Category: শিক্ষার খবর

  • বুলগেরিয়া কাজের ভিসা এবং টাকার মান কেমন

    বুলগেরিয়া কাজের ভিসা এবং টাকার মান কেমন

    ইউরোপ যাওয়ার ইচ্ছে থাকলে ইউরোপ মহাদেশের বুলগেরিয়া যেতে পারেন। বুলগেরিয়া যেতে চাইলে বুলগেরিয়া কাজের ভিসার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। কারণ,সার্কুলার প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত আপনি বুলগেরিয়া কাজের ভিসায় আবেদন করতে পারবেন না।

    আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে বুলগেরিয়া কাজের ভিসা এবং বুলগেরিয়া টাকার মান কেমন এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। ইউরোপের উন্নত দেশ বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চাইলে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। এতে করে, কীভাবে ওয়ার্ক পারমিট পাবেন এবং ওয়ার্ক পারমিট দিয়ে ভিসা আবেদন করবেন এসব তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন।

    এছাড়াও, বুলগেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে, বুলগেরিয়া ভিসা করতে কি কি লাগে এসব বিষয় সম্পর্কেও জানতে পারবেন। তো চলুন, পোস্টের মূল বিষয়ে ফিরে আসা যাক।

    বুলগেরিয়া কাজের ভিসা

    বুলগেরিয়া সরকার কর্তৃক প্রতি বছর কাজের ভিসা সার্কুলার প্রকাশ করা হয়ে থাকে। এই সার্কুলার প্রকাশ হওয়ার পর কাজের ভিসায় আবেদন করে আপনি বুলগেরিয়া ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন। নিজে থেকে অনলাইনে সরকারি সার্কুলার দেখে আবেদন করতে পারেন কিংবা বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য বিভিন্ন ভিসা এজেন্সির সহযোগিতা নিতে পারেন। বুলগেরিয়া যেতে ভিসা খরচ, ফ্লাইট টিকেট সহ আনুসাঙ্গিক খরচ সহ মোট ৭-৮ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে থাকে।

    বুলগেরিয়া থেকে বিভিন্ন ভিসায় শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে বুলগেরিয়া দেশের সরকার। তাই, আপনি উক্ত কাজগুলোতে ভিসা আবেদন করতে পারবেন। এজন্য, প্রথমেই আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট নিতে হবে। বুলগেরিয়া থেকে প্রকাশিত জব সার্কুলারে আবেদন করবেন আপনি উক্ত কাজগুলোর মাঝে যে কাজে বেশি দক্ষ, সেই কাজে। বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য আবেদন করতে কাজের দক্ষতার প্রমাণপত্র সাবমিট করতে হতে পারে।

    ওয়ার্ক পারমিট পেয়ে গেলে উক্ত ওয়ার্ক পারমিট সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র, পাসপোর্ট, ছবি, মেডিকেল রিপোর্ট সহ অন্যান্য তথ্য দিয়ে ভিসা আবেদন করতে পারবেন। ভিসা প্রসেসিং ফি থেকে শুরু করে ফ্লাইট টিকেট ক্রয় করা পর্যন্ত পায় ৭-৮ লক্ষ টাকার মতো খরচ হয়ে থাকে। তবে, আপনি যদি নিজে থেকে অনলাইনে ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য আবেদন এবং ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পর ভিসা আবেদন করতে পারেন, তবে আরও কম খরচ হবে।

    যারা নিজে থেকে অনলাইনে বুলগেরিয়া কাজের ভিসায় আবেদন করতে পারেন না, তারা চাইলে বিভিন্ন ভিসা এজেন্সির সহযোগিতা নিতে পারেন। তবে, এক্ষেত্রে খরচ আরেকটু বেশি হবে। নিচে বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে অন্যান্য তথ্য বিস্তারিত উল্লেখ করে দিয়েছি। চলুন, জেনে নেয়া যাক।

    বুলগেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫

    বুলগেরিয়া যেতে ৭-৮ লক্ষ টাকা লেগে থাকে। বুলগেরিয়া থেকে কাজের সার্কুলার প্রকাশিত হওয়ার পর আপনি যদি সরকারিভাবে বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট এবং ভিসার জন্য আবেদন করেন, তবে ভিসা খরচ, ভিসা প্রসেসিং, পাসপোর্ট, ফ্লাইট টিকেট সহ অন্যান্য খরচ মিলে মোট ৭-৮ লক্ষ টাকা লাগবে। যদি নিজে থেকে অনলাইনে ভিসা আবেদন করেন, তবে ৪-৫ লক্ষ টাকার মাঝেই হতে পারে।

    বুলগেরিয়া জব ভিসা সার্কুলার প্রকাশ হওয়ার পর ভিসা এজেন্সির সহযোগিতা না নিয়ে নিজে থেকে আবেদন করার চেষ্টা করুন। এজন্য, বুলগেরিয়া বা ইউরোপের অন্যান্য দেশ গেছে এমন কারও সহযোগিতা নেয়ার চেষ্টা করুন। এতে করে সহজেই অনলাইনে ওয়ার্ক পারমিট আবেদন করতে পারবেন। ওয়ার্ক পারমিট পেয়ে গেলে ভিসা আবেদন করতে পারবেন।

    বুলগেরিয়া ভিসার ধরণ অনুযায়ী কত টাকা লাগে তা নির্ভর করে। বুলগেরিয়া কাজের ভিসায় যেতে চাইলে ৬-৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে। বুলগেরিয়া গার্মেন্টস ভিসায় যেতে চাইলে ৫ লক্ষ টাকা লাগতে পারে। কোনো ভিসা এজেন্সির সহযোগিতা নিলে ৬-৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।

    বুলগেরিয়া যেতে চাইলে সার্কুলার এর জন্য অপেক্ষা করুন এবং যে কাজের জন্য যেতে চাচ্ছেন সেই কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করুন। দক্ষ এবং অভিজ্ঞ হলে বুলগেরিয়া গিয়ে ভালো বেতনে কাজ করতে পারবেন। নিচে বুলগেরিয়া কোন কাজের বেতন বেশি এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

    বুলগেরিয়া কাজের বেতন কত

    বুলগেরিয়া কাজের ভিসায় গেলে প্রতি মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতে পারবেন। যে ভিসায় বুলগেরিয়া যাবেন, সেই কাজে দক্ষ এবং অভিজ্ঞ হলে প্রতি মাসে ৮০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বেতন পাবেন। তাই, যে কাজে দক্ষ সেই কাজের ভিসার জন্য আবেদন করুন।

    বুলগেরিয়া থেকে বিভিন্ন ভিসায় শ্রমিক নিয়ে থাকে। যে কাজে দক্ষ সেই কাজের ভিসার জন্য আবেদন করলে বুলগেরিয়া যাওয়ার পর ভালো বেতনে চাকরি করতে পারবেন। বুলগেরিয়ায় প্রায় সব কাজের দাম রয়েছে। তাই, ভালো বেতনে কাজ করতে চাইলে দক্ষতা অর্জন করুন। 

    বুলগেরিয়া সর্বনিম্ন বেতন ৪০ হাজার টাকা থেকে শুরু। তাই, আপনি যত ভালো কাজ করতে পারবেন এবং যত বেশি দক্ষ হবেন, তত বেশি ইনকাম করতে পারবেন। বুলগেরিয়া কাজের বেতন কত টাকা আশা করছি বুঝতে পেরেছেন। 

    বুলগেরিয়া যেতে কত দিন লাগে

    বুলগেরিয়া কাজের ভিসার জন্য আবেদন করার পর ভিসা প্রসেসিং হওয়া থেকে শুরু করে বুলগেরিয়া যেতে ৫ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত সময় লেগে থাকে। ভিসা প্রসেসিং হতে সময় লাগে, তাই ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য আবেদন করার পর ভিসা আবেদন করে প্রায় কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে। এ সময়ের মাঝে যে কাজের ভিসার জন্য আবেদন করেছেন, সেই কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করতে পাবেন। ফলে, বুলগেরিয়া যাওয়ার পর ভালো বেতনে কাজ করতে পারবেন।


    আরও পড়ুনঃ সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা পাওয়ার উপায় ও যাওয়ার খরচ

    আরও পড়ুনঃ কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ও টাকার রেট

    আরও পড়ুনঃ মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার নিয়ম


    বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

    বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করার মাধ্যমে বুলগেরিয়া যাওয়া যায়। এছাড়া বুলগেরিয়া কাজের জন্য যাওয়ার অন্য কোনো উপায় নেই। তবে, আপনি চাইলে ভ্রমণ ভিসায় বুলগেরিয়া যেতে পারেন। এজন্য ভ্রমণ ভিসার আবেদন করতে হবে। তবে কাজ করে টাকা ইনকাম করার ইচ্ছে থাকলে কিংবা বুলগেরিয়া যাওয়ার পর ইউরোপের অন্য দেশ যেমন ইতালি যাওয়ার ইচ্ছে থাকলে বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।

    বুলগেরিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে

    বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে ১৮ বছর বয়স লাগে। তবে সার্কুলার অনুযায়ী বয়স কম বা বেশি লাগতে পারে। তবে, বুলগেরিয়া কাজের ভিসায় যেতে সর্বনিম্ন ১৮ বছর থেকে ২১ বছর লাগতে পারে। আপনার বয়স ১৮ বছর বা এর বেশি হলেই বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং ভিসা নিয়ে বুলগেরিয়া যেতে পারবেন। 

    বুলগেরিয়া গার্মেন্টস ভিসা

    বুলগেরিয়া গার্মেন্টস ভিসার জন্য আবেদন করলে বুলগেরিয়া গিয়ে ভালো বেতনে কাজ করতে পারবেন। বুলগেরিয়া থেকে প্রতি বছর কাজের ভিসার পাশাপাশি গার্মেন্টস ভিসার সার্কুলার প্রকাশ করা হয়ে থাকে। গার্মেন্টস এর কাজে অভিজ্ঞ হয়ে থাকলে গার্মেন্টস ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। বুলগেরিয়া গার্মেন্টস ভিসায় প্রতি মাসে ৬০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন নিতে পারবেন। কাজের দক্ষতার উপর নির্ভর করে আপনার বেতন আরও বেশি হতে পারে।

