওয়ার উপায়

    সরকারিভাবে দক্ষিন কোরিয়া যাওয়ার উপায়

    সরকারিভাবে দক্ষিন কোরিয়া যেতে চাচ্ছেন? সরকারিভাবে দক্ষিন কোরিয়া যাওয়ার উপায় জানতে হলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়তে হবে। কারণ, আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে সরকারি উদ্যোগে দক্ষিন কোরিয়া যাওয়ার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলচনা করবো।

    আপনি যদি দক্ষিন কোরিয়া যেতে চান, তবে মাত্র ১-২ লক্ষ টাকার মাঝেই যেতে পারবেন। এজন্য, লাগবে না কোনো এজেন্সির সহযোগিতা বা দালালের সহযোগিতা। সম্পূর্ণ সরকারিভাবে দক্ষিন কোরিয়া যেতে পারবেন এবং প্রতি মাসে ১ লক্ষ টাকার অধিক উপার্জন করতে পারবেন।

    কিভাবে দক্ষিন কোরিয়া যাওয়া যায় বা কিভাবে দক্ষিন কোরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে জানতে হলে শুরু থেকে শেষ অব্দি পড়ুন। তো চলুন, পোস্টের মূল বিষয়ে ফিরে আসা যাক।

    সরকারিভাবে দক্ষিন কোরিয়া যাওয়ার সুযোগ

    সরকারিভাবে দক্ষিন কোরিয়া থেকে এখন অনেক শ্রমিক নিচ্ছে। আপনি যদি দক্ষিন কোরিয়া যেতে চান, তাহলে এসময় আবেদন করলে বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে দক্ষিন কোরিয়া যেতে পারবেন মাত্র ১-২ লক্ষ টাকার মাঝেই। এছাড়াও, প্রতি মাসে ১ থেকে ১.৫ লক্ষ টাকা উপার্জন করার সুযোগ রয়েছে।

    নতুন করে বাংলাদেশ থেকে দক্ষিন কোরিয়ায় লোকবল নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। তাই, আপনি যদি দক্ষিন কোরিয়া যেতে চান, তাহলে এখন আবেদন করতে পারেন। কোনো এজেন্সি বা দালালের সহযোগিতা ছাড়া সাউথ কোরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে পারবেন। 

    ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় গিয়ে কাজ শেষ আবার দেশে ফিরে আসতে হবে। অভিবাসনের কোনো সুযোগ নেই। তবে, আপনি অনেক ভালো বেতনে কাজ করতে পারবেন। 

    সরকারিভাবে দক্ষিন কোরিয়া যেতে কি কি লাগে

    সরকারিভাবে দক্ষিন কোরিয়া যেতে কি কি লাগে তার একটি বিস্তারিত তালিকা নিচে উল্লেখ করে দিয়েছি। আপনি যদি দক্ষিন কোরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চান, তবে নিচে উল্লিখিত কাগজপত্রগুলো সংগ্রহ করে রাখুন।

    • কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদি একটি পাসপোর্ট
    • সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
    • জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি
    • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
    • কোরিয়ান ভাষার সার্টিফিকেট
    • শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট
    • ইমিগ্রেশন ফি এবং অন্যান্য

    এসব কাগজপত্র এবং তথ্য থাকলে আপনি কোরিয়ান ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং সরকারিভাবে দক্ষিন কোরিয়া গিয়ে কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। কিভাবে দক্ষিন কোরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হয় তা নিয়ে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করেছি।

    সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কত টাকা লাগে

    সরকারিভাবে দক্ষিন কোরিয়া যেতে মাত্র ২ লক্ষ টাকা থেকে ৩ লক্ষ টাকা লাগে। এর মাঝে ১ লক্ষ টাকা বোয়েসেল জামানত হিসেবে জমা থাকে। যা আপনি চাকুরী বা কাজ শেষে দেশে আসার পর আবারও ফেরত নিতে পারবেন। অর্থাৎ, সরকারিভাবে দক্ষিন কোরিয়া যাওয়ার খরচ অনেক কম। 

