Category: ভিসা গাইড

  • পর্তুগালে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় ২০২৫

    পর্তুগালে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় ২০২৫

    পর্তুগালের স্থায়ী নাগরিক হতে চাচ্ছেন? পর্তুগালে স্থায়ীভাবে থাকতে হলে নাগরিকত্ব পেতে হবে। আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে পর্তুগালে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে কীভাবে পর্তুগালের নাগরিকত্ব পাবেন এ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

    অভিবাসনের জন্য সেরা দেশ বলা হয়ে থাকে পর্তুগালকে। তাই, প্রবাস হিসেবে যারা পর্তুগালকে বেছে নেন, তাদের মাঝে অনেকেই পর্তুগালে থাকার জন্য পর্তুগালের নাগরিকত্ব পাওয়ার চেষ্টা করেন। কারণ, একবার নাগরিকত্ব পেয়ে গেলে স্থায়িভাবে কাজ করে টাকা ইনকাম করার সুযোগ, চিকিৎসা, শিক্ষা সহ সকল খাতে বিশেষ সুবিধা পাওয়া যায়। এছাড়াও, পর্তুগালের নাগরিক হতে পারলে আরও অনেক সুযোগ পাওয়া যায়।

    তো চলুন, পর্তুগালে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় ২০২৫ নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

    পর্তুগালে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়

    পর্তুগালে নাগরিকত্ব পেতে হলে আপনাকে উক্ত দেশে জন্মগ্রহণ/পিতা-মাতা বা যেকোনো একজন পর্তুগিজ/সে দেশে ১০ বছরের বেশি সময় যাবত থাকতে হবে। এছাড়াও, আরও কয়েকটি উপায়ে আপনি পর্তুগালে নাগরিকত্ব পেতে পারেন। পর্তুগালে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়গুলো নিচে বিস্তারিত উল্লেখ করে দিয়েছি, চলুন জেনে নেয়া যাক।

    পর্তুগালে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় ১ – আপনি যদি পর্তুগালে জন্মগ্রহণ করেন কিংবা আপনার পিতা-মাতা যদি পর্তুগিজ হয় অথবা পিতা-মাতার যেকোনো একজন পর্তুগিজ হয় তাহলে পর্তুগালের নাগরিকত্ব পাবেন। যদি পর্তুগালে জন্মগ্রহণ করে থাকেন, তাহলে নাগরিকত্বের আবেদন করতে হবেনা। আপনাতেই পেয়ে যাবেন।

    পর্তুগালে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় ২ – আপনার পিতা-মাতা অন্য দেশের নাগরিক কিন্তু আপনার জন্ম হয়েছে পর্তুগালে। যেকোনো ভাবে হোক না কেন, আপনার জন্ম যদি পর্তুগালে হয়ে থাকে এক্ষেত্রে ২ বছর পর্তুগালে থাকার পর পর্তুগালে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে, এজন্য আপনাকে অবশ্যই পর্তুগালের প্রাইমারি স্কুল থেকে পড়ালেখা শেষ করতে হবে।

    এছাড়াও,পিতার রেসিডেন্স পারমিট এর বয়স যদি ২ বছর বা এর বেশি হওয়ার পর সন্তানের জন্ম হয়ে থাকে, তবে উক্ত সন্তানের জন্য পর্তুগাল নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করা যাবে।

    পর্তুগালে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় ৩ – বৈধভাবে পর্তুগালে ৬ বছরের কম সময় এবং ৫ বছরের বেশি সময় যাবত থাকার পর, আপনি চাইলে পর্তুগালের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে, এক্ষেত্রে আপনাকে পর্তুগিজ ভাষা কমপক্ষে A2 পর্যন্ত শেষ করতে হবে। এছাড়াও, আপনার নামে কোনো মামলা থাকা যাবে না এবং থাকলেও তার সাজা ২ বছরের বেশি হওয়া যাবে না। এসব শর্ত অনুযায়ী আপনি ৫ বছর পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

    পর্তুগালে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় ৪ – পর্তুগিজ নাগরিককে বিয়ে করলে কিংবা তার সাথে লিভ টুগেদার এ ৩ বছর বা এর বেশি সময় যাবত থাকলে আপনি চাইলে পর্তুগিজ নাগরিক হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। যদি বিয়ে থাকে, তবে বিয়ের অফিসিয়াল ডকুমেন্ট সাবমিট করতে হবে। লিভ টুগেদার এর ক্ষেত্রে মিউনিসিপালিটিতে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

    পর্তুগালের নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় ৫ – পর্তুগালের কোনো নাগরিক যদি আপনাকে দত্তক নেয়, তাহলে সে দেশে ৩ বছর থাকার পর আপনি পর্তুগালের নাগরিক হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। ঠিক একইভাবে পর্তুগিজ যে কেউ যদি কাউকে দত্তক নেয়, তবে ৩ বছর পর তার জন্য নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবে।

    পর্তুগালের নাগরিক হওয়ার উপায় ৬ – পর্তুগালে জন্মগ্রহণ হওয়ার পর যদি কেউ ১০ বছর পর্তুগালে অবৈধভাবে থাকে, তবে সে ব্যক্তি চাইলে নাগরিক হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে।

    পর্তুগালের নাগরিক হওয়ার উপায় ৭ – ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর যেকোনো একটি দেশের কোনো নাগরিককে বিয়ে করার পর যদি পর্তুগালে ৫ বছর থাকতে পারেন, তবে আপনি চাইলে পর্তুগালের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

    উপরোক্ত নিয়মগুলো অনুসরণ করে আপনি পর্তুগালের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার পর সকল তথ্য সঠিক হলে আপনি পর্তুগিজ নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন এবং একজন পর্তুগিজ হয়ে যাবেন। পর্তুগিজ নাগরিক হওয়া সম্পর্কিত আরও কিছু তথ্য নিচে উল্লেখ করে দিয়েছি। চলুন, সেসব তথ্য জেনে নেয়া যাক।

    পর্তুগালের নাগরিকত্ব পেতে কি কি লাগবে

    পর্তুগালের নাগরিক হওয়ার জন্য অবশ্যই কিছু শর্ত মানতে হবে। পর্তুগালের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য যা যা লাগবে তার একটি তালিকা নিম্নরূপ –

    • অবশ্যই বৈধভাবে পর্তুগালে ৫ বছরের বেশি সময় এবং ৬ বছরের কম সময় যাবত থাকতে হবে।
    • নিজ দেশে কিংবা পর্তুগালে কোনো মামলায় ২ বছরের বেশি সাজা হওয়া যাবে না। আপনার নামে যে কোনো বড় ধরনের ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই এটি প্রমাণ করার জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে।
    • আপনার অরিজিনাল জন্ম সনদ (বাংলাদেশি)
    • অরিজিনাল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট (বাংলাদেশি)
    • পর্তুগিজ ভাষার সার্টিফিকেট যা মিনিমাম A2 লেভেলের হতে হবে।
    • পর্তুগাল থেকে নেয়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট

    উপরোক্ত তথ্যগুলো এবং ডকুমেন্টগুলো হলে আপনি পর্তুগাল নাগরিক হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে, আপনার বাংলাদেশি জন্ম সনদ অরিজিনাল এবং অরিজিনাল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা নোটারি পাবলিক, আইন মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়িত করে নিতে হবে। অতঃপর, আবারও একই ডকুমেন্ট বাংলাদেশ হাইকমিশন ইন নিউ দিল্লি থেকেও সত্যায়িত করে নিতে হবে। এরপর, পর্তুগিজ কনস্যুলেট, অ্যাম্বাসি ইন নিউ দিল্লি থেকে সত্যায়িত করে নিতে হবে।

    অতঃপর, এসব ডকুমেন্ট পর্তুগালে পর্তুগিজ ভাষায় অনুবাদ করে সেখানে থেকে নোটারি করে নিতে হবে। এরপর, আপনি পর্তুগালের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং সকল তথ্য সঠিক হলে পর্তুগালের নাগরিক হতে পারবেন।

    পর্তুগালে বৈধ হওয়ার উপায়

    পর্তুগালে বৈধ হওয়ার উপায় হচ্ছে পর্তুগালের ভিসা করা। পর্তুগালে থাকতে চাইলে এবং পর্তুগালে থেকে কাজ করতে চাইলে পর্তুগালের ভিসা করতে হবে। তবে, আপনি যদি স্থায়ীভাবে পর্তুগালে বসবাস করতে চান, তবে পর্তুগালের নাগরিকত্ব পেতে হবে। এজন্য, পোস্টে উল্লেখ করে দেয়া পর্তুগালে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় ২০২৫ অনুসরণ করতে পারেন। এরপর, উক্ত নিয়মগুলো অনুযায়ী নাগরিক হওয়ার জন্য আবেদন করলে নাগরিকত্ব নিতে পারবেন।

    পর্তুগালে অবৈধভাবে বসবাস করা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় আপনার জেল সহ জরিমানা হতে পারে। তাই, পর্তুগালে থাকতে চাইলে বৈধ ভিসা থাকতে হবে। আপনার যদি ভিসা থাকে, তবে উপরোক্ত নিয়মগুলো অনুযায়ী আপনি চাইলে পর্তুগিজ নাগরিক হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার পর প্রায় ১ বছরের মতো সময় লাগতে পারে আপনার নাগরিকত্ব অনুমোদিত হওয়ার জন্য।

    পর্তুগালে নাগরিকত্ব পেতে কত সময় লাগে

    পর্তুগালে গেলেই, হোক সেটি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কিংবা স্টুডেন্ট ভিসায়, উক্ত ব্যক্তি পর্তুগালের একটি অস্থায়ী নাগরিকত্ব পেয়ে যায়। স্থায়ী নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য পর্তুগালে ৫ বছরের বেশি সময় এবং ৬ বছরের কম সময় যাবত থাকতে হয়। এছাড়া, পর্তুগিজ ভাষায় দক্ষতা থাকলে এবং কোনো মামলা না থাকলে পর্তুগালে নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। আবেদন করার ৬ মাস থেকে ১ বছরের মাঝে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়।

    পর্তুগালের নাগরিক হওয়ার জন্য আবেদন করার সময় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সাবমিট করতে হবে। বাংলাদেশি হলে বাংলাদেশের এবং পর্তুগালের এবং অন্য দেশের হলে সে দেশের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এবং পর্তুগালের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট। এছাড়াও, উপরে উল্লেখ করে দেয়া ডকুমেন্টগুলো লাগবে। এছাড়াও, এসব ডকুমেন্ট অবশ্যই সত্যায়িত করে নিতে হবে। 


    আরও পড়ুনঃ সরকারিভাবে দক্ষিন কোরিয়া যাওয়ার উপায়

    আরও পড়ুনঃ সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায়

    আরও পড়ুনঃ অনলাইনে বিমানের টিকেট চেক করার নিয়ম


    আমাদের শেষ কথা

    আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে পর্তুগালে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় ২০২৫ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে কীভাবে পর্তুগালের নাগরিক হওয়ার জন্য আবেদন করতে হয় এবং কি কি শর্ত রয়েছে তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

  • পোল্যান্ড ভিসা পাওয়ার নিয়ম, পোল্যান্ড কোন কাজে বেতন কত, টাকার মান

    পোল্যান্ড ভিসা পাওয়ার নিয়ম, পোল্যান্ড কোন কাজে বেতন কত, টাকার মান

    পোল্যান্ড ভিসা পাওয়ার নিয়ম এবং পোল্যান্ড কোন কাজে বেতন কত টাকা এসব বিষয় নিয়ে আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

    আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে পোল্যান্ড যেতে চান এবং পোল্যান্ড গিয়ে কাজ করে টাকা উপার্জন করতে চান, তবে এই পোস্টটি আপনার জন্যই। পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে পোল্যান্ড টাকার রেট সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে পারবেন। 

    পোল্যান্ড হচ্ছে শেনজেন এর অন্তর্ভুক্ত ২৭টি দেশের মাঝে একটি দেশ। তাই, আপনি যদি পোল্যান্ড ভিসা করতে চান, তবে আপনাকে শেনজেন ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। শেনজেন ভিসা পেয়ে গেলে আপনি শেনজেন অন্তর্ভুক্ত ২৭টি দেশেই যাতায়াত করতে পারবেন। 

    তবে, আপনি যদি পোল্যান্ড যাওয়ার জন্য শেনজেন ভিসা করেন, তবে পোল্যান্ড যেতে হবে এবং পোল্যান্ড থেকেই ফেরত আসতে হবে। অর্থাৎ, আপনি শেনজেন অন্তর্ভুক্ত অন্য দেশগুলোতে সরাসরি প্রবেশ করতে পারবেন না বা সেই দেশ থেকে নিজের দেশে আসতে পারবেন না। এজন্য, অবশ্যই যে দেশের ভিসা করেছেন, সেই দেশ থেকে যাতায়াত করতে হবে।

    পোল্যান্ড ভিসা পাওয়ার নিয়ম

    পোল্যান্ড ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে পোল্যান্ড ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। পোল্যান্ড ভিসা আবেদন করার জন্য পোল্যান্ড যেতে যা যা লাগবে সেগুলো সংগ্রহ করতে হবে। এরপর, অনলাইন থেকে পোল্যান্ড ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে এবং পোল্যান্ড এম্বাসিতে কিংবা সুইডেন এম্বাসিতে অ্যাপয়েনমেন্ট বুকিং করে আবেদন জমা দিতে হবে।

