Tag: বুলগেরিয়া টাকার মান কত

  • বুলগেরিয়া কাজের ভিসা এবং টাকার মান কেমন

    বুলগেরিয়া কাজের ভিসা এবং টাকার মান কেমন

    ইউরোপ যাওয়ার ইচ্ছে থাকলে ইউরোপ মহাদেশের বুলগেরিয়া যেতে পারেন। বুলগেরিয়া যেতে চাইলে বুলগেরিয়া কাজের ভিসার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। কারণ,সার্কুলার প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত আপনি বুলগেরিয়া কাজের ভিসায় আবেদন করতে পারবেন না।

    আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে বুলগেরিয়া কাজের ভিসা এবং বুলগেরিয়া টাকার মান কেমন এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। ইউরোপের উন্নত দেশ বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চাইলে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। এতে করে, কীভাবে ওয়ার্ক পারমিট পাবেন এবং ওয়ার্ক পারমিট দিয়ে ভিসা আবেদন করবেন এসব তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন।

    এছাড়াও, বুলগেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে, বুলগেরিয়া ভিসা করতে কি কি লাগে এসব বিষয় সম্পর্কেও জানতে পারবেন। তো চলুন, পোস্টের মূল বিষয়ে ফিরে আসা যাক।

    বুলগেরিয়া কাজের ভিসা

    বুলগেরিয়া সরকার কর্তৃক প্রতি বছর কাজের ভিসা সার্কুলার প্রকাশ করা হয়ে থাকে। এই সার্কুলার প্রকাশ হওয়ার পর কাজের ভিসায় আবেদন করে আপনি বুলগেরিয়া ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন। নিজে থেকে অনলাইনে সরকারি সার্কুলার দেখে আবেদন করতে পারেন কিংবা বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য বিভিন্ন ভিসা এজেন্সির সহযোগিতা নিতে পারেন। বুলগেরিয়া যেতে ভিসা খরচ, ফ্লাইট টিকেট সহ আনুসাঙ্গিক খরচ সহ মোট ৭-৮ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে থাকে।

    বুলগেরিয়া থেকে বিভিন্ন ভিসায় শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে বুলগেরিয়া দেশের সরকার। তাই, আপনি উক্ত কাজগুলোতে ভিসা আবেদন করতে পারবেন। এজন্য, প্রথমেই আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট নিতে হবে। বুলগেরিয়া থেকে প্রকাশিত জব সার্কুলারে আবেদন করবেন আপনি উক্ত কাজগুলোর মাঝে যে কাজে বেশি দক্ষ, সেই কাজে। বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য আবেদন করতে কাজের দক্ষতার প্রমাণপত্র সাবমিট করতে হতে পারে।

    ওয়ার্ক পারমিট পেয়ে গেলে উক্ত ওয়ার্ক পারমিট সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র, পাসপোর্ট, ছবি, মেডিকেল রিপোর্ট সহ অন্যান্য তথ্য দিয়ে ভিসা আবেদন করতে পারবেন। ভিসা প্রসেসিং ফি থেকে শুরু করে ফ্লাইট টিকেট ক্রয় করা পর্যন্ত পায় ৭-৮ লক্ষ টাকার মতো খরচ হয়ে থাকে। তবে, আপনি যদি নিজে থেকে অনলাইনে ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য আবেদন এবং ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পর ভিসা আবেদন করতে পারেন, তবে আরও কম খরচ হবে।

    যারা নিজে থেকে অনলাইনে বুলগেরিয়া কাজের ভিসায় আবেদন করতে পারেন না, তারা চাইলে বিভিন্ন ভিসা এজেন্সির সহযোগিতা নিতে পারেন। তবে, এক্ষেত্রে খরচ আরেকটু বেশি হবে। নিচে বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে অন্যান্য তথ্য বিস্তারিত উল্লেখ করে দিয়েছি। চলুন, জেনে নেয়া যাক।

    বুলগেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫

    বুলগেরিয়া যেতে ৭-৮ লক্ষ টাকা লেগে থাকে। বুলগেরিয়া থেকে কাজের সার্কুলার প্রকাশিত হওয়ার পর আপনি যদি সরকারিভাবে বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট এবং ভিসার জন্য আবেদন করেন, তবে ভিসা খরচ, ভিসা প্রসেসিং, পাসপোর্ট, ফ্লাইট টিকেট সহ অন্যান্য খরচ মিলে মোট ৭-৮ লক্ষ টাকা লাগবে। যদি নিজে থেকে অনলাইনে ভিসা আবেদন করেন, তবে ৪-৫ লক্ষ টাকার মাঝেই হতে পারে।

    বুলগেরিয়া জব ভিসা সার্কুলার প্রকাশ হওয়ার পর ভিসা এজেন্সির সহযোগিতা না নিয়ে নিজে থেকে আবেদন করার চেষ্টা করুন। এজন্য, বুলগেরিয়া বা ইউরোপের অন্যান্য দেশ গেছে এমন কারও সহযোগিতা নেয়ার চেষ্টা করুন। এতে করে সহজেই অনলাইনে ওয়ার্ক পারমিট আবেদন করতে পারবেন। ওয়ার্ক পারমিট পেয়ে গেলে ভিসা আবেদন করতে পারবেন।

    বুলগেরিয়া ভিসার ধরণ অনুযায়ী কত টাকা লাগে তা নির্ভর করে। বুলগেরিয়া কাজের ভিসায় যেতে চাইলে ৬-৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে। বুলগেরিয়া গার্মেন্টস ভিসায় যেতে চাইলে ৫ লক্ষ টাকা লাগতে পারে। কোনো ভিসা এজেন্সির সহযোগিতা নিলে ৬-৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।

    বুলগেরিয়া যেতে চাইলে সার্কুলার এর জন্য অপেক্ষা করুন এবং যে কাজের জন্য যেতে চাচ্ছেন সেই কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করুন। দক্ষ এবং অভিজ্ঞ হলে বুলগেরিয়া গিয়ে ভালো বেতনে কাজ করতে পারবেন। নিচে বুলগেরিয়া কোন কাজের বেতন বেশি এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

    বুলগেরিয়া কাজের বেতন কত

    বুলগেরিয়া কাজের ভিসায় গেলে প্রতি মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতে পারবেন। যে ভিসায় বুলগেরিয়া যাবেন, সেই কাজে দক্ষ এবং অভিজ্ঞ হলে প্রতি মাসে ৮০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বেতন পাবেন। তাই, যে কাজে দক্ষ সেই কাজের ভিসার জন্য আবেদন করুন।

    বুলগেরিয়া থেকে বিভিন্ন ভিসায় শ্রমিক নিয়ে থাকে। যে কাজে দক্ষ সেই কাজের ভিসার জন্য আবেদন করলে বুলগেরিয়া যাওয়ার পর ভালো বেতনে চাকরি করতে পারবেন। বুলগেরিয়ায় প্রায় সব কাজের দাম রয়েছে। তাই, ভালো বেতনে কাজ করতে চাইলে দক্ষতা অর্জন করুন। 

    বুলগেরিয়া সর্বনিম্ন বেতন ৪০ হাজার টাকা থেকে শুরু। তাই, আপনি যত ভালো কাজ করতে পারবেন এবং যত বেশি দক্ষ হবেন, তত বেশি ইনকাম করতে পারবেন। বুলগেরিয়া কাজের বেতন কত টাকা আশা করছি বুঝতে পেরেছেন। 

    বুলগেরিয়া যেতে কত দিন লাগে

    বুলগেরিয়া কাজের ভিসার জন্য আবেদন করার পর ভিসা প্রসেসিং হওয়া থেকে শুরু করে বুলগেরিয়া যেতে ৫ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত সময় লেগে থাকে। ভিসা প্রসেসিং হতে সময় লাগে, তাই ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য আবেদন করার পর ভিসা আবেদন করে প্রায় কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে। এ সময়ের মাঝে যে কাজের ভিসার জন্য আবেদন করেছেন, সেই কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করতে পাবেন। ফলে, বুলগেরিয়া যাওয়ার পর ভালো বেতনে কাজ করতে পারবেন।