    বুলগেরিয়া থেকে ইতালি

    বুলগেরিয়া থেকে ইতালি যেতে চাইলে বুলগেরিয়া কাজের ভিসা ব্যবহার করতে পারবেন। তবে, ইতালি শুধুমাত্র ভ্রমণ করার জন্য যেতে পারবেন। কারণ, বুলগেরিয়া শেনজেন ভুক্ত একটি দেশ। তাই শেনজেন ভুক্ত অন্য দেশগুলো ভ্রমণ করতে পারবেন। কিন্তু, ভুলেও অবৈধ পথে বুলগেরিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করবেন না। যদি ধরা পড়েন, তাহলে ভিসা বাতিল হওয়া থেকে জেল এবং জরিমানা হতে পারে।

    বুলগেরিয়া টাকার মান কত

    বুলগেরিয়া ১ টাকা বাংলাদেশের ৬০ টাকা ৮৪ পয়সা। বুলগেরিয়া থেকে ১০০ টাকা পাঠালে বাংলাদেশে ৬,০৮৪ টাকা আসবে। বুলগেরিয়া ১ হাজার টাকা সমান বাংলাদেশের ৬০,৮৪০ টাকা। 

    আমাদের শেষ কথা

    আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে বুলগেরিয়া কাজের ভিসা, বুলগেরিয়া গার্মেন্টস ভিসা এবং বুলগেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে সহ বিভিন্ন তথ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি, পোস্টটি থেকে আপনি উপকৃত হয়েছেন।

  • হাতের লেখা সুন্দর করার ৫টি কৌশল

    হাতের লেখা সুন্দর করার ৫টি কৌশল

    হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল জানা থাকলে আপনিও অনেক সহজেই হাতের লেখা সুন্দর করতে পারবেন। কিভাবে হাতের লেখা সুন্দর করতে হয় এ বিষয়টি নিয়ে আজকের এই ব্লগে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো। 

    হাতের লেখা সুন্দর হলে পরিক্ষার খাতায় ভালো মার্ক পাওয়া যায়। কারণ, খারাপ হাতের লেখার কারণে শিক্ষক অনেক সময় লেখা বুঝতে পারেন না। ফলে, ঠিক লিখলেও ভুল মনে করে অনেক সময় মার্ক কাটা যেতে পারে। তাই, সুন্দর হাতের লেখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

    আমাদের মাঝে যাদের হাতের লেখা খারাপ, তারা খুব করেই চাই যে আমার হাতের লেখা অন্যদের মতো সুন্দর হোক। কিন্তু, সঠিক নিয়ম না জানার কারণে আমরা হাতের লেখা সুন্দর করতে পারি না। তো চলুন, কিভাবে হাতের লেখা সুন্দর করা যায় তার কৌশলগুলো জেনে নেয়া যাক।

    হাতের লেখা সুন্দর করার উপায়

    হাতের লেখা সুন্দর করার একমাত্র এবং একমাত্র উপায় হচ্ছে অনেক বেশি পরিমাণে লেখালেখি করা। আমরা অনেকেই প্রতিদিন লেখালেখি করি না। প্র্যাকটিস না থাকার কারণে এজন্য আমাদের হাতের লেখা অনেক খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু, আপনি যদি প্রতিদিন অন্তত ১ঘণ্টা হাতে লেখার চর্চা করেন, তাহলে কয়েক মাসের মাঝেই আপনার হাতের লেখার মাঝে অনেক পার্থক্য দেখতে পাবেন।

    ক্লাসে টপারদের হাতের লেখা দেখে কার না ঈর্ষা হয়? কিন্তু আমরা কি জানি যে টপাররা তাদের হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য কত পরিশ্রম করেছে? সুন্দর হাতের লেখা পাওয়ার জন্য আপনিও যদি প্রতিদিন লেখার চর্চা করেন, তবে কয়েক মাসের মাঝেই লেখা সুন্দর করতে পারবেন। এছাড়াও, দ্রুত লেখার জন্য প্রতিদিন লেখার চর্চা করতে হয়।

    অনেকদিন পর লিখতে বসলে দেখবেন আপনি লিখতে ভুলে গেছেন এমন একটি অবস্থা তৈরি হয়। তাই, প্রতিদিন হাতের লেখা প্র্যাকটিস করলে হাতের লেখা সুন্দর এবং দ্রুত হয়।

    হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল

    হাতের লেখা সুন্দর করার কিছু কৌশল অনুসরণ করলে অনেক সহজেই হাতের লেখা সুন্দর করা যায়। নিচে আপনাদের সাথে হাতের লেখা সুন্দর করার কয়েকটি কৌশল উল্লেখ করে দিয়েছি। এগুলো অনুসরণ করলে আপনার হাতের লেখা কিংবা বাচ্চার হাতের লেখা সুন্দর করতে পারবেন। 

    হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল – ১

    হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য অবশ্যই লেখার সরঞ্জাম ভালো হতে হবে। হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য শুধুমাত্র ফাউন্টেইন পেন এর প্রয়োজন নেই। একটি পেন্সিল বা কলম দিয়েও সুন্দর হাতের লেখা পাওয়া সম্ভব। এজন্য অবশ্য ভালো মানের একটি কলম বা পেন্সিল বাছাই করতে হবে। 

    বাচ্চার হাতের লেখা ভালো করার জন্য ভালো মানের একটি পেন্সিল এবং রাবার দিতে হবে। পেন্সিলে যেন বেশি চাপ দিতে না হয় এবং রাবার দিয়ে অল্প চাপে লেখা মিশিয়ে নিতে পারে সেটির দিকে লক্ষ রাখতে হবে। এছাড়াও, একটি ভালো মানের খাতা বা নোটবুক নিতে হবে। কারণ, খাতার মানের উপর নির্ভর করেও হাতের লেখা ভালো বা খারাপ হয়ে থাকে।

    হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল – ২

    হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য অবশ্যই সঠিকভাবে পেন্সিল বা কলম ধরতে হবে। অনেকেই পেন্সিল বা কলম অনেক শক্ত করে ধরে লিখে থাকেন। এতে করে পেন্সিল বা কলমের উপর অনেক শক্তি প্রয়োগ করতে হয়। এজন্য, তাদের হাতের লেখা ভালো হয় না। লেখা সুন্দর করার জন্য কলম বা পেন্সিল ধরতে হবে বৃদ্ধাঙ্গুলি, তর্জনী এবং মধ্যমা আঙ্গুল দিয়ে। 

    এভাবে কলম ধরে লেখার সময় অল্প চাপ প্রয়োগ করতে হবে। বেশি চাপ প্রয়োগ করলে হাতের লেখা সুন্দর হয় না এবং লিখতে অনেক সময় লাগে। লেখা সুন্দর এবং দ্রুত করার জন্য অবশ্যই সঠিকভাবে কলম ধরতে হবে এবং আলতো চাপ দিয়ে লিখতে হবে।

    হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল – ৩ 

    লেখার সময় শরীরের পজিশন ঠিক না থাকার কারণেও লেখা খারাপ হয়ে থাকে। অনেকেই লেখার সময় একদম শুয়ে পড়েন বা অনেক বেশি ঝুঁকে যান। এজন্য হাতের লেখা খারাপ হয়ে থাকে। লেখার সময় অবশ্যই মেরুদণ্ড সোজা রাখতে হবে। পা মেঝেতে রেখে চেয়ার বা বেঞ্চের পিছনে হেলান দিয়ে লিখতে হবে।

    এতে করে সুন্দর হাতের লেখা পাওয়া সম্ভব। 

    হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল – ৪

    লেখা সুন্দর করতে হলে শব্দ, বর্ণ ইত্যাদি সঠিকভাবে লিখতে হবে। বাংলা লেখার সময় আকার বা মাত্রা ঠিকভাবে দিতে হবে। একটি শব্দ লেখার পর একদম গা ঘেঁষে অন্য শব্দ না লিখে অল্প পরিমাণ ফাঁকা রাখতে হবে। আবার একটি শব্দ থেকে অন্য শব্দের দূরত্ব অনেক বেশি হলেও সুন্দর লাগে না।

    শব্দের মতো বর্ণ লেখার পর কিছু জায়গা ফাঁকা রেখে আরেকটি বর্ণ লিখতে হবে। অনেক বেশি পরিমাণ জায়গা ফাঁকা রাখা যাবে না। শব্দ এবং বর্ণ ঠিকভাবে এবং সুন্দর করে লিখতে পারলে হাতের লেখা সুন্দর করা সম্ভব। লেখার সময় অবশ্যই প্রতিটি শব্দ এবং বর্ণ একই আকারে লিখতে হবে। একটি বড় এবং একটি ছোট হলে লেখা অনেক খারাপ হয়ে যাবে।

    শব্দ এবং বর্ণ লেখা সুন্দর করার জন্য ডট লাইনের উপর পেন্সিল ঘুরিয়ে লেখার চর্চা করা যেতে পারে। এতে করে লেখার প্র্যাকটিস থাকবে এবং লেখা সুন্দর হবে। বাংলা লেখার সময় মাত্রাযুক্ত এবং মাত্রাহিন শব্দ ঠিকভাবে লিখতে হবে। নাহলে হাতের লেখা অনেক খারাপ হবে।

    হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল – ৫

    হাতের লেখা সুন্দর করার একমাত্র এবং একমাত্র অধিক কার্যকরী উপায় ও কৌশল হচ্ছে অনেক বেশি পরিমাণে চর্চা করা। প্রতিনিয়ত হাতের লেখা চর্চা না করলে সুন্দর হাতের লেখা অধিকারি যে কেউ তার হাতের লেখার ধরণ হারিয়ে ফেলবে। আগে হাতের লেখা সুন্দর ছিলো, কিন্তু এখন অনেকদিন হাতের লেখা চর্চা না করায় লেখা খারাপ হয়ে গেছে এমন অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায়।

    তাই, হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য কিংবা সুন্দর হাতের লেখা ধরে রাখার জন্য প্রতিনিয়ত লেখার চর্চা করতে হবে। অনুশীলন যত বেশি করা হবে, লেখার ধরণ তত সুন্দর হবে। এছাড়াও, অনুশীলন করার পাশাপাশি হাতের লেখা দ্রুত করার চেষ্টা করতে হবে। এতে করে লেখার ধরণ যেমন সুন্দর হবে, তেমনি অল্প সময়ে অনেক লেখা যাবে।

    পরিক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য শুধু ভালো এবং সুন্দর হাতের লেখাই যথেষ্ট নয়। দ্রুত হাতের লেখার অভ্যাস করতে হবে। হাতের লেখা সুন্দর কিন্তু লিখতে অনেক বেশি সময় লাগে এমন হলে হিতে বিপরীত হয়ে যাবে। নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে লেখা শেষ করার জন্য প্রতিনিয়ত হাতের লেখা চর্চা করতে হবে।

    ছোটদের হাতের লেখা সুন্দর করার উপায়

    ছোটদের হাতের লেখার সুন্দর করার কৌশল হচ্ছে তাদেরকে প্রতিনিয়ত লেখার প্র্যাকটিস করাতে হবে। এছাড়াও, বাচ্চাদের জন্য তাদের লেখার সরঞ্জাম ভালো রাখতে হবে। ভালো মানের পেন্সিল এবং রাবার হলে বাচ্চারা অনেক সুন্দর লিখতে পারে। বাচ্চাদের হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য তাদেরকে ডট লাইনের উপর লেখার চর্চা করাতে হবে।

    বাচ্চাদের হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য তাদেরকে শব্দ এবং বর্ণ সুন্দর করে লেখার প্র্যাকটিস করাতে হবে। বর্ণ, শব্দ, আকার, ঠিকভাবে লিখতে পারলে হাতের লেখা অটোমেটিক সুন্দর হয়ে যাবে।


    আরও পড়ুনঃ মেট্রোরেলের এমআরটি পাস কেনার নিয়ম

    আরও পড়ুনঃ প্রবাসী সন্তানদের বৃত্তি আবেদন করার নিয়ম

    আরও পড়ুনঃ অনলাইনে বিমানের টিকেট চেক করার নিয়ম


    উপসংহার

    আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে হাতের লেখার সুন্দর করার কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছি। সুন্দর হাতের লেখার ৫টি কৌশল অনুসরণ করলে কয়েক মাসের মাঝেই আপনার হাতের লেখা করতে পারবেন পূর্বের তুলনায় অনেক সুন্দর। এছাড়াও, উপরোক্ত কৌশলগুলো অনুসরণ করে প্রতিনিয়ত হাতের লেখা চর্চা করলে লেখা সুন্দর হওয়ার পাশাপাশি দ্রুত হবে। 

  • মেট্রোরেলের এমআরটি পাস কেনার নিয়ম

    মেট্রোরেলের এমআরটি পাস কেনার নিয়ম

    মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে হলে পাস কিনতে হয়। বারবার যেন টিকেট কাটতে না হয় এজন্য রয়েছে এমআরটি পাস। মেট্রোরেলের এমআরটি পাস কেনার নিয়ম নিয়ে আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

    এমআরটি পাস ব্যবহার করে পুরো ১০ বছর মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে পারবেন। এজন্য প্রতিবার যাতায়াত করার জন্য সিঙ্গেল পাস টিকেট কিনতে হবেনা। মেট্রোরেলে যাতায়াত করেন সিঙ্গেল পাস টিকেট ব্যবহার করে, কিংবা মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে চাচ্ছেন তাহলে অবশ্যই এমআরটি পাস কেনার নিয়ম জানতে হবে।

    তো চলুন, কীভাবে মেট্রোরেলের এমআরটি পাস কিনতে হয় তা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

    মেট্রোরেলের এমআরটি পাস কেনার নিয়ম

    ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড এর ওয়েবসাইট https://dmtcl.gov.bd/ থেকে এমআরটি পাসের ফরম ডাউনলোড করতে পারবেন। এরপর, এই ফরমটি পূরণ করে মেট্রোরেলের টিকেট কাউন্টারে জমা দিতে হবে। ফরমটি পূরণ করতে নাম, পিতা-মাতার নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার (এনআইডি) অথবা পাসপোর্ট নাম্বার, মোবাইল নাম্বার এবং ই-মেইল অ্যাড্রেস দিতে হবে। এছাড়া, মেট্রোরেলের এমআরটি পাস কেনার জন্য ৫০০ টাকা দিতে হয়। এর মাঝে ৩০০ টাকা এমআরটি পাসে ব্যালেন্স হিসেবে জমা থাকে এবং ২০০ টাকা কার্ডের জামানত হিসেবে নিয়ে থাকে।

    ফরম পূরণ করে ফরমটি টিকেট কাউন্টারে জমা দেয়ার সময় ৫০০ টাকা দিতে হবে। অতঃপর, উক্ত এমআরটি পাস ব্যবহার করে পরবর্তী ১০ বছর মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে পারবেন। ব্যালেন্স শেষ হলে টিকেট কাউন্টার থেকে, টিকেট বিক্রির টপআপ মেশিন থেকে ব্যালেন্স রিচার্জ করে নিতে পারবেন।

    নিচে ধাপে ধাপে মেট্রোরেলের এমআরটি পাস কেনার নিয়ম উল্লেখ করে দিয়েছি। চলুন, দেখে নেয়া যাক।

    • প্রথমেই https://dmtcl.gov.bd/ ওয়েবসাইট ভিজিট করুন এবং এমআরটি পাসের ফরম ডাউনলোড করে নিন।
    • ফরম ডাউনলোড করার জন্য উক্ত ওয়েবসাইটের মেইন মেনু থেকে আমাদের সম্পর্কে লেখার উপরে হোভার করুন/ক্লিক করুন এবং MRT Pass নিবন্ধন ফরম লেখার উপরে ক্লিক করুন।
    • ক্লিক করার পর অটোমেটিক ডাউনলোড শুরু হবে। নয়তো, MRT Pass নিবন্ধন ফরম লেখার উপরে ক্লিক করলে সরাসরি এমআরটি পাস ফরম ডাউনলোড করতে পারবেন।
    • এরপর, ফরমটি প্রিন্ট করে নিন এবং আপনার নাম, পিতা-মাতার নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার (এনআইডি) অথবা পাসপোর্ট নাম্বার, মোবাইল নাম্বার এবং ই-মেইল অ্যাড্রেস সহ সকল তথ্য দিয়ে ফরমটি পূরণ করে নিন।
    • পূরণ করা ফরমটি নিয়ে মেট্রোরেলের টিকেট কাউন্টারে জমা দিন। এরপর, তারা টাকা চাইলে ৫০০ টাকা দিন।
    • অতঃপর, তারা আপনাকে মেট্রোরেলে যাতায়াত করার জন্য এমআরটি পাস দিয়ে দিবে। এই এমআরটি পাসে ৩০০ টাকা ব্যালেন্স থাকবে। MRT পাসটি ব্যবহার করে যাতায়াত করতে পারবেন। ব্যালেন্স শেষ হয়ে গেলে টিকেট কাউন্টার থেকে কিংবা টপআপ মেশিন থেকে ব্যালেন্স রিচার্জ করে নিতে পারবেন।

    কোনো কারণে যদি আপনার এমআরটি পাস হারিয়ে যায়, ক্ষতিগ্রস্থ হয়, ভেঙ্গে যায় বা ফেরত দেন, তাহলে কার্ডে থাকা টাকা ফেরত পাবেন। মনে করুন আপনি কার্ডটি হারিয়ে ফেলেছেন, তাহলে আবারও একটি কার্ড নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে কার্ডে থাকা ব্যালেন্স নতুন কার্ডে যুক্ত হবে। এছাড়া, কার্ড ফেরত দিলে ব্যালেন্স এবং কার্ড নেয়ার সময় যে টাকা ডিপোজিট করেছিলেন, সেটি ফেরত নিতে পারবেন।

    মেট্রোরেলের এমআরটি পাস নেয়ার সময়

    মেট্রোরেলের এমআরটি পাস কেনার নিয়ম অনুসরণ করে MRT পাস নিতে পারবেন প্রতিদিন সকাল ১২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। তবে, আপনি চাইলে এমআরটি পাস ছাড়াও মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে পারবেন। এজন্য, সিঙ্গেল টিকেট ক্রয় করতে হবে। বারবার মেট্রোরেলে যাতায়াত করার প্রয়োজন হলে সিঙ্গেল পাস কেনার থেকে এমআরটি পাস কেনা উত্তম। কারণ, এটি রিচার্জ করা যায় এবং সম্পূর্ণ ১০ বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। 


    আরও পড়ুনঃ প্রবাসী সন্তানদের বৃত্তি আবেদন করার নিয়ম

    আরও পড়ুনঃ অনলাইনে বিমানের টিকেট চেক করার নিয়ম

    আরও পড়ুনঃ ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য কোন ব্যাংক সবচেয়ে ভালো


    শেষ কথা

    আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে মেট্রোরেলের এমআরটি পাস কেনার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করেছি। ফ্রিতে মেট্রোরেলের এমআরটি পাসের জন্য ফরম ডাউনলোড করে সেটি পূরণ করে জমা দেয়ার মাধ্যমে মাত্র ৫০০ টাকায় নিতে পারবেন এই পাস। যেখানে ৩০০ টাকা ব্যালেন্স হিসেবে জমা থাকবে।

  • প্রবাসী সন্তানদের বৃত্তি আবেদন করার নিয়ম

    প্রবাসী সন্তানদের বৃত্তি আবেদন করার নিয়ম

    প্রবাসী সন্তানদের বৃত্তি দিবে বলে জানিয়েছে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড। প্রবাসী সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়তে হবে।

    আপনি যদি প্রবাসী হয়ে থাকেন বা প্রবাসে আপনার পরিবারের কেউ থাকে, তবে উক্ত প্রবাসীর সন্তানেরা চাইলে প্রবাসী সন্তানদের বৃত্তি ২০২৪ এর জন্য ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডে আবেদন করতে পারবে।

    কিভাবে এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হবে, আবেদন করতে কি কি লাগবে এসব বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো আজকে। তো চলুন, পোস্টের মূল বিষয়ে ফিরে আসা যাক।

    প্রবাসী সন্তানদের বৃত্তি ২০২৪

    যেসব প্রবাসীদের সন্তান ২০২২ সালে এইচএসসি বা সমমান পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে এবং বর্তমানে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বা মেডিকেলে অধ্যনরত আছেন এমন বা ২০২৩ সালে এসএসসি বা সমমান পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে এবং এখন দেশের বিভিন্ন কলেজে বা ডিপ্লোমা বিভাগে পড়ালেখা করছে তারা তাইলে প্রবাসী সন্তানদের জন্য চালু করা বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

    ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড ঘোষণা দিয়েছে যে তারা প্রবাসীদের মেধাবি সন্তানদেরকে বৃত্তি প্রদান করবেন। আপনি যদি প্রবাসী হয়ে থাকেন, তবে আপনার সন্তানের জন্য এই বৃত্তির আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও, আপনার পরিচিত কেউ যদি প্রবাসে থাকেন, তার সন্তানরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

    এই হচ্ছে প্রবাসীদের মেধাবি সন্তানদের জন্য চালু করা নতুন বৃত্তি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। যারা প্রবাসী নন, তাদের জন্য এই বৃত্তি নয়। প্রবাসীদের মেধাবি সন্তানদের বৃত্তির জন্য আবেদন করতে কি কি লাগবে নিচে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

    প্রবাসী সন্তানদের বৃত্তি আবেদন করতে কি কি লাগবে ২০২৪

    প্রবাসীরা তাদের মেধাবী সন্তানদের জন্য বা পিতা প্রবাসে আছেন এমন সন্তানেরা চাইলে অনলাইনে এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে, আবেদন করার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে। অর্থাৎ, এই আবেদন করার জন্য কিছু ডকুমেন্ট লাগবে। আবেদন করতে কি কি লাগবে নিচে উল্লেখ করে দিয়েছি।

    • বিদেশে কর্মরত প্রবাসী কর্মীর সন্তান
    • ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সদস্যতাপ্রাপ্ত প্রবাসী কর্মীর সন্তান
    • বিএমইটির ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত প্রবাসী কর্মীর সন্তান
    • ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের আর্থিক অনুদান পেয়েছেন বা পাবেন এমন মৃত প্রবাসী কর্মীর সন্তান

    উপরোক্ত শর্তগুলো যদি আপনার সাথে মিলে যায়, তাহলে শিক্ষাবৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন আপনিও। চলুন, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড থেকে দেয়া শিক্ষাবৃত্তি সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। এরপর আমরা আবেদন করার পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করবো।

    ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড শিক্ষাবৃত্তি

    বিদেশে কর্মরত স্বল্প আয়ের প্রবাসী কর্মীর সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ বহন করতে সহায়তা করার জন্য ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড ২০১২ সাল থেকে তাদের মেধাবী সন্তানদের বৃত্তি প্রদান করে আসছে। পূর্বে, পিইসি, জেএসসি, এসএসসি বা সমমান এবং এইচএসসি বা সমমান পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হলেও বর্তমানে শুধুমাত্র এসএসসি বা সমমান এবং এইচএসসি বা সমমান পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে।

    আপনি প্রবাসী হয়ে থাকলে বা আপনার পিতা যদি প্রবাসী হয়ে থাকেন, তবে এসএসসি বা এইচএসসি পর্যায়ে অধয়নরত প্রবাসীর সন্তানের জন্য এই শিক্ষাবৃত্তির আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার নিয়ম নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

    প্রবাসী সন্তানদের বৃত্তি আবেদন করার নিয়ম ২০২৪

    প্রবাসীদের মেধাবি সন্তানদের জন্য যে বৃত্তি চালু করা হয়েছে, এটি আপনার সন্তানের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে, এজন্য অবশ্যই আপনার সন্তানকে এসএসসি বা এইচএসসি থেকে উত্তীর্ণ হতে হবে। পূর্বে, পিইসি, জেএসসি, এসএসসি এবং এইচএসসি পর্যায়ে বৃত্তি দিলেও এখন শুধুমাত্র এসএসসি বা সমমান এবং এইচএসসি বা সমমান উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের দেয়া হচ্ছে।


    আরও পড়ুনঃ অনলাইনে বিমানের টিকেট চেক করার নিয়ম

    আরও পড়ুনঃ ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য কোন ব্যাংক সবচেয়ে ভালো

    আরও পড়ুনঃ বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ কিভাবে করবেন


    ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড থেকে দেয়া শিক্ষাবৃত্তির জন্য আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন। এরপর, ওয়েব পোর্টালে নিয়ে যাবে। সেখানে গিয়ে সকল তথ্য সাবমিট করে আবেদন করতে পারবেন।

  • অনলাইনে বিমানের টিকেট চেক করার নিয়ম

    অনলাইনে বিমানের টিকেট চেক করার নিয়ম

    বিমানে করে ভ্রমণ করতে চান? তাহলে বিমানের টিকেট চেক করার নিয়ম জানা থাকা আবশ্যক। আপনার বিমানের টিকেট হয়েছে কিনা জানতে পারবেন সহজ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করেই। 

    কিভাবে বিমানের টিকেট চেক করতে হয় তা নিয়ে এই পোস্টে বিস্তারিত পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছি। তো চলুন, বিমানের টিকেট চেক করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

    বিমানের টিকেট চেক করার উপায়

    বিমানের টিকেট চেক করার জন্য বাংলাদেশ বিমানের ওয়েবসাইট https://www.biman-airlines.com/ ভিজিট করে সহজেই আপনার প্যাসেঞ্জার নেম রেকর্ড এবং আপনার লাস্ট নেম লিখে টিকেট চেক করতে পারবেন। বিমানের টিকেট অনলাইনে চেক করার জন্য অবশ্যই Biman Airlines ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে হবে।

    বিমানে করে কোথাও ট্রিপ দেয়ার পূর্বে বিমানের টিকেট চেক করতে নিচে উল্লিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারেন। এতে করে, আপনার টিকেট বুকিং করার সময় কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা জানতে পারবেন। এছাড়াও, ট্রিপ সম্পর্কিত সকল তথ্য টিকেট চেক করার সময় জানতে পারবেন। 

    বিমানের টিকেট চেক করার নিয়ম

    অনলাইনে বিমানের টিকেট চেক করার নিয়ম জানতে চাইলে নিচে উল্লিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করুন। তাহলে বাংলাদেশ বিমানের ওয়েবসাইট থেকে সহজেই আপনার বিমানের টিকেট চেক করে সকল তথ্য যাচাই করে নিতে পারবেন।

    • বিমানের টিকেট চেক করার জন্য প্রথমেই বাংলাদেশ বিমানের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। এজন্য https://www.biman-airlines.com/ ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। এটি বাংলাদেশ বিমানের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইট থেকেই আমরা বিমানের টিকেট চেক করবো।
    • অতঃপর, Check your trip অপশনে ক্লিক করতে হবে। 
    • এখন, একটি ফরম আসবে যেখানে দুইটি ফাঁকা বক্স থাকবে। প্রথম বক্সে আপনার ৬ ডিজিটের PNR বা রিজার্ভেশন কোড কোড লিখতে হবে। বিমানের টিকেট বুক করার সময় আপনাকে এটি দেয়া হয়েছিলো। এছাড়াও, না পেলে আপনার মোবাইলের ম্যাসেজ বক্সে বা ইমেইলে চেক করলেই কোডটি পেয়ে যাবেন।
    • অতঃপর, দ্বিতীয় বক্সে টিকেট বুকিং করার সময় আপনার দেয়া নামের শেষ অংশ যা দিয়েছিলেন, সেটি লিখুন। অর্থাৎ, আপনার নামের শেষ অংশ লিখতে হবে।
    • দুইটি বক্স পূরণ করার পর Search বাটনে ক্লিক করতে হবে। সার্চ বাটনে ক্লিক করলে আপনার টিকেটের বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। 

    বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট স্ট্যাটাস চেক

    বিমান বাংলাদেশের যেকোনো ফ্লাইটের স্ট্যাটাস চেক করতে চাইলে নিচে উল্লিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করুন। তাহলে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর সকল বিমানের স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন। 

    • প্রথমেই বিমান বাংলাদেশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। এজন্য, https://www.biman-airlines.com/ এই লিংকে ক্লিক করুন।
    • এরপর, মেনু থেকে Flight Status লেখার উপর ক্লিক করুন। তাহলে, নতুন একটি ফরম ওপেন হবে। 
    • এখানে, প্রথম ড্রপ ডাউনে যেখানে থেকে ফ্লাইট যাবে সে ঠিকানা, এবং গন্তব্য স্থানের ঠিকানা সিলেক্ট করে দিবেন। এরপর, তারিখ উল্লেখ করে দিবেন।
    • সকল তথ্য ঠিকভাবে সিলেক্ট করে দেয়ার পর Search বাটনে ক্লিক করুন। 

    সার্চ বাটনে ক্লিক করলে আপনার দেয়া তারিখে যেসব ফ্লাইট আছে সেগুলোর তথ্য এবং শিডিউল সম্পর্কে জানতে পারবেন। ফ্লাইটের শিডিউল জানার জন্যও এই পদ্ধতিটি অবলম্বন করতে পারনে।


    আরও পড়ুনঃ ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য কোন ব্যাংক সবচেয়ে ভালো

    আরও পড়ুনঃ মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার নিয়ম


    FAQ

    পিএনআর PNR কি?

    পিএনআর বা PNR হচ্ছে টিকেট বুকিং করার সময় দেয়া একটি কোড। এটি ৬ ডিজিটের একটি কোড। যা দিয়ে আপনি অনলাইনে বাংলাদেশ বিমানের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে টিকেট চেক করতে পারবেন।

    আমাদের শেষ কথা

    আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে অনলাইনে বিমানের টিকেট চেক করার নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে কিভাবে বিমানের টিকেট চেক করতে হয় এবং ফ্লাইট স্ট্যাটাস কিভাবে চেক করতে হয় এসব বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। এছাড়া, যেকোনো প্রশ্ন করতে পারেন কমেন্ট বক্সে।

  • ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য কোন ব্যাংক সবচেয়ে ভালো

    ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য কোন ব্যাংক সবচেয়ে ভালো

    ফিক্সড ডিপোজিট করতে চাচ্ছেন? কিন্তু ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য কোন ব্যাংক সবচেয়ে ভালো জানেন না। এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে ফিক্সড ডিপোজিট কী, ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য বাংলাদেশে কোন ব্যাংক সবথেকে ভালো এসব বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

    টাকা জমা রাখার বিনিময়ে সুদ গ্রহণের জন্য অনেকেই সেরা ব্যাংক খুঁজে থাকেন। অনেক ব্যাংকে টাকা জমা রাখার বিনিময়ে ভালো পরিমাণ মুনাফা দিয়ে থাকে। তাই, কোন ব্যাংক ভালো এই প্রশ্ন অনেকের মনেই রয়ে যায়। তো চলুন, ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য সেরা ব্যাংক সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

    ফিক্সড ডিপোজিট কি?

    ফিক্সড ডিপোজিট, যা স্থায়ী আমানত নামেও পরিচিত। ফিক্সড ডিপোজিট হলো প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন বিনিয়োগকারী একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একটি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে জমা রাখে। এই নির্দিষ্ট সময়ের শেষে, বিনিয়োগকারী তার মূলধন এবং সুদের অর্থ ফেরত পায়।

    এফডির(FD) মেয়াদ সাধারণত এক মাস, তিন মাস, ছয় মাস, এক বছর, দুই বছর, তিন বছর, পাঁচ বছর, দশ বছর বা আরও বেশি হতে পারে। এটি নির্ভর করে যে ব্যক্তি ডিপোজিট করছে তিনি কতদিনের জন্য রাখতে চাচ্ছেন।

    ফিক্সড ডিপোজিট এর ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা নিয়মিত সঞ্চয়ী হিসাবের চেয়ে বেশি হারে সুদ/মুনাফা পেয়ে থাকেন। সুদের হার সাধারণত ব্যাংকের সুদের হারের উপর নির্ভর করে থাকে। কোনো ব্যাংক বেশি দিয়ে থাকে, আবার কোনো ব্যাংক কম। এজন্য, সবাই ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য কোন ব্যাংক সবচেয়ে ভালো এটি জানতে চান।

    ফিক্সড ডিপোজিট করতে কি কি লাগে

    ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য কিছু কাগজপত্র এবং তথ্য প্রয়োজন হয়। আপনি যদি একটি ব্যাংকে এফডি করার চিন্তা করে থাকেন, তবে ব্যাংক যাওয়ার সময় কি কি সাথে নিয়ে যেতে হবে তার একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করে দিয়েছি। চলুন, দেখে নেয়া যাক।

    • জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
    • সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
    • নাগরিকত্বের সনদপত্র
    • নমীনির ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি
    • নমীনির সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি

    উপরোক্ত কাগজপত্রগুলো ছাড়াও ব্যাংক ভেদে আরও কয়েক ধরণের কাগজপত্র লাগতে পারে। আপনি যে ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করতে চাচ্ছেন, উক্ত ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে ফিক্সড ডিপোজিট করতে কি কি লাগবে তার একটি বিস্তারিত লিস্ট জেনে নিতে পারবেন।

    ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য কোন ব্যাংক সবচেয়ে ভাল

    কষ্টে জমানো টাকা যখন কোনো ব্যাংকে জমা রাখার প্রসঙ্গ আসে, তখন সবাই চায় কোনো একটি ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করে রাখতে। ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য কোন ব্যাংক সবচেয়ে ভালো এটি অনেকের প্রশ্ন। কারণ, একটি ব্যাংকে টাকা জমা রাখার পর প্রতি মাসে বা বছরে কত শতাংশ মুনাফা দিচ্ছে সেটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

    এছাড়াও, আমি যে ব্যাংকে টাকা জমা রাখছি, সেই ব্যাংকে টাকা জমানো নিরপদ কিনা এটিও জানতে হবে। আপনি চাইলে বাংলাদেশের যেকোনো সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করতে পারেন। তবে, ফিক্সড ডিপোজিট করার সময় অবশ্যই উক্ত ব্যাংকে ইন্টারেস্ট রেট কতো এটি জেনে নিতে হবে।

    যে ব্যাংকে ইন্টারেস্ট রেট বেশি, সেই ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করলে অল্প সময়ে বেশি মুনাফা পাবেন। এছাড়াও, সুনামধন্য কোনো ব্যাংকে এফডি করলে আসল টাকার সঙ্গে মুনাফা পাওয়া যায় নিরাপদভাবে।

    বাংলাদেশের সরকারি ব্যাংক এবং বেসরকারি ব্যাংক উভয়ে ফিক্সড ডিপোজিট করার উপায় আছে। এছাড়াও, শরিয়া ভিত্তিক ব্যাংক, বিদেশী ব্যাংক রয়েছে। আপনি চাইলে এসব ব্যাংকেও ফিক্সড ডিপোজিট করতে পারেন।

    ফিক্সড ডিপোজিটে কত শতাংশ সুদ পাওয়া যায়

    ফিক্সড ডিপোজিট এ সুদের পরিমাণ ব্যাংক ভেদে কম এবং বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে অবস্থিত ব্যাংকগুলোতে ফিক্সড ডিপোজিটে ৫ শতাংশ থেকে শুরু করে ৯ শতাংশ অব্দি সুদ দিয়ে থাকে। অর্থাৎ, আপনি যদি একটি ব্যাংকে ১ লক্ষ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করে রাখেন, তাহলে ৬% সুদের হার অনুযায়ী বছর শেষে এই সুদের পরিমাণ হবে ৬ হাজার টাকা।

    এছাড়াও, ফিক্সড ডিপোজিট করে রাখলে সুদের টাকা আপনার ব্যাংক একাউন্টে জমা হবে। কিন্তু, শুধু সুদ পাবেন এটাই নয়। ব্যাংকে টাকা জমা রাখার কারণে ব্যাংক থেকে ব্যাংক চার্জ, শুল্ক সহ আরও বিভিন্ন চার্জ নিয়ে থাকে। তাই, আপনি যদি ফিক্সড ডিপোজিট বা এফডিআর করে রাখেন, তাহলে ১,০০,০০০ টাকায় প্রতি বছর ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা অব্দি পেতে পারেন।

    ব্যাংক ভেদে সুদের হার কম বেশি হয়ে থাকে। যে ব্যাংকে সুদের হার বেশি, সেই ব্যাংকে যদি FDR করে রাখেন, তাহলে আরও বেশি পেতে পারেন। যেমন – একটি ব্যাংকে যদি ৯% সুদের হার থাকে, তাহলে বছর শেষে ১,০০,০০০ টাকার জন্য ৯,০০০ টাকা মুনাফা পাবেন।

    বাংলাদেশে কোন কোন ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করা যায়?

    বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, বেসরকারি ব্যাংক, বিদেশী ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করতে পারবেন। বাংলাদেশে অবস্থিত যেসব ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করতে পারবেন সেগুলোর একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করে দিয়েছি। চলুন, দেখে নেয়া যাক।

    সরকারি যেসব ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করা যায়

    • রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক
    • সোনালী ব্যাংক
    • অগ্রণী ব্যাংক
    • রূপালী ব্যাংক
    • জনতা ব্যাংক
    • বেসিক ব্যাংক
    • বিডিবিএল ব্যাংক
    • পিকেবি ব্যাংক
    • বিকেবির ব্যাংক

    উপরোক্ত সরকারি ব্যাংকগুলো ফিক্সড ডিপোজিট এর বিনিময়ে ৫ থেকে ৬ শতাংশ অব্দি সুদ দিয়ে আসছে। বেশি মুনাফা পেতে চাইলে এসব ব্যাংকে এফডিআর করতে পারেন।

    বেসরকারি যেসব ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করা যায়

    • মিডল্যান্ড ব্যাংক
    • মেঘনা ব্যাংক
    • পদ্মা ব্যাংক
    • ইউনিয়ন ব্যাংক
    • মধুমতি ব্যাংক
    • এনআরবি ব্যাংক
    • এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক
    • এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক

    উপরোক্ত এই ব্যাংকগুলো ৮ শতাংশ থেকে ৮.৫ শতাংশ অব্দি সুদের হার দিয়ে থাকে। প্রতি লক্ষ টাকার জন্য ৮ হাজার টাকা থেকে ৮,৫০০ টাকা অব্দি বাৎসরিক মুনাফা পাবেন।

    • এবি ব্যাংক
    • কমার্স ব্যাংক
    • ঢাকা ব্যাংক
    • আইএফআইসি ব্যাংক
    • আইসিবি ব্যাংক
    • মার্কেন্টাইল ব্যাংক
    • প্রিমিয়ার ব্যাংক
    • উত্তরা ব্যাংক
    • ন্যাশনাল ব্যাংক

    উপরের তালিকায় উল্লিখিত ব্যাংকগুলো ৫ থেকে ৬ শতাংশ অব্দি সুদ দিয়ে আসছে। বেসরকারি ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করতে চাইলে এসব ব্যাংক থেকে এফডিআর করতে পারেন। আশা করছি ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য কোন ব্যাংক সবচেয়ে ভালো বুঝতে পেরেছেন।

    যেসব ব্যাংক বেশি রেট দিচ্ছে, সেসব ব্যাংকে ডিপোজিট করলে অল্প সময়ে বেশি মুনাফা পাওয়া সম্ভব। এফডিআর করার জন্য আপনি যেকোনো মেয়াদের এফডিআর করতে পারেন। এজন্য, ব্যাংক থেকে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারবেন। তবে, এফডিআর করার সময় অবশ্যই বাৎসরিক সুদের হার, ব্যাংক চার্জ এসকল বিষয় জেনে নিবেন।


    আরও পড়ুন: বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ কিভাবে করবেন

    আরও পড়ুন: আইইএলটিএস ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়?

    আরও পড়ুন: ফেসবুক পেজে লাইক বাড়ানোর উপায়


    FAQ

    ফিক্সড ডিপোজিটের সুদের হার কোন ব্যাংকে বেশি?

    ফিক্সড ডিপোজিট এ সুদের হার সবথেকে বেশি ডিসিবি ব্যাংকে। ডিসিবি ব্যাংক থেকে ৮ থেকে ৮.৫ শতাংশ অব্দি সুদের হার দিয়ে থাকে। তবে, কিছু বেসরকারি ব্যাংক যেমন – মিডল্যান্ড ব্যাংক, মেঘনা ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ইত্যাদি থেকেও ৮ থেকে ৮.৫ শতাংশ সুদের হার দিয়ে থাকে।

    ফিক্সড ডিপোজিট কোনটা ভালো?

    আপনি চাইলে যেকোনো মেয়াদের ফিক্সড ডিপোজিট করতে পারবেন। তবে, ১ বছর থেকে ৫ বছরের ফিক্সড ডিপোজিট সবচেয়ে ভালো। যেসব ব্যাংকে সুদের হার বেশি, সেখানে ফিক্সড ডিপোজিট করা লাভজনক।

    আমাদের শেষ কথা

    আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য কোন ব্যাংক সবচেয়ে ভালো এই বিষয়টি এবং ফিক্সড ডিপোজিট সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিত শেয়ার করেছি। পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে থাকলে FDR সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন বলে আশা করছি। আরও এমন ব্যাংকিং বিষয়ক তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন।

  • বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ কিভাবে করবেন

    বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ কিভাবে করবেন

    বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ করতে চাচ্ছেন কিন্তু কিভাবে বাংলা টু ইংলিশ ট্রান্সলেট করতে হয় জানেন না? আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ কিভাবে করবেন এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

    অনেকেই বাংলা ভাষা থেকে ইংরেজি ভাষায় বিভিন্ন লেখা অনুবাদ করতে চান। কিন্তু, সঠিক পদ্ধতি না জানার কারণে অনুবাদ করতে পারেন না। ট্রান্সলেট করে সহজেই আমরা ইংরেজি শিখতে পারি। তো চলুন, কিভাবে বাংলা থেকে ইংরেজি ভাষায় যেকোনো বাক্য বা বাক্যাংশ অনুবাদ করতে হয় জেনে নেয়া যাক।

    বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ করার উপায়

    বাংলা থেকে ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করার কয়েকটি উপায় রয়েছে। বাংলা ভাষার যেকোনো লেখা ইংরেজি ভাষা করতে চাইলে নিম্নোক্ত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে পারেন।

    উপরোক্ত ৪টি পদ্ধতি ব্যবহার করে অনেক সহজেই যেকোনো বাংলা লেখাকে ইংরেজিতে রুপান্তর করতে পারবেন। কিভাবে বাংলা ভাষাকে ইংরেজিতে অনুবাদ করা যায় তার নিয়ম এবং পদ্ধতিসমূহ নিচে আরও বিস্তারিত বর্ণনা করেছি। চলুন, বাংলা টু ইংরেজি ট্রান্সলেট করার উপায় জেনে নেয়া যাক।

    গুগল ট্রান্সলেটর ওয়েবসাইট ব্যবহার করে বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ

    গুগল ট্রান্সলেটর ওয়েবসাইট ব্যবহার করে বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করার জন্য প্রথমেই আপনাকে ভিজিট করতে হবে translate.google.com ওয়েবসাইট। এরপর, বাম দিকের ড্রপ-ডাউন মেনু থেকে Bengali সিলেক্ট করতে হবে। অতঃপর, ডান দিকে ইংরেজিতে সিলেক্ট করা থাকবে বা সিলেক্ট করে দিতে হবে।

    তারপর, বাম দিকে বাংলা লিখলে ডান দিকে উক্ত লেখার ইংরেজি দেখতে পাবেন। এভাবে করে যেকোনো বাংলা লেখাকে গুগল ট্রান্সলেট ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ইংরেজিতে অনুবাদ করে নিতে পারবেন। কোনো শব্দের ইংরেজি অর্থ জানা না থাকলেও এই ওয়েবসাইট থেকে জেনে নিতে পারবেন।

    এছাড়াও, শুধু বাংলা থেকে ইংরেজি নয়, আপনি চাইলে ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করতে পারবেন এই ওয়েবসাইট থেকেই। এজন্য, বাম দিকে ইংরেজি সিলেক্ট করতে হবে এবং ডান দিকে বাংলা সিলেক্ট করতে হবে। তাহলে, ইংরেজি লিখলে উক্ত ইংরেজি লেখার বাংলা অনুবাদ দেখতে পাবেন।

    এছাড়াও, কোনো ভাষা না সিলেক্ট করেও আপনি যেকোনো ভাষার লেখা কপি পেস্ট করে উক্ত লেখাটি কোন ভাষায় অনুবাদ করতে চাচ্ছেন তা সিলেক্ট করে অনুবাদ করে নিতে পারবেন। গুগল ট্রান্সলেট ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ভয়েস দিয়েও অনুবাদ করা যায়।

    গুগল ট্রান্সলেটর অ্যাপ ব্যবহার করে বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ

    বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ app গুলোর মাঝে সবথেকে সেরা অ্যাপ হচ্ছে গুগল ট্রান্সলেটর অ্যাপ। এই অ্যাপটি ব্যবহার করে পৃথিবীর প্রায় সব ভাষাকেই অনুবাদ করতে পারবেন। গুগল ট্রান্সলেটর অ্যাপ ব্যবহার করার জন্য প্রথমেই গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর ওপেন করতে হবে। এরপর, Google Translator লিখে সার্চ করতে হবে।

    তারপর, অ্যাপটি ইন্সটল করে নিতে হবে। অ্যাপ ইন্সটল হয়ে গেলে অ্যাপটি ওপেন করে আপনি যে ভাষাকে অনুবাদ করতে চাচ্ছেন সেটি সিলেক্ট করতে হবে। উদাহরণ হিসেবে, আমি যদি বাংলাকে ইংরেজিতে অনুবাদ করতে চাই, তাহলে বাংলা সিলেক্ট করবো। এরপর, বাংলা থেকে কোন ভাষায় অনুবাদ করতে চাই সেটি সিলেক্ট করে দিবো।

    ঠিক এভাবে করে ভাষা সিলেক্ট করে দিয়ে আপনি একটি ভাষা থেকে অন্য ভাষায় অনুবাদ করতে পারবেন। বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ করার সবথেকে সেরা মাধ্যম হচ্ছে এটি। অ্যাপটি ব্যবহার করে শুধু লেখাই নয়, আপনি চাইলে ভয়েস অন করে কথা বলেও সেটি অনুবাদ করে নিতে পারবেন।

    যেমন – মনে করুন আপনার সামনে কেউ অন্য ভাষায় কথা বলছে, আপনি চাইলে ভয়েস অন করে দিলেন, এরপর উক্ত ব্যক্তি কোন ভাষায় কথা বলছে গুগল ট্রান্সলেটর তা অটো ডিটেক্ট করে আপনি যে ভাষায় শুনতে চাচ্ছেন তাতে অনুবাদ করে দিবে।

    এই ফিচারটি লেখার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করতে পারবেন। যেকোনো ভাষার লেখা লিখে আপনি তা অন্য যেকোনো ভাষায় অনুবাদ করে নিতে পারবেন।

    অন্যান্য ট্রান্সলেট অ্যাপ ব্যবহার করে

    গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর ওপেন করে Translator লিখে সার্চ করলে অনেক ট্রান্সলেট করার অ্যাপ পাওয়া যাবে। এগুলো মাঝে থেকে যেকোনো একটি অ্যাপ ইন্সটল করে সেটি ব্যবহার করে বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ করতে পারবেন অনেক সহজেই। বাংলা থেকে ইংরেজিতে যেকোনো লেখাকে অনুবাদ করার জন্য এসব অ্যাপে ডিকশনারি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

    আপনি চাইলে যেকোনো দেশের ভাষায় অনুবাদ করতে পারবেন। অর্থাৎ, শুধু বাংলা থেকে ইংরেজি নয়, বাংলা থেকে হিন্দি, চায়নিজ, জাপানিজ সহ বিভিন্ন দেশের ভাষায় অনুবাদ করতে পারবেন এসব অ্যাপ ব্যবহার করে।

    ডিকশনারি অ্যাপ ব্যবহার করে

    ডিকশনারি অ্যাপ ব্যবহার করে বাংলা শব্দের ইংরেজি অর্থ, ইংরেজি শব্দের বাংলা অর্থ শিখতে পারবেন। এছাড়াও, পাশাপাশি আপনি চাইলে বাংলা ভাষার যেকোনো লেখাকে ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করতে পারবেন ডিকশনারি অ্যাপ ব্যবহার করেই। গুগল প্লে স্টোর গিয়ে Dictionary লিখে সার্চ করলে অনেক ডিকশনারি অ্যাপ খুঁজে পাবেন।

    যেকোনো একটি অ্যাপ ইন্সটল করে বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ করতে পারবেন। অধিকাংশ সময় এসব ডিকশনারি অ্যাপ ব্যবহার করার জন্য ইন্টারনেট কানেকশন প্রয়োজন হয়। তবে, আপনি চাইলে এসব অ্যাপ অফলাইনে ব্যবহার করতে পারবেন। এজন্য, বাংলা ভাষার ডিকশনারি ডাউনলোড করে রাখতে হবে অ্যাপের ভিতর থেকে। এরপর, আপনি চাইলে অফলাইনেও এই অ্যাপ ব্যবহার করে যেকোনো বাংলা লেখাকে ইংরেজি লেখাতে অনুবাদ করতে পারবেন।

    ইন্টারনেট ছাড়া বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ

    ইন্টারনেট কানেকশন ছাড়া বাংলা থেকে ইংরেজিতে যেকোনো লেখাকে অনুবাদ করতে চাইলে একটি Translator অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে। অনেক অ্যাপ ইন্সটল করার পর থেকেই ইন্টারনেট ছাড়া ব্যবহার করা যায়। তবে, গুগল ট্রান্সলেটর সহ কিছু অ্যাপ ব্যবহার করার জন্য ইন্টারনেট কানেকশন প্রয়োজন হয়। 

    ইন্টারনেট ছাড়া ব্যবহার করতে চাইলে আপনাকে অ্যাপের ভিতর থেকে ডিকশনারি ডাউনলোড করতে হবে। তাহলে, পরবর্তীতে কোনো ইন্টারনেট কানেকশন ছাড়াই এই অ্যাপ ব্যবহার করে বাংলা ভাষার লেখা ইংরেজিতে অনুবাদ করতে পারবেন।

    ছবি থেকে অনুবাদ

    ছবি থেকে বাংলা টু ইংলিশ অনুবাদ করতে চাইলে অনেক সহজেই আমরা একটি অ্যাপের মাধ্যমে এই কাজটি করতে পারি। ছবি থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করার জন্য প্রথমেই গুগল প্লে স্টোর থেকে একটি অ্যাপ ইন্সটল করতে হবে। অ্যাপটির নাম হচ্ছে Google Lens । এই অ্যাপটি অনেক ফোনে ডিফল্টভাবে ইন্সটল করা থাকে।

    অ্যাপটি ইন্সটল করার পর ওপেন করুন। এরপর, ইমেজ অপশন থেকে যেকোনো একটি ইমেজ সিলেক্ট করে নিন। অতঃপর, translate মেনুতে ক্লিক করলে ছবিতে থাকা লেখা অনুবাদ হয়ে যাবে। আপনি চাইলে যেকোনো ভাষায় অনুবাদ করতে পারবেন। বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ কিংবা ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করতে পারবেন এই অ্যাপটি ব্যবহার করে।

    এছাড়াও, গুগল লেন্স ব্যবহার করে ছবি দিয়ে সার্চ করতে পারবেন। অর্থাৎ, একটি ছবি দিয়ে সার্চ করে একই রকমের আরও অনেক ছবি বের করতে পারবেন। এছাড়াও, ছবি দিয়ে সার্চ করে আরও বিস্তারিত তথ্য বের করার জন্য এই অ্যাপটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।


    আরও পড়ুন: আইইএলটিএস ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়?

    আরও পড়ুন: মৌজা বের করবো কিভাবে – মৌজা ডাউনলোড করার নিয়ম

    আরও পড়ুন: ফেসবুক পেজে লাইক বাড়ানোর উপায়


    শেষ কথা

    আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ কিভাবে করবেন এবং ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ করার বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি যদি পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে থাকেন, তবে বাংলা ভাষা থেকে ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করার পদ্ধতি জেনে যাওয়ার কথা। আরও এমন তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইট প্রতিনিয়ত ভিজিট করুন। 

  • আইইএলটিএস ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়?

    আইইএলটিএস ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়?

    আইইএলটিএস ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায় এমন প্রশ্ন প্রায়ই শোনা যায়। অনেকেই আইইএলটিএস পরিক্ষা দেয়া বা এই পরিক্ষায় ভালো স্কোর করা ছাড়াও ইউরোপ যেতে চান। তাদের থেকেই এমন প্রশ্ন বেশি শোনা যায়।

    আপনিও যদি IELTS ছাড়া ইউরোপের কোনো দেশে যেতে চান, তবে এই পোস্টটি আপনার জন্যই। আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো আইইএলটিএস ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে আপনি যেতে পারবেন এই বিষয়টি নিয়ে। তো চলুন, পোস্টের মূল বিষয়ে ফিরে আসা যাক।

    আইইএলটিএস কী?

    আইইএলটিএস বা IELTS এর পূর্ণরূপ হচ্ছে – International English Language Testing System । এটি হচ্ছে একটি পরিক্ষা যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তির ইংরেজি ভাষার উপর দক্ষতা কেমন তা যাচাই করা হয় এবং স্কোর দেয়া হয়। আইইএলটিএস পরিক্ষার সর্বোচ্চ স্কোর হচ্ছে ১০। ইউরোপের অনেক দেশে যদি আপনি যেতে চান, তবে আইইএলটিএস স্কোর লাগে।

    যেসব দেশে ইংরেজি ভাষায় কথা বলা হয়, এমন দেশে কাজ করার উদ্দেশ্যে যেতে চাইলে কিংবা পড়ালেখা করার উদ্দেশ্যে যেতে চাইলে IELTS স্কোর ভালো থাকা বাধ্যতামুলক। ইংরেজিতে বলা, লেখা, শোনা এবং পড়ার উপর ভিত্তি করে একটি পরিক্ষা নেয়া হয় এমন এই পরিক্ষার উপর একটি স্কোর দেয়া হয়ে থাকে। এই স্কোর অনেক গুরুত্বপূর্ণ যদি আপনি অন্য কোনো দেশে যেতে চান।

    আইইএলটিএস দিয়ে কোন কোন দেশে যাওয়া যাবে?

    আইইএলটিএস স্কোর ভালো হলে আপনি বিশ্বের ১৪০+ দেশে যেতে পারবেন কোনো সমস্যা ছাড়াই। কিন্তু, আপনার যদি আইইএলটিএস স্কোর ভালো না হয় তাহলে বেশিরভাগ দেশের ভিসা নিতে পারবেন না। অধিকাংশ দেশের বিশেষ করে ইউরোপ মহাদেশের দেশগুলোতে যেতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই ভালো আইইএলটিএস স্কোর অর্জন করতে হবে।

    অন্যান্য দেশে পড়ালেখা করার জন্য কিংবা কাজের জন্য, আইইএলটিএস স্কোর অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই, বিশ্বের যেকোনো দেশে সহজেই যেতে চাইলে আপনার আইইএলটিএস স্কোর ভালো হতে হবে। আইইএলটিএস স্কোর ভালো হলে আমেরিকা, কানাডা সহ বিশ্বের অনেক উন্নত রাস্ট্রে যেতে পারবেন।

    IELTS ছাড়া ইউরোপের দেশে যাওয়া যাবে কি?

    IELTS ছাড়া আপনি ইউরোপের অনেক দেশে যেতে পারবেন। এসব দেশে কাজ করার জন্য হোক কিংবা পড়ালেখা করার জন্য, কোনো প্রকার আইইএলটিএস স্কোর প্রয়োজন হবে না। আপনি যদি পড়ালেখা করার জন্য অন্য দেশে যেতে চান এবং আপনার আইইএলটিএস স্কোর ভালো না হয়, তবে IELTS ছাড়া ইউরোপের অনেক দেশে যেতে পারবেন।

    আইইএলটিএস ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায় তা নিয়ে আরও বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হয়েছে। 

    আইইএলটিএস ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়

    আইইএলটিএস ছাড়া ইউরোপের অনেক দেশে যাওয়া যায়। আমরা জানি যে ইউরোপের যেকোনো দেশে যেতে চাইলে অবশ্যই আইইএলটিএস স্কোর ভালো করতে হয়। তবে, আইইএলটিএস স্কোর অল্প কিংবা একদম না থাকলেও ইউরোপের অনেক দেশে যেতে পারবেন। IELTS ছাড়া ইউরোপের যেসব দেশে যেতে পারবেন এমন দেশের তালিকাগুলো নিচে উল্লেখ করে দিলাম। চলুন, দেখে নেয় যাক।

    • পোল্যান্ড
    • হাঙ্গেরি
    • ফ্রান্স
    • বুলগেরিয়া
    • সার্বিয়া
    • ক্রোয়েশিয়া
    • রোমানিয়া
    • গ্রিস
    • ইতালি
    • পর্তুগাল
    • মালটা

    উপরের তালিকায় উল্লিখিত দেশগুলো কোনো প্রকার আইইএলটিএস স্কোর ছাড়া যেতে পারবেন। অনেকেই এসব দেশ কাজ করার উদ্দেশ্যে গিয়ে থাকে। তাই, আপনিও যদি এসব দেশ যেতে চান তবে কোনো প্রকার আইইএলটিএস স্কোর জানা লাগবে না। এসব দেশে IELTS স্কোর ছাড়া যেতে পারবেন এবং ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

    IELTS এর প্রস্তুতি নেয়ার পদ্ধতি

    IELTS পরীক্ষাটি ইংরেজি ভাষার দক্ষতা পরিমাপের একটি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত পরীক্ষা। বিদেশে উচ্চশিক্ষা, অভিবাসন এবং কর্মসংস্থানের জন্য IELTS পরিক্ষা দেয়া এবং ভালো স্কোর করা অতিব প্রয়োজন। IELTS পরীক্ষা মূলত চারটি অংশে বিভক্ত। নিচে এগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি :

    • লিসেনিং (Listening): এই অংশে পরীক্ষার্থীদের একটি অডিও রেকর্ডিং শুনে প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়।
    • রিডিং (Reading): এই অংশে পরীক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরণের পাঠ্য পড়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়।
    • রাইটিং (Writing): এই অংশে পরীক্ষার্থীদের দুটি রচনা লিখতে হয়: একটি গ্রাফ বা চার্টের বিবরণ এবং একটি বিশ্লেষণাত্মক প্রবন্ধ।
    • স্পিকিং (Speaking): এই অংশে পরীক্ষার্থীদের একজন পরিক্ষকের সাথে কথা বলতে হয়।

    IELTS পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে চাচ্ছেন? কারণ আইইএলটিএস পরিক্ষার প্রস্তুতি নেয়ার মাধ্যমে ভালো স্কোর অর্জন করতে পারবেন এবং বিশ্বের ভালো দেশে যেতে পারবেন। IELTS পরিক্ষার প্রস্তুতি নেয়ার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে পারেন।

    নিজের দক্ষতা মূল্যায়ন করুন : IELTS পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার প্রথম পদক্ষেপ হল আপনার বর্তমান দক্ষতা মূল্যায়ন করা। আপনি IELTS প্রাক-পরীক্ষা বা অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স করে এটি করতে পারবেন। ইংরেজিতে আপনি কতটা দক্ষ এটি জানতে পারলে আপনি অনেক সহজে আপনার গোলে ফোকাস করতে পারবেন।

    পরীক্ষার কাঠামো এবং স্কোরিং পদ্ধতি সম্পর্কে জানুন :  IELTS পরীক্ষার কাঠামো এবং স্কোরিং পদ্ধতি সম্পর্কে জানলে আপনি পরীক্ষার জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নিতে হতে হবে তা বুঝতে পারবেন। IELTS ওয়েবসাইটে পরীক্ষার বিশদ বিবরণী দেয়া থাকে। এটি অনুসরণ করেও স্কোরিং পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারবেন।

    প্রস্তুতি নেয়া : IELTS পরীক্ষার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই প্রস্তুতি নিতে হবে। পরিক্ষা দেয়ার জন্য আপনি কতটা প্রস্তুত তা যাচাই করা, কোথাও দুর্বলতা থাকলে সেগুলো সংশোধন করা সহ প্রস্তুতি আরও বেশি করতে পারবেন।

    নিয়মিত অনুশীলন করুন : IELTS পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল নিয়মিত অনুশীলন করা। আপনি অনলাইনে টেস্ট পরীক্ষা, প্রস্তুতিমূলক কোর্স বা একজন এক্সপার্ট এর সহযোগিতা নিয়ে নিয়মিত অনুশীলন করতে পারবেন।

    পরীক্ষার দিনের জন্য প্রস্তুত হন : IELTS পরীক্ষার দিনের জন্য প্রস্তুত হওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষার আগে ভাল ঘুমানো, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে যথাসময়ে পৌঁছানো গুরুত্বপূর্ণ।

    IELTS পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেয়ার জন্য অনেকেই অনেক পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকে। আইইএলটিএস পরিক্ষা যেহেতু অনেক কঠিন হয়ে থাকে, তাই এই পরিক্ষার প্রস্তুতি নেয়ার জন্য আমাদেরকে বিশেষ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। নিচে কিছু নির্দিষ্ট টিপস দেওয়া হয়েছে। এগুলো অনুসরণ করলে আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবেন।

    • লিসেনিংয়ের জন্য, আপনি অডিও বই, পডকাস্ট এবং সংবাদমূলক প্রোগ্রাম শুনে অনুশীলন করতে পারেন।
    • রিডিংয়ের জন্য, আপনি বিভিন্ন ধরণের লেখা পড়ে অনুশীলন করতে পারেন, যেমন সংবাদ নিবন্ধ, বই এবং গবেষণাপত্র।
    • রাইটিংয়ের জন্য, আপনি বিভিন্ন ধরণের রচনা লিখে অনুশীলন করতে পারেন, যেমন গ্রাফ বা চার্টের বিবরণ এবং বিশ্লেষণাত্মক প্রবন্ধ।
    • স্পিকিংয়ের জন্য, আপনি একজন বন্ধু বা পরিবারের সদস্যের সাথে কথা বলে অনুশীলন করতে পারেন।

    IELTS পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া সময় এবং প্রচেষ্টার প্রয়োজন। তবে ভালো স্কোর অর্জন করতে পারলে আপনি থাকবেন সবার থেকে এগিয়ে। এছাড়া এই পরিক্ষায় ভালো স্কোর করতে পারলে বিশ্বের প্রায় ১৪০+ দেশে যাওয়ার সুযোগ তো থাকছেই।

    আইইএলটিএস ছাড়া ইউরোপ যাওয়ার উপায়

    আইইএলটিএস ছাড়া ইউরোপের অন্য দেশে যেতে চাইলে অনেক দেশে আপনার ইংরেজি দক্ষতা প্রমাণ করতে বলবে। এজন্য আপনি IELTS এর পরিবর্তে TOEFL/PTE/DET পরিক্ষার স্কোর দেখাতে পারেন। এতে করে এসব দেশের ভিসা পাবেন এবং যেতে পারবেন। তবে, অনেক দেশে যেতে চাইলে তাদের দেশের ভাষা শেখা লাগে। এসব দেশে যেতে চাইলে আপনাকে সেই দেশের ভাষা শিখতে হবে। 


    আরও পড়ুনঃ সৌদি আরব কোন কাজের চাহিদা কেমন ও যেতে খরচ কত টাকা

    আরও পড়ুনঃ কাজের ভিসায় ফিনল্যান্ড যাওয়ার নিয়ম


    তবে, বেশিরভাগ দেশেই আইইএলটিএস স্কোর চেয়ে থাকে। আপনার যদি আইইএলটিএস স্কোর ভালো না হয়ে থাকে, তবে TOEFL পরিক্ষার মাধ্যমেও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যেতে পারবেন। সাধারণত যারা বিশ্বের বিভিন্ন ভার্সিটিতে পড়ালেখা করতে চান, তাদের ক্ষেত্রে IELTS প্রয়োজন হয়। বিকল্প হিসেবে TOEFL অনেক দেশেই স্বীকৃত।

  • মৌজা বের করবো কিভাবে – মৌজা ডাউনলোড করার নিয়ম

    মৌজা বের করবো কিভাবে – মৌজা ডাউনলোড করার নিয়ম

    জমি চিহ্নিত করার জন্য মৌজা ম্যাপ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মৌজা কিভাবে বের করতে হয় এই বিষয়ে আজ আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আপনি যদি মৌজা ম্যাপ ডাউনলোড করতে চান, তবে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

    মৌজা ম্যাপ এর সাহায্যে সহজেই জমি চিহ্নিত করা যায়। বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে অনেক সহজেই অনলাইনে মৌজা ম্যাপ ডাউনলোড করা যায়। অনলাইনে মৌজা কিভাবে বের করবেন জানার জন্য শুরু থেকে শেষ অব্দি পড়ুন।

    মৌজা ম্যাপ কি

    মৌজা মানে হচ্ছে কোনো এলাকা বা গ্রাম। কিন্তু, মৌজা ম্যাপ হচ্ছে কোনো গ্রামের জমির নকশা। অর্থাৎ, জমি ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত কাজে যে ম্যাপ ব্যবহার করা হয়, এটিই হচ্ছে মৌজা ম্যাপ। মৌজা ম্যাপের মাধ্যমে আপনি আপনার জমি চিহ্নিত করতে পারবেন।

    একটি এলাকার সকল জমির মাঝে থেকে নির্দিষ্ট কোনো জমি খুঁজে বের করার জন্যই মৌজা ম্যাপ ব্যবহার করা হয়। এই মৌজা ম্যাপে পুরো এলাকা বা গ্রামের সকল জমির নকশা উল্লেখ করে দেয়া থাকে। ভূমি সংক্রান্ত কাজের জন্য মৌজা ম্যাপ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

    মৌজা কিভাবে বের করবো

    মৌজা বের করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট eporcha.gov.bd ভিজিট করতে হবে। এরপর, ওয়েবসাইট থেকে মৌজা ম্যাপ অপশনে ক্লিক করতে হবে। অতঃপর, বিভাগের নাম, জেলা, উপজেলা, সার্ভে টাইপ এবং মৌজা সিলেক্ট করে মৌজা বের করা যাবে।

    মৌজা ম্যাপ বের করার জন্য জমি কোন বিভাগে, জেলায় এবং উপজেলায় অবস্থিত সেটি জানা থাকতে হবে। এরপর, eporcha.gov.bd ওয়েবসাইট ভিজিট করে মৌজা ম্যাপ চিহ্নিত করতে পারবেন এবং চাইলে অনলাইনে মৌজা ম্যাপের সার্টিফাইড কপির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

    মৌজা ম্যাপ বের করার বিস্তারিত পদ্ধতি নিয়ে নিচে আরও বিস্তারিত পদ্ধতি আলোচনা করেছি। ধাপগুলো অনুসরন করলে আপনিও ঘরে বসে মৌজা ম্যাপ চিহ্নিত করতে পারবেন এবং সার্টিফাইড কপির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

    মৌজা বের করার জন্য কি কি লাগে

    মৌজা বের করার জন্য কিছু তথ্য লাগবে। এসব তথ্য থাকলে মৌজা চিহ্নিত করতে পারবেন এবং চাইলে অনলাইনে মৌজার সার্টিফাইড কপির জন্য আবেদন করতে পারবেন। মৌজা বের করার জন্য কি কি লাগে তার একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করে দিয়েছি। চলুন, দেখে নেয়া যাক।

    • বিভাগ নাম
    • জেলা নাম
    • উপজেলা নাম
    • সার্ভে টাইপ
    • পর্চার নাম
    • মৌজা নাম
    • দাগ নং / সিট নং

    উপরোক্ত এই তথ্যগুলো হলে যেকোনো মৌজার  ম্যাপ বের করতে পারবেন অনেক সহজেই। এসব তথ্য দিয়ে কিভাবে একটি মৌজা চিহ্নিত করা যায় চলুন দেখে নেয়া যাক।

    অনলাইন থেকে মৌজা বের করার নিয়ম

    অনলাইন থেকে মৌজা চিহ্নিত বা মৌজা বের করার জন্য আমাদেরকে বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রণালয় এর ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে হবে। এই ওয়েবসাইট থেকে ভূমি বিষয়ক সকল সেবা পাওয়া যায়। ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য eporcha.gov.bd এই লিংকটিতে ভিজিট করতে হবে।

    এরপর, মৌজা ম্যাপ অপশন থেকে জমির সকল তথ্য সিলেক্ট করে দিয়ে মৌজা ম্যাপ চিহ্নিত করা যাবে। এছাড়াও, মৌজা ম্যাপ চিহ্নিত করার পর চাইলে সার্টিফাইড কপির জন্য আবেদন করা যাবে। আরও বিস্তারিত পদ্ধতি জানার জন্য নিচে উল্লিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করুন।

    ধাপ ১ –

    ধাপ ১ –  প্রথমেই ভিজিট করুন https://land.gov.bd/ ওয়েবসাইট। এই লিংকে