    তাহলে, আপনি পোল্যান্ড ভিসা আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন এবং পোল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে পোল্যান্ড যেতে পারবেন। পোল্যান্ড যেতে কি কি লাগবে তার একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করে দিয়েছি। চলুন, দেখে নেয়া যাক।

    পোল্যান্ড যেতে কি কি লাগে

    পোল্যান্ড যেতে চাইলে কি কি লাগে বা পোল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে চাইলে কি কি লাগে তার একটি বিস্তারিত তালিকা নিচে উল্লেখ করে দিয়েছি। পোল্যান্ড ভিসার জন্য অনলাইনে আবেদন করার করার আগে অবশ্যই এসব কাগজপত্র সংগ্রহ করে রাখতে হবে। 

    • সর্বনিম্ন ৬ মাস মেয়াদের পাসপোর্ট 
    • সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
    • শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট ও মার্কশীট (ন্যূনতম HSC)
    • কভার লেটার ও সিভি
    • ওয়ার্ক পারমিট
    • জব কন্ট্রাক্ট
    • কোম্পানির কাছ থেকে থাকার চুক্তি
    • পরিবহন চুক্তি (যদি থাকে)
    • মেডিকেল ইনস্যুরেন্স (১ বছর)

    উপরোক্ত কাগজগুলো যদি আপনার কাছে থাকে, তাহলে পোল্যান্ড ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। অনলাইনে পোল্যান্ড ভিসার জন্য আবেদন করার নিয়ম বিস্তারিত নিচে পেয়ে যাবেন।

    পোল্যান্ড ভিসা আবেদন করার নিয়ম

    পোল্যান্ড ভিসা পাওয়ার জন্য ভিসা আবেদন করতে হবে। পোল্যান্ড ভিসা আবেদন করার জন্য কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হবে। এসব ধাপ নিচে বিস্তারিত উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে। পোল্যান্ড ভিসা পেতে চাইলে নিম্নোক্ত ধাপগুলো অনুসরণ করুন।

    ধাপ ১ –  পোল্যান্ড ভিসা আবেদন করার জন্য অনলাইনে পোল্যান্ড এম্বাসিতে আবেদন করতে হবে। বাংলাদেশে পোল্যান্ড এর কোনো এম্বাসি নেই। তাই, পোল্যান্ড ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে ভারতের পোল্যান্ড এম্বাসি থেকে আবেদন করতে হবে। এজন্য, Poland Visa Application Form, New Delhi লিংকটি ব্যবহার করতে পারবেন।

    ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ছাড়া স্বল্প মেয়াদি অন্য যেকোনো ভিসা যেমন ট্রাভেল ভিসার জন্য আবেদন করতে চাইলে শেনজেন ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। শেনজেন ভিসা পেলে আপনি শেনজেন এর অন্তর্ভুক্ত ২৭টি দেশে যাতায়াত করতে পারবেন আলাদা কোনো ভিসা ছাড়াই।

    ধাপ ২ – পোল্যান্ড ভিসার জন্য অনলাইনে ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করার পর আপনাকে একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং করতে হবে। পোল্যান্ড এম্বাসির অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং করার জন্য https://visa.vfsglobal.com/ind/en/pol/ এই ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। এরপর, Book an Appointment এ ক্লিক করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে পারবেন। 

    ধাপ ৩ – পোল্যান্ড এম্বাসির অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করার পর আপনাকে পোল্যান্ড এম্বাসিতে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে ভিসা আবেদন জমা দিতে হবে এবং ভিসা ফি জমা দিতে হবে। সাথে আপনার বায়োমেট্রিক তথ্য যেমন আঙ্গুলের ছাপ ইত্যাদি নিবে। 

    ধাপ ৪ –  ভিসা আবেদন জমা দেয়া হয়ে গেলে ভিসা আবেদন অনুমোদন হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ভিসা আবেদন একবার অনুমোদন হয়ে গেলে পাসপোর্ট এবং ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। এরপর, পাসপোর্ট ও ভিসা নিয়ে আপনি পোল্যান্ড যেতে পারবেন। 

    পোল্যান্ড কোন কাজে বেতন কত

    পোল্যান্ডে বেতন মূলত কাজের ধরন, অভিজ্ঞতা, এবং দক্ষতার উপর নির্ভর করে থাকে। সাধারণত, পোল্যান্ডে বেতন প্রতি মাসে প্রায় ১০,০০০ থেকে ১৫,০০০ পোলিশ জ্লোটিতে (PLN) হয়ে থাকে।

    পোল্যান্ডে বেতন বেশি এবং জনপ্রিয় এমন কিছু কাজের তালিকা ও সেসব কাজের বেতন প্রতি মাসে কত টাকা তার একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করে দিলাম। 

    • ফ্যাক্টরি শ্রমিক: প্রতি মাসে প্রায় ১০,০০০ থেকে ১২,০০০ PLN
    • সেবা খাতের কর্মী: প্রতি মাসে প্রায় ১২,০০০ থেকে ১৫,০০০ PLN
    • ডাক্তার: প্রতি মাসে প্রায় ৩০,০০০ থেকে ৫০,০০০ PLN
    • ইঞ্জিনিয়ার: প্রতি মাসে প্রায় ২৫,০০০ থেকে ৪০,০০০ PLN
    • শিক্ষক: প্রতি মাসে প্রায় ১৫,০০০ থেকে ২০,০০০ PLN

    পোল্যান্ডে বেতন সাধারণত মাসিক বেতন হিসেবে প্রদান করা হয়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে সাপ্তাহিক বা দৈনিক বেতনও প্রদান করা হয়। পোল্যান্ডে ন্যূনতম বেতন প্রতি ঘন্টায় ১২.৫০ PLN। অর্থাৎ, একজন কর্মী প্রতি মাসে কমপক্ষে ১৫,০০০ PLN ইনকাম করতে পারে।

    পোল্যান্ডে বেতন সাধারণত প্রদান করা হয় পোলিশ জ্লোটিতে (PLN)। তবে, কিছু ক্ষেত্রে ইউরোতেও বেতন প্রদান করা হয়। এটি কর্মক্ষেত্র বা কোম্পানির উপর নির্ভর করে থাকে।

    পোল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে

    ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় পোল্যান্ড যেতে ৪-৫ লক্ষ টাকা লেগে থাকে। ভিসা ফি, ফ্লাইট টিকেট, ইনস্যুরেন্স এবং আনুসাঙ্গিক খরচ সহ মোট ৪-৫ লক্ষ টাকা হলে কাজের ভিসায় পোল্যান্ড যেতে পারবেন। তবে, আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় পোল্যান্ড যেতে চান, তবে ১ লক্ষ টাকার মাঝেই পোল্যান্ড যেতে পারবেন। 

    এছাড়াও, ১.৫ থেকে ২ লক্ষ টাকার মাঝে পোল্যান্ড ট্রাভেল ভিসায় গিয়ে পোল্যান্ড ভ্রমণ করে আসা যায়। আপনি যদি পোল্যান্ড যান, তবে পোল্যান্ড থেকে আরও ২৬ টি দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন আলাদা কোনো ভিসা ছাড়াই। তবে, এজন্য আপনাকে অবশ্যই শেনজেন ভিসা নিতে হবে। 

    পোল্যান্ড টাকার মান কত

    পোল্যান্ড যেতে ইচ্ছুক এমন অনেকেই পোল্যান্ড টাকার মান কত জানতে ইচ্ছুক। পোল্যান্ড এর ১ টাকা বাংলাদেশের আজকের টাকার রেট অনুযায়ী 27.99 বা প্রায় ২৮ টাকা। আপনার কাছে যদি ১টি পোল্যান্ড এর মুদ্রা থাকে, সেটির মান বাংলাদেশে ২৮ টাকার সমান। পোল্যান্ড ১০০ টাকা সমান বাংলাদেশে ২৭৯৯ টাকা।  

    পোল্যান্ড টাকার মান বেশি হওয়ার কারণে অনেকেই পোল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করে পোল্যান্ড গিয়ে থাকেন। এতে করে, অল্প সময়ের মাঝে অধিক টাকা উপার্জন করা যায়। এছাড়াও, পোল্যান্ড এ কাজের দাম অনেক বেশি। আপনি যদি কোনো কাজে দক্ষ হন, সেই কাজটি করে অনেক বেশি পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।


    আরও পড়ুনঃ সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায়

    আরও পড়ুনঃ সৌদি আরব কোন কাজের চাহিদা কেমন ও যেতে খরচ কত টাকা

    আরও পড়ুনঃ কাজের ভিসায় ফিনল্যান্ড যাওয়ার নিয়ম


    শেষ কথা

    পোল্যান্ড অনেক উন্নত একটি দেশ। আমাদের দেশের অনেকেই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে পোল্যান্ড যাচ্ছেন। আবার অনেকেই পড়ালেখা করার জন্য পোল্যান্ড যাচ্ছেন। আপনিও যদি পোল্যান্ড যেতে চান, তবে পোল্যান্ড ভিসা ফরম পূরণ করে একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং করে ভিসা আবেদন জমা দিয়ে ভিসা নিতে পারবেন এবং পোল্যান্ড যেতে পারবেন।

    এই পোস্টে আপনাদের সাথে পোল্যান্ড ভিসা পাওয়ার নিয়ম, পোল্যান্ড কোন কাজের বেতন বেশি এবং পোল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। এছাড়াও, পোল্যান্ড টাকার রেট কত এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। 

  • সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায়

    সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায়

    সরকারি ভাবে জাপান যেতে চাচ্ছেন? সরকারিভাবে জাপান যেতে চাইলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়তে হবে। কারণ, আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায় এবং জাপানে বেতন কত টাকা তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

    তাই, আপনি যদি জাপান গিয়ে টাকা উপার্জন করতে চান এবং কোনো দালাল বা এজেন্সির সহযোগিতা না নিয়ে সরকারি উদ্যোগে জাপান যেতে চান, তাহলে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ অব্দি সম্পূর্ণ পড়ুন। তো চলুন, পোস্টের মূল বিষয়ে ফিরে আসা যাক।

    জাপান যাওয়ার উপায়

    চীন, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, মঙ্গোলিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম এর পাশাপাশি কয়েক বছর যাবত বাংলাদেশ থেকেও জাপানে শ্রমিক নিচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় জাপান গিয়ে কাজ করে টাকা উপার্জন করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই জাপানের ভাষা শিখতে হবে।

    জাপানের ভাষা শেখার জন্য বাংলাদেশ কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) তে কোর্স করতে পারেন। কারণ, এখানে তারা জাপান যেতে ইচ্ছুকদেরকে ফ্রিতে জাপানি ভাষা শেখার প্রশিক্ষন দিচ্ছে। বিএমইটির অধীনে মোট ২৬ টি প্রশিক্ষন কেন্দ্রে জাপানি ভাষা শেখার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আপনি সরকারি ভাবে জাপান যেতে চাইলে অবশ্যই জাপানি ভাষার প্রশিক্ষন নিয়ে রাখবেন।

    জাপানিজ ভাষা শেখার জন্য নিম্নে উল্লিখিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো থেকে ভাষা শিখতে পারেন :

    1. ঝিনাইদহ টিটিসি
    2. মৌলভীবাজার টিটিসি
    3. গাইবান্ধা টিটিসি
    4. বাংলাদেশ কোরিয়া টিটিসি (মিরপুর)
    5. জামালপুর টিটিসি
    6. নেত্রকোনা টিটিসি
    7. জয়পুরহাট টিটিসি
    8. কুষ্টিয়া টিটিসি
    9. প্রবাসীকল্যাণ ভবন (ঢাকা)
    10. নীলফামারী টিটিসি
    11. দিনাজপুর টিটিসি
    12. যশোর টিটিসি
    13. নোয়াখালী টিটিসি
    14. বান্দরবান টিটিসি
    15. রাঙামাটি টিটিসি
    16. ময়মনসিংহ টিটিসি
    17. ব্রাহ্মণবাড়িয়া টিটিসি
    18. নরসিংদী টিটিসি
    19. বাংলাদেশ কোরিয়া টিটিসি (চট্টগ্রাম)
    20. মাদারীপুর টিটিসি
    21. চাঁপাইনবাবগঞ্জ টিটিসি
    22. পাবনা টিটিসি
    23. মাগুরা টিটিসি,
    24. খুলনা টিটিসি
    25. রাজশাহী টিটিসি
    26. শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা টিটিসি (মিরপুর)
    27. রংপুর টিটিসি

    জাপানিজ ভাষা ট্রেনিং নেয়ার পর আপনাকে জাপানের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করার পর আপনি সরকারিভাবে জাপান যেতে পারবেন। সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায় ও জাপান যেতে কি কি লাগে তা নিয়ে আরও বিস্তারিত নিচে আলোচনা করেছি।

    সরকারি ভাবে জাপান যেতে কি কি লাগে

    সরকারি ভাবে জাপান যেতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই কিছু শর্ত মানতে হবে এবং আপনার কাগজপত্র থাকতে হবে। সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার জন্য কি কি লাগবে তার একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করে দিলাম।

    • ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী
    • পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ২ বছর থাকতে হবে
    • পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে
    • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট লাগবে
    • জাপানিজ ভাষা শেখার সার্টিফিকেট
    • কাজের দক্ষতার প্রমাণপত্র
    • ভিসা ফি এবং ভিসা প্রসেসিং ফি
    • জাপানিজ ওয়ার্ক পারমিট
    • নির্দিষ্ট কাজে দক্ষতা থাকতে হবে
    • শারীরিকভাবে সুস্থ

    উপরোক্ত এই জিনিসগুলো হলে আপনি সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার জন্য ভিসা আবেদন করতে পারবেন। জাপানের ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পর ভিসা আবেদন করতে হবে। ভিসা পেয়ে গেলে ফ্লাইট টিকেট কেটে আপনি জাপান যেতে পারবেন। সরকারিভাবে জাপান যেতে কত টাকা লাগে তা নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

    সরকারিভাবে জাপান যেতে কত টাকা লাগে

    সরকারিভাবে যেকোনো দেশে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে অনেক কম খরচ হয়। আপনি যদি সরকারি ভাবে জাপান যেতে চান, তবে মাত্র ৩-৪ লক্ষ টাকার মাঝেই জাপান যেতে পারবেন। আপনি যদি কোনো এজেন্সির সহযোগিতা নেন বা কোনো দালালের সহযোগিতা নেন, সেক্ষেত্রে ৬-৮ লক্ষ টাকা হলেও জাপান যেতে পারবেন না।

    তাই, জাপান যেতে চাইলে অবশ্যই সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার জন্য ভিসা আবেদন করুন। সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায় হচ্ছে বিএমইটি থেকে যেকোনো কাজের উপর প্রশিক্ষন নেয়া এবং জাপানিজ ভাষা শেখার পর জাপানের ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে ভিসা আবেদন করা। ভিসা পেয়ে গেলে জাপান যেতে পারবেন সহজেই।

    জাপানে বেতন কত টাকা

    জাপানে বেতন নির্ভর করে অনেকগুলো বিষয়ের উপর। যেমন: কর্মীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, কাজের ধরন, কোম্পানির অবস্থান ইত্যাদি। তবে সাধারণভাবে বলতে গেলে, জাপানে বেশ ভালো বেতনে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

    জাপানের শ্রম আইন অনুযায়ী, একজন কর্মীর ন্যূনতম বেতন ঘণ্টায় ¥930 (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭০০ টাকা)। কর্মীরা দিনে ৮ ঘণ্টা কাজ করতে পারেন। সে হিসাবে একজন কর্মী মাসে পাবেন ¥142,400 (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা)। তবে এই বেতন সাধারণত অভিজ্ঞতাহীন কর্মীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

    অভিজ্ঞ কর্মীদের বেতন আরও অনেক বেশি হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একজন প্রকৌশলীর বেতন মাসে ¥500,000 (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা) থেকে শুরু। একজন ডাক্তারের বেতন মাসে ¥1,000,000 (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা) থেকে শুরু।

    জাপানের বিভিন্ন শহরের মধ্যে বেতনের পার্থক্যও রয়েছে। সাধারণত টোকিও, ওসাকা, ইত্যাদি বড় শহরগুলিতে বেতন বেশি হয়। নিচে জাপানের কিছু সাধারণ পেশার বেতন উল্লেখ করে দিলাম।

    পেশা বেতন (মাসে)
    কর্মচারী ¥200,000 (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা)
    প্রকৌশলী ¥500,000 (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা)
    ডাক্তার ¥1,000,000 (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা)
    শিক্ষক ¥400,000 (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা)
    পুলিশ অফিসার ¥300,000 (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা)
    সেলসম্যান ¥250,000 (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ৮৭ হাজার টাকা)

     

    উল্লেখ্য যে, এই বেতনগুলি শুধুমাত্র ধারণা দেওয়ার জন্য। প্রকৃত বেতন নির্ভর করবে অনেকগুলো বিষয়ের উপর। কাজের প্রতি আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে বেতন কম বা বেশি হতে পারে।

    সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায়

    সরকারি ভাবে জাপান যেতে চাইলে ওয়ার্ক পারমিট থাকতে হবে। জাপান যাওয়ার জন্য নিচে উল্লিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারেন। তাহলে, সরকারিভাবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় জাপান যেতে পারবেন। 

    1. প্রথমে বাংলাদেশ ওভারসিজ ইমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস সিস্টেমে (বিএমইটি) নিবন্ধন করতে হবে। 
    2. বিএমইটি থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। 
    3. প্রশিক্ষণ শেষে বিএমইটির মাধ্যমে জাপানের কোম্পানিতে চাকরির জন্য আবেদন করতে হবে। 
    4. জাপানি কোম্পানি আবেদনকারীকে নির্বাচন করলে, বিএমইটি থেকে জাপান সরকারের কাছে ভিসা আবেদন করতে হবে। 
    5. জাপান সরকার ভিসা অনুমোদন করলে, আবেদনকারী জাপানে যেতে পারবেন।

    জাপানে কোন কাজের চাহিদা বেশি

    জাপান যেতে চান এমন মানুষের সংখ্যা কম না। আপনিও যদি জাপান যেতে চান, তবে নিশ্চয়ই জাপানে কোন কাজের চাহিদা বেশি এই প্রশ্নটি একবার হলেও মাথায় এসেছে। জাপানে যেসব কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি সেসব কাজের বেতনও বেশি হয়ে থাকে। এসব কাজের ভিসা নিয়ে জাপান যেতে পারলে অল্প সময়ে অধিক অর্থ উপার্জন করা সম্ভব হবে।

    নিচে জাপানে যেসব কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি সেগুলোর একটি তালিকা উল্লেখ করে দিলাম। দেখে নিতে পারেন। 

    • সিকিউরিটি গার্ড
    • কম্পিউটার অপারেটর
    • ক্লিনিং
    • সেলসম্যান
    • কেয়ারিং ম্যান
    • ফুড প্যাকেজিং
    • হোটেল
    • কনস্ট্রাকশন
    • ফুড ডেলিভারি
    • ইলেক্ট্রিশিয়ান

    উপরোক্ত কাজগুলোর উপর বিএমইটি (BMET) থেকে প্রশিক্ষন নেয়ার পর বিএমইটি থেকে জাপানে কাজের জন্য ওয়ার্ক পারমিটের আবেদন করতে পারেন। এরপর, ওয়ার্ক পারমিট পেয়ে গেলে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। ভিসা হলে আপনি জাপান যেতে পারবেন। 

    অবশ্যই কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করার সময় জাপানিজ ভাষা শিখতে হবে। জাপানিজ ভাষা না জানলে জাপান যেতে পারবেন না। 


    আরও পড়ুনঃ কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ও টাকার রেট

    আরও পড়ুনঃ আইইএলটিএস ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়?

    আরও পড়ুনঃ সৌদি আরব কোন কাজের চাহিদা কেমন ও যেতে খরচ কত টাকা


    শেষ কথা

    আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায় এবং জাপান যেতে কত টাকা লাগে সহ জাপানে বেতন কত টাকা এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। 

  • কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ও টাকার রেট

    কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ও টাকার রেট

    কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে চাচ্ছেন, কিন্তু কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন কিভাবে করতে হয় এবং ভিসা পেতে কি কি লাগে তা জানেন না? তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্যই।

    আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আপনি যদি প্রবাস হিসেবে কাজাখস্তান বেঁছে নিয়ে থাকেন, তবে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার চেষ্টা করবেন। কারণ, কাজাখস্তান কাজের ভিসা এবং কাজাখস্তান টাকার রেট সহ বিস্তারিত সকল তথ্য আজ এই পোস্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

    তাহলে আর দেরি কিসের, পোস্টের মূল বিসয়বস্তুতে ফিরে আসা যাক।

    কাজাখস্তান কি?

    কাজাখস্তান মধ্য এশিয়ার একটি দেশ। এটি বিশ্বের নবম বৃহত্তম দেশ, যার আয়তন ২,৭২৪,৯০০ বর্গ কিলোমিটার (১,০৫২,১০০ বর্গ মাইল)। এর উত্তরে রাশিয়া, পূর্বে চীন, দক্ষিণে কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, ও তুর্কমেনিস্তান এবং পশ্চিমে কাস্পিয়ান সাগর ও রাশিয়া অবস্থিত। 

    কাজাখস্তান প্রায় সম্পূর্ণভাবে এশিয়া মহাদেশে অবস্থিত। তবে দেশটির কিয়দংশ উরাল নদীর পশ্চিমে ইউরোপ মহাদেশে পড়েছে। দেশের উত্তর অংশে অবস্থিত আস্তানা (পূর্বের নাম) বা নুর-সুলতান (বর্তমান নাম) শহর দেশটির রাজধানী।

    কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

    কাজাখস্তান দেশে কাজ করতে যেতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই কাজাখস্তান এর যেকোনো একটি কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান থেকে ওয়ার্ক পারমিট নিতে হবে। কাজ করার উদ্দেশ্যে কাজাখস্তান যাওয়ার জন্য কাজাখস্তান ভিসা করার সময় আপনাকে অবশ্যই ওয়ার্ক পারমিট সাবমিট করতে হবে।

    তাই, কাজাখস্তান ভিসা আবেদন করার সময় অবশ্যই একটি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা লাগবে। কাজাখস্তান যেকোনো একটি কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংগ্রহ করার মাধ্যমে আপনি এই দেশে কাজ করার উদ্দেশ্যে যেতে পারবেন। 

    কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে কি কি লাগবে

    কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে বা সাবমিট করতে হবে। কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে কি কি লাগবে তার একটি তালিকা নিচে পেয়ে যাবেন। 

    • একটি আবেদনপত্র (কাজাখস্তান দূতাবাস থেকে পাওয়া যায়)
    • কমপক্ষে ছয় মাসের মেয়াদ সহকারে বৈধ একটি পাসপোর্ট পাসপোর্ট
    • ভিসা আবেদন ফি
    • মেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্ট
    • কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট (কাজাখস্তানের কোনো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান থেকে পাবেন)
    • ব্যাংক স্টেটমেন্ট (পড়ালেখা করতে চাইলে এটি কাজে লাগবে)
    • শিক্ষাগত সার্টিফিকেট
    • পেশাগত লাইসেন্স (ড্রাইভিং কাজ করতে চাইলে)
    • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট

    কাজাখস্তানে কাজ করতে চাইলে অবশ্যই একটি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে হবে। যে কোম্পানিতে বা প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে চান, সেখান থেকে ওয়ার্ক পারমিট নিতে পারবেন। এরপর, ভিসা ফি জমা দেয়ার মাধ্যমে কাজাখস্তান ভিসা আবেদন করতে পারবেন। কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার নিয়ম নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। 

    যেসব দেশের নাগরিক ভিসা ছাড়া কাজাখস্তান যেতে পারবেন

    কাজাখস্তান সরকার কিছু দেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা ছাড়া কাজাখস্তান যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। যেসব দেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়া কাজাখস্তান যেতে পারবেন এমন দেশগুলোর তালিকা নিচে দেয়া হলো : 

    1. ঘানা
    2. আফগানিস্তান
    3. ভারত
    4. ইথিওপিয়া
    5. সিয়েরা লিওন
    6. ইরিত্রিয়া
    7. জাম্বিয়া
    8. ক্যামেরুন
    9. কেনিয়া
    10. গিনি
    11. যাও
    12. উগান্ডা
    13. কঙ্গো
    14. ইরিত্রিয়া
    15. মিশর
    16. ইথিওপিয়া
    17. সিরিয়া
    18. সেনেগাল
    19. ম্যাডাগ্যাস্কার
    20. নাইজার
    21. ইয়েমেন
    22. শ্রীলংকা
    23. মৌরিতানিয়া
    24. সোমালিয়া
    25. ভুটান
    26. লিবিয়া
    27. দক্ষিণ সুদান
    28. মালি
    29. লাইবেরিয়া
    30. সুদান
    31. বুরুন্ডি
    32. সোমালিয়া
    33. পাকিস্তান
    34. গাম্বিয়া
    35. মত্স্যবিশেষ
    36. জিম্বাবুয়ে
    37. নেপাল
    38. জিবুতি
    39. বাংলাদেশ
    40. আইভরি কোস্ট
    41. ইরাক
    42. নাইজেরিয়া

    কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন

    কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার জন্য আপনাকে অবশ্যই যেকোনো একটি কোম্পানি থেকে ওয়ার্ক পারমিট নিতে হবে। ওয়ার্ক পারমিট নেয়ার পর ভিসা আবেদন করতে হবে। ভিসা আবেদন করার সময় অবশ্যই পাসপোর্ট, ছবি সহ যাবতীয় তথ্য সাবমিট করতে হবে। এসব তথ্য দিয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করে ভিসা নিয়ে কাজাখস্তান যেতে পারবেন এবং সেখানে কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। 

    কাজাখস্তানে কয়েক ধরণের ভিসা রয়েছে। আপনি যদি অন্য দেশ থেকে কাজাখস্তান কাজ করার জন্য যেতে চান, তবে নিম্নোক্ত ৫টি ভিসা আপনার জন্য। এসব ভিসা হচ্ছে:

    #1 M1 ভিসা

    যখন কাজাখস্তানের কোনো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো কর্মীকে ওয়ার্ক পারমিট দেয়া হয়, তখন উক্ত কর্মীকে এই M1 ভিসা দেয়া হয়। 

