কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে চাচ্ছেন, কিন্তু কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন কিভাবে করতে হয় এবং ভিসা পেতে কি কি লাগে তা জানেন না? তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্যই।
আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আপনি যদি প্রবাস হিসেবে কাজাখস্তান বেঁছে নিয়ে থাকেন, তবে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার চেষ্টা করবেন। কারণ, কাজাখস্তান কাজের ভিসা এবং কাজাখস্তান টাকার রেট সহ বিস্তারিত সকল তথ্য আজ এই পোস্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
তাহলে আর দেরি কিসের, পোস্টের মূল বিসয়বস্তুতে ফিরে আসা যাক।
কাজাখস্তান মধ্য এশিয়ার একটি দেশ। এটি বিশ্বের নবম বৃহত্তম দেশ, যার আয়তন ২,৭২৪,৯০০ বর্গ কিলোমিটার (১,০৫২,১০০ বর্গ মাইল)। এর উত্তরে রাশিয়া, পূর্বে চীন, দক্ষিণে কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, ও তুর্কমেনিস্তান এবং পশ্চিমে কাস্পিয়ান সাগর ও রাশিয়া অবস্থিত।
কাজাখস্তান প্রায় সম্পূর্ণভাবে এশিয়া মহাদেশে অবস্থিত। তবে দেশটির কিয়দংশ উরাল নদীর পশ্চিমে ইউরোপ মহাদেশে পড়েছে। দেশের উত্তর অংশে অবস্থিত আস্তানা (পূর্বের নাম) বা নুর-সুলতান (বর্তমান নাম) শহর দেশটির রাজধানী।
কাজাখস্তান দেশে কাজ করতে যেতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই কাজাখস্তান এর যেকোনো একটি কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান থেকে ওয়ার্ক পারমিট নিতে হবে। কাজ করার উদ্দেশ্যে কাজাখস্তান যাওয়ার জন্য কাজাখস্তান ভিসা করার সময় আপনাকে অবশ্যই ওয়ার্ক পারমিট সাবমিট করতে হবে।
তাই, কাজাখস্তান ভিসা আবেদন করার সময় অবশ্যই একটি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা লাগবে। কাজাখস্তান যেকোনো একটি কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংগ্রহ করার মাধ্যমে আপনি এই দেশে কাজ করার উদ্দেশ্যে যেতে পারবেন।
কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে বা সাবমিট করতে হবে। কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে কি কি লাগবে তার একটি তালিকা নিচে পেয়ে যাবেন।
কাজাখস্তানে কাজ করতে চাইলে অবশ্যই একটি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে হবে। যে কোম্পানিতে বা প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে চান, সেখান থেকে ওয়ার্ক পারমিট নিতে পারবেন। এরপর, ভিসা ফি জমা দেয়ার মাধ্যমে কাজাখস্তান ভিসা আবেদন করতে পারবেন। কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার নিয়ম নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
কাজাখস্তান সরকার কিছু দেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা ছাড়া কাজাখস্তান যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। যেসব দেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়া কাজাখস্তান যেতে পারবেন এমন দেশগুলোর তালিকা নিচে দেয়া হলো :
কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার জন্য আপনাকে অবশ্যই যেকোনো একটি কোম্পানি থেকে ওয়ার্ক পারমিট নিতে হবে। ওয়ার্ক পারমিট নেয়ার পর ভিসা আবেদন করতে হবে। ভিসা আবেদন করার সময় অবশ্যই পাসপোর্ট, ছবি সহ যাবতীয় তথ্য সাবমিট করতে হবে। এসব তথ্য দিয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করে ভিসা নিয়ে কাজাখস্তান যেতে পারবেন এবং সেখানে কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