    বলা যায়, আপনি ১-২ লক্ষ টাকার মাঝেই দক্ষিন কোরিয়া যেতে পারবেন। ভিসা ফি, পাসপোর্ট ফি, ফ্লাইট টিকেট এবং অন্যান্য আনুসাঙ্গিক খরচ মিলে ১-২ লক্ষ টাকা হলেই আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় দক্ষিন কোরিয়া যেতে পারবেন অনেক সহজেই। 

    সরকারিভাবে দক্ষিন কোরিয়া যাওয়ার উপায়

    সরকারিভাবে দক্ষিন কোরিয়া যাওয়ার জন্য দুইটি পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে। একটি হচ্ছে, লটারির মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়া এবং আরেকটি হচ্ছে লটারি ছাড়া দক্ষিন কোরিয়া যাওয়া। লটারি দিয়ে এবং লটারি ছাড়া কিভাবে দক্ষিন কোরিয়া যাওয়া যায় এসব বিষয় নিয়ে নিচে আরও বিস্তারিত আলোচনা করেছি। চলুন, দেখে নেয়া যাক।

    লটারির মাধ্যমে সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায়

    দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মসংস্থানের জন্য প্রতি বছর লটারির মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচন করা হয়। এই লটারিতে অংশগ্রহণ করতে হলে আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল)-এর ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদনকারীর অবশ্যই একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।

    লটারির মাধ্যমে দক্ষিন কোরিয়া যেতে চাইলে আবেদনকারীকে নিম্নলিখিত কাগজপত্রগুলো জমা দিতে হবে:

    • পাসপোর্টের ফটোকপি
    • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের ফটোকপি
    • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের ফটোকপি
    • মেডিকেল রিপোর্ট এর ফটোকপি

    আবেদনকারীর আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করে যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়ে থাকে। তালিকা প্রকাশের পর লটারির মাধ্যমে প্রার্থীদের নির্বাচন করা হয়। লটারি জয়ী প্রার্থীদের কোরিয়ান ভাষার কোর্স এবং স্কিল টেস্টে অংশগ্রহণ করতে হয়। কোরিয়ান ভাষার কোর্স এবং স্কিল টেস্টে উত্তীর্ণ হলে প্রার্থীদের ভিসা দেওয়া হয়। ভিসা পাওয়ার পর প্রার্থীরা দক্ষিণ কোরিয়ায় ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে যেতে পারেন।

    লটারি ছাড়া সরকারিভাবে দক্ষিন কোরিয়া যাওয়ার উপায়

    লটারি ছাড়া সরকারিভাবে দক্ষিন কোরিয়া  যাওয়ার কয়েকটি উপায় রয়েছে। লটারি করা ছাড়া কিভাবে দক্ষিন কোরিয়া যেতে পারবেন এমন কিছু উপায় নিচে উল্লেখ করে দিলাম। চলুন, দেখে নেয়া যাক। 

    সরাসরি কোরিয়ান কোম্পানির মাধ্যমে চাকরি পাওয়া

    এটি দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায়। এক্ষেত্রে, আবেদনকারীকে কোরিয়ান ভাষা জানা থাকতে হবে এবং কোরিয়ান কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। কোরিয়ান কোম্পানির মাধ্যমে চাকরি পাওয়ার জন্য, আবেদনকারীকে কোরিয়ান কোম্পানির ওয়েবসাইটে গিয়ে চাকরির জন্য আবেদন করতে হবে। অথবা, কোরিয়ান কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে সরাসরি চাকরির জন্য আবেদন করতে পারেন। আবেদন করার পর তারা যদি আপনার আবেদন অনুমোদন করে আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট দেয়, তাহলে আপনি দক্ষিন কোরিয়া যেতে পারবেন।

    কোনো কোরিয়ান এজেন্সির মাধ্যমে চাকরি পাওয়া

    এটিও দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়ার একটি ভালো উপায়। এক্ষেত্রে, আবেদনকারীকে কোরিয়ান ভাষা জানা থাকতে হবে। কোরিয়ান এজেন্সির মাধ্যমে চাকরি পাওয়ার জন্য, আবেদনকারীকে কোরিয়ান এজেন্সির ওয়েবসাইটে গিয়ে চাকরির জন্য আবেদন করতে হবে। অথবা, কোরিয়ান এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করে সরাসরি চাকরির জন্য আবেদন করতে হবে।

    এছাড়াও, বাংলাদেশে অবস্থিত কোনো কোরিয়ান এজেন্সির সহযোগিতা নিয়ে ওয়ার্ক পারমিট নিতে পারেন। ওয়ার্ক পারমিট নেয়ার পর আপনি ভিসা করে দক্ষিন কোরিয়া যেতে পারবেন অনেক সহজেই। 

    দক্ষিণ কোরিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য যাওয়া

    দক্ষিণ কোরিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য যাওয়ার মাধ্যমেও দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়া যায়। এক্ষেত্রে, আবেদনকারীর উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট থাকতে হবে এবং দক্ষিণ কোরিয়ান ভাষা জানা থাকতে হবে। দক্ষিণ কোরিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করার জন্য, আবেদনকারীকে দক্ষিণ কোরিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে। অথবা, দক্ষিণ কোরিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ করে সরাসরি আবেদন করতে হবে।

    আবেদন করার পর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যদি অ্যাডমিশন লেটার দেয়া হয়, সেটি দিয়ে ভিসা আবেদন করে আপনি দক্ষিন কোরিয়া যেতে পারবেন। এরপর, সেখানে চাইলে পার্ট টাইম কাজ করে টাকাও উপার্জন করতে পারবেন। এভাবে করে নিজের খরচ নিজেই চালাতে পারবেন এবং পড়ালেখা করতে পারবেন।

    দক্ষিণ কোরিয়ায় পর্যটক হিসেবে যাওয়া

    দক্ষিণ কোরিয়ায় পর্যটক হিসেবে যাওয়ার মাধ্যমেও দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়া যায়। এক্ষেত্রে, আবেদনকারীর পাসপোর্ট থাকতে হবে এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ভ্রমণের জন্য ভিসা থাকতে হবে। দক্ষিণ কোরিয়ায় ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য, আবেদনকারীকে দক্ষিণ কোরিয়ান দূতাবাস বা কনস্যুলেটে আবেদন করতে হবে।

    পর্যটক হিসেবে যাওয়ার জন্য দক্ষিন কোরিয়ার ভাষা জানা থাকতে হবে না। ভিসা আবেদন করার পর আপনি অনেক সহজেই দক্ষিন কোরিয়া যেতে পারবেন। তবে, ভিসা মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ভিসা রিনিউ করতে হবে বা দেশে ফিরে আসতে হবে।


    আরও পড়ুনঃ পোল্যান্ড ভিসা পাওয়ার নিয়ম, পোল্যান্ড কোন কাজে বেতন কত, টাকার মান

    আরও পড়ুনঃ প্রবাসী সন্তানদের বৃত্তি আবেদন করার নিয়ম

    আরও পড়ুনঃ সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায়


    আমাদের শেষ কথা

    আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে সরকারিভাবে দক্ষিন কোরিয়া যাওয়ার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। লটারি ছাড়া দক্ষিন কোরিয়া যাওয়ার উপায় এবং লটারি দিয়ে দক্ষিন কোরিয়া যাওয়ার উপায় নিয়েও আলোচনা করেছি। পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে দক্ষিন কোরিয়া কিভাবে যাবেন এবং ওয়ার্ক পারমিট পাবেন এসব বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। 

    আরও এমন তথ্য জানতে প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।