    #2 M2 ভিসা

    M1 ভিসা প্রাপ্তদের স্ত্রী/স্বামী/সন্তানদের জন্য M2 ভিসা দেয়া হয়ে থাকে। আপনি M1 ভিসা পেলে আপনার স্ত্রী/সন্তানের জন্য M2 ভিসার আবেদন করতে পারবেন।

    #3 M3 ভিসা

    যারা অন্য দেশ থেকে কাজাখস্তান ভ্রমণ করতে চান, তাদের জন্য কাজাখাস্তানের M3 ভিসা। আপনি ট্যুরিস্ট হিসেবে এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

    #4 M4 ভিসা

    যারা অন্য দেশ থেকে কাজাখস্তান গিয়ে ব্যবসা করতে চান বা ব্যবসার কাজে কাজাখস্তান যেতে চান, তাদের জন্য M4 ভিসা।

    #5 M5 ভিসা

    এক বছরের কম সময়ের জন্য যে ভিসা দেয়া হয়, সেটিই হচ্ছে M5 ভিসা। 

    কাজাখস্তান যাওয়ার জন্য আমাদের দেশের অনেক মানুষ মুখিয়ে আছে। কাজাখস্তানের টাকার রেট বাংলাদেশের টাকার রেট থেকে কম হলেও সেখানে অল্প সময় কাজ করে অধিক অর্থ উপার্জন করা যায়। তাই, অনেকেই কাজাখস্তান যেতে চান কাজ করার জন্য। নিচে কাজাখস্তান টাকার রেট নিয়ে আলোচনা করেছি।

    কাজাখস্তান টাকার রেট কত

    বাংলাদেশে কাজাখস্তানের টাকার রেট বা কাজাখস্তানের টাকার মান কত টাকা তা অনেকেই জানতে চান। আপনার কাছে যদি ১টি কাজাখস্তানের মুদ্রা থাকে, তবে আজকের টাকার রেট অনুযায়ী ১ কাজাখস্তান = ০.২৪ বাংলাদেশি টাকা। অর্থাৎ, আপনার কাছে যদি ১০০ কাকাখস্তান মুদ্রা থাকে, আপনি বাংলাদেশি ২৪.১৮ টাকা পাবেন।

    বাংলাদেশের ১ টাকা সমান কাজাখস্তানের ৪.১৪ টাকা। বাংলাদেশের টাকার থেকে কাজাখস্তানের টাকার মান কম। তবে, কাজাখস্তানে অল্প সময় কাজ করেই অধিক অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। এজন্য, আমাদের দেশের অনেকেই কাজাখস্তান যেতে চান কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে। 

    কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কত টাকা

    কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করার জন্য ২-৩ লক্ষ টাকা লেগে থাকে। আপনি যদি নিজে থেকে কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য আবেদন করে ভিসা আবেদন করেন, তবে এক্ষেত্রে ভিসা ফি, ভিসা প্রসেসিং ফি এবং ফ্লাইট টিকেট সহ মোট ১.৫ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা লাগতে পারে।

    তবে, আপনি যদি কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নেয়ার জন্য কোনো এজেন্সির সহযোগিতা নেন বা কোনো দালালের সহযোগিতা নেন, তবে ৩-৪ লক্ষ টাকা থেকে এর বেশিও লাগতে পারে। তাই, কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে যেতে চাইলে নিজে থেকে সবকিছুর আবেদন করুন। এতে করে অল্প খরচের মাঝেই আপনি কাজাখস্তান যেতে পারবেন। 

    ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া কাজাখস্তান যাওয়া যায়?

    আপনি চাইলে ভিসা ছাড়াও কাজাখস্তান যেতে পারবেন। উপরে কিছু দেশের তালিকা উল্লেখ করে দিয়েছি। এসব দেশের নাগরিকরা কোনো ভিসা ছাড়াই কাজাখস্তান যেতে পারবেন। তাই, আপনি ওয়ার্ক পারমিট ছাড়াও কাজাখস্তান যেতে পারবেন। তবে, ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া কাজাখস্তান গিয়ে কোনো কাজ করতে পারবেন না। 

    ভ্রমণ করার জন্য কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ছাড়া যেতে পারবেন। কোনো কাজ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি ওয়ার্ক পারমিট নিতে হবে। তবেই, সেখানে কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। 


    আরও পড়ুনঃ মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার নিয়ম

    আরও পড়ুনঃ সৌদি আরব কোন কাজের চাহিদা কেমন ও যেতে খরচ কত টাকা

    আরও পড়ুনঃ কাজের ভিসায় ফিনল্যান্ড যাওয়ার নিয়ম


    শেষ কথা

    আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে কি কি লাগে এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার নিয়ম সহ আরও অনেক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে কাজাখস্তান কাজের ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

  • মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার নিয়ম

    মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার নিয়ম

    মালয়েশিয়া ভিসা চেক কিভাবে করতে হয় এবং অনলাইনে মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার জন্য কী কী লাগবে তা নিয়ে আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আপনি যদি মালয়েশিয়া ভিসার জন্য আবেদন করে থাকেন এবং ভিসা হয়েছে কি না জানতে চান, তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্যই।

    পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে কীভাবে অনলাইনে মালয়েশিয়া ভিসা যাচাই করা যায়, তা সম্পর্কে জানতে পারবেন। তো চলুন, পোস্টের মূল বিষয়ে ফিরে আসা যাক।

    মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার জন্য কী কী লাগবে

    মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার জন্য কিছু ডকুমেন্ট বা তথ্য লাগবে। মালয়েশিয়া ভিসা অনলাইনে যাচাই করার জন্য যা যা লাগবে তার একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করে দিয়েছি। চলুন, দেখে নেয়া যাক।

    • Company Registration Number
    • Application Number
    • Passport Number

    উপরোক্ত এই তিনটি তথ্য দিয়ে আপনি Malaysia Visa Check করতে পারবেন। তো চলুন, মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার নিয়ম জেনে নেয়া যাক।

    মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার নিয়ম

    মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার জন্য eservices.imi.gov.my/myimms/PRAStatus ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। এরপর, Company Registration নাম্বার বা Application Number দিয়ে সহজেই মালয়েশিয়া ভিসা চেক করতে পারবেন। এছাড়াও, আপনার পাসপোর্ট নাম্বার দিয়েও মালয়েশিয়া কলিং ভিসা চেক করতে পারবেন।

    মালয়েশিয়া ভিসা অনলাইনে চেক করার জন্য আরও কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে। যেমন, আপনি চাইলে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক করতে পারবেন, কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করতে পারবেন, আবার এপ্লিকেশন নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক করতে পারবেন।

    এই পোস্টে উপরোক্ত তিনটি পদ্ধতিই বিস্তারিত আলোচনা করবো। তো চলুন, অনলাইনে ভিসা চেক করার পদ্ধতি দেখে নেয়া যাক।

    পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক

    পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার জন্য শুধু আপনার পাসপোর্ট নাম্বার জানা থাকতে হবে। পাসপোর্ট নাম্বার জানা থাকলেই আপনার ভিসা রেডি হয়েছে কি না চেক করতে পারবেন। নিচে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা যাচাই করার পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

    • প্রথমেই https://eservices.imi.gov.my/myimms/FomemaStatus ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে।
    • এরপর, পাসপোর্ট নাম্বার এবং দেশের নাম সিলেক্ট করে দিয়ে ডান দিকে থাকা সার্চ বাটনে ক্লিক করুন।

    আপনার পাসপোর্ট নাম্বার এবং দেশের নাম ঠিক থাকলে ভিসা হয়েছে কি না জানতে পারবেন। এই পদ্ধতি অনুসরণ করে যেকোনো পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে উক্ত ব্যক্তির মালয়েশিয়া ভিসা হয়েছে কি না যাচাই করতে পারবেন।

    ভিসা যাচাই করার সময় অবশ্যই ওয়েবসাইটটি ইংরেজি ভাষায় ট্রান্সলেট করে নিবেন। কারণ, এটি একটি মালয়েশিয়ার ওয়েবসাইট। তাই, মালয়েশিয়ান ভাষায় থাকতে পারে। বুঝতে না পারলে ইংরেজি ভাষায় ট্রান্সলেট করে নিবেন। এজন্য, ব্রাউজারে Google Translate এক্সটেনশন ইন্সটল করে নিতে পারেন।

    Company Registration No দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক

    কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার জন্য http://eservices.imi.gov.my/myimms/PRAStatus এই ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। এরপর, Company Registration No লেখার পাশে আপনার কলিং পেপারে থাকা রেজিস্ট্রেশন নাম্বার লিখে সার্চ বাটনে ক্লিক করুন।

    তাহলে, উক্ত কোম্পানির যাদের ভিসা হয়েছে তাদের একটি তালিকা পেয়ে যাবেন। এই তালিকা থেকে আপনার নামটি খুঁজে বের করুন। যদি আপনার নাম খুঁজে পান, তবে বুঝতে হবে যে আপনার মালয়েশিয়ান ভিসা রেডি হয়েছে। মালয়েশিয়া ভিসা রেডি হয়ে গেলে আপনার নামের পাশে থাকা Print বাটনে ক্লিক করে ভিসা তথ্য প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।

    Application Number দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক

    Application Number দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার জন্য http://eservices.imi.gov.my/myimms/PRAStatus এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। এরপর, আপনার Application Number লিখে সার্চ করুন। আপনার এপ্লিকেশন নাম্বারে ভিসা তৈরি হয়েছে কি না জানতে পারবেন।

    মালয়েশিয়া ভিসা তৈরি হয়ে থাকলে আপনি ভিসা রেডি হয়েছে এমন দেখতে পারবেন। সেখানে থেকেই আপনি ভিসা তথ্য প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।

    মালয়েশিয়া ই ভিসা চেক করার নিয়ম

    মালয়েশিয়া ই ভিসা চেক করার জন্য https://malaysiavisa.imi.gov.my/evisa/vlno_checkstatus.jsp এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। এরপর, প্রথম ফাঁকা বক্সে আপনার পাসপোর্ট নাম্বার লিখুন। অতঃপর, দ্বিতীয় বক্সে Sticker Number লিখুন। এখন ইমেজে দেখানো ভেরিফিকেশন কোডটি নিচের ফাঁকা বক্সে লিখুন এবং I have obtained my eVISA লেখার পাশের বক্সে টিক মার্ক দিন।

    অতঃপর, Check বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে, মালয়েশিয়া ই ভিসা চেক করতে পারবেন। এই পদ্ধতিটি অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনার Malaysia E-visa হয়েছে কি না তা যাচাই করতে পারবেন।

    মালয়েশিয়া কলিং ভিসা চেক করার পদ্ধতি

    যারা মালয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করেছেন এবং কোম্পানি থেকে কলিং ভিসা পেতে চান, তারা আবেদন করার পর কলিং ভিসা হয়েছে কি না চেক করতে চান। আপনার মালয়েশিয়া কলিং ভিসা তৈরি হয়েছে কি না জানার জন্য নিচের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করুন।

    1. মালয়েশিয়া কলিং ভিসা চেক করার জন্য নিচে উল্লিখিত ধাপগুলো অনুসরন করুন। তাহলে, আপনার ভিসা হয়েছে কি না জানতে পারবেন।
    2. প্রথমে মালয়েশিয়া ভিসা চেক লেখার উপর ক্লিক করুন। তাহলে, আপনাকে মালয়েশিয়া ভিসা ওয়েবসাইটে নিয়ে যাবে।
    3. অতঃপর, আপনার কোম্পানি থেকে পাওয়া কলিং পেপারে থাকা কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন নাম্বার লিখে সার্চ করুন।
    4. ওয়েবসাইট ভিজিট করার পর Company Registration No লেখার পাশে কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন নাম্বার লিখে সার্চ করতে হবে।

    সার্চ করলে আপনার ভিসা তৈরি হয়েছে কিনা জানতে পারবেন। এই পদ্ধতি অনুসরন করার মাধ্যমে অনলাইন মালয়েশিয়া ভিসা যাচাই করতে পারবেন।


    আরও পড়ুনঃ সৌদি আরব কোন কাজের চাহিদা কেমন ও যেতে খরচ কত টাকা

    আরও পড়ুনঃ কাজের ভিসায় ফিনল্যান্ড যাওয়ার নিয়ম


    শেষ কথা

    আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে মালয়েশিয়া ভিসা চেক অনলাইনে করার পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি যদি পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে থাকেন, তবে অনলাইনে কিভাবে মালয়েশিয়া ভিসা চেক করতে হয় জানতে পারবেন। মালয়েশিয়া ভিসা যাচাই করা সম্পর্কিত আরও কোনো প্রশ্ন থাকলে নিচে সংযুক্ত সাধারণত জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলীগুলো পড়তে পারেন। কোনো প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই মন্তব্য করবেন।

    সাধারণত জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী

    পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা হয়েছে কিনা চেক করা যায়?

    হ্যাঁ, আপনি চাইলে আপনার পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা হয়েছে কিনা তা যাচাই করতে পারবেন। এজন্য, পোস্টে উল্লিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। 

    মালয়েশিয়া ই ভিসা ডাউনলোড

    মালয়েশিয়া ই ভিসা ডাউনলোড করার জন্য মালয়েশিয়া ই ভিসা চেক করতে হবে। এজন্য, মালয়েশিয়া ই ভিসা চেক করার ওয়েবসাইট https://malaysiavisa.imi.gov.my/evisa/vlno_checkstatus.jsp ভিজিট করতে হবে। অতঃপর, আপনার ভিসা তৈরি হয়েছে কিনা যাচাই করতে পারবেন। সেখানে থেকেই মালয়েশিয়া ই ভিসা ডাউনলোড করতে পারবেন। 

    অনলাইনে মালয়েশিয়া ভিসা যাচাই করার উপায় কি?

    অনলাইনে মালয়েশিয়া ভিসা যাচাই করতে চাইলে http://eservices.imi.gov.my/myimms/PRAStatus এই ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। এরপর, কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দিয়ে ভিসা যাচাই করতে পারবেন। এছাড়াও, আপনি চাইলে এই ওয়েবসাইট থেকে আপনার এপ্লিকেশন নাম্বার দিয়েও ভিসা হয়েছে কিনা চেক করতে পারবেন। 

    মালয়েশিয়া ভিসা করতে কত টাকা লাগে?

    মালয়েশিয়া ভিসা করতে সাধারণত ৪-৫ লক্ষ টাকা লেগে থাকে। আপনি যদি সরকারিভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য আবেদন করেন, তবে এর কমেও ভিসা পেতে পারেন। তবে, কোনো এজেন্সির সহযোগিতা নিলে অথবা কোনো দালালের সহযোগিতা নিলে ৭-৮ লক্ষ টাকা অব্দি লাগতে পারে। আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করেন, তবে এর কমেও হতে পারে।

  • সৌদি আরব কোন কাজের চাহিদা কেমন ও যেতে খরচ কত টাকা

    সৌদি আরব কোন কাজের চাহিদা কেমন ও যেতে খরচ কত টাকা

    সৌদি আরব কোন কাজের চাহিদা কেমন ও যেতে খরচ কত টাকা এই বিষয়গুলো নিয়ে আজকের এই ব্লগে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেতে চান তাহলে সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি এটা জেনে রাখা জরুরী।

    কারণ, সৌদি আরবে যে কাজের চাহিদা বেশি আপনি যদি সেই কাজের উপর প্রশিক্ষন নিয়ে যান এবং উক্ত কাজের জন্য ভিসা করেন, তবে অল্প সময়ের মাঝে অধিক টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এছাড়াও, সৌদি আরবে যেতে খরচ কত টাকা তা নিয়েও আজ আপনাদের সাথে বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করবো।

    তো চলুন, সৌদি আরব কোন কাজের চাহিদা কেমন এবং সৌদি আরব যেতে খরচ কত টাকা তা জেনে নেয়া যাক।

    সৌদি আরব কোন কাজের চাহিদা কেমন

    সৌদি আরবে বিভিন্ন কাজ করে অল্প সময়ের মাঝে অধিক টাকা উপার্জন করা যায় জন্য অনেকেই সৌদি আরব যেতে চান প্রবাসী হিসেবে। কিন্তু, সৌদি আরব যাওয়ার পূর্বে তারা জানতে চান যে কোন কাজের চাহিদা কেমন। অর্থাৎ, কোন কাজ শিখে সৌদি আরব গেলে তারা অল্প সময়ের মাঝে অধিক টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

    সৌদি আরবে সবথেকে বেশি চাহিদা রয়েছে এমন কিছু কাজের তালিকা নিচে উল্লেখ করে দিচ্ছি। এই কাজগুলো থেকে যেকোনো একটি কাজ শিখে আপনি যদি সৌদি ভিসা করে সৌদি আরব যেতে পারেন, তবে অল্প সময়ের মাঝে অধিক টাকা উপার্জন করতে পারবেন। সৌদি আরবে যেসব কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি এবং অধিক বেতন পাওয়া যায় সেসব কাজ হচ্ছে –

    • টেকনিশিয়ান
    • ওয়েল্ডিং
    • প্লাম্বিং
    • ইলেক্ট্রিশিয়ান
    • অটোমোবাইল

    ইত্যাদি কাজের চাহিদা সৌদি আরবে সবথেকে বেশি। আমাদের দেশ থেকে যারা এসব কাজ শিখে সৌদি আরব যাচ্ছেন, তারা অনেক বেশি বেতনে চাকুরী করছেন। কারণ, সৌদি আরবে এসব কাজের চাহিদা অন্যান্য কাজের তুলনায় অনেক বেশি। এছাড়াও, এসব কাজের চাহিদা শুধু সৌদি আরবে নয়, বরং পুরো বিশ্বে অনেক বেশি।

    যেমন অটোমোবাইল সেক্টরে যেসব দক্ষ শ্রমিক রয়েছে, তারা পুরো বিশ্বের যেকোনো দেশে ভিসা আবেদন করে অধিক বেতনে চাকুরী করতে পারবেন। এছাড়াও, ইলেক্ট্রিশিয়ান এবং টেকনিশিয়ান কাজেরও চাহিদা রয়েছে পুরো বিশ্বব্যাপী। প্রযুক্তির এতো উন্নয়ন হচ্ছে, পুরো বিশ্বে এখন প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষ সকল কাজ করছে। তাই, প্রযুক্তি সম্পর্কিত কাজগুলো করতে পারে এবং দক্ষ এমন শ্রমিকের চাহিদাও অনেক বেশি।

    তাই, আপনি যদি সৌদি আরব গিয়ে অল্প সময়ের মাঝে অধিক টাকা উপার্জন করতে চান, তবে অবশ্যই উপরের তালিকায় উল্লিখিত কাজগুলো শিখে সৌদি আরব যেতে পারেন। এসব কাজের ট্রেনিং নিয়ে সৌদি ভিসা করে সৌদি যেতে পারলে বেশি বেতন পাবেন এবং প্রমোশন এর সুযোগ রয়েছে কাজের উপর দক্ষতার ভিত্তিতে।

    সৌদি আরব কোন কাজের চাহিদা বেশি

    সৌদি আরবে প্রযুক্তি বিষয়ক কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি। এছাড়াও, সৌদি আরবে অনেক নতুন বহুতল বিল্ডিং হচ্ছে। এজন্য বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তারা শ্রমিক নিয়োগ দিচ্ছেন। ওয়েল্ডিং, প্লাম্বিং, টেকনিশিয়ান, ইলেক্ট্রিশিয়ান এসব কাজে দক্ষতা থাকলে আপনিও সৌদি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং সৌদি গিয়ে বেশি বেতনে কাজ করতে পারবেন।

    আমাদের দেশ থেকে যারা সৌদি আরব কাজ করার জন্য যায়, তাদের মাঝে অধিকাংশ মানুষ এসব কাজ শিখে গিয়ে থাকেন। তাই তারা অল্প সময়ের মাঝে অধিক বেতনে কাজ করতে পারেন এবং তাদের কাজের উপর দক্ষতা বিবেচনা করে অনেকেই প্রমোশন পেয়ে থাকেন। ফলে, তারা আরও বেশি বেতনে কাজ করতে পারেন।

    সৌদি আরবে ওয়েল্ডিং কাজ

    সৌদি আরবে ওয়েল্ডিং কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি। অল্প সময়ের মাঝে শিখতে পারবেন এবং প্রবাস গিয়ে ভালো পরিমানে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন এমন কাজ করতে চাইলে ওয়েল্ডিং কাজের ভিসা নিয়ে সৌদি আরব যেতে পারেন। সৌদি আরবে ওয়েল্ডিং কাজের ভিসার দাম অনেক বেশি। অর্থাৎ, এই কাজ শিখে সৌদি গেলে আপনি অনেক বেশি বেতনে কাজ করতে পারবেন। 

    ওয়েল্ডিং কাজ শিখে সৌদি আরব গেলে প্রতি মাসে ১৫০০-১৮০০ রিয়াল পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। ওয়েল্ডিং কাজ করে সৌদি আরব থেকে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করছেন বাংলাদেশের অনেকেই। আপনিও যদি সৌদি আরব গিয়ে অল্প সময়ে অধিক অর্থ উপার্জন করতে চান, তবে ওয়েল্ডিং কাজ করতে পারেন।

    সৌদি আরবে অটোমোবাইল কাজ

    পুরো বিশ্বে প্রযুক্তির বিপ্লবের কারণে প্রতিনিয়ত অটোমোবাইল কাজের চাহিদা বেড়েই চলেছে। অটোমোবাইল কাজ শিখে সৌদি আরব গেলে অনেক বেশি বেতন কাজ করতে পারবেন। বিভিন্ন কোম্পানি অটোমোবাইল সেক্টরে দক্ষ কর্মীদের নিয়োগ দিচ্ছে। আপনি যদি অটোমোবাইল সেক্টরে দক্ষ হন এবং বাংলাদেশে থেকে সৌদি যাওয়ার পূর্বে BMET থেকে একটি সার্টিফিকেট নিতে পারেন, তবে সৌদি গিয়ে অনেক বেশি বেতনে চাকুরী করতে পারবেন। 

    সৌদি আরবে অটোমোবাইল সেক্টরে ১৫০০-১৮০০ রিয়াল অব্দি ইনকাম করে থাকেন অনেকেই। যারা এই সেক্টরে দক্ষ, তারা ৩০০০ হাজার রিয়াল অব্দি ইনকাম করে থাকে প্রতি মাসে। অটোমোবাইল কাজে দক্ষতা অর্জন করে বিএমইটি থেকে সার্টিফিকেট নিয়ে সৌদি গেলে আপনিও এই পরিমাণ টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

    সৌদি আরব যেতে খরচ কত

    প্রবাসে গিয়ে টাকা উপার্জন করতে চান এমন মানুষের মাঝে অধিকাংশ মানুষ প্রশ্ন করে থাকেন যে বিদেশ যেতে কত টাকা লাগে। এছাড়াও, যারা আবার সৌদি আরব যেতে চান, তারা প্রশ্ন করে থাকেন যে সৌদি আরব যেতে খরচ কত টাকা লাগে? আপনিও নিশ্চয়ই সৌদি আরব যেতে চান এবং সৌদি আরব যাওয়ার খরচ কত টাকা লাগে জানতে চান?

    সৌদি আরব যাওয়ার জন্য সরকারিভাবে ৪-৫ লক্ষ টাকা লেগে থাকে। এজন্য, আপনাকে সরকারিভাবে সৌদি যাওয়ার জন্য ভিসা আবেদন করতে হবে। কিন্তু, আপনি যদি কোনো দালালের সহযোগিতা নিয়ে সৌদি যেতে চান বা কোনো ভিসা এজেন্সির সহযোগিতা নিয়ে সৌদি যেতে চান, তবে ৭-৮ লক্ষ টাকা অব্দি লাগতে পারে।

    সৌদি আরব যাওয়ার জন্য ভিসা আবেদন করার সময় ভিসা ফি, ফ্লাইট টিকেট, ভিসা প্রসেসিং সহ আরও আনুসাঙ্গিক ক্ষেত্রে টাকা লাগবে। তাই, আপনি কারও সহযোগিতা না নিয়ে নিজেই যদি ভিসা আবেদন সহ সকল কাজ করেন, তবে অল্প টাকার মাঝেই সৌদি যেতে পারবেন। তবে, অবশ্যই যে কাজের জন্য ভিসা আবেদন করবেন, সেই কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করে নিবেন।

    নয়তো, ভিসা না পাওয়া সহ আরও অনেক জটিল সমস্যায় পড়তে হতে পারে। এছাড়া, আপনি যে কাজে দক্ষ সেই কাজের জন্য ভিসা আবেদন করলে অল্প সময়ে ভিসা পাওয়া সহ বেশি বেতনে কাজ করতে পারবেন। যদি কোনো ভিসা এজেন্সির সহযোগিতা নেন বা কোনো দালালের সহযোগিতা নেন, তবে তারা আপনার হয়ে সকল কাজ করে দিবে।


    আরও পড়ুনঃ মৌজা বের করবো কিভাবে – মৌজা ডাউনলোড করার নিয়ম


    আমাদের শেষ কথা

    আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে সৌদি আরব কোন কাজের চাহিদা কেমন এবং সৌদি যেতে কত টাকা খরচ হয় এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে থাকলে সৌদি আরবের চাহিদা বেশি এমন কাজগুলো সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন। এছাড়াও, সৌদি ভিসা করতে কত টাকা লাগে এটিও জানতে পারবেন। 

    আরও কোনো প্রশ্ন থাকলে মন্তব্য করতে পারেন। এছাড়াও, নিচের FAQ গুলো দেখতে পারেন।

    FAQ

    সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো?

    সৌদি আরব ওয়েল্ডিং, অটোমোবাইল, টেকনিশিয়ান ভিসা ভালো। এসব ভিসায় গেলে বেশি বেতনে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়।

    সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি?

    সৌদি আরবে ওয়েল্ডিং কাজের এবং অটোমোবাইল কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি।

  • কাজের ভিসায় ফিনল্যান্ড যাওয়ার নিয়ম

    কাজের ভিসায় ফিনল্যান্ড যাওয়ার নিয়ম

    কাজের ভিসায় ফিনল্যান্ড যেতে চাচ্ছেন? কাজের ভিসায় ফিনল্যান্ড যাওয়ার নিয়ম, ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা খরচ হবে এবং ফিনল্যান্ড টাকার রেট কত এসব বিষয়ে নিয়ে এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তো চলুন, ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ফিনল্যান্ড যেতে কি কি লাগবে এসব বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

    অনেকেই ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় অন্য দেশ যেতে চান। যেসব দেশের টাকার রেট বেশি, সেসব দেশে গেলে অল্প সময়ে অধিক টাকা উপার্জন করা সম্ভব। কাজের ভিসায় ফিনল্যান্ড যেতে চান অনেকেই। তো চলুন, ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ফিনল্যান্ড যেতে কি কি লাগবে জেনে নেয়া যাক।

    কাজের ভিসায় ফিনল্যান্ড যাওয়ার নিয়ম

    যেকোনো দেশে কাজের ভিসায় ফিনল্যান্ড যেতে চাইলে অবশ্যই একটি ওয়ার্ক পারমিট লাগবে। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসা নিয়ে ফিনল্যান্ড যেতে চান, তবে ভিসা আবেদন করার জন্য একটি ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করতে হবে। তো চলুন, কীভাবে ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করতে হবে এবং ওয়ার্ক পারমিট দিয়ে ভিসা আবেদন করতে হবে জেনে নেয়া যাক।

    ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করার নিয়ম

    কাজের ভিসায় ফিনল্যান্ড যেতে চাইলে একটি ওয়ার্ক পারমিট আবশ্যক। তাই, আপনি যে কাজে দক্ষ বা যে কোম্পানিতে কাজ করতে আগ্রহী, সেই কোম্পানিতে ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য আবেদন করতে হবে। ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে আমি প্রবাসী অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য, বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

    অতঃপর, আপনি যে কাজে আবেদন করতে চান, সেটিতে আবেদন করে ওয়ার্ক পারমিট নিতে পারবেন। অথবা, আপনি চাইলে বেসরকারি কোনো ভিসা এজেন্সির সহযোগিতা নিয়ে ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করতে পারেন। তবে, ভিসা এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করে ভিসা নিতে চাইলে অর্থ খরচ করতে হবে।

    মনে করুন, আপনি একটি ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করে ফেলেছেন। তো চলুন, এখন আমরা এই ওয়ার্ক পারমিট দিয়ে ভিসা আবেদন করবো। তো, ফিনল্যান্ড ভিসা আবেদন করতে কি কি লাগে এটি জানতে হবে। নিচে এসব বিষয় উল্লেখ করে দিয়েছি।

    কাজের ভিসায় ফিনল্যান্ড যেতে কি কি লাগে

    কাজের ভিসায় ফিনল্যান্ড যেতে চাইলে অবশ্যই একটি ওয়ার্ক পারমিট লাগবে। ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পর ভিসা আবেদন করতে হবে। ফিনল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে কি কি লাগবে তার একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করে দিয়েছি। চলুন, জেনে নেয়া যাক।

    • কমপক্ষে ৬ মাস বা তার বেশি মেয়াদ আছে এমন পাসপোর্ট
    • সম্প্রতি তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
    • ভিসা প্রসেসিং ফি
    • ব্যাংক স্টেটমেন্ট
    • শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ (এসএসসি/এইচএসসি সার্টিফিকেট)
    • কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ (যদি থাকে)
    • মেডিকেল টেস্ট এর রিপোর্ট
    • জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
    • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
    • ওয়ার্ক পারমিট ডকুমেন্ট

    উপরোক্ত ডকুমেন্টগুলো ফিনল্যান্ড ভিসা আবেদন করার সময় অবশ্যই লাগবে। তাই, ভিসা আবেদন করার সময় উপরোক্ত কাগজপত্রগুলো সত্যায়িত করে সঙ্গে রাখুন।

    ফিনল্যান্ড কাজের ভিসা আবেদন করার নিয়ম

    ফিনল্যান্ড কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে যেকোনো ভিসা এজেন্সির সহযোগিতা নিতে পারেন। অথবা, কোনো দালালের সহযোগিতা নিতে পারেন। অথবা, আপনি চাইলে নিজেই সরকারিভাবে ফিনল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

    সরকারিভাবে ফিনল্যান্ড কাজের ভিসার জন্য আবেদন করে ভিসা নিয়ে ফিনল্যান্ড যেতে পারবেন। ভিসা আবেদন করতে ফিনল্যান্ড এম্বাসিতে যোগাযোগ করতে হবে। এজন্য, নিউ দিল্লিতে অবস্থিত ফিনল্যান্ড এম্বাসির ওয়েবসাইট ভিজিট করে ভিসা আবেদন করতে পারেন। ভিসা আবেদন করার সময় উপরোক্ত কাগজপত্রগুলো লাগবে।

    ভিসা আবেদন করে একটি অ্যাপয়েনমেন্ট বুক করতে হবে। অতঃপর, ভিসা আবেদনটি প্রিন্ট করে সেটি সঙ্গে নিয়ে ফিনল্যান্ড এম্বাসিতে যেতে হবে। অতঃপর, বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান করে ভিস আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। অবশ্যই আপনার পাসপোর্টটি সেখানে জমা দিতে হবে। তাহলে, তারা আপনার পাসপোর্ট এবং ভিসা তৈরি করে দিবেন।

    এরপর, আপনি উক্ত ভিসা দিয়ে ফিনল্যান্ড যেতে পারবেন। তবে, ফিনল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ছাড়াও আরও অনেক ভিসায় যেতে পারবেন। যেমন – স্টুডেন্ট ভিসা, ট্রাভেল ভিসা, বিজনেস ভিসা ইত্যাদি। এসব ভিসা আবেদন করেও ফিনল্যান্ড যেতে পারবেন।


    ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা খরচ হয়

    ফিনল্যান্ড যেতে আপনি কয়েকটি পদ্ধতিতে ভিসা আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও, ভিসার ক্ষেত্রে ভিন্নতা রয়েছে। তাই, ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে তা নির্দিষ্ট নয়। ভিসার ধরণ এবং ভিসা আবেদন করার ধরণ অনুযায়ী ফিনল্যান্ড যেতে কম বা বেশি টাকা লেগে থাকে।

    আপনি যদি সরকারিভাবে কাজের ভিসায় ফিনল্যান্ড যেতে চান, তবে ৩-৪ লক্ষ টাকার মাঝেই যেতে পারবেন। তবে, কোনো ভিসা এজেন্সির সহজগিতা নিলে ৫-৬ লক্ষ টাকা অব্দি লাগতে পারে। কিন্তু, কোনো দালালের সহযোগিতা নিলে ৭-৮ লক্ষ টাকা অব্দি লাগতে পারে।

    এছাড়াও, স্টুডেন্ট ভিসায় ফিনল্যান্ড যেতে কম খরচ হয়ে থাকে। আপনি যদি ফিনল্যান্ড এর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করতে চান, তবে স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করতে পারেন। এজন্য, অ্যাডমিশন লেটার সংগ্রহ করতে হবে উক্ত কলেজ থেকে। অতঃপর, ভিসা আবেদন করে ২-৩ লক্ষ টাকার মাঝেই ফিনল্যান্ড চলে যেতে পারবেন।

    তবে, আরও কম খরচে ১-২ লক্ষ টাকার মাঝে ট্রাভেল ভিসায় ফিনল্যান্ড যাওয়া সম্ভব। ট্রাভেল ভিসা পাওয়া অনেক সহজ। অন্যান্য ভিসা আবেদন করার পর ভিসা হাতে পেতে অনেক সময় লাগে। ট্রাভেল ভিসায় কম খরচে ফিনল্যান্ড ভ্রমণ করতে যেতে পারবেন।

    ফিনল্যান্ড টাকার রেট কত

    ফিনল্যান্ড যেতে ইচ্ছুক অনেকেই ফিনল্যান্ড টাকার রেট কত জানতে চান। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ফিনল্যান্ড যেতে চান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে, তবে সেখানে অল্প টাকা উপার্জন করেই বাংলাদেশের অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

    কারণ, ফিনল্যান্ড এর টাকার রেট বাংলাদেশের টাকার থেকে অনেক বেশি। ফিনল্যান্ড ১ টাকা বাংলাদেশের ১১৯.৭৭ টাকা। এছাড়াও, ফিনল্যান্ড টাকার রেট কম বা বেশি হয়ে থাকে। তবে, ফিনল্যান্ড ইউরো সমান বাংলাদেশের ১১৯ টাকা থেকে ১২০ টাকা বা এর বেশি থাকে। আপনি যদি ফিনল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় গিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারেন, তবে সেখানের থেকে বাংলাদেশে ১০০ গুনের বেশি টাকা পাবেন।

    তাই, অল্প সময়ে অধিক টাকা উপার্জন করতে চাইলে ফিনল্যান্ড যেতে পারেন। ফিনল্যান্ড গিয়ে ১ ইউরো উপার্জন করলে সেটার রেট বাংলাদেশের আজকের টাকার রেট অনুযায়ী ১১৯ টাকার বেশি।


    FAQ

    ফিনল্যান্ডে কাজের ভিসা পেতে কতদিন লাগে?

    ফিনল্যান্ডে কাজের ভিসা পেতে ৩০ দিন থেকে ৬০ দিন পর্যন্ত সময় লেগে থাকে। ফিনিশ ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য আবেদন করে ২ মাসের মতো অপেক্ষা করতে হয়।

    আমি কিভাবে ফিনল্যান্ডে 90 দিনের বেশি সময় ধরে থাকতে পারি?

    ফিনল্যান্ড ট্রাভেল ভিসায় গেলে সর্বোচ্চ ৯০ দিন পর্যন্ত থাকা যায়। তবে, আপনি যদি ফিনল্যান্ডে ৯০ দিনের থেকে বেশি সময় যাবত থাকতে চান, তবে ফিনল্যান্ড আবাসিক পারমিট এর জন্য আবেদন করতে হবে। আবাসিক পারমিট পেলে সেখানে ৯০ দিনের থেকেও বেশি সময় থাকতে পারবেন।

    ফিনল্যান্ড ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা?

    ফিনল্যান্ড ১ টাকা বাংলাদেশের আজকের টাকার রেট অনুযায়ী ১১৯ টাকার বেশি। তবে, টাকার রেট প্রতিদিন কম বেশি হয়ে থাকে।

    ফিনল্যান্ড মুদ্রার নাম কি?

    ফিনল্যান্ড মুদ্রার নাম হচ্ছে ইউরো।


    আরও পড়ুন: বোয়েসেলের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায়

    আরও পড়ুন: লিবিয়া যেতে কত টাকা লাগে এবং লিবিয়া যাওয়ার উপায়

    আরও পড়ুন: লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায় ও খরচ


    আমাদের শেষ কথা

    আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে ফিনল্যান্ড কাজের ভিসায় যাওয়ার নিয়ম, ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে এবং ফিনল্যান্ড টাকার রেট কত তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আপনি যদি ফিনল্যান্ড যেতে চান, তবে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। এতে করে, ফিনল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করা থেকে শুরু করে ভিসা আবেদন করা অব্দি কী কী করতে হবে জানতে পারবেন। এমন আরও পোস্ট পড়তে ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

  • বোয়েসেলের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায়

    বোয়েসেলের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায়

    স্বপ্নের দেশ দক্ষিণ কোরিয়া যেতে চান? কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায় জানেন না? দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কত টাকা লাগে এবং দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কি কি লাগে এসব জানেন না?

    দক্ষিণ কোরিয়া ভিসা আবেদন করার নিয়ম এবং দক্ষিণ কোরিয়া যেতে যা যা করতে হবে সবকিছু নিয়ে আজকের এই ব্লগে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তো চলুন, কীভাবে দক্ষিণ কোরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করা যায় এবং দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।


    দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায়

    দক্ষিণ কোরিয়ার শিল্প খাতে কর্মসংস্থান পারমিট সিস্টেম (ইপিএস)-এর মাধ্যমে প্রতিবছর হাজার হাজার বাংলাদেশি কর্মী সরকারিভাবে দেশটিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছেন। বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল) এই কর্মীদের নির্বাচন ও প্রেরণের দায়িত্ব পালন করে।

    বোয়েসেলের তথ্য অনুযায়ী, পূর্বের বছরে ৫ হাজার+ বাংলাদেশি কর্মী দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মসংস্থানের জন্য গেছেন। ২০২৪ সালে ৩ থেকে ৪ হাজার বাংলাদেশি কর্মী দক্ষিণ কোরিয়ায় যেতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে যে, তাদের ন্যূনতম মাসিক আয় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। অতিরিক্ত সময় কাজ করলে তাদের আয় তিন লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। বেতনের সাথে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও কোম্পানি প্রদান করে। অনেক কর্মী প্রতি মাসে তাদের পরিবারের জন্য ১ লাখ টাকা পর্যন্ত রেমিট্যান্স পাঠাতে পারেন।

    দক্ষিণ কোরিয়া গেলে প্রতি মাসে উপরোক্ত বেতনের মতোই আয় করতে পারবেন প্রতি মাসে। তো চলুন, দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কি কি লাগে এবং কত টাকা লাগে এসব বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

    দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কি কি লাগে

    দক্ষিণ কোরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চাইলে ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করার জন্য এবং ভিসা আবেদন করতে কিছু ডকুমেন্ট লাগবে। দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কি কি লাগে তার একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করে দিয়েছি। দেখে নিতে পারেন।

    • ৬ মাস বা এর বেশি মেয়াদ আছে এমন পাসপোর্ট
    • দক্ষিণ কোরিয়া ওয়ার্ক পারমিট
    • মেডিকেল রিপোর্ট
    • কোরিয়ান ভাষার দক্ষতার সার্টিফিকেট
    • কাজের দক্ষতার প্রমাণপত্র
    • জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি
    • কালার ব্লাইন্ড বা বর্ণান্ধ হওয়া যাবেনা
    • বোয়েসেল ফি
    • বোয়েসেলে জামানত
    • এছাড়াও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট

    উপরোক্ত ডকুমেন্টগুলো এবং ভিসা প্রসেসিং ফি, বোয়েসেলে জমা দেয়া জামানত এসবকিছু থাকলে আপনিও যেতে পারবেন দক্ষিণ কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে প্রতি বছর কর্মী নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়া গিয়ে প্রতি মাসে ১.৫ লক্ষ টাকা থেকে ওভারটাইম সহ ২.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। অনেকেই ওভারটাইম করে প্রতি মাসে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করছে।

    দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে তা তো জানা হলো, চলুন, দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কত টাকা লাগে জেনে নেয়া যাক।

    দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কত টাকা লাগে

    দক্ষিণ কোরিয়া যেতে অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম খরচ হয়। দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মরত একজন শ্রমিকের থেকে জানা গেছে যে, বোয়েসেল সার্ভিস চার্জ সহ প্রায় ৩৪ হাজার টাকা জমা দিতে হয়। এছাড়া, বোয়েসেলের কাছে ১ লক্ষ টাকা জামানত রাখতে হয় এবং বিমান ভাড়া প্রায় ৫০ হাজার টাকায় মতো যায়। সবমিলিয়ে মোট ২ লক্ষ টাকার মাঝেই দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসায় আসা যায়।

    কাজের ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার জন্য বোয়েসেলের কাছে জামানত রাখা ১ লক্ষ টাকার পরিমাণ এখন বাড়িয়ে ৩ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। তবে, কন্ট্রাক্ট শেষে দেশে ফিরে বোয়েসেলের কাছে আবেদন করে জামানতের পুরো টাকা ফেরত পাওয়া যায়। তাই, জামানতের টাকার হিসেব বাদ দিয়ে মাত্র ১ লক্ষ টাকার মাঝেই দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়া যায় বলা চলে।

    তবে, অন্যান্য খরচ যেমন পাসপোর্ট, ভিসা প্রসেসিং এবং আনুসাঙ্গিক খরচ মিলিয়ে মাত্র ১.৫ লক্ষ টাকা লাগতে পারে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে। এছাড়া, মোট হিসেব করলে জামানত সহ মাত্র ৪.৫ লক্ষ টাকায় দক্ষিণ কোরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যাওয়া সম্ভব।


    ছয়টি ধাপে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায়

    দক্ষিণ কোরিয়া যেতে হলে ছয়টি ধাপ অতিক্রম করতে হবে। এই ছয়টি ধাপ অতিক্রম করে কীভাবে সহজেই দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়া যায়, সেসব জানতে পারবেন নিচে উল্লিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে। তো, দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায়গুলো জেনে নেয়া যাক।

    ধাপ ১ – অনলাইনে আবেদন

    দক্ষিণ কোরিয়া যেতে চাইলে প্রথমেই বোয়েসেলের ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে আবেদন করার পর লটারি করা হয়। প্রতি বছর মার্চ-এপ্রিল মাসে লটারির জন্য নিবন্ধন শুরু হয়। নিবন্ধন শেষ হওয়ার পর লটারি করা হয়। লটারি শেষে যাদের নাম আসে, তারা দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার সুযোগ পান।

    ধাপ ২ – কোরিয়ান ভাষা 

    দক্ষিণ কোরিয়া যেতে হলে কোরিয়ান ভাষা শিখতে হবে। লটারিতে নাম আসার পর প্রার্থীরা ২ মাসের সময় পান কোরিয়ান ভাষা শেখার জন্য। ২ মাস পর তাদের কোরিয়ান ভাষার পরীক্ষা নেয়া হয়। এইচআরডি কোরিয়া থেকে মোট ২০০ নম্বরের পরীক্ষা নেয়া হয়। এর মাঝে রিডিং ১০০ নাম্বার এবং লিসেনিং ১০০ নাম্বার। পরীক্ষার সময় ৫০ মিনিট।

    পরীক্ষা শেষে উত্তীর্ণ হলে স্কিল টেস্ট নেয়া হয়। 

    ধাপ ৩ – স্কিল টেস্ট

    দক্ষিণ কোরিয়া গিয়ে কাজ করার সক্ষমতা যাচাই করার জন্য স্কিল টেস্ট নেয়া হয়ে থাকে। এইচআরডি কোরিয়ার প্রতিনিধিরা এই পরীক্ষা নিয়ে থাকে। পরীক্ষায় কিছু রিং দেয়া হয়, সেগুলো দ্রুত মেশিনে লাগাতে হয়। এভাবে করে আরও কিছু ধাপ অতিক্রম করে স্কিল টেস্ট এক্সাম দিতে হয়। এছাড়াও, আবেদনকারী প্রার্থীরা কালার ব্লাইন্ড বা বর্ণান্ধ কিনা সেটি যাচাই করা হয়। 

    ধাপ ৪ – মেডিকেল টেস্ট

    ভাষা পরীক্ষা এবং স্কিল টেস্ট এ উত্তীর্ণ হওয়ার পর নির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হয়। প্রথমত, তাদের নিজ নিজ জেলার সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা দিতে হবে। এই পরীক্ষায় রক্ত পরীক্ষা, যক্ষ্মা ও হেপাটাইটিস ‘বি’ পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত থাকে। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রার্থীদের নিজ নিজ থানা থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ সংগ্রহ করতে হয়।

    ধাপ ৫ – বোয়েসেল ফি এবং জামানত

    উপরোক্ত ধাপগুলো সম্পন্ন করার পর বোয়েসেল ফি এবং বোয়েসেলে জামানত প্রদান করতে হয়। পূর্বে ১ লক্ষ টাকা জামানত নিলেও এখন ৩ লক্ষ টাকা জামানত নেয়া হয় বলে জানা গেছে। এছাড়া, বোয়েসেলের ফি প্রায় ৩৪ হাজার টাকার মতো লাগে। এই ফি এবং জামানত প্রদান করতে হয়। জামানতের টাকা কন্ট্রাক্ট শেষে দেশে ফিরে আবেদন করলে ফিরিয়ে দেয়া হয়।

    তবে, কন্ট্রাক্ট শেষে অন্য কোম্পানির সাথে আবারও কন্ট্রাক্ট করলে এই জামানতের টাকা ফেরত দেয়া হয়না বলে জানা গেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রবাসীরা এই নিয়মের পরিবর্তন চাচ্ছেন। 

    ধাপ ৬ – ফ্লাইট টিকেট ক্রয়

    সকল কাজ শেষে ফ্লাইট টিকেট কাটতে হয়। এজন্য ৫০ হাজার টাকা থেকে ৭০ হাজার টাকা লেগে থাকে। ফ্লাইট টিকেট কেটে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়া যায়। এরপর, প্রটি মাসে ১.৫ লক্ষ টাকা সহ ওভারটাইম করলে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা যায়। প্রতি মাসে নিজের ব্যক্তিগত খরচ ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ হলেও প্রায় সব টাকাই জমানো যায়। 

    এছাড়া, থাকা এবং খাওয়ার খরচ তো কোম্পানি বহন করেই। তাই, দক্ষিণ কোরিয়া যেতে চাইলে লটারি নিবন্ধন শুরু হতেই আবেদন করুন এবং এই পোস্টে উল্লিখিত উপরোক্ত সকল ধাপ অতিক্রম করে দক্ষিণ কোরিয়া গিয়ে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করুন। 


    আরও পড়ুনঃ লিবিয়া যেতে কত টাকা লাগে এবং লিবিয়া যাওয়ার উপায়

    আরও পড়ুনঃ লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায় ও খরচ

    আরও পড়ুনঃ অনলাইনে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম


    শেষ কথা

    এতক্ষণ যাবত দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি। পোস্টে উল্লেখ করে দেয়া দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায় এবং ধাপগুলো অনুসরণ করলে সহজেই কোরিয়া যেতে পারবেন। 

    প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আজকের এই পোস্টে আমরা বোয়েসেলের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার সহজ উপায়, খরচ ও আবেদনের নিয়ম সম্পর্কে জানলাম। পরবর্তী পোস্টে আমরা এশিয়া অথবা ইউরোপের অন্য কোনো দেশের ভিসার আপডেট সম্পর্কে জানবো। নিয়মিত ইউরোপের উচ্চশিক্ষা, মধ্যপ্রাচ্যের ভিসা আপডেট ও শিক্ষার আপডেট জানতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট। এবং ফেসবুকে নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের অফিশিয়াল পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন।

  • লিবিয়া যেতে কত টাকা লাগে এবং লিবিয়া যাওয়ার উপায়

    লিবিয়া যেতে কত টাকা লাগে এবং লিবিয়া যাওয়ার উপায়

    লিবিয়া যেতে কত টাকা লাগে এবং লিবিয়া যাওয়ার উপায় নিয়ে আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো। লিবিয়া যেতে চাইলে লিবিয়া ভিসা করার নিয়ম এবং লিবিয়া যেতে কি কি লাগে জানা জরুরি।

    লিবিয়া উত্তর আফ্রিকায় অবস্থিত একটি দেশ। এটি ভূমধ্যসাগরের দক্ষিণ তীরে অবস্থিত এবং এর পূর্বে মিশর, দক্ষিণ-পূর্বে সুদান, দক্ষিণে চাদ এবং নাইজার, এবং পশ্চিমে আলজেরিয়া এবং তিউনিসিয়া রয়েছে। লিবিয়ার আয়তন ১,৭৫৯,৫৪০ বর্গ কিলোমিটার (৬৭৯,৩৫৮ বর্গ মাইল), যা এটিকে বিশ্বের ১৭ তম বৃহত্তম দেশ করে তোলে। লিবিয়ার জনসংখ্যা প্রায় সাত মিলিয়ন, যার বেশিরভাগই ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলে বাস করে।

    আমাদের দেশের অনেকেই লিবিয়া গিয়ে টাকা উপার্জন করতে আগ্রহী। কিন্তু, লিবিয়া যেতে কি কি লাগে, লিবিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং লিবিয়া যেতে কত টাকা লাগে  এবং লিবিয়া যাওয়ার উপায় এসব জানেন না। তো চলুন, লিবিয়া ভিসা করতে কি কি লাগে এবং লিবিয়া ভিসা আবেদন করার নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেয়া যাক।


    লিবিয়া যেতে কত টাকা লাগে

    সরকারিভাবে লিবিয়া যেতে ১ লক্ষ টাকা থেকে ২.৫ লক্ষ টাকা লেগে থাকে। তবে, কোনো ভিসা এজেন্সির সহযোগিতা নিয়ে লিবিয়া ভিসা করলে ৩ লক্ষ টাকা থেকে ৪ লক্ষ টাকা লাগতে পারে। কিন্তু, আপনি যদি কোনো দালালের সহযোগিতা নিয়ে লিবিয়া ভিসা করেন, তাহলে ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা লাগতে পারে।

    লিবিয়া ভিসা করতে কত টাকা লাগবে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনি কোন ভিসার জন্য আবেদন করছেন এবং কোন মাধ্যমে আবেদন করছেন। লিবিয়ার কয়েক ধরনের ভিসা রয়েছে। এগুলো হচ্ছে – লিবিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, লিবিয়া ভিজিট ভিসা এবং লিবিয়া স্টুডেন্ট ভিসা।

    এই তিনটি ভিসায় লিবিয়া যেতে পারবেন। লিবিয়া যেতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ৩ লক্ষ টাকা থেকে ৪ লক্ষ টাকা লাগে। স্টুডেন্ট ভিসায় লিবিয়া যেতে ৭০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকা লেগে থাকে। তবে, ভিজিট ভিসায় লিবিয়া যেতে ১ থেকে ১.৫ লক্ষ টাকা লেগে থাকে।

    ভিসা এজেন্সির কিংবা দালালের সহযোগিতা নিলে লিবিয়া যেতে ভিসা খরচ বেশি হবে। নিজে থেকে আবেদন করলে এবং সরকারি ভাবে লিবিয়া যেতে খুবই কম খরচ লাগে।


    লিবিয়া যেতে কি কি লাগে

    লিবিয়া যেতে চাইলে কিছু ডকুমেন্ট লাগবে। লিবিয়া যেতে কি কি কাগজ লাগে তার একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করে দিয়েছি। লিবিয়া কাজের ভিসায় যেতে চাইলে লিবিয়া যেতে কি কি কাগজপত্র লাগবে দেখে নিতে পারেন। 

    • ৬ মাস মেয়াদি বৈধ বাংলাদেশি পাসপোর্ট
    • এনআইডি কার্ডের কপি
    • জন্ম সনদ (যদি লাগে)
    • সদ্য তোলা ০২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
    • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
    • মেডিকেল রিপোর্ট এর কপি।
    • কাজের দক্ষতার প্রমাণপত্র।
    • লিবিয়া ওয়ার্ক পারমিট এর কপি।
    • ব্যাংক স্টেটমেন্ট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।

    উপরোক্ত কাগজপত্রগুলো হলে লিবিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করে সহজেই লিবিয়া যেতে পারবেন। লিবিয়া যেতে হলে এসব ডকুমেন্ট লাগবেই। তবে, লিবিয়া ভিসা আবেদন করার পূর্বে লিবিয়া ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করতে হবে। ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া লিবিয়া ভিসা আবেদন করতে পারবেন না।


    লিবিয়া ওয়ার্ক পারমিট আবেদন

    লিবিয়া ওয়ার্ক পারমিট না হলে আপনি কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। লিবিয়া ওয়ার্ক পারমিট নিতে হলে উপরোক্ত ডকুমেন্টগুলো দিয়ে যে কোম্পানিতে কাজ করতে চাচ্ছেন বা যে নিয়োগকর্তার অধীনে কাজ করতে চাচ্ছেন, তার থেকে একটি ওয়ার্ক পারমিট নিতে হবে।

    ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারেন কিংবা কোনো ভিসা এজেন্সির সহযোগিতা নিয়ে ওয়ার্ক পারমিট নিতে পারেন। ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পর কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন অনলাইনে কিংবা লিবিয়া ভিসা কনস্যুলেট এর মাধ্যমে।

    লিবিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি

    লিবিয়া গিয়ে এমন কিছু কাজ করতে পারবেন যার চাহিদা অনেক বেশি। লিবিয়ায় যেসব কাজের চাহিদা বেশি, সেসব কাজ করলে অল্প সময়ের মাঝে ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। লিবিয়ায় যেসব কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি এগুলো হচ্ছে –

    • টাইলসের কাজ
    • রেস্টুরেন্টের কাজ
    • রাজমিস্ত্রির কাজ
    • বাসা বাড়ির কাজ
    • হোটেলের কাজ

    উপরোক্ত কাজগুলোর লিবিয়ায় অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে। এই কাজগুলোর ভিসা করে লিবিয়া যেতে পারলে ভালো পরিমাণ বেতনে কাজ করতে পারবেন। লিবিয়ার টাকার মান বেশি হওয়ার কারণে অল্প ইনকামে বেশি টাকা পাবেন।


    লিবিয়া যাওয়ার উপায়

    সহজে লিবিয়া যাওয়ার উপায় হচ্ছে লিবিয়া ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য আবেদন করা এবং ওয়ার্ক পারমিট দিয়ে লিবিয়া ভিসার জন্য আবেদন করা। লিবিয়া গিয়ে কাজ করতে চাইলে অবশ্যই লিবিয়া ওয়ার্ক পারমিট নিতে হবে। ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পর কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।

    লিবিয়া যাওয়ার উপায় নিচে ধাপে ধাপে উল্লেখ করে দিয়েছি। নিম্নোক্ত ধাপগুলো অনুসরণ করে লিবিয়া কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। 

    ধাপ ১ – লিবিয়া ওয়ার্ক পারমিট আবেদন

    লিবিয়া যেতে হলে প্রথমেই ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য আবেদন করতে হবে। লিবিয়া ওয়ার্ক পারমিট পেতে পাসপোর্ট, কাজের দক্ষতার প্রমাণপত্র, মেডিকেল রিপোর্ট ইত্যাদি দিয়ে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে হবে।

    যে কোম্পানিতে কাজ করতে ইচ্ছুক, সেখানে অনলাইনে বা ভিসা এজেন্সির মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এরপর, ওয়ার্ক পারমিট পেয়ে গেলে ভিসা আবেদন করতে পারবেন ওয়ার্ক পারমিট দিয়ে।

    ধাপ ২ – ভিসা আবেদন করুন

    লিবিয়া ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পর কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। লিবিয়া কাজের ভিসার আবেদন করতে বাংলাদেশের ঢাকায় অবস্থিত লিবিয়া ভিসা এম্বাসিতে যোগাযোগ করতে হবে। এরপর, তাদের থেকে আপনি যে কাজের ভিসায় লিবিয়া যেতে চাচ্ছেন, সেই কাজের ভিসা ফরম নিতে হবে।

    অতঃপর, সকল তথ্য দিয়ে ভিসা আবেদন পূরণ করতে হবে। ভিসা আবেদন পূরণ করার পর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে।

    ধাপ ৩ – প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ ভিসা আবেদন জমাদান

    লিবিয়া ভিসা ফরম পূরণ করার পর প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র সহ লিবিয়া ভিসা ফরমটি জমা দিতে হবে লিবিয়া ভিসা এম্বাসিতে। এরপর, আপনার স্বাক্ষর, বায়োমেট্রিক তথ্য এবং আইরিশ প্রদান করতে হবে।

    ভিসা ফি, ভিসা প্রসেসিং ফি এবং অন্যান্য আনুসাঙ্গিক সকল খরচ দিয়ে সহজেই ভিসা করতে পারবেন। ভিসা আবেদন করার পর অপেক্ষা করতে হবে ভিসা প্রসেসিং হওয়ার জন্য। ভিসা প্রসেসিং হলে ফ্লাইট টিকেট কেটে লিবিয়া যেতে পারবেন।

    লিবিয়া যেতে হলে উপরোক্ত ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারেন। লিবিয়া কাজের ভিসা পেতে লিবিয়া ভিসা এম্বাসিতে যোগাযোগ করুন। আশা করছি, লিবিয়া যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

    লিবিয়া যাওয়ার উপায় তো জানা হলো, চলুন লিবিয়া যেতে কত বয়স লাগে এবং লিবিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি জেনে নেয়া যাক।


    আরও পড়ুন: লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায় ও খরচ

    আরও পড়ুন: অনলাইনে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম


    লিবিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে

    লিবিয়া যেতে কমপক্ষে ১৮ বছর বয়স হতে হবে। ১৮ বছর বয়সের কম হলে লিবিয়া ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। লিবিয়া ভিসার জন্য পাসপোর্ট করতেও ১৮ বছর বয়স হতে হবে। এছাড়া, ১৮ বছর বয়সের নিচে তো এখন জাতীয় পরিচয় পত্র দেয়ইনা। ১৮ বছর বয়স হলে লিবিয়া কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

    লিবিয়া কোন কাজের বেতন কত 

    লিবিয়াতে বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন। কাজের উপর ভিত্তি করে বেতন নির্ধারিত হয়ে থাকে। লিবিয়া গিয়ে যেকোনো কাজ করে প্রতি মাসে ৬০ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। লিবিয়া কাজের উপর দক্ষতা থাকলে আরও বেশি বেতন পাওয়া যায়। যে কাজের ভিসা করবেন, সেই কাজে দক্ষতা থাকলে আরও বেশি বেতনে কাজ করতে পারবেন। 

    আমাদের শেষ কথা

    আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে লিবিয়া যাওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি। লিবিয়া যেতে কত টাকা লাগে এবং লিবিয়া যেতে কি কি লাগে আশা করছি বুঝতে পেরেছেন। যারা বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসায় লিবিয়া যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য পোস্টটি গুরুত্বপূর্ণ হবে। ভিসা সম্পর্কিত আরও এমন তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি প্রতিনিয়ত ভিজিট করুন।

  • লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায় ও খরচ

    লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায় ও খরচ

    লুক্সেমবার্গ হচ্ছে পশ্চিম ইউরোপের একটি দেশ। লুক্সেমবার্গ গিয়ে টাকা আয় করতে চাইলে লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে হবে। লুক্সেমবার্গ যেতে কত টাকা লাগে, লুক্সেমবার্গ বেতন কত টাকা এবং লুক্সেমবার্গ কোন কাজের চাহিদা বেশি তা নিয়েই আজকে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো। 

    অনেকের ইচ্ছে ইউরোপ গিয়ে টাকা উপার্জন করা। ইউরোপের টাকার মান বেশি, জীবনযাত্রার মান অনেক উন্নত হওয়ার কারণে আমাদের দেশের অনেকেই ইউরোপ যেতে চান। ইউরোপের উন্নত দেশগুলোর মাঝে লুক্সেমবার্গ অন্যতম। বলা হয়ে থাকে লুক্সেমবার্গের প্রতিটি মানুষ মিলিয়নিয়ার। 

    তো চলুন, কিভাবে লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে হয় এবং লুক্সেমবার্গে কোন কাজের চাহিদা বেশি জেনে নেয়া যাক।

     


    লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

    লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে হলে প্রথমেই আপনাকে একটি ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করতে হবে। আপনি যে কোম্পানি বা যার অধীনে কাজ করতে যাচ্ছেন, তার থেকে ওয়ার্ক পারমিট নিতে পারবেন। ওয়ার্ক পারমিট নেয়ার পর ভিসা আবেদন করতে হবে। ভিসা আবেদন করতে স্থানীয় লুক্সেমবার্গ ভিসা এম্বাসিতে যোগাযোগ করতে হবে।

    লুক্সেমবার্গ ভিসা এম্বাসিতে যোগাযোগ করে ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। এরপর, সকল কাগজপত্র জমা দিতে হবে। এজন্য একটি অ্যাপয়েনমেন্ট নিয়ে ভিসা আবেদন ফরম সহ সকল কাগজপত্র জমা দিতে হবে। জমা দেয়ার পর ভিসা প্রসেসিং হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

    লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে কি কি লাগে

    লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করার জন্য কিছু ডকুমেন্ট লাগবে। এছাড়াও, লুক্সেমবার্গ কাজের ভিসা আবেদন করতেও কিছু ডকুমেন্ট লাগবে। যা যা লাগবে – 

    • ৬ মাস মেয়াদ সহ বৈধ পাসপোর্ট
    • পাসপোর্ট সাইজের সদ্য তোলা ০২ কপি রঙিন ছবি
    • লুক্সেমবার্গ ভিসা আবেদন পূরণকরা ফরম
    • শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কর্ম অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র
    • ব্যাংক স্টেটমেন্ট
    • ওয়ার্ক পারমিট
    • মেডিকেল রিপোর্ট

    উপরোক্ত ডকুমেন্টগুলো দিয়ে লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক পারমিট দিয়ে ভিসা আবেদন করতে পারবেন। ভিসা তৈরি হয়ে গেলে লুক্সেমবার্গ গিয়ে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তো চলুন, লুক্সেমবার্গ যেতে কত টাকা লাগে জেনে নেয়া যাক।


    লুক্সেমবার্গ যেতে কত টাকা লাগে

    লুক্সেমবার্গ যেতে ভিসা প্রসেসিং ফি, ফ্লাইট টিকেট, মেডিকেল চেকআপ, পাসপোর্ট সহ আনুসাঙ্গিক খরচ মিলে মোট ৭-৮ লক্ষ টাকা লেগে থাকে। তবে, যদি কোনো ভিসা এজেন্সির সহযোগিতা নেন কিংবা দালালের সহযোগিতা নেন, তাহলে লুক্সেমবার্গ ভিসা করতে আরও বেশি খরচ হতে পারে।

    লুক্সেমবার্গ কাজের ভিসা করতে ৭ লক্ষ টাকা থেকে ৮ লক্ষ টাকা লাগতে পারে ভিসা ফি, প্লেনের টিকেট, মেডিকেল চেকআপ এবং আনুসাঙ্গিক খরচ সহ। তাহলে, বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসায় লুক্সেমবার্গ যেতে পারবেন। লুক্সেমবার্গ গিয়ে যে কাজে দক্ষ সেই কাজ করে অল্প সময়ে ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। 

    লুক্সেমবার্গ কোন কাজের চাহিদা বেশি

    লুক্সেমবার্গে আইটি এবং টেকনোলজি, বৈদেশিক ভাষা বিশেষজ্ঞ, স্বাস্থ্যসেবা, ইঞ্জিনিয়ারিং, নির্মাণ ইত্যাদি কাজে অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে। এই কাজগুলো করে অল্প সময়ে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে, আপনাকে অবশ্যই এসব কাজের উপর দক্ষতার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে।

    লুক্সেমবার্গ এ প্রায় সকল কাজেই চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি কোনো কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন, তাহলে যেকোনো কাজ করেই ভালো পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবেন। লুক্সেমবার্গ এর সকলেই মিলিয়নিয়ার এমন একটি প্রবাদ প্রচলিত আছে। তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন লুক্সেমবার্গ কাজের ভিসায় গিয়ে কী পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।


    আমাদের শেষ কথা

    এই পোস্টে আপনাদের সাথে লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার নিয়ম, ভিসা করতে কি কি লাগে এবং লুক্সেমবার্গ কোন কাজের চাহিদা বেশি এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসায় লুক্সেমবার্গ যেতে চান, তবে আশা করছি পোস্টটি আপনার জন্য সহায়ক হবে।

     

    প্রিয় পাঠক বন্ধু, আজকের এই পোস্টে আমরা লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যাওয়ার উপায়, খরচ ও আবেদনের নিয়ম সম্পর্কে জানলাম। পরবর্তী পোস্টে আমরা ইউরোপের অন্য কোনো দেশের ভিসার আপডেট সম্পর্কে জানবো। নিয়মিত ইউরোপের উচ্চশিক্ষা, মধ্যপ্রাচ্যের ভিসা আপডেট ও শিক্ষার আপডেট জানতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট। এবং ফেসবুকে নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের অফিশিয়াল পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন।