Author: vkgyv

  • সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায়

    সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায়

    সরকারি ভাবে জাপান যেতে চাচ্ছেন? সরকারিভাবে জাপান যেতে চাইলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়তে হবে। কারণ, আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায় এবং জাপানে বেতন কত টাকা তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

    তাই, আপনি যদি জাপান গিয়ে টাকা উপার্জন করতে চান এবং কোনো দালাল বা এজেন্সির সহযোগিতা না নিয়ে সরকারি উদ্যোগে জাপান যেতে চান, তাহলে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ অব্দি সম্পূর্ণ পড়ুন। তো চলুন, পোস্টের মূল বিষয়ে ফিরে আসা যাক।

    জাপান যাওয়ার উপায়

    চীন, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, মঙ্গোলিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম এর পাশাপাশি কয়েক বছর যাবত বাংলাদেশ থেকেও জাপানে শ্রমিক নিচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় জাপান গিয়ে কাজ করে টাকা উপার্জন করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই জাপানের ভাষা শিখতে হবে।

    জাপানের ভাষা শেখার জন্য বাংলাদেশ কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) তে কোর্স করতে পারেন। কারণ, এখানে তারা জাপান যেতে ইচ্ছুকদেরকে ফ্রিতে জাপানি ভাষা শেখার প্রশিক্ষন দিচ্ছে। বিএমইটির অধীনে মোট ২৬ টি প্রশিক্ষন কেন্দ্রে জাপানি ভাষা শেখার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আপনি সরকারি ভাবে জাপান যেতে চাইলে অবশ্যই জাপানি ভাষার প্রশিক্ষন নিয়ে রাখবেন।

    জাপানিজ ভাষা শেখার জন্য নিম্নে উল্লিখিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো থেকে ভাষা শিখতে পারেন :

    1. ঝিনাইদহ টিটিসি
    2. মৌলভীবাজার টিটিসি
    3. গাইবান্ধা টিটিসি
    4. বাংলাদেশ কোরিয়া টিটিসি (মিরপুর)
    5. জামালপুর টিটিসি
    6. নেত্রকোনা টিটিসি
    7. জয়পুরহাট টিটিসি
    8. কুষ্টিয়া টিটিসি
    9. প্রবাসীকল্যাণ ভবন (ঢাকা)
    10. নীলফামারী টিটিসি
    11. দিনাজপুর টিটিসি
    12. যশোর টিটিসি
    13. নোয়াখালী টিটিসি
    14. বান্দরবান টিটিসি
    15. রাঙামাটি টিটিসি
    16. ময়মনসিংহ টিটিসি
    17. ব্রাহ্মণবাড়িয়া টিটিসি
    18. নরসিংদী টিটিসি
    19. বাংলাদেশ কোরিয়া টিটিসি (চট্টগ্রাম)
    20. মাদারীপুর টিটিসি
    21. চাঁপাইনবাবগঞ্জ টিটিসি
    22. পাবনা টিটিসি
    23. মাগুরা টিটিসি,
    24. খুলনা টিটিসি
    25. রাজশাহী টিটিসি
    26. শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা টিটিসি (মিরপুর)
    27. রংপুর টিটিসি

    জাপানিজ ভাষা ট্রেনিং নেয়ার পর আপনাকে জাপানের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করার পর আপনি সরকারিভাবে জাপান যেতে পারবেন। সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায় ও জাপান যেতে কি কি লাগে তা নিয়ে আরও বিস্তারিত নিচে আলোচনা করেছি।

    সরকারি ভাবে জাপান যেতে কি কি লাগে

    সরকারি ভাবে জাপান যেতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই কিছু শর্ত মানতে হবে এবং আপনার কাগজপত্র থাকতে হবে। সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার জন্য কি কি লাগবে তার একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করে দিলাম।

    • ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী
    • পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ২ বছর থাকতে হবে
    • পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে
    • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট লাগবে
    • জাপানিজ ভাষা শেখার সার্টিফিকেট
    • কাজের দক্ষতার প্রমাণপত্র
    • ভিসা ফি এবং ভিসা প্রসেসিং ফি
    • জাপানিজ ওয়ার্ক পারমিট
    • নির্দিষ্ট কাজে দক্ষতা থাকতে হবে
    • শারীরিকভাবে সুস্থ

    উপরোক্ত এই জিনিসগুলো হলে আপনি সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার জন্য ভিসা আবেদন করতে পারবেন। জাপানের ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পর ভিসা আবেদন করতে হবে। ভিসা পেয়ে গেলে ফ্লাইট টিকেট কেটে আপনি জাপান যেতে পারবেন। সরকারিভাবে জাপান যেতে কত টাকা লাগে তা নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

    সরকারিভাবে জাপান যেতে কত টাকা লাগে

    সরকারিভাবে যেকোনো দেশে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে অনেক কম খরচ হয়। আপনি যদি সরকারি ভাবে জাপান যেতে চান, তবে মাত্র ৩-৪ লক্ষ টাকার মাঝেই জাপান যেতে পারবেন। আপনি যদি কোনো এজেন্সির সহযোগিতা নেন বা কোনো দালালের সহযোগিতা নেন, সেক্ষেত্রে ৬-৮ লক্ষ টাকা হলেও জাপান যেতে পারবেন না।

    তাই, জাপান যেতে চাইলে অবশ্যই সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার জন্য ভিসা আবেদন করুন। সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায় হচ্ছে বিএমইটি থেকে যেকোনো কাজের উপর প্রশিক্ষন নেয়া এবং জাপানিজ ভাষা শেখার পর জাপানের ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে ভিসা আবেদন করা। ভিসা পেয়ে গেলে জাপান যেতে পারবেন সহজেই।

    জাপানে বেতন কত টাকা

    জাপানে বেতন নির্ভর করে অনেকগুলো বিষয়ের উপর। যেমন: কর্মীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, কাজের ধরন, কোম্পানির অবস্থান ইত্যাদি। তবে সাধারণভাবে বলতে গেলে, জাপানে বেশ ভালো বেতনে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

    জাপানের শ্রম আইন অনুযায়ী, একজন কর্মীর ন্যূনতম বেতন ঘণ্টায় ¥930 (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭০০ টাকা)। কর্মীরা দিনে ৮ ঘণ্টা কাজ করতে পারেন। সে হিসাবে একজন কর্মী মাসে পাবেন ¥142,400 (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা)। তবে এই বেতন সাধারণত অভিজ্ঞতাহীন কর্মীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

    অভিজ্ঞ কর্মীদের বেতন আরও অনেক বেশি হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একজন প্রকৌশলীর বেতন মাসে ¥500,000 (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা) থেকে শুরু। একজন ডাক্তারের বেতন মাসে ¥1,000,000 (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা) থেকে শুরু।

    জাপানের বিভিন্ন শহরের মধ্যে বেতনের পার্থক্যও রয়েছে। সাধারণত টোকিও, ওসাকা, ইত্যাদি বড় শহরগুলিতে বেতন বেশি হয়। নিচে জাপানের কিছু সাধারণ পেশার বেতন উল্লেখ করে দিলাম।

    পেশা বেতন (মাসে)
    কর্মচারী ¥200,000 (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা)
    প্রকৌশলী ¥500,000 (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা)
    ডাক্তার ¥1,000,000 (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা)
    শিক্ষক ¥400,000 (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা)
    পুলিশ অফিসার ¥300,000 (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা)
    সেলসম্যান ¥250,000 (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ৮৭ হাজার টাকা)

     

    উল্লেখ্য যে, এই বেতনগুলি শুধুমাত্র ধারণা দেওয়ার জন্য। প্রকৃত বেতন নির্ভর করবে অনেকগুলো বিষয়ের উপর। কাজের প্রতি আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে বেতন কম বা বেশি হতে পারে।

    সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায়

    সরকারি ভাবে জাপান যেতে চাইলে ওয়ার্ক পারমিট থাকতে হবে। জাপান যাওয়ার জন্য নিচে উল্লিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারেন। তাহলে, সরকারিভাবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় জাপান যেতে পারবেন। 

    1. প্রথমে বাংলাদেশ ওভারসিজ ইমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস সিস্টেমে (বিএমইটি) নিবন্ধন করতে হবে। 
    2. বিএমইটি থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। 
    3. প্রশিক্ষণ শেষে বিএমইটির মাধ্যমে জাপানের কোম্পানিতে চাকরির জন্য আবেদন করতে হবে। 
    4. জাপানি কোম্পানি আবেদনকারীকে নির্বাচন করলে, বিএমইটি থেকে জাপান সরকারের কাছে ভিসা আবেদন করতে হবে। 
    5. জাপান সরকার ভিসা অনুমোদন করলে, আবেদনকারী জাপানে যেতে পারবেন।

    জাপানে কোন কাজের চাহিদা বেশি

    জাপান যেতে চান এমন মানুষের সংখ্যা কম না। আপনিও যদি জাপান যেতে চান, তবে নিশ্চয়ই জাপানে কোন কাজের চাহিদা বেশি এই প্রশ্নটি একবার হলেও মাথায় এসেছে। জাপানে যেসব কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি সেসব কাজের বেতনও বেশি হয়ে থাকে। এসব কাজের ভিসা নিয়ে জাপান যেতে পারলে অল্প সময়ে অধিক অর্থ উপার্জন করা সম্ভব হবে।

    নিচে জাপানে যেসব কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি সেগুলোর একটি তালিকা উল্লেখ করে দিলাম। দেখে নিতে পারেন। 

    • সিকিউরিটি গার্ড
    • কম্পিউটার অপারেটর
    • ক্লিনিং
    • সেলসম্যান
    • কেয়ারিং ম্যান
    • ফুড প্যাকেজিং
    • হোটেল
    • কনস্ট্রাকশন
    • ফুড ডেলিভারি
    • ইলেক্ট্রিশিয়ান

    উপরোক্ত কাজগুলোর উপর বিএমইটি (BMET) থেকে প্রশিক্ষন নেয়ার পর বিএমইটি থেকে জাপানে কাজের জন্য ওয়ার্ক পারমিটের আবেদন করতে পারেন। এরপর, ওয়ার্ক পারমিট পেয়ে গেলে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। ভিসা হলে আপনি জাপান যেতে পারবেন। 

    অবশ্যই কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করার সময় জাপানিজ ভাষা শিখতে হবে। জাপানিজ ভাষা না জানলে জাপান যেতে পারবেন না। 


    আরও পড়ুনঃ কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ও টাকার রেট

    আরও পড়ুনঃ আইইএলটিএস ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়?

    আরও পড়ুনঃ সৌদি আরব কোন কাজের চাহিদা কেমন ও যেতে খরচ কত টাকা


    শেষ কথা

    আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায় এবং জাপান যেতে কত টাকা লাগে সহ জাপানে বেতন কত টাকা এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। 

  • অনলাইনে বিমানের টিকেট চেক করার নিয়ম

    অনলাইনে বিমানের টিকেট চেক করার নিয়ম

    বিমানে করে ভ্রমণ করতে চান? তাহলে বিমানের টিকেট চেক করার নিয়ম জানা থাকা আবশ্যক। আপনার বিমানের টিকেট হয়েছে কিনা জানতে পারবেন সহজ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করেই। 

    কিভাবে বিমানের টিকেট চেক করতে হয় তা নিয়ে এই পোস্টে বিস্তারিত পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছি। তো চলুন, বিমানের টিকেট চেক করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

    বিমানের টিকেট চেক করার উপায়

    বিমানের টিকেট চেক করার জন্য বাংলাদেশ বিমানের ওয়েবসাইট https://www.biman-airlines.com/ ভিজিট করে সহজেই আপনার প্যাসেঞ্জার নেম রেকর্ড এবং আপনার লাস্ট নেম লিখে টিকেট চেক করতে পারবেন। বিমানের টিকেট অনলাইনে চেক করার জন্য অবশ্যই Biman Airlines ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে হবে।

    বিমানে করে কোথাও ট্রিপ দেয়ার পূর্বে বিমানের টিকেট চেক করতে নিচে উল্লিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারেন। এতে করে, আপনার টিকেট বুকিং করার সময় কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা জানতে পারবেন। এছাড়াও, ট্রিপ সম্পর্কিত সকল তথ্য টিকেট চেক করার সময় জানতে পারবেন। 

    বিমানের টিকেট চেক করার নিয়ম

    অনলাইনে বিমানের টিকেট চেক করার নিয়ম জানতে চাইলে নিচে উল্লিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করুন। তাহলে বাংলাদেশ বিমানের ওয়েবসাইট থেকে সহজেই আপনার বিমানের টিকেট চেক করে সকল তথ্য যাচাই করে নিতে পারবেন।