কাজাখস্তানে কয়েক ধরণের ভিসা রয়েছে। আপনি যদি অন্য দেশ থেকে কাজাখস্তান কাজ করার জন্য যেতে চান, তবে নিম্নোক্ত ৫টি ভিসা আপনার জন্য। এসব ভিসা হচ্ছে:
যখন কাজাখস্তানের কোনো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো কর্মীকে ওয়ার্ক পারমিট দেয়া হয়, তখন উক্ত কর্মীকে এই M1 ভিসা দেয়া হয়।
M1 ভিসা প্রাপ্তদের স্ত্রী/স্বামী/সন্তানদের জন্য M2 ভিসা দেয়া হয়ে থাকে। আপনি M1 ভিসা পেলে আপনার স্ত্রী/সন্তানের জন্য M2 ভিসার আবেদন করতে পারবেন।
যারা অন্য দেশ থেকে কাজাখস্তান ভ্রমণ করতে চান, তাদের জন্য কাজাখাস্তানের M3 ভিসা। আপনি ট্যুরিস্ট হিসেবে এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
যারা অন্য দেশ থেকে কাজাখস্তান গিয়ে ব্যবসা করতে চান বা ব্যবসার কাজে কাজাখস্তান যেতে চান, তাদের জন্য M4 ভিসা।
এক বছরের কম সময়ের জন্য যে ভিসা দেয়া হয়, সেটিই হচ্ছে M5 ভিসা।
কাজাখস্তান যাওয়ার জন্য আমাদের দেশের অনেক মানুষ মুখিয়ে আছে। কাজাখস্তানের টাকার রেট বাংলাদেশের টাকার রেট থেকে কম হলেও সেখানে অল্প সময় কাজ করে অধিক অর্থ উপার্জন করা যায়। তাই, অনেকেই কাজাখস্তান যেতে চান কাজ করার জন্য। নিচে কাজাখস্তান টাকার রেট নিয়ে আলোচনা করেছি।
বাংলাদেশে কাজাখস্তানের টাকার রেট বা কাজাখস্তানের টাকার মান কত টাকা তা অনেকেই জানতে চান। আপনার কাছে যদি ১টি কাজাখস্তানের মুদ্রা থাকে, তবে আজকের টাকার রেট অনুযায়ী ১ কাজাখস্তান = ০.২৪ বাংলাদেশি টাকা। অর্থাৎ, আপনার কাছে যদি ১০০ কাকাখস্তান মুদ্রা থাকে, আপনি বাংলাদেশি ২৪.১৮ টাকা পাবেন।
বাংলাদেশের ১ টাকা সমান কাজাখস্তানের ৪.১৪ টাকা। বাংলাদেশের টাকার থেকে কাজাখস্তানের টাকার মান কম। তবে, কাজাখস্তানে অল্প সময় কাজ করেই অধিক অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। এজন্য, আমাদের দেশের অনেকেই কাজাখস্তান যেতে চান কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে।
কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করার জন্য ২-৩ লক্ষ টাকা লেগে থাকে। আপনি যদি নিজে থেকে কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য আবেদন করে ভিসা আবেদন করেন, তবে এক্ষেত্রে ভিসা ফি, ভিসা প্রসেসিং ফি এবং ফ্লাইট টিকেট সহ মোট ১.৫ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা লাগতে পারে।
তবে, আপনি যদি কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নেয়ার জন্য কোনো এজেন্সির সহযোগিতা নেন বা কোনো দালালের সহযোগিতা নেন, তবে ৩-৪ লক্ষ টাকা থেকে এর বেশিও লাগতে পারে। তাই, কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে যেতে চাইলে নিজে থেকে সবকিছুর আবেদন করুন। এতে করে অল্প খরচের মাঝেই আপনি কাজাখস্তান যেতে পারবেন।
আপনি চাইলে ভিসা ছাড়াও কাজাখস্তান যেতে পারবেন। উপরে কিছু দেশের তালিকা উল্লেখ করে দিয়েছি। এসব দেশের নাগরিকরা কোনো ভিসা ছাড়াই কাজাখস্তান যেতে পারবেন। তাই, আপনি ওয়ার্ক পারমিট ছাড়াও কাজাখস্তান যেতে পারবেন। তবে, ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া কাজাখস্তান গিয়ে কোনো কাজ করতে পারবেন না।
ভ্রমণ করার জন্য কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ছাড়া যেতে পারবেন। কোনো কাজ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি ওয়ার্ক পারমিট নিতে হবে। তবেই, সেখানে কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে কি কি লাগে এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার নিয়ম সহ আরও অনেক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে কাজাখস্তান কাজের ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
[…] […]