    আরও পড়ুনঃ সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা পাওয়ার উপায় ও যাওয়ার খরচ

    আরও পড়ুনঃ কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ও টাকার রেট

    আরও পড়ুনঃ মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার নিয়ম


    বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

    বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করার মাধ্যমে বুলগেরিয়া যাওয়া যায়। এছাড়া বুলগেরিয়া কাজের জন্য যাওয়ার অন্য কোনো উপায় নেই। তবে, আপনি চাইলে ভ্রমণ ভিসায় বুলগেরিয়া যেতে পারেন। এজন্য ভ্রমণ ভিসার আবেদন করতে হবে। তবে কাজ করে টাকা ইনকাম করার ইচ্ছে থাকলে কিংবা বুলগেরিয়া যাওয়ার পর ইউরোপের অন্য দেশ যেমন ইতালি যাওয়ার ইচ্ছে থাকলে বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।

    বুলগেরিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে

    বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে ১৮ বছর বয়স লাগে। তবে সার্কুলার অনুযায়ী বয়স কম বা বেশি লাগতে পারে। তবে, বুলগেরিয়া কাজের ভিসায় যেতে সর্বনিম্ন ১৮ বছর থেকে ২১ বছর লাগতে পারে। আপনার বয়স ১৮ বছর বা এর বেশি হলেই বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং ভিসা নিয়ে বুলগেরিয়া যেতে পারবেন। 

    বুলগেরিয়া গার্মেন্টস ভিসা

    বুলগেরিয়া গার্মেন্টস ভিসার জন্য আবেদন করলে বুলগেরিয়া গিয়ে ভালো বেতনে কাজ করতে পারবেন। বুলগেরিয়া থেকে প্রতি বছর কাজের ভিসার পাশাপাশি গার্মেন্টস ভিসার সার্কুলার প্রকাশ করা হয়ে থাকে। গার্মেন্টস এর কাজে অভিজ্ঞ হয়ে থাকলে গার্মেন্টস ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। বুলগেরিয়া গার্মেন্টস ভিসায় প্রতি মাসে ৬০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন নিতে পারবেন। কাজের দক্ষতার উপর নির্ভর করে আপনার বেতন আরও বেশি হতে পারে।

    বুলগেরিয়া থেকে ইতালি

    বুলগেরিয়া থেকে ইতালি যেতে চাইলে বুলগেরিয়া কাজের ভিসা ব্যবহার করতে পারবেন। তবে, ইতালি শুধুমাত্র ভ্রমণ করার জন্য যেতে পারবেন। কারণ, বুলগেরিয়া শেনজেন ভুক্ত একটি দেশ। তাই শেনজেন ভুক্ত অন্য দেশগুলো ভ্রমণ করতে পারবেন। কিন্তু, ভুলেও অবৈধ পথে বুলগেরিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করবেন না। যদি ধরা পড়েন, তাহলে ভিসা বাতিল হওয়া থেকে জেল এবং জরিমানা হতে পারে।

    বুলগেরিয়া টাকার মান কত

    বুলগেরিয়া ১ টাকা বাংলাদেশের ৬০ টাকা ৮৪ পয়সা। বুলগেরিয়া থেকে ১০০ টাকা পাঠালে বাংলাদেশে ৬,০৮৪ টাকা আসবে। বুলগেরিয়া ১ হাজার টাকা সমান বাংলাদেশের ৬০,৮৪০ টাকা। 

    আমাদের শেষ কথা

    আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে বুলগেরিয়া কাজের ভিসা, বুলগেরিয়া গার্মেন্টস ভিসা এবং বুলগেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে সহ বিভিন্ন তথ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি, পোস্টটি থেকে আপনি উপকৃত হয়েছেন।