    • বিমানের টিকেট চেক করার জন্য প্রথমেই বাংলাদেশ বিমানের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। এজন্য https://www.biman-airlines.com/ ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। এটি বাংলাদেশ বিমানের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইট থেকেই আমরা বিমানের টিকেট চেক করবো।
    • অতঃপর, Check your trip অপশনে ক্লিক করতে হবে। 
    • এখন, একটি ফরম আসবে যেখানে দুইটি ফাঁকা বক্স থাকবে। প্রথম বক্সে আপনার ৬ ডিজিটের PNR বা রিজার্ভেশন কোড কোড লিখতে হবে। বিমানের টিকেট বুক করার সময় আপনাকে এটি দেয়া হয়েছিলো। এছাড়াও, না পেলে আপনার মোবাইলের ম্যাসেজ বক্সে বা ইমেইলে চেক করলেই কোডটি পেয়ে যাবেন।
    • অতঃপর, দ্বিতীয় বক্সে টিকেট বুকিং করার সময় আপনার দেয়া নামের শেষ অংশ যা দিয়েছিলেন, সেটি লিখুন। অর্থাৎ, আপনার নামের শেষ অংশ লিখতে হবে।
    • দুইটি বক্স পূরণ করার পর Search বাটনে ক্লিক করতে হবে। সার্চ বাটনে ক্লিক করলে আপনার টিকেটের বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। 

    বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট স্ট্যাটাস চেক

    বিমান বাংলাদেশের যেকোনো ফ্লাইটের স্ট্যাটাস চেক করতে চাইলে নিচে উল্লিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করুন। তাহলে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর সকল বিমানের স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন। 

    • প্রথমেই বিমান বাংলাদেশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। এজন্য, https://www.biman-airlines.com/ এই লিংকে ক্লিক করুন।
    • এরপর, মেনু থেকে Flight Status লেখার উপর ক্লিক করুন। তাহলে, নতুন একটি ফরম ওপেন হবে। 
    • এখানে, প্রথম ড্রপ ডাউনে যেখানে থেকে ফ্লাইট যাবে সে ঠিকানা, এবং গন্তব্য স্থানের ঠিকানা সিলেক্ট করে দিবেন। এরপর, তারিখ উল্লেখ করে দিবেন।
    • সকল তথ্য ঠিকভাবে সিলেক্ট করে দেয়ার পর Search বাটনে ক্লিক করুন। 

    সার্চ বাটনে ক্লিক করলে আপনার দেয়া তারিখে যেসব ফ্লাইট আছে সেগুলোর তথ্য এবং শিডিউল সম্পর্কে জানতে পারবেন। ফ্লাইটের শিডিউল জানার জন্যও এই পদ্ধতিটি অবলম্বন করতে পারনে।


    আরও পড়ুনঃ ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য কোন ব্যাংক সবচেয়ে ভালো

    আরও পড়ুনঃ মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার নিয়ম


    FAQ

    পিএনআর PNR কি?

    পিএনআর বা PNR হচ্ছে টিকেট বুকিং করার সময় দেয়া একটি কোড। এটি ৬ ডিজিটের একটি কোড। যা দিয়ে আপনি অনলাইনে বাংলাদেশ বিমানের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে টিকেট চেক করতে পারবেন।

    আমাদের শেষ কথা

    আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে অনলাইনে বিমানের টিকেট চেক করার নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে কিভাবে বিমানের টিকেট চেক করতে হয় এবং ফ্লাইট স্ট্যাটাস কিভাবে চেক করতে হয় এসব বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। এছাড়া, যেকোনো প্রশ্ন করতে পারেন কমেন্ট বক্সে।

  • ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য কোন ব্যাংক সবচেয়ে ভালো

    ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য কোন ব্যাংক সবচেয়ে ভালো

    ফিক্সড ডিপোজিট করতে চাচ্ছেন? কিন্তু ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য কোন ব্যাংক সবচেয়ে ভালো জানেন না। এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে ফিক্সড ডিপোজিট কী, ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য বাংলাদেশে কোন ব্যাংক সবথেকে ভালো এসব বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

    টাকা জমা রাখার বিনিময়ে সুদ গ্রহণের জন্য অনেকেই সেরা ব্যাংক খুঁজে থাকেন। অনেক ব্যাংকে টাকা জমা রাখার বিনিময়ে ভালো পরিমাণ মুনাফা দিয়ে থাকে। তাই, কোন ব্যাংক ভালো এই প্রশ্ন অনেকের মনেই রয়ে যায়। তো চলুন, ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য সেরা ব্যাংক সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

    ফিক্সড ডিপোজিট কি?

    ফিক্সড ডিপোজিট, যা স্থায়ী আমানত নামেও পরিচিত। ফিক্সড ডিপোজিট হলো প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন বিনিয়োগকারী একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একটি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে জমা রাখে। এই নির্দিষ্ট সময়ের শেষে, বিনিয়োগকারী তার মূলধন এবং সুদের অর্থ ফেরত পায়।

    এফডির(FD) মেয়াদ সাধারণত এক মাস, তিন মাস, ছয় মাস, এক বছর, দুই বছর, তিন বছর, পাঁচ বছর, দশ বছর বা আরও বেশি হতে পারে। এটি নির্ভর করে যে ব্যক্তি ডিপোজিট করছে তিনি কতদিনের জন্য রাখতে চাচ্ছেন।

    ফিক্সড ডিপোজিট এর ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা নিয়মিত সঞ্চয়ী হিসাবের চেয়ে বেশি হারে সুদ/মুনাফা পেয়ে থাকেন। সুদের হার সাধারণত ব্যাংকের সুদের হারের উপর নির্ভর করে থাকে। কোনো ব্যাংক বেশি দিয়ে থাকে, আবার কোনো ব্যাংক কম। এজন্য, সবাই ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য কোন ব্যাংক সবচেয়ে ভালো এটি জানতে চান।

    ফিক্সড ডিপোজিট করতে কি কি লাগে

    ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য কিছু কাগজপত্র এবং তথ্য প্রয়োজন হয়। আপনি যদি একটি ব্যাংকে এফডি করার চিন্তা করে থাকেন, তবে ব্যাংক যাওয়ার সময় কি কি সাথে নিয়ে যেতে হবে তার একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করে দিয়েছি। চলুন, দেখে নেয়া যাক।

    • জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
    • সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
    • নাগরিকত্বের সনদপত্র
    • নমীনির ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি
    • নমীনির সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি

    উপরোক্ত কাগজপত্রগুলো ছাড়াও ব্যাংক ভেদে আরও কয়েক ধরণের কাগজপত্র লাগতে পারে। আপনি যে ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করতে চাচ্ছেন, উক্ত ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে ফিক্সড ডিপোজিট করতে কি কি লাগবে তার একটি বিস্তারিত লিস্ট জেনে নিতে পারবেন।

    ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য কোন ব্যাংক সবচেয়ে ভাল

    কষ্টে জমানো টাকা যখন কোনো ব্যাংকে জমা রাখার প্রসঙ্গ আসে, তখন সবাই চায় কোনো একটি ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করে রাখতে। ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য কোন ব্যাংক সবচেয়ে ভালো এটি অনেকের প্রশ্ন। কারণ, একটি ব্যাংকে টাকা জমা রাখার পর প্রতি মাসে বা বছরে কত শতাংশ মুনাফা দিচ্ছে সেটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

    এছাড়াও, আমি যে ব্যাংকে টাকা জমা রাখছি, সেই ব্যাংকে টাকা জমানো নিরপদ কিনা এটিও জানতে হবে। আপনি চাইলে বাংলাদেশের যেকোনো সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করতে পারেন। তবে, ফিক্সড ডিপোজিট করার সময় অবশ্যই উক্ত ব্যাংকে ইন্টারেস্ট রেট কতো এটি জেনে নিতে হবে।

    যে ব্যাংকে ইন্টারেস্ট রেট বেশি, সেই ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করলে অল্প সময়ে বেশি মুনাফা পাবেন। এছাড়াও, সুনামধন্য কোনো ব্যাংকে এফডি করলে আসল টাকার সঙ্গে মুনাফা পাওয়া যায় নিরাপদভাবে।

    বাংলাদেশের সরকারি ব্যাংক এবং বেসরকারি ব্যাংক উভয়ে ফিক্সড ডিপোজিট করার উপায় আছে। এছাড়াও, শরিয়া ভিত্তিক ব্যাংক, বিদেশী ব্যাংক রয়েছে। আপনি চাইলে এসব ব্যাংকেও ফিক্সড ডিপোজিট করতে পারেন।

    ফিক্সড ডিপোজিটে কত শতাংশ সুদ পাওয়া যায়

    ফিক্সড ডিপোজিট এ সুদের পরিমাণ ব্যাংক ভেদে কম এবং বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে অবস্থিত ব্যাংকগুলোতে ফিক্সড ডিপোজিটে ৫ শতাংশ থেকে শুরু করে ৯ শতাংশ অব্দি সুদ দিয়ে থাকে। অর্থাৎ, আপনি যদি একটি ব্যাংকে ১ লক্ষ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করে রাখেন, তাহলে ৬% সুদের হার অনুযায়ী বছর শেষে এই সুদের পরিমাণ হবে ৬ হাজার টাকা।

    এছাড়াও, ফিক্সড ডিপোজিট করে রাখলে সুদের টাকা আপনার ব্যাংক একাউন্টে জমা হবে। কিন্তু, শুধু সুদ পাবেন এটাই নয়। ব্যাংকে টাকা জমা রাখার কারণে ব্যাংক থেকে ব্যাংক চার্জ, শুল্ক সহ আরও বিভিন্ন চার্জ নিয়ে থাকে। তাই, আপনি যদি ফিক্সড ডিপোজিট বা এফডিআর করে রাখেন, তাহলে ১,০০,০০০ টাকায় প্রতি বছর ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা অব্দি পেতে পারেন।

    ব্যাংক ভেদে সুদের হার কম বেশি হয়ে থাকে। যে ব্যাংকে সুদের হার বেশি, সেই ব্যাংকে যদি FDR করে রাখেন, তাহলে আরও বেশি পেতে পারেন। যেমন – একটি ব্যাংকে যদি ৯% সুদের হার থাকে, তাহলে বছর শেষে ১,০০,০০০ টাকার জন্য ৯,০০০ টাকা মুনাফা পাবেন।

    বাংলাদেশে কোন কোন ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করা যায়?

    বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, বেসরকারি ব্যাংক, বিদেশী ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করতে পারবেন। বাংলাদেশে অবস্থিত যেসব ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করতে পারবেন সেগুলোর একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করে দিয়েছি। চলুন, দেখে নেয়া যাক।

    সরকারি যেসব ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করা যায়

    • রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক
    • সোনালী ব্যাংক
    • অগ্রণী ব্যাংক
    • রূপালী ব্যাংক
    • জনতা ব্যাংক
    • বেসিক ব্যাংক
    • বিডিবিএল ব্যাংক
    • পিকেবি ব্যাংক
    • বিকেবির ব্যাংক

    উপরোক্ত সরকারি ব্যাংকগুলো ফিক্সড ডিপোজিট এর বিনিময়ে ৫ থেকে ৬ শতাংশ অব্দি সুদ দিয়ে আসছে। বেশি মুনাফা পেতে চাইলে এসব ব্যাংকে এফডিআর করতে পারেন।

    বেসরকারি যেসব ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করা যায়

    • মিডল্যান্ড ব্যাংক
    • মেঘনা ব্যাংক
    • পদ্মা ব্যাংক
    • ইউনিয়ন ব্যাংক
    • মধুমতি ব্যাংক
    • এনআরবি ব্যাংক
    • এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক
    • এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক

    উপরোক্ত এই ব্যাংকগুলো ৮ শতাংশ থেকে ৮.৫ শতাংশ অব্দি সুদের হার দিয়ে থাকে। প্রতি লক্ষ টাকার জন্য ৮ হাজার টাকা থেকে ৮,৫০০ টাকা অব্দি বাৎসরিক মুনাফা পাবেন।

    • এবি ব্যাংক
    • কমার্স ব্যাংক
    • ঢাকা ব্যাংক
    • আইএফআইসি ব্যাংক
    • আইসিবি ব্যাংক
    • মার্কেন্টাইল ব্যাংক
    • প্রিমিয়ার ব্যাংক
    • উত্তরা ব্যাংক
    • ন্যাশনাল ব্যাংক

    উপরের তালিকায় উল্লিখিত ব্যাংকগুলো ৫ থেকে ৬ শতাংশ অব্দি সুদ দিয়ে আসছে। বেসরকারি ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করতে চাইলে এসব ব্যাংক থেকে এফডিআর করতে পারেন। আশা করছি ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য কোন ব্যাংক সবচেয়ে ভালো বুঝতে পেরেছেন।

    যেসব ব্যাংক বেশি রেট দিচ্ছে, সেসব ব্যাংকে ডিপোজিট করলে অল্প সময়ে বেশি মুনাফা পাওয়া সম্ভব। এফডিআর করার জন্য আপনি যেকোনো মেয়াদের এফডিআর করতে পারেন। এজন্য, ব্যাংক থেকে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারবেন। তবে, এফডিআর করার সময় অবশ্যই বাৎসরিক সুদের হার, ব্যাংক চার্জ এসকল বিষয় জেনে নিবেন।


    আরও পড়ুন: বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ কিভাবে করবেন

    আরও পড়ুন: আইইএলটিএস ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়?

    আরও পড়ুন: ফেসবুক পেজে লাইক বাড়ানোর উপায়


    FAQ

    ফিক্সড ডিপোজিটের সুদের হার কোন ব্যাংকে বেশি?

    ফিক্সড ডিপোজিট এ সুদের হার সবথেকে বেশি ডিসিবি ব্যাংকে। ডিসিবি ব্যাংক থেকে ৮ থেকে ৮.৫ শতাংশ অব্দি সুদের হার দিয়ে থাকে। তবে, কিছু বেসরকারি ব্যাংক যেমন – মিডল্যান্ড ব্যাংক, মেঘনা ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ইত্যাদি থেকেও ৮ থেকে ৮.৫ শতাংশ সুদের হার দিয়ে থাকে।

    ফিক্সড ডিপোজিট কোনটা ভালো?

    আপনি চাইলে যেকোনো মেয়াদের ফিক্সড ডিপোজিট করতে পারবেন। তবে, ১ বছর থেকে ৫ বছরের ফিক্সড ডিপোজিট সবচেয়ে ভালো। যেসব ব্যাংকে সুদের হার বেশি, সেখানে ফিক্সড ডিপোজিট করা লাভজনক।

    আমাদের শেষ কথা

    আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য কোন ব্যাংক সবচেয়ে ভালো এই বিষয়টি এবং ফিক্সড ডিপোজিট সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিত শেয়ার করেছি। পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে থাকলে FDR সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন বলে আশা করছি। আরও এমন ব্যাংকিং বিষয়ক তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন।

  • কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ও টাকার রেট

    কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ও টাকার রেট

    কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে চাচ্ছেন, কিন্তু কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন কিভাবে করতে হয় এবং ভিসা পেতে কি কি লাগে তা জানেন না? তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্যই।

    আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আপনি যদি প্রবাস হিসেবে কাজাখস্তান বেঁছে নিয়ে থাকেন, তবে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার চেষ্টা করবেন। কারণ, কাজাখস্তান কাজের ভিসা এবং কাজাখস্তান টাকার রেট সহ বিস্তারিত সকল তথ্য আজ এই পোস্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

    তাহলে আর দেরি কিসের, পোস্টের মূল বিসয়বস্তুতে ফিরে আসা যাক।

    কাজাখস্তান কি?

    কাজাখস্তান মধ্য এশিয়ার একটি দেশ। এটি বিশ্বের নবম বৃহত্তম দেশ, যার আয়তন ২,৭২৪,৯০০ বর্গ কিলোমিটার (১,০৫২,১০০ বর্গ মাইল)। এর উত্তরে রাশিয়া, পূর্বে চীন, দক্ষিণে কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, ও তুর্কমেনিস্তান এবং পশ্চিমে কাস্পিয়ান সাগর ও রাশিয়া অবস্থিত। 

    কাজাখস্তান প্রায় সম্পূর্ণভাবে এশিয়া মহাদেশে অবস্থিত। তবে দেশটির কিয়দংশ উরাল নদীর পশ্চিমে ইউরোপ মহাদেশে পড়েছে। দেশের উত্তর অংশে অবস্থিত আস্তানা (পূর্বের নাম) বা নুর-সুলতান (বর্তমান নাম) শহর দেশটির রাজধানী।

    কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

    কাজাখস্তান দেশে কাজ করতে যেতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই কাজাখস্তান এর যেকোনো একটি কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান থেকে ওয়ার্ক পারমিট নিতে হবে। কাজ করার উদ্দেশ্যে কাজাখস্তান যাওয়ার জন্য কাজাখস্তান ভিসা করার সময় আপনাকে অবশ্যই ওয়ার্ক পারমিট সাবমিট করতে হবে।

    তাই, কাজাখস্তান ভিসা আবেদন করার সময় অবশ্যই একটি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা লাগবে। কাজাখস্তান যেকোনো একটি কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংগ্রহ করার মাধ্যমে আপনি এই দেশে কাজ করার উদ্দেশ্যে যেতে পারবেন। 

    কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে কি কি লাগবে

    কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে বা সাবমিট করতে হবে। কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে কি কি লাগবে তার একটি তালিকা নিচে পেয়ে যাবেন। 

    • একটি আবেদনপত্র (কাজাখস্তান দূতাবাস থেকে পাওয়া যায়)
    • কমপক্ষে ছয় মাসের মেয়াদ সহকারে বৈধ একটি পাসপোর্ট পাসপোর্ট
    • ভিসা আবেদন ফি
    • মেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্ট
    • কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট (কাজাখস্তানের কোনো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান থেকে পাবেন)
    • ব্যাংক স্টেটমেন্ট (পড়ালেখা করতে চাইলে এটি কাজে লাগবে)
    • শিক্ষাগত সার্টিফিকেট
    • পেশাগত লাইসেন্স (ড্রাইভিং কাজ করতে চাইলে)
    • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট

    কাজাখস্তানে কাজ করতে চাইলে অবশ্যই একটি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে হবে। যে কোম্পানিতে বা প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে চান, সেখান থেকে ওয়ার্ক পারমিট নিতে পারবেন। এরপর, ভিসা ফি জমা দেয়ার মাধ্যমে কাজাখস্তান ভিসা আবেদন করতে পারবেন। কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার নিয়ম নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। 

    যেসব দেশের নাগরিক ভিসা ছাড়া কাজাখস্তান যেতে পারবেন

    কাজাখস্তান সরকার কিছু দেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা ছাড়া কাজাখস্তান যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। যেসব দেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়া কাজাখস্তান যেতে পারবেন এমন দেশগুলোর তালিকা নিচে দেয়া হলো : 

    1. ঘানা
    2. আফগানিস্তান
    3. ভারত
    4. ইথিওপিয়া
    5. সিয়েরা লিওন
    6. ইরিত্রিয়া
    7. জাম্বিয়া
    8. ক্যামেরুন
    9. কেনিয়া
    10. গিনি
    11. যাও
    12. উগান্ডা
    13. কঙ্গো
    14. ইরিত্রিয়া
    15. মিশর
    16. ইথিওপিয়া
    17. সিরিয়া
    18. সেনেগাল
    19. ম্যাডাগ্যাস্কার
    20. নাইজার
    21. ইয়েমেন
    22. শ্রীলংকা
    23. মৌরিতানিয়া
    24. সোমালিয়া
    25. ভুটান
    26. লিবিয়া
    27. দক্ষিণ সুদান
    28. মালি
    29. লাইবেরিয়া
    30. সুদান
    31. বুরুন্ডি
    32. সোমালিয়া
    33. পাকিস্তান
    34. গাম্বিয়া
    35. মত্স্যবিশেষ
    36. জিম্বাবুয়ে
    37. নেপাল
    38. জিবুতি
    39. বাংলাদেশ
    40. আইভরি কোস্ট
    41. ইরাক
    42. নাইজেরিয়া

    কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন

    কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার জন্য আপনাকে অবশ্যই যেকোনো একটি কোম্পানি থেকে ওয়ার্ক পারমিট নিতে হবে। ওয়ার্ক পারমিট নেয়ার পর ভিসা আবেদন করতে হবে। ভিসা আবেদন করার সময় অবশ্যই পাসপোর্ট, ছবি সহ যাবতীয় তথ্য সাবমিট করতে হবে। এসব তথ্য দিয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করে ভিসা নিয়ে কাজাখস্তান যেতে পারবেন এবং সেখানে কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। 

    কাজাখস্তানে কয়েক ধরণের ভিসা রয়েছে। আপনি যদি অন্য দেশ থেকে কাজাখস্তান কাজ করার জন্য যেতে চান, তবে নিম্নোক্ত ৫টি ভিসা আপনার জন্য। এসব ভিসা হচ্ছে:

    #1 M1 ভিসা

    যখন কাজাখস্তানের কোনো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো কর্মীকে ওয়ার্ক পারমিট দেয়া হয়, তখন উক্ত কর্মীকে এই M1 ভিসা দেয়া হয়। 

    #2 M2 ভিসা

    M1 ভিসা প্রাপ্তদের স্ত্রী/স্বামী/সন্তানদের জন্য M2 ভিসা দেয়া হয়ে থাকে। আপনি M1 ভিসা পেলে আপনার স্ত্রী/সন্তানের জন্য M2 ভিসার আবেদন করতে পারবেন।

    #3 M3 ভিসা

    যারা অন্য দেশ থেকে কাজাখস্তান ভ্রমণ করতে চান, তাদের জন্য কাজাখাস্তানের M3 ভিসা। আপনি ট্যুরিস্ট হিসেবে এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

    #4 M4 ভিসা

    যারা অন্য দেশ থেকে কাজাখস্তান গিয়ে ব্যবসা করতে চান বা ব্যবসার কাজে কাজাখস্তান যেতে চান, তাদের জন্য M4 ভিসা।

    #5 M5 ভিসা

    এক বছরের কম সময়ের জন্য যে ভিসা দেয়া হয়, সেটিই হচ্ছে M5 ভিসা। 

    কাজাখস্তান যাওয়ার জন্য আমাদের দেশের অনেক মানুষ মুখিয়ে আছে। কাজাখস্তানের টাকার রেট বাংলাদেশের টাকার রেট থেকে কম হলেও সেখানে অল্প সময় কাজ করে অধিক অর্থ উপার্জন করা যায়। তাই, অনেকেই কাজাখস্তান যেতে চান কাজ করার জন্য। নিচে কাজাখস্তান টাকার রেট নিয়ে আলোচনা করেছি।

    কাজাখস্তান টাকার রেট কত

    বাংলাদেশে কাজাখস্তানের টাকার রেট বা কাজাখস্তানের টাকার মান কত টাকা তা অনেকেই জানতে চান। আপনার কাছে যদি ১টি কাজাখস্তানের মুদ্রা থাকে, তবে আজকের টাকার রেট অনুযায়ী ১ কাজাখস্তান = ০.২৪ বাংলাদেশি টাকা। অর্থাৎ, আপনার কাছে যদি ১০০ কাকাখস্তান মুদ্রা থাকে, আপনি বাংলাদেশি ২৪.১৮ টাকা পাবেন।

    বাংলাদেশের ১ টাকা সমান কাজাখস্তানের ৪.১৪ টাকা। বাংলাদেশের টাকার থেকে কাজাখস্তানের টাকার মান কম। তবে, কাজাখস্তানে অল্প সময় কাজ করেই অধিক অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। এজন্য, আমাদের দেশের অনেকেই কাজাখস্তান যেতে চান কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে। 

    কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কত টাকা

    কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করার জন্য ২-৩ লক্ষ টাকা লেগে থাকে। আপনি যদি নিজে থেকে কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য আবেদন করে ভিসা আবেদন করেন, তবে এক্ষেত্রে ভিসা ফি, ভিসা প্রসেসিং ফি এবং ফ্লাইট টিকেট সহ মোট ১.৫ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা লাগতে পারে।

    তবে, আপনি যদি কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নেয়ার জন্য কোনো এজেন্সির সহযোগিতা নেন বা কোনো দালালের সহযোগিতা নেন, তবে ৩-৪ লক্ষ টাকা থেকে এর বেশিও লাগতে পারে। তাই, কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে যেতে চাইলে নিজে থেকে সবকিছুর আবেদন করুন। এতে করে অল্প খরচের মাঝেই আপনি কাজাখস্তান যেতে পারবেন। 

    ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া কাজাখস্তান যাওয়া যায়?

    আপনি চাইলে ভিসা ছাড়াও কাজাখস্তান যেতে পারবেন। উপরে কিছু দেশের তালিকা উল্লেখ করে দিয়েছি। এসব দেশের নাগরিকরা কোনো ভিসা ছাড়াই কাজাখস্তান যেতে পারবেন। তাই, আপনি ওয়ার্ক পারমিট ছাড়াও কাজাখস্তান যেতে পারবেন। তবে, ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া কাজাখস্তান গিয়ে কোনো কাজ করতে পারবেন না। 

    ভ্রমণ করার জন্য কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ছাড়া যেতে পারবেন। কোনো কাজ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি ওয়ার্ক পারমিট নিতে হবে। তবেই, সেখানে কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। 


    আরও পড়ুনঃ মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার নিয়ম

    আরও পড়ুনঃ সৌদি আরব কোন কাজের চাহিদা কেমন ও যেতে খরচ কত টাকা

    আরও পড়ুনঃ কাজের ভিসায় ফিনল্যান্ড যাওয়ার নিয়ম


    শেষ কথা

    আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে কি কি লাগে এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার নিয়ম সহ আরও অনেক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে কাজাখস্তান কাজের ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

  • মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার নিয়ম

    মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার নিয়ম

    মালয়েশিয়া ভিসা চেক কিভাবে করতে হয় এবং অনলাইনে মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার জন্য কী কী লাগবে তা নিয়ে আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আপনি যদি মালয়েশিয়া ভিসার জন্য আবেদন করে থাকেন এবং ভিসা হয়েছে কি না জানতে চান, তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্যই।

    পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে কীভাবে অনলাইনে মালয়েশিয়া ভিসা যাচাই করা যায়, তা সম্পর্কে জানতে পারবেন। তো চলুন, পোস্টের মূল বিষয়ে ফিরে আসা যাক।

    মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার জন্য কী কী লাগবে

    মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার জন্য কিছু ডকুমেন্ট বা তথ্য লাগবে। মালয়েশিয়া ভিসা অনলাইনে যাচাই করার জন্য যা যা লাগবে তার একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করে দিয়েছি। চলুন, দেখে নেয়া যাক।

    • Company Registration Number
    • Application Number
    • Passport Number

    উপরোক্ত এই তিনটি তথ্য দিয়ে আপনি Malaysia Visa Check করতে পারবেন। তো চলুন, মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার নিয়ম জেনে নেয়া যাক।

    মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার নিয়ম

    মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার জন্য eservices.imi.gov.my/myimms/PRAStatus ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। এরপর, Company Registration নাম্বার বা Application Number দিয়ে সহজেই মালয়েশিয়া ভিসা চেক করতে পারবেন। এছাড়াও, আপনার পাসপোর্ট নাম্বার দিয়েও মালয়েশিয়া কলিং ভিসা চেক করতে পারবেন।

    মালয়েশিয়া ভিসা অনলাইনে চেক করার জন্য আরও কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে। যেমন, আপনি চাইলে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক করতে পারবেন, কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করতে পারবেন, আবার এপ্লিকেশন নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক করতে পারবেন।

    এই পোস্টে উপরোক্ত তিনটি পদ্ধতিই বিস্তারিত আলোচনা করবো। তো চলুন, অনলাইনে ভিসা চেক করার পদ্ধতি দেখে নেয়া যাক।

    পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক

    পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার জন্য শুধু আপনার পাসপোর্ট নাম্বার জানা থাকতে হবে। পাসপোর্ট নাম্বার জানা থাকলেই আপনার ভিসা রেডি হয়েছে কি না চেক করতে পারবেন। নিচে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা যাচাই করার পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

    • প্রথমেই https://eservices.imi.gov.my/myimms/FomemaStatus ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে।
    • এরপর, পাসপোর্ট নাম্বার এবং দেশের নাম সিলেক্ট করে দিয়ে ডান দিকে থাকা সার্চ বাটনে ক্লিক করুন।

    আপনার পাসপোর্ট নাম্বার এবং দেশের নাম ঠিক থাকলে ভিসা হয়েছে কি না জানতে পারবেন। এই পদ্ধতি অনুসরণ করে যেকোনো পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে উক্ত ব্যক্তির মালয়েশিয়া ভিসা হয়েছে কি না যাচাই করতে পারবেন।

    ভিসা যাচাই করার সময় অবশ্যই ওয়েবসাইটটি ইংরেজি ভাষায় ট্রান্সলেট করে নিবেন। কারণ, এটি একটি মালয়েশিয়ার ওয়েবসাইট। তাই, মালয়েশিয়ান ভাষায় থাকতে পারে। বুঝতে না পারলে ইংরেজি ভাষায় ট্রান্সলেট করে নিবেন। এজন্য, ব্রাউজারে Google Translate এক্সটেনশন ইন্সটল করে নিতে পারেন।

    Company Registration No দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক

    কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার জন্য http://eservices.imi.gov.my/myimms/PRAStatus এই ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। এরপর, Company Registration No লেখার পাশে আপনার কলিং পেপারে থাকা রেজিস্ট্রেশন নাম্বার লিখে সার্চ বাটনে ক্লিক করুন।

    তাহলে, উক্ত কোম্পানির যাদের ভিসা হয়েছে তাদের একটি তালিকা পেয়ে যাবেন। এই তালিকা থেকে আপনার নামটি খুঁজে বের করুন। যদি আপনার নাম খুঁজে পান, তবে বুঝতে হবে যে আপনার মালয়েশিয়ান ভিসা রেডি হয়েছে। মালয়েশিয়া ভিসা রেডি হয়ে গেলে আপনার নামের পাশে থাকা Print বাটনে ক্লিক করে ভিসা তথ্য প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।

    Application Number দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক

    Application Number দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার জন্য http://eservices.imi.gov.my/myimms/PRAStatus এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। এরপর, আপনার Application Number লিখে সার্চ করুন। আপনার এপ্লিকেশন নাম্বারে ভিসা তৈরি হয়েছে কি না জানতে পারবেন।

    মালয়েশিয়া ভিসা তৈরি হয়ে থাকলে আপনি ভিসা রেডি হয়েছে এমন দেখতে পারবেন। সেখানে থেকেই আপনি ভিসা তথ্য প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।

    মালয়েশিয়া ই ভিসা চেক করার নিয়ম

    মালয়েশিয়া ই ভিসা চেক করার জন্য https://malaysiavisa.imi.gov.my/evisa/vlno_checkstatus.jsp এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। এরপর, প্রথম ফাঁকা বক্সে আপনার পাসপোর্ট নাম্বার লিখুন। অতঃপর, দ্বিতীয় বক্সে Sticker Number লিখুন। এখন ইমেজে দেখানো ভেরিফিকেশন কোডটি নিচের ফাঁকা বক্সে লিখুন এবং I have obtained my eVISA লেখার পাশের বক্সে টিক মার্ক দিন।

    অতঃপর, Check বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে, মালয়েশিয়া ই ভিসা চেক করতে পারবেন। এই পদ্ধতিটি অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনার Malaysia E-visa হয়েছে কি না তা যাচাই করতে পারবেন।

    মালয়েশিয়া কলিং ভিসা চেক করার পদ্ধতি

    যারা মালয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করেছেন এবং কোম্পানি থেকে কলিং ভিসা পেতে চান, তারা আবেদন করার পর কলিং ভিসা হয়েছে কি না চেক করতে চান। আপনার মালয়েশিয়া কলিং ভিসা তৈরি হয়েছে কি না জানার জন্য নিচের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করুন।

    1. মালয়েশিয়া কলিং ভিসা চেক করার জন্য নিচে উল্লিখিত ধাপগুলো অনুসরন করুন। তাহলে, আপনার ভিসা হয়েছে কি না জানতে পারবেন।
    2. প্রথমে মালয়েশিয়া ভিসা চেক লেখার উপর ক্লিক করুন। তাহলে, আপনাকে মালয়েশিয়া ভিসা ওয়েবসাইটে নিয়ে যাবে।
    3. অতঃপর, আপনার কোম্পানি থেকে পাওয়া কলিং পেপারে থাকা কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন নাম্বার লিখে সার্চ করুন।
    4. ওয়েবসাইট ভিজিট করার পর Company Registration No লেখার পাশে কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন নাম্বার লিখে সার্চ করতে হবে।

    সার্চ করলে আপনার ভিসা তৈরি হয়েছে কিনা জানতে পারবেন। এই পদ্ধতি অনুসরন করার মাধ্যমে অনলাইন মালয়েশিয়া ভিসা যাচাই করতে পারবেন।


    আরও পড়ুনঃ সৌদি আরব কোন কাজের চাহিদা কেমন ও যেতে খরচ কত টাকা

    আরও পড়ুনঃ কাজের ভিসায় ফিনল্যান্ড যাওয়ার নিয়ম


    শেষ কথা

    আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে মালয়েশিয়া ভিসা চেক অনলাইনে করার পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি যদি পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে থাকেন, তবে অনলাইনে কিভাবে মালয়েশিয়া ভিসা চেক করতে হয় জানতে পারবেন। মালয়েশিয়া ভিসা যাচাই করা সম্পর্কিত আরও কোনো প্রশ্ন থাকলে নিচে সংযুক্ত সাধারণত জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলীগুলো পড়তে পারেন। কোনো প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই মন্তব্য করবেন।

    সাধারণত জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী

    পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা হয়েছে কিনা চেক করা যায়?

    হ্যাঁ, আপনি চাইলে আপনার পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা হয়েছে কিনা তা যাচাই করতে পারবেন। এজন্য, পোস্টে উল্লিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। 

    মালয়েশিয়া ই ভিসা ডাউনলোড

    মালয়েশিয়া ই ভিসা ডাউনলোড করার জন্য মালয়েশিয়া ই ভিসা চেক করতে হবে। এজন্য, মালয়েশিয়া ই ভিসা চেক করার ওয়েবসাইট https://malaysiavisa.imi.gov.my/evisa/vlno_checkstatus.jsp ভিজিট করতে হবে। অতঃপর, আপনার ভিসা তৈরি হয়েছে কিনা যাচাই করতে পারবেন। সেখানে থেকেই মালয়েশিয়া ই ভিসা ডাউনলোড করতে পারবেন। 

    অনলাইনে মালয়েশিয়া ভিসা যাচাই করার উপায় কি?

    অনলাইনে মালয়েশিয়া ভিসা যাচাই করতে চাইলে http://eservices.imi.gov.my/myimms/PRAStatus এই ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। এরপর, কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দিয়ে ভিসা যাচাই করতে পারবেন। এছাড়াও, আপনি চাইলে এই ওয়েবসাইট থেকে আপনার এপ্লিকেশন নাম্বার দিয়েও ভিসা হয়েছে কিনা চেক করতে পারবেন। 

    মালয়েশিয়া ভিসা করতে কত টাকা লাগে?

    মালয়েশিয়া ভিসা করতে সাধারণত ৪-৫ লক্ষ টাকা লেগে থাকে। আপনি যদি সরকারিভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য আবেদন করেন, তবে এর কমেও ভিসা পেতে পারেন। তবে, কোনো এজেন্সির সহযোগিতা নিলে অথবা কোনো দালালের সহযোগিতা নিলে ৭-৮ লক্ষ টাকা অব্দি লাগতে পারে। আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করেন, তবে এর কমেও হতে পারে।

  • বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ কিভাবে করবেন

    বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ কিভাবে করবেন

    বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ করতে চাচ্ছেন কিন্তু কিভাবে বাংলা টু ইংলিশ ট্রান্সলেট করতে হয় জানেন না? আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ কিভাবে করবেন এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

    অনেকেই বাংলা ভাষা থেকে ইংরেজি ভাষায় বিভিন্ন লেখা অনুবাদ করতে চান। কিন্তু, সঠিক পদ্ধতি না জানার কারণে অনুবাদ করতে পারেন না। ট্রান্সলেট করে সহজেই আমরা ইংরেজি শিখতে পারি। তো চলুন, কিভাবে বাংলা থেকে ইংরেজি ভাষায় যেকোনো বাক্য বা বাক্যাংশ অনুবাদ করতে হয় জেনে নেয়া যাক।

    বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ করার উপায়

    বাংলা থেকে ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করার কয়েকটি উপায় রয়েছে। বাংলা ভাষার যেকোনো লেখা ইংরেজি ভাষা করতে চাইলে নিম্নোক্ত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে পারেন।

    উপরোক্ত ৪টি পদ্ধতি ব্যবহার করে অনেক সহজেই যেকোনো বাংলা লেখাকে ইংরেজিতে রুপান্তর করতে পারবেন। কিভাবে বাংলা ভাষাকে ইংরেজিতে অনুবাদ করা যায় তার নিয়ম এবং পদ্ধতিসমূহ নিচে আরও বিস্তারিত বর্ণনা করেছি। চলুন, বাংলা টু ইংরেজি ট্রান্সলেট করার উপায় জেনে নেয়া যাক।

    গুগল ট্রান্সলেটর ওয়েবসাইট ব্যবহার করে বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ

    গুগল ট্রান্সলেটর ওয়েবসাইট ব্যবহার করে বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করার জন্য প্রথমেই আপনাকে ভিজিট করতে হবে translate.google.com ওয়েবসাইট। এরপর, বাম দিকের ড্রপ-ডাউন মেনু থেকে Bengali সিলেক্ট করতে হবে। অতঃপর, ডান দিকে ইংরেজিতে সিলেক্ট করা থাকবে বা সিলেক্ট করে দিতে হবে।

    তারপর, বাম দিকে বাংলা লিখলে ডান দিকে উক্ত লেখার ইংরেজি দেখতে পাবেন। এভাবে করে যেকোনো বাংলা লেখাকে গুগল ট্রান্সলেট ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ইংরেজিতে অনুবাদ করে নিতে পারবেন। কোনো শব্দের ইংরেজি অর্থ জানা না থাকলেও এই ওয়েবসাইট থেকে জেনে নিতে পারবেন।

    এছাড়াও, শুধু বাংলা থেকে ইংরেজি নয়, আপনি চাইলে ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করতে পারবেন এই ওয়েবসাইট থেকেই। এজন্য, বাম দিকে ইংরেজি সিলেক্ট করতে হবে এবং ডান দিকে বাংলা সিলেক্ট করতে হবে। তাহলে, ইংরেজি লিখলে উক্ত ইংরেজি লেখার বাংলা অনুবাদ দেখতে পাবেন।

    এছাড়াও, কোনো ভাষা না সিলেক্ট করেও আপনি যেকোনো ভাষার লেখা কপি পেস্ট করে উক্ত লেখাটি কোন ভাষায় অনুবাদ করতে চাচ্ছেন তা সিলেক্ট করে অনুবাদ করে নিতে পারবেন। গুগল ট্রান্সলেট ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ভয়েস দিয়েও অনুবাদ করা যায়।

    গুগল ট্রান্সলেটর অ্যাপ ব্যবহার করে বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ

    বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ app গুলোর মাঝে সবথেকে সেরা অ্যাপ হচ্ছে গুগল ট্রান্সলেটর অ্যাপ। এই অ্যাপটি ব্যবহার করে পৃথিবীর প্রায় সব ভাষাকেই অনুবাদ করতে পারবেন। গুগল ট্রান্সলেটর অ্যাপ ব্যবহার করার জন্য প্রথমেই গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর ওপেন করতে হবে। এরপর, Google Translator লিখে সার্চ করতে হবে।

    তারপর, অ্যাপটি ইন্সটল করে নিতে হবে। অ্যাপ ইন্সটল হয়ে গেলে অ্যাপটি ওপেন করে আপনি যে ভাষাকে অনুবাদ করতে চাচ্ছেন সেটি সিলেক্ট করতে হবে। উদাহরণ হিসেবে, আমি যদি বাংলাকে ইংরেজিতে অনুবাদ করতে চাই, তাহলে বাংলা সিলেক্ট করবো। এরপর, বাংলা থেকে কোন ভাষায় অনুবাদ করতে চাই সেটি সিলেক্ট করে দিবো।

    ঠিক এভাবে করে ভাষা সিলেক্ট করে দিয়ে আপনি একটি ভাষা থেকে অন্য ভাষায় অনুবাদ করতে পারবেন। বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ করার সবথেকে সেরা মাধ্যম হচ্ছে এটি। অ্যাপটি ব্যবহার করে শুধু লেখাই নয়, আপনি চাইলে ভয়েস অন করে কথা বলেও সেটি অনুবাদ করে নিতে পারবেন।

    যেমন – মনে করুন আপনার সামনে কেউ অন্য ভাষায় কথা বলছে, আপনি চাইলে ভয়েস অন করে দিলেন, এরপর উক্ত ব্যক্তি কোন ভাষায় কথা বলছে গুগল ট্রান্সলেটর তা অটো ডিটেক্ট করে আপনি যে ভাষায় শুনতে চাচ্ছেন তাতে অনুবাদ করে দিবে।

    এই ফিচারটি লেখার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করতে পারবেন। যেকোনো ভাষার লেখা লিখে আপনি তা অন্য যেকোনো ভাষায় অনুবাদ করে নিতে পারবেন।

    অন্যান্য ট্রান্সলেট অ্যাপ ব্যবহার করে

    গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর ওপেন করে Translator লিখে সার্চ করলে অনেক ট্রান্সলেট করার অ্যাপ পাওয়া যাবে। এগুলো মাঝে থেকে যেকোনো একটি অ্যাপ ইন্সটল করে সেটি ব্যবহার করে বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ করতে পারবেন অনেক সহজেই। বাংলা থেকে ইংরেজিতে যেকোনো লেখাকে অনুবাদ করার জন্য এসব অ্যাপে ডিকশনারি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

    আপনি চাইলে যেকোনো দেশের ভাষায় অনুবাদ করতে পারবেন। অর্থাৎ, শুধু বাংলা থেকে ইংরেজি নয়, বাংলা থেকে হিন্দি, চায়নিজ, জাপানিজ সহ বিভিন্ন দেশের ভাষায় অনুবাদ করতে পারবেন এসব অ্যাপ ব্যবহার করে।

    ডিকশনারি অ্যাপ ব্যবহার করে

    ডিকশনারি অ্যাপ ব্যবহার করে বাংলা শব্দের ইংরেজি অর্থ, ইংরেজি শব্দের বাংলা অর্থ শিখতে পারবেন। এছাড়াও, পাশাপাশি আপনি চাইলে বাংলা ভাষার যেকোনো লেখাকে ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করতে পারবেন ডিকশনারি অ্যাপ ব্যবহার করেই। গুগল প্লে স্টোর গিয়ে Dictionary লিখে সার্চ করলে অনেক ডিকশনারি অ্যাপ খুঁজে পাবেন।

    যেকোনো একটি অ্যাপ ইন্সটল করে বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ করতে পারবেন। অধিকাংশ সময় এসব ডিকশনারি অ্যাপ ব্যবহার করার জন্য ইন্টারনেট কানেকশন প্রয়োজন হয়। তবে, আপনি চাইলে এসব অ্যাপ অফলাইনে ব্যবহার করতে পারবেন। এজন্য, বাংলা ভাষার ডিকশনারি ডাউনলোড করে রাখতে হবে অ্যাপের ভিতর থেকে। এরপর, আপনি চাইলে অফলাইনেও এই অ্যাপ ব্যবহার করে যেকোনো বাংলা লেখাকে ইংরেজি লেখাতে অনুবাদ করতে পারবেন।

    ইন্টারনেট ছাড়া বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ

    ইন্টারনেট কানেকশন ছাড়া বাংলা থেকে ইংরেজিতে যেকোনো লেখাকে অনুবাদ করতে চাইলে একটি Translator অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে। অনেক অ্যাপ ইন্সটল করার পর থেকেই ইন্টারনেট ছাড়া ব্যবহার করা যায়। তবে, গুগল ট্রান্সলেটর সহ কিছু অ্যাপ ব্যবহার করার জন্য ইন্টারনেট কানেকশন প্রয়োজন হয়। 

    ইন্টারনেট ছাড়া ব্যবহার করতে চাইলে আপনাকে অ্যাপের ভিতর থেকে ডিকশনারি ডাউনলোড করতে হবে। তাহলে, পরবর্তীতে কোনো ইন্টারনেট কানেকশন ছাড়াই এই অ্যাপ ব্যবহার করে বাংলা ভাষার লেখা ইংরেজিতে অনুবাদ করতে পারবেন।

    ছবি থেকে অনুবাদ

    ছবি থেকে বাংলা টু ইংলিশ অনুবাদ করতে চাইলে অনেক সহজেই আমরা একটি অ্যাপের মাধ্যমে এই কাজটি করতে পারি। ছবি থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করার জন্য প্রথমেই গুগল প্লে স্টোর থেকে একটি অ্যাপ ইন্সটল করতে হবে। অ্যাপটির নাম হচ্ছে Google Lens । এই অ্যাপটি অনেক ফোনে ডিফল্টভাবে ইন্সটল করা থাকে।

    অ্যাপটি ইন্সটল করার পর ওপেন করুন। এরপর, ইমেজ অপশন থেকে যেকোনো একটি ইমেজ সিলেক্ট করে নিন। অতঃপর, translate মেনুতে ক্লিক করলে ছবিতে থাকা লেখা অনুবাদ হয়ে যাবে। আপনি চাইলে যেকোনো ভাষায় অনুবাদ করতে পারবেন। বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ কিংবা ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করতে পারবেন এই অ্যাপটি ব্যবহার করে।

    এছাড়াও, গুগল লেন্স ব্যবহার করে ছবি দিয়ে সার্চ করতে পারবেন। অর্থাৎ, একটি ছবি দিয়ে সার্চ করে একই রকমের আরও অনেক ছবি বের করতে পারবেন। এছাড়াও, ছবি দিয়ে সার্চ করে আরও বিস্তারিত তথ্য বের করার জন্য এই অ্যাপটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।


    আরও পড়ুন: আইইএলটিএস ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়?

    আরও পড়ুন: মৌজা বের করবো কিভাবে – মৌজা ডাউনলোড করার নিয়ম

    আরও পড়ুন: ফেসবুক পেজে লাইক বাড়ানোর উপায়


    শেষ কথা

    আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ কিভাবে করবেন এবং ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ করার বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি যদি পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে থাকেন, তবে বাংলা ভাষা থেকে ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করার পদ্ধতি জেনে যাওয়ার কথা। আরও এমন তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইট প্রতিনিয়ত ভিজিট করুন। 

  • সৌদি আরব কোন কাজের চাহিদা কেমন ও যেতে খরচ কত টাকা

    সৌদি আরব কোন কাজের চাহিদা কেমন ও যেতে খরচ কত টাকা

    সৌদি আরব কোন কাজের চাহিদা কেমন ও যেতে খরচ কত টাকা এই বিষয়গুলো নিয়ে আজকের এই ব্লগে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেতে চান তাহলে সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি এটা জেনে রাখা জরুরী।

    কারণ, সৌদি আরবে যে কাজের চাহিদা বেশি আপনি যদি সেই কাজের উপর প্রশিক্ষন নিয়ে যান এবং উক্ত কাজের জন্য ভিসা করেন, তবে অল্প সময়ের মাঝে অধিক টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এছাড়াও, সৌদি আরবে যেতে খরচ কত টাকা তা নিয়েও আজ আপনাদের সাথে বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করবো।

    তো চলুন, সৌদি আরব কোন কাজের চাহিদা কেমন এবং সৌদি আরব যেতে খরচ কত টাকা তা জেনে নেয়া যাক।

    সৌদি আরব কোন কাজের চাহিদা কেমন

    সৌদি আরবে বিভিন্ন কাজ করে অল্প সময়ের মাঝে অধিক টাকা উপার্জন করা যায় জন্য অনেকেই সৌদি আরব যেতে চান প্রবাসী হিসেবে। কিন্তু, সৌদি আরব যাওয়ার পূর্বে তারা জানতে চান যে কোন কাজের চাহিদা কেমন। অর্থাৎ, কোন কাজ শিখে সৌদি আরব গেলে তারা অল্প সময়ের মাঝে অধিক টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

    সৌদি আরবে সবথেকে বেশি চাহিদা রয়েছে এমন কিছু কাজের তালিকা নিচে উল্লেখ করে দিচ্ছি। এই কাজগুলো থেকে যেকোনো একটি কাজ শিখে আপনি যদি সৌদি ভিসা করে সৌদি আরব যেতে পারেন, তবে অল্প সময়ের মাঝে অধিক টাকা উপার্জন করতে পারবেন। সৌদি আরবে যেসব কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি এবং অধিক বেতন পাওয়া যায় সেসব কাজ হচ্ছে –

    • টেকনিশিয়ান
    • ওয়েল্ডিং
    • প্লাম্বিং
    • ইলেক্ট্রিশিয়ান
    • অটোমোবাইল

    ইত্যাদি কাজের চাহিদা সৌদি আরবে সবথেকে বেশি। আমাদের দেশ থেকে যারা এসব কাজ শিখে সৌদি আরব যাচ্ছেন, তারা অনেক বেশি বেতনে চাকুরী করছেন। কারণ, সৌদি আরবে এসব কাজের চাহিদা অন্যান্য কাজের তুলনায় অনেক বেশি। এছাড়াও, এসব কাজের চাহিদা শুধু সৌদি আরবে নয়, বরং পুরো বিশ্বে অনেক বেশি।

    যেমন অটোমোবাইল সেক্টরে যেসব দক্ষ শ্রমিক রয়েছে, তারা পুরো বিশ্বের যেকোনো দেশে ভিসা আবেদন করে অধিক বেতনে চাকুরী করতে পারবেন। এছাড়াও, ইলেক্ট্রিশিয়ান এবং টেকনিশিয়ান কাজেরও চাহিদা রয়েছে পুরো বিশ্বব্যাপী। প্রযুক্তির এতো উন্নয়ন হচ্ছে, পুরো বিশ্বে এখন প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষ সকল কাজ করছে। তাই, প্রযুক্তি সম্পর্কিত কাজগুলো করতে পারে এবং দক্ষ এমন শ্রমিকের চাহিদাও অনেক বেশি।

    তাই, আপনি যদি সৌদি আরব গিয়ে অল্প সময়ের মাঝে অধিক টাকা উপার্জন করতে চান, তবে অবশ্যই উপরের তালিকায় উল্লিখিত কাজগুলো শিখে সৌদি আরব যেতে পারেন। এসব কাজের ট্রেনিং নিয়ে সৌদি ভিসা করে সৌদি যেতে পারলে বেশি বেতন পাবেন এবং প্রমোশন এর সুযোগ রয়েছে কাজের উপর দক্ষতার ভিত্তিতে।

    সৌদি আরব কোন কাজের চাহিদা বেশি

    সৌদি আরবে প্রযুক্তি বিষয়ক কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি। এছাড়াও, সৌদি আরবে অনেক নতুন বহুতল বিল্ডিং হচ্ছে। এজন্য বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তারা শ্রমিক নিয়োগ দিচ্ছেন। ওয়েল্ডিং, প্লাম্বিং, টেকনিশিয়ান, ইলেক্ট্রিশিয়ান এসব কাজে দক্ষতা থাকলে আপনিও সৌদি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং সৌদি গিয়ে বেশি বেতনে কাজ করতে পারবেন।

    আমাদের দেশ থেকে যারা সৌদি আরব কাজ করার জন্য যায়, তাদের মাঝে অধিকাংশ মানুষ এসব কাজ শিখে গিয়ে থাকেন। তাই তারা অল্প সময়ের মাঝে অধিক বেতনে কাজ করতে পারেন এবং তাদের কাজের উপর দক্ষতা বিবেচনা করে অনেকেই প্রমোশন পেয়ে থাকেন। ফলে, তারা আরও বেশি বেতনে কাজ করতে পারেন।

    সৌদি আরবে ওয়েল্ডিং কাজ

    সৌদি আরবে ওয়েল্ডিং কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি। অল্প সময়ের মাঝে শিখতে পারবেন এবং প্রবাস গিয়ে ভালো পরিমানে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন এমন কাজ করতে চাইলে ওয়েল্ডিং কাজের ভিসা নিয়ে সৌদি আরব যেতে পারেন। সৌদি আরবে ওয়েল্ডিং কাজের ভিসার দাম অনেক বেশি। অর্থাৎ, এই কাজ শিখে সৌদি গেলে আপনি অনেক বেশি বেতনে কাজ করতে পারবেন। 

    ওয়েল্ডিং কাজ শিখে সৌদি আরব গেলে প্রতি মাসে ১৫০০-১৮০০ রিয়াল পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। ওয়েল্ডিং কাজ করে সৌদি আরব থেকে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করছেন বাংলাদেশের অনেকেই। আপনিও যদি সৌদি আরব গিয়ে অল্প সময়ে অধিক অর্থ উপার্জন করতে চান, তবে ওয়েল্ডিং কাজ করতে পারেন।

    সৌদি আরবে অটোমোবাইল কাজ

    পুরো বিশ্বে প্রযুক্তির বিপ্লবের কারণে প্রতিনিয়ত অটোমোবাইল কাজের চাহিদা বেড়েই চলেছে। অটোমোবাইল কাজ শিখে সৌদি আরব গেলে অনেক বেশি বেতন কাজ করতে পারবেন। বিভিন্ন কোম্পানি অটোমোবাইল সেক্টরে দক্ষ কর্মীদের নিয়োগ দিচ্ছে। আপনি যদি অটোমোবাইল সেক্টরে দক্ষ হন এবং বাংলাদেশে থেকে সৌদি যাওয়ার পূর্বে BMET থেকে একটি সার্টিফিকেট নিতে পারেন, তবে সৌদি গিয়ে অনেক বেশি বেতনে চাকুরী করতে পারবেন। 

    সৌদি আরবে অটোমোবাইল সেক্টরে ১৫০০-১৮০০ রিয়াল অব্দি ইনকাম করে থাকেন অনেকেই। যারা এই সেক্টরে দক্ষ, তারা ৩০০০ হাজার রিয়াল অব্দি ইনকাম করে থাকে প্রতি মাসে। অটোমোবাইল কাজে দক্ষতা অর্জন করে বিএমইটি থেকে সার্টিফিকেট নিয়ে সৌদি গেলে আপনিও এই পরিমাণ টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

    সৌদি আরব যেতে খরচ কত

    প্রবাসে গিয়ে টাকা উপার্জন করতে চান এমন মানুষের মাঝে অধিকাংশ মানুষ প্রশ্ন করে থাকেন যে বিদেশ যেতে কত টাকা লাগে। এছাড়াও, যারা আবার সৌদি আরব যেতে চান, তারা প্রশ্ন করে থাকেন যে সৌদি আরব যেতে খরচ কত টাকা লাগে? আপনিও নিশ্চয়ই সৌদি আরব যেতে চান এবং সৌদি আরব যাওয়ার খরচ কত টাকা লাগে জানতে চান?

    সৌদি আরব যাওয়ার জন্য সরকারিভাবে ৪-৫ লক্ষ টাকা লেগে থাকে। এজন্য, আপনাকে সরকারিভাবে সৌদি যাওয়ার জন্য ভিসা আবেদন করতে হবে। কিন্তু, আপনি যদি কোনো দালালের সহযোগিতা নিয়ে সৌদি যেতে চান বা কোনো ভিসা এজেন্সির সহযোগিতা নিয়ে সৌদি যেতে চান, তবে ৭-৮ লক্ষ টাকা অব্দি লাগতে পারে।

    সৌদি আরব যাওয়ার জন্য ভিসা আবেদন করার সময় ভিসা ফি, ফ্লাইট টিকেট, ভিসা প্রসেসিং সহ আরও আনুসাঙ্গিক ক্ষেত্রে টাকা লাগবে। তাই, আপনি কারও সহযোগিতা না নিয়ে নিজেই যদি ভিসা আবেদন সহ সকল কাজ করেন, তবে অল্প টাকার মাঝেই সৌদি যেতে পারবেন। তবে, অবশ্যই যে কাজের জন্য ভিসা আবেদন করবেন, সেই কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করে নিবেন।

    নয়তো, ভিসা না পাওয়া সহ আরও অনেক জটিল সমস্যায় পড়তে হতে পারে। এছাড়া, আপনি যে কাজে দক্ষ সেই কাজের জন্য ভিসা আবেদন করলে অল্প সময়ে ভিসা পাওয়া সহ বেশি বেতনে কাজ করতে পারবেন। যদি কোনো ভিসা এজেন্সির সহযোগিতা নেন বা কোনো দালালের সহযোগিতা নেন, তবে তারা আপনার হয়ে সকল কাজ করে দিবে।


    আরও পড়ুনঃ মৌজা বের করবো কিভাবে – মৌজা ডাউনলোড করার নিয়ম


    আমাদের শেষ কথা

    আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে সৌদি আরব কোন কাজের চাহিদা কেমন এবং সৌদি যেতে কত টাকা খরচ হয় এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে থাকলে সৌদি আরবের চাহিদা বেশি এমন কাজগুলো সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন। এছাড়াও, সৌদি ভিসা করতে কত টাকা লাগে এটিও জানতে পারবেন। 

    আরও কোনো প্রশ্ন থাকলে মন্তব্য করতে পারেন। এছাড়াও, নিচের FAQ গুলো দেখতে পারেন।

    FAQ

    সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো?

    সৌদি আরব ওয়েল্ডিং, অটোমোবাইল, টেকনিশিয়ান ভিসা ভালো। এসব ভিসায় গেলে বেশি বেতনে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়।

    সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি?

    সৌদি আরবে ওয়েল্ডিং কাজের এবং অটোমোবাইল কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি।

  • মৌজা বের করবো কিভাবে – মৌজা ডাউনলোড করার নিয়ম

    মৌজা বের করবো কিভাবে – মৌজা ডাউনলোড করার নিয়ম

    জমি চিহ্নিত করার জন্য মৌজা ম্যাপ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মৌজা কিভাবে বের করতে হয় এই বিষয়ে আজ আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আপনি যদি মৌজা ম্যাপ ডাউনলোড করতে চান, তবে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

    মৌজা ম্যাপ এর সাহায্যে সহজেই জমি চিহ্নিত করা যায়। বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে অনেক সহজেই অনলাইনে মৌজা ম্যাপ ডাউনলোড করা যায়। অনলাইনে মৌজা কিভাবে বের করবেন জানার জন্য শুরু থেকে শেষ অব্দি পড়ুন।

    মৌজা ম্যাপ কি

    মৌজা মানে হচ্ছে কোনো এলাকা বা গ্রাম। কিন্তু, মৌজা ম্যাপ হচ্ছে কোনো গ্রামের জমির নকশা। অর্থাৎ, জমি ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত কাজে যে ম্যাপ ব্যবহার করা হয়, এটিই হচ্ছে মৌজা ম্যাপ। মৌজা ম্যাপের মাধ্যমে আপনি আপনার জমি চিহ্নিত করতে পারবেন।

    একটি এলাকার সকল জমির মাঝে থেকে নির্দিষ্ট কোনো জমি খুঁজে বের করার জন্যই মৌজা ম্যাপ ব্যবহার করা হয়। এই মৌজা ম্যাপে পুরো এলাকা বা গ্রামের সকল জমির নকশা উল্লেখ করে দেয়া থাকে। ভূমি সংক্রান্ত কাজের জন্য মৌজা ম্যাপ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

    মৌজা কিভাবে বের করবো

    মৌজা বের করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট eporcha.gov.bd ভিজিট করতে হবে। এরপর, ওয়েবসাইট থেকে মৌজা ম্যাপ অপশনে ক্লিক করতে হবে। অতঃপর, বিভাগের নাম, জেলা, উপজেলা, সার্ভে টাইপ এবং মৌজা সিলেক্ট করে মৌজা বের করা যাবে।

    মৌজা ম্যাপ বের করার জন্য জমি কোন বিভাগে, জেলায় এবং উপজেলায় অবস্থিত সেটি জানা থাকতে হবে। এরপর, eporcha.gov.bd ওয়েবসাইট ভিজিট করে মৌজা ম্যাপ চিহ্নিত করতে পারবেন এবং চাইলে অনলাইনে মৌজা ম্যাপের সার্টিফাইড কপির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

    মৌজা ম্যাপ বের করার বিস্তারিত পদ্ধতি নিয়ে নিচে আরও বিস্তারিত পদ্ধতি আলোচনা করেছি। ধাপগুলো অনুসরন করলে আপনিও ঘরে বসে মৌজা ম্যাপ চিহ্নিত করতে পারবেন এবং সার্টিফাইড কপির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

    মৌজা বের করার জন্য কি কি লাগে

    মৌজা বের করার জন্য কিছু তথ্য লাগবে। এসব তথ্য থাকলে মৌজা চিহ্নিত করতে পারবেন এবং চাইলে অনলাইনে মৌজার সার্টিফাইড কপির জন্য আবেদন করতে পারবেন। মৌজা বের করার জন্য কি কি লাগে তার একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করে দিয়েছি। চলুন, দেখে নেয়া যাক।

    • বিভাগ নাম
    • জেলা নাম
    • উপজেলা নাম
    • সার্ভে টাইপ
    • পর্চার নাম
    • মৌজা নাম
    • দাগ নং / সিট নং

    উপরোক্ত এই তথ্যগুলো হলে যেকোনো মৌজার  ম্যাপ বের করতে পারবেন অনেক সহজেই। এসব তথ্য দিয়ে কিভাবে একটি মৌজা চিহ্নিত করা যায় চলুন দেখে নেয়া যাক।

    অনলাইন থেকে মৌজা বের করার নিয়ম

    অনলাইন থেকে মৌজা চিহ্নিত বা মৌজা বের করার জন্য আমাদেরকে বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রণালয় এর ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে হবে। এই ওয়েবসাইট থেকে ভূমি বিষয়ক সকল সেবা পাওয়া যায়। ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য eporcha.gov.bd এই লিংকটিতে ভিজিট করতে হবে।

    এরপর, মৌজা ম্যাপ অপশন থেকে জমির সকল তথ্য সিলেক্ট করে দিয়ে মৌজা ম্যাপ চিহ্নিত করা যাবে। এছাড়াও, মৌজা ম্যাপ চিহ্নিত করার পর চাইলে সার্টিফাইড কপির জন্য আবেদন করা যাবে। আরও বিস্তারিত পদ্ধতি জানার জন্য নিচে উল্লিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করুন।

    ধাপ ১ –

    ধাপ ১ –  প্রথমেই ভিজিট করুন https://land.gov.bd/ ওয়েবসাইট। এই লিংকে ক্লিক করে বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রণালয় এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারবেন।

    ধাপ ২ – এরপর, স্মার্ট ভূমি রেকর্ড ও  ম্যাপ অপশনে ক্লিক করুন। এখানে ক্লিক করলে eporcha.gov.bd ওয়েবসাইটে নিয়ে যাবে।

    ধাপ ৩ – আপনি চাইলে প্রথম দুই ধাপ স্কিপ করে সরাসরি eporcha.gov.bd ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। কারণ উপরের দুইটি ধাপ অনুসরন করলেও এই ওয়েবসাইটে নিয়ে আসবে। এই ওয়েবসাইট ভিজিট করার পর মৌজা ম্যাপ অপশনে ক্লিক করতে হবে।

    ধাপ ৪ – এখন আপনি যে জমির মৌজা ম্যাপ অনুসন্ধান করতে চাচ্ছেন, সেটি কোন বিভাগে, জেলায় এবং উপজেলায় অবস্থিত সেটি সিলেক্ট করে দিতে হবে।

    ধাপ ৫ – এরপর, সার্ভে টাইপ এর নিচে থেকে পর্চার ধরণ নির্বাচন করতে হবে। তারপর, মৌজা নামের তালিকা থেকে যে মৌজার ম্যাপ ডাউনলোড করতে চাচ্ছেন, সেটি সিলেক্ট করতে হবে।

    ধাপ ৬ – মৌজা সিলেক্ট করার পর সিট নং বা দাগ নং জানা থাকতে হবে। দাগ নং বা সিট নং লিখে সার্চ করে মৌজা ম্যাপ দেখতে পাবেন। এছাড়াও, চাইলে স্ক্রোল করে নাম দেখে সিলেক্ট করতে পারবেন।

    সিলেক্ট করার জন্য ডাবল ক্লিক করতে হবে। এরপর একটু সময় লোড নিয়ে আপনার মৌজা ম্যাপ চলে আসবে। এখন আপনি চাইলে আবেদন করুন বাটনে ক্লিক করে মৌজা ম্যাপের অনলাইন কপি বা সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করতে পারবেন। উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে সহজেই মৌজা ম্যাপ চিহ্নিত করতে পারবেন।

    আপনি যদি মৌজা ম্যাপের অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে চান বা মৌজা ম্যাপের সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করতে চান, তাহলে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারেন।

    অনলাইনে মৌজা ম্যাপের আবেদন

    অনলাইনে মৌজা ম্যাপের আবেদন করার মাধ্যমে মৌজা ম্যাপ ডাউনলোড করা যায়। তবে, আমরা অনলাইনে শুধুমাত্র মৌজা ম্যাপের অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবো। আপনি যদি সার্টিফাইড কপি ডাউনলোড করতে চান, তাহলে অবশ্যই পোস্ট অফিসের মাধ্যমে নিতে হবে।

    মৌজা ম্যাপ অনলাইন কপি এবং সার্টিফাইড কপির জন্য কিভাবে আবেদন করতে হবে তা বিস্তারিত নিচে উল্লেখ করে দিয়েছি। চলুন, দেখে নেয়া যাক।

    মৌজা ম্যাপ চিহ্নিত করার পর আবেদন করুন বাটনে ক্লিক করলে আপনার সামনে নতুন একটি পেজ ওপেন হবে। এই পেজে আপনাকে আবেদন করতে হবে। চাইলে অনলাইন কপির জন্য অথবা সার্টিফাইড কপির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।

    ধাপ ১ – জাতীয় পরিচয়পত্র নং, জন্ম তারিখ, নাম (ইংরেজি) জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী, মোবাইল নম্বর লিখে ক্যাপচা কোড পূরণ করতে হবে। এরপর, যাচাই করুন বাটনে ক্লিক করতে হবে। 

    ধাপ ২ – এরপর, বিস্তারিত ঠিকানা লিখতে হবে। অনলাইন কপি সিলেক্ট করা থাকে ডিফল্টভাবে। ১০০ টাকা বিকাশ বা অন্য মাধ্যমে পেমেন্ট করলে উক্ত মৌজার অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।

    ধাপ ৩ – আপনি যদি সার্টিফাইড কপি নিতে চান, তাহলে সার্টিফাইড কপি অপশন সিলেক্ট করতে হবে। এরপর, ডাকযোগে সিলেক্ট করে দেশের ভিতর নিবেন নাকি দেশের বাইরে সেটি সিলেক্ট করতে হবে। দেশের বাইরে নিতে চাইলে দেশের নাম সিলেক্ট করতে হবে। 

    ধাপ ৪ – অতঃপর, পেমেন্ট সম্পন্ন করতে হবে। সার্টিফাইড কপি দেশের ভিতরে ডাকযোগে নিতে চাইলে ১৪০ টাকা পেমেন্ট করতে হবে। যদি দেশের বাইরে নিতে চান, তবে ৫০০+ টাকা পেমেন্ট করতে হবে। পেমেন্ট এর পরিমান দেখতে পাবেন ওখানেই। 

    এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে সহজেই মৌজা ম্যাপ ডাউনলোড করতে পারবেন বা সার্টিফাইড কপির জন্য আবেদন করতে পারবেন। অনলাইন কপি ডাউনলোড করুন কিংবা সার্টিফাইড কপির জন্য আবেদন করুন, অনলাইনে পেমেন্ট করতে হবে। পেমেন্ট করার পর আপনার দেয়া ঠিকানায় সার্টিফাইড কপি পৌঁছে যাবে ডাকযোগে। 

    অনলাইন কপির জন্য পেমেন্ট করলে পেমেন্ট সম্পন্ন করলেই মৌজা ম্যাপ অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।

    শেষ কথা

    আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে মৌজা কিভাবে বের করবো এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত পদ্ধতি আলোচনা করেছি। পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে মৌজা ম্যাপ ডাউনলোড করার পদ্ধতি এবং মৌজা ম্যাপের সার্টিফাইড কপি সংগ্রহের পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আরও এমন তথ্য জানতে প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

  • কাজের ভিসায় ফিনল্যান্ড যাওয়ার নিয়ম

    কাজের ভিসায় ফিনল্যান্ড যাওয়ার নিয়ম

    কাজের ভিসায় ফিনল্যান্ড যেতে চাচ্ছেন? কাজের ভিসায় ফিনল্যান্ড যাওয়ার নিয়ম, ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা খরচ হবে এবং ফিনল্যান্ড টাকার রেট কত এসব বিষয়ে নিয়ে এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তো চলুন, ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ফিনল্যান্ড যেতে কি কি লাগবে এসব বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

    অনেকেই ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় অন্য দেশ যেতে চান। যেসব দেশের টাকার রেট বেশি, সেসব দেশে গেলে অল্প সময়ে অধিক টাকা উপার্জন করা সম্ভব। কাজের ভিসায় ফিনল্যান্ড যেতে চান অনেকেই। তো চলুন, ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ফিনল্যান্ড যেতে কি কি লাগবে জেনে নেয়া যাক।

    কাজের ভিসায় ফিনল্যান্ড যাওয়ার নিয়ম

    যেকোনো দেশে কাজের ভিসায় ফিনল্যান্ড যেতে চাইলে অবশ্যই একটি ওয়ার্ক পারমিট লাগবে। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসা নিয়ে ফিনল্যান্ড যেতে চান, তবে ভিসা আবেদন করার জন্য একটি ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করতে হবে। তো চলুন, কীভাবে ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করতে হবে এবং ওয়ার্ক পারমিট দিয়ে ভিসা আবেদন করতে হবে জেনে নেয়া যাক।

    ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করার নিয়ম

    কাজের ভিসায় ফিনল্যান্ড যেতে চাইলে একটি ওয়ার্ক পারমিট আবশ্যক। তাই, আপনি যে কাজে দক্ষ বা যে কোম্পানিতে কাজ করতে আগ্রহী, সেই কোম্পানিতে ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য আবেদন করতে হবে। ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে আমি প্রবাসী অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য, বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

    অতঃপর, আপনি যে কাজে আবেদন করতে চান, সেটিতে আবেদন করে ওয়ার্ক পারমিট নিতে পারবেন। অথবা, আপনি চাইলে বেসরকারি কোনো ভিসা এজেন্সির সহযোগিতা নিয়ে ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করতে পারেন। তবে, ভিসা এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করে ভিসা নিতে চাইলে অর্থ খরচ করতে হবে।

    মনে করুন, আপনি একটি ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করে ফেলেছেন। তো চলুন, এখন আমরা এই ওয়ার্ক পারমিট দিয়ে ভিসা আবেদন করবো। তো, ফিনল্যান্ড ভিসা আবেদন করতে কি কি লাগে এটি জানতে হবে। নিচে এসব বিষয় উল্লেখ করে দিয়েছি।

    কাজের ভিসায় ফিনল্যান্ড যেতে কি কি লাগে

    কাজের ভিসায় ফিনল্যান্ড যেতে চাইলে অবশ্যই একটি ওয়ার্ক পারমিট লাগবে। ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পর ভিসা আবেদন করতে হবে। ফিনল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে কি কি লাগবে তার একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করে দিয়েছি। চলুন, জেনে নেয়া যাক।

    • কমপক্ষে ৬ মাস বা তার বেশি মেয়াদ আছে এমন পাসপোর্ট
    • সম্প্রতি তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
    • ভিসা প্রসেসিং ফি
    • ব্যাংক স্টেটমেন্ট
    • শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ (এসএসসি/এইচএসসি সার্টিফিকেট)
    • কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ (যদি থাকে)
    • মেডিকেল টেস্ট এর রিপোর্ট
    • জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
    • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
    • ওয়ার্ক পারমিট ডকুমেন্ট

    উপরোক্ত ডকুমেন্টগুলো ফিনল্যান্ড ভিসা আবেদন করার সময় অবশ্যই লাগবে। তাই, ভিসা আবেদন করার সময় উপরোক্ত কাগজপত্রগুলো সত্যায়িত করে সঙ্গে রাখুন।

    ফিনল্যান্ড কাজের ভিসা আবেদন করার নিয়ম

    ফিনল্যান্ড কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে যেকোনো ভিসা এজেন্সির সহযোগিতা নিতে পারেন। অথবা, কোনো দালালের সহযোগিতা নিতে পারেন। অথবা, আপনি চাইলে নিজেই সরকারিভাবে ফিনল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

    সরকারিভাবে ফিনল্যান্ড কাজের ভিসার জন্য আবেদন করে ভিসা নিয়ে ফিনল্যান্ড যেতে পারবেন। ভিসা আবেদন করতে ফিনল্যান্ড এম্বাসিতে যোগাযোগ করতে হবে। এজন্য, নিউ দিল্লিতে অবস্থিত ফিনল্যান্ড এম্বাসির ওয়েবসাইট ভিজিট করে ভিসা আবেদন করতে পারেন। ভিসা আবেদন করার সময় উপরোক্ত কাগজপত্রগুলো লাগবে।

    ভিসা আবেদন করে একটি অ্যাপয়েনমেন্ট বুক করতে হবে। অতঃপর, ভিসা আবেদনটি প্রিন্ট করে সেটি সঙ্গে নিয়ে ফিনল্যান্ড এম্বাসিতে যেতে হবে। অতঃপর, বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান করে ভিস আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। অবশ্যই আপনার পাসপোর্টটি সেখানে জমা দিতে হবে। তাহলে, তারা আপনার পাসপোর্ট এবং ভিসা তৈরি করে দিবেন।

    এরপর, আপনি উক্ত ভিসা দিয়ে ফিনল্যান্ড যেতে পারবেন। তবে, ফিনল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ছাড়াও আরও অনেক ভিসায় যেতে পারবেন। যেমন – স্টুডেন্ট ভিসা, ট্রাভেল ভিসা, বিজনেস ভিসা ইত্যাদি। এসব ভিসা আবেদন করেও ফিনল্যান্ড যেতে পারবেন।


    ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা খরচ হয়

    ফিনল্যান্ড যেতে আপনি কয়েকটি পদ্ধতিতে ভিসা আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও, ভিসার ক্ষেত্রে ভিন্নতা রয়েছে। তাই, ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে তা নির্দিষ্ট নয়। ভিসার ধরণ এবং ভিসা আবেদন করার ধরণ অনুযায়ী ফিনল্যান্ড যেতে কম বা বেশি টাকা লেগে থাকে।

    আপনি যদি সরকারিভাবে কাজের ভিসায় ফিনল্যান্ড যেতে চান, তবে ৩-৪ লক্ষ টাকার মাঝেই যেতে পারবেন। তবে, কোনো ভিসা এজেন্সির সহজগিতা নিলে ৫-৬ লক্ষ টাকা অব্দি লাগতে পারে। কিন্তু, কোনো দালালের সহযোগিতা নিলে ৭-৮ লক্ষ টাকা অব্দি লাগতে পারে।

    এছাড়াও, স্টুডেন্ট ভিসায় ফিনল্যান্ড যেতে কম খরচ হয়ে থাকে। আপনি যদি ফিনল্যান্ড এর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করতে চান, তবে স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করতে পারেন। এজন্য, অ্যাডমিশন লেটার সংগ্রহ করতে হবে উক্ত কলেজ থেকে। অতঃপর, ভিসা আবেদন করে ২-৩ লক্ষ টাকার মাঝেই ফিনল্যান্ড চলে যেতে পারবেন।

    তবে, আরও কম খরচে ১-২ লক্ষ টাকার মাঝে ট্রাভেল ভিসায় ফিনল্যান্ড যাওয়া সম্ভব। ট্রাভেল ভিসা পাওয়া অনেক সহজ। অন্যান্য ভিসা আবেদন করার পর ভিসা হাতে পেতে অনেক সময় লাগে। ট্রাভেল ভিসায় কম খরচে ফিনল্যান্ড ভ্রমণ করতে যেতে পারবেন।

    ফিনল্যান্ড টাকার রেট কত

    ফিনল্যান্ড যেতে ইচ্ছুক অনেকেই ফিনল্যান্ড টাকার রেট কত জানতে চান। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ফিনল্যান্ড যেতে চান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে, তবে সেখানে অল্প টাকা উপার্জন করেই বাংলাদেশের অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

    কারণ, ফিনল্যান্ড এর টাকার রেট বাংলাদেশের টাকার থেকে অনেক বেশি। ফিনল্যান্ড ১ টাকা বাংলাদেশের ১১৯.৭৭ টাকা। এছাড়াও, ফিনল্যান্ড টাকার রেট কম বা বেশি হয়ে থাকে। তবে, ফিনল্যান্ড ইউরো সমান বাংলাদেশের ১১৯ টাকা থেকে ১২০ টাকা বা এর বেশি থাকে। আপনি যদি ফিনল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় গিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারেন, তবে সেখানের থেকে বাংলাদেশে ১০০ গুনের বেশি টাকা পাবেন।

    তাই, অল্প সময়ে অধিক টাকা উপার্জন করতে চাইলে ফিনল্যান্ড যেতে পারেন। ফিনল্যান্ড গিয়ে ১ ইউরো উপার্জন করলে সেটার রেট বাংলাদেশের আজকের টাকার রেট অনুযায়ী ১১৯ টাকার বেশি।


    FAQ

    ফিনল্যান্ডে কাজের ভিসা পেতে কতদিন লাগে?

    ফিনল্যান্ডে কাজের ভিসা পেতে ৩০ দিন থেকে ৬০ দিন পর্যন্ত সময় লেগে থাকে। ফিনিশ ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য আবেদন করে ২ মাসের মতো অপেক্ষা করতে হয়।

    আমি কিভাবে ফিনল্যান্ডে 90 দিনের বেশি সময় ধরে থাকতে পারি?

    ফিনল্যান্ড ট্রাভেল ভিসায় গেলে সর্বোচ্চ ৯০ দিন পর্যন্ত থাকা যায়। তবে, আপনি যদি ফিনল্যান্ডে ৯০ দিনের থেকে বেশি সময় যাবত থাকতে চান, তবে ফিনল্যান্ড আবাসিক পারমিট এর জন্য আবেদন করতে হবে। আবাসিক পারমিট পেলে সেখানে ৯০ দিনের থেকেও বেশি সময় থাকতে পারবেন।

    ফিনল্যান্ড ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা?

    ফিনল্যান্ড ১ টাকা বাংলাদেশের আজকের টাকার রেট অনুযায়ী ১১৯ টাকার বেশি। তবে, টাকার রেট প্রতিদিন কম বেশি হয়ে থাকে।

    ফিনল্যান্ড মুদ্রার নাম কি?

    ফিনল্যান্ড মুদ্রার নাম হচ্ছে ইউরো।


    আরও পড়ুন: বোয়েসেলের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায়

    আরও পড়ুন: লিবিয়া যেতে কত টাকা লাগে এবং লিবিয়া যাওয়ার উপায়

    আরও পড়ুন: লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায় ও খরচ


    আমাদের শেষ কথা

    আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে ফিনল্যান্ড কাজের ভিসায় যাওয়ার নিয়ম, ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে এবং ফিনল্যান্ড টাকার রেট কত তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আপনি যদি ফিনল্যান্ড যেতে চান, তবে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। এতে করে, ফিনল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করা থেকে শুরু করে ভিসা আবেদন করা অব্দি কী কী করতে হবে জানতে পারবেন। এমন আরও পোস্ট পড়তে ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

  • বোয়েসেলের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায়

    বোয়েসেলের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায়

    স্বপ্নের দেশ দক্ষিণ কোরিয়া যেতে চান? কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায় জানেন না? দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কত টাকা লাগে এবং দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কি কি লাগে এসব জানেন না?

    দক্ষিণ কোরিয়া ভিসা আবেদন করার নিয়ম এবং দক্ষিণ কোরিয়া যেতে যা যা করতে হবে সবকিছু নিয়ে আজকের এই ব্লগে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তো চলুন, কীভাবে দক্ষিণ কোরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করা যায় এবং দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।


    দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায়

    দক্ষিণ কোরিয়ার শিল্প খাতে কর্মসংস্থান পারমিট সিস্টেম (ইপিএস)-এর মাধ্যমে প্রতিবছর হাজার হাজার বাংলাদেশি কর্মী সরকারিভাবে দেশটিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছেন। বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল) এই কর্মীদের নির্বাচন ও প্রেরণের দায়িত্ব পালন করে।

    বোয়েসেলের তথ্য অনুযায়ী, পূর্বের বছরে ৫ হাজার+ বাংলাদেশি কর্মী দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মসংস্থানের জন্য গেছেন। ২০২৪ সালে ৩ থেকে ৪ হাজার বাংলাদেশি কর্মী দক্ষিণ কোরিয়ায় যেতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে যে, তাদের ন্যূনতম মাসিক আয় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। অতিরিক্ত সময় কাজ করলে তাদের আয় তিন লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। বেতনের সাথে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও কোম্পানি প্রদান করে। অনেক কর্মী প্রতি মাসে তাদের পরিবারের জন্য ১ লাখ টাকা পর্যন্ত রেমিট্যান্স পাঠাতে পারেন।

    দক্ষিণ কোরিয়া গেলে প্রতি মাসে উপরোক্ত বেতনের মতোই আয় করতে পারবেন প্রতি মাসে। তো চলুন, দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কি কি লাগে এবং কত টাকা লাগে এসব বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

    দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কি কি লাগে

    দক্ষিণ কোরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চাইলে ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করার জন্য এবং ভিসা আবেদন করতে কিছু ডকুমেন্ট লাগবে। দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কি কি লাগে তার একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করে দিয়েছি। দেখে নিতে পারেন।

    • ৬ মাস বা এর বেশি মেয়াদ আছে এমন পাসপোর্ট
    • দক্ষিণ কোরিয়া ওয়ার্ক পারমিট
    • মেডিকেল রিপোর্ট
    • কোরিয়ান ভাষার দক্ষতার সার্টিফিকেট
    • কাজের দক্ষতার প্রমাণপত্র
    • জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি
    • কালার ব্লাইন্ড বা বর্ণান্ধ হওয়া যাবেনা
    • বোয়েসেল ফি
    • বোয়েসেলে জামানত
    • এছাড়াও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট

    উপরোক্ত ডকুমেন্টগুলো এবং ভিসা প্রসেসিং ফি, বোয়েসেলে জমা দেয়া জামানত এসবকিছু থাকলে আপনিও যেতে পারবেন দক্ষিণ কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে প্রতি বছর কর্মী নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়া গিয়ে প্রতি মাসে ১.৫ লক্ষ টাকা থেকে ওভারটাইম সহ ২.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। অনেকেই ওভারটাইম করে প্রতি মাসে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করছে।

    দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে তা তো জানা হলো, চলুন, দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কত টাকা লাগে জেনে নেয়া যাক।

    দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কত টাকা লাগে

    দক্ষিণ কোরিয়া যেতে অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম খরচ হয়। দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মরত একজন শ্রমিকের থেকে জানা গেছে যে, বোয়েসেল সার্ভিস চার্জ সহ প্রায় ৩৪ হাজার টাকা জমা দিতে হয়। এছাড়া, বোয়েসেলের কাছে ১ লক্ষ টাকা জামানত রাখতে হয় এবং বিমান ভাড়া প্রায় ৫০ হাজার টাকায় মতো যায়। সবমিলিয়ে মোট ২ লক্ষ টাকার মাঝেই দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসায় আসা যায়।

    কাজের ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার জন্য বোয়েসেলের কাছে জামানত রাখা ১ লক্ষ টাকার পরিমাণ এখন বাড়িয়ে ৩ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। তবে, কন্ট্রাক্ট শেষে দেশে ফিরে বোয়েসেলের কাছে আবেদন করে জামানতের পুরো টাকা ফেরত পাওয়া যায়। তাই, জামানতের টাকার হিসেব বাদ দিয়ে মাত্র ১ লক্ষ টাকার মাঝেই দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়া যায় বলা চলে।

    তবে, অন্যান্য খরচ যেমন পাসপোর্ট, ভিসা প্রসেসিং এবং আনুসাঙ্গিক খরচ মিলিয়ে মাত্র ১.৫ লক্ষ টাকা লাগতে পারে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে। এছাড়া, মোট হিসেব করলে জামানত সহ মাত্র ৪.৫ লক্ষ টাকায় দক্ষিণ কোরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যাওয়া সম্ভব।


    ছয়টি ধাপে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায়

    দক্ষিণ কোরিয়া যেতে হলে ছয়টি ধাপ অতিক্রম করতে হবে। এই ছয়টি ধাপ অতিক্রম করে কীভাবে সহজেই দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়া যায়, সেসব জানতে পারবেন নিচে উল্লিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে। তো, দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায়গুলো জেনে নেয়া যাক।

    ধাপ ১ – অনলাইনে আবেদন

    দক্ষিণ কোরিয়া যেতে চাইলে প্রথমেই বোয়েসেলের ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে আবেদন করার পর লটারি করা হয়। প্রতি বছর মার্চ-এপ্রিল মাসে লটারির জন্য নিবন্ধন শুরু হয়। নিবন্ধন শেষ হওয়ার পর লটারি করা হয়। লটারি শেষে যাদের নাম আসে, তারা দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার সুযোগ পান।

    ধাপ ২ – কোরিয়ান ভাষা 

    দক্ষিণ কোরিয়া যেতে হলে কোরিয়ান ভাষা শিখতে হবে। লটারিতে নাম আসার পর প্রার্থীরা ২ মাসের সময় পান কোরিয়ান ভাষা শেখার জন্য। ২ মাস পর তাদের কোরিয়ান ভাষার পরীক্ষা নেয়া হয়। এইচআরডি কোরিয়া থেকে মোট ২০০ নম্বরের পরীক্ষা নেয়া হয়। এর মাঝে রিডিং ১০০ নাম্বার এবং লিসেনিং ১০০ নাম্বার। পরীক্ষার সময় ৫০ মিনিট।

    পরীক্ষা শেষে উত্তীর্ণ হলে স্কিল টেস্ট নেয়া হয়। 

    ধাপ ৩ – স্কিল টেস্ট

    দক্ষিণ কোরিয়া গিয়ে কাজ করার সক্ষমতা যাচাই করার জন্য স্কিল টেস্ট নেয়া হয়ে থাকে। এইচআরডি কোরিয়ার প্রতিনিধিরা এই পরীক্ষা নিয়ে থাকে। পরীক্ষায় কিছু রিং দেয়া হয়, সেগুলো দ্রুত মেশিনে লাগাতে হয়। এভাবে করে আরও কিছু ধাপ অতিক্রম করে স্কিল টেস্ট এক্সাম দিতে হয়। এছাড়াও, আবেদনকারী প্রার্থীরা কালার ব্লাইন্ড বা বর্ণান্ধ কিনা সেটি যাচাই করা হয়। 

    ধাপ ৪ – মেডিকেল টেস্ট

    ভাষা পরীক্ষা এবং স্কিল টেস্ট এ উত্তীর্ণ হওয়ার পর নির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হয়। প্রথমত, তাদের নিজ নিজ জেলার সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা দিতে হবে। এই পরীক্ষায় রক্ত পরীক্ষা, যক্ষ্মা ও হেপাটাইটিস ‘বি’ পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত থাকে। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রার্থীদের নিজ নিজ থানা থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ সংগ্রহ করতে হয়।

    ধাপ ৫ – বোয়েসেল ফি এবং জামানত

    উপরোক্ত ধাপগুলো সম্পন্ন করার পর বোয়েসেল ফি এবং বোয়েসেলে জামানত প্রদান করতে হয়। পূর্বে ১ লক্ষ টাকা জামানত নিলেও এখন ৩ লক্ষ টাকা জামানত নেয়া হয় বলে জানা গেছে। এছাড়া, বোয়েসেলের ফি প্রায় ৩৪ হাজার টাকার মতো লাগে। এই ফি এবং জামানত প্রদান করতে হয়। জামানতের টাকা কন্ট্রাক্ট শেষে দেশে ফিরে আবেদন করলে ফিরিয়ে দেয়া হয়।

    তবে, কন্ট্রাক্ট শেষে অন্য কোম্পানির সাথে আবারও কন্ট্রাক্ট করলে এই জামানতের টাকা ফেরত দেয়া হয়না বলে জানা গেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রবাসীরা এই নিয়মের পরিবর্তন চাচ্ছেন। 

    ধাপ ৬ – ফ্লাইট টিকেট ক্রয়

    সকল কাজ শেষে ফ্লাইট টিকেট কাটতে হয়। এজন্য ৫০ হাজার টাকা থেকে ৭০ হাজার টাকা লেগে থাকে। ফ্লাইট টিকেট কেটে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়া যায়। এরপর, প্রটি মাসে ১.৫ লক্ষ টাকা সহ ওভারটাইম করলে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা যায়। প্রতি মাসে নিজের ব্যক্তিগত খরচ ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ হলেও প্রায় সব টাকাই জমানো যায়। 

    এছাড়া, থাকা এবং খাওয়ার খরচ তো কোম্পানি বহন করেই। তাই, দক্ষিণ কোরিয়া যেতে চাইলে লটারি নিবন্ধন শুরু হতেই আবেদন করুন এবং এই পোস্টে উল্লিখিত উপরোক্ত সকল ধাপ অতিক্রম করে দক্ষিণ কোরিয়া গিয়ে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করুন। 


    আরও পড়ুনঃ লিবিয়া যেতে কত টাকা লাগে এবং লিবিয়া যাওয়ার উপায়

    আরও পড়ুনঃ লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায় ও খরচ

    আরও পড়ুনঃ অনলাইনে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম


    শেষ কথা

    এতক্ষণ যাবত দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি। পোস্টে উল্লেখ করে দেয়া দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায় এবং ধাপগুলো অনুসরণ করলে সহজেই কোরিয়া যেতে পারবেন। 

    প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আজকের এই পোস্টে আমরা বোয়েসেলের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার সহজ উপায়, খরচ ও আবেদনের নিয়ম সম্পর্কে জানলাম। পরবর্তী পোস্টে আমরা এশিয়া অথবা ইউরোপের অন্য কোনো দেশের ভিসার আপডেট সম্পর্কে জানবো। নিয়মিত ইউরোপের উচ্চশিক্ষা, মধ্যপ্রাচ্যের ভিসা আপডেট ও শিক্ষার আপডেট জানতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট। এবং ফেসবুকে নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের অফিশিয়াল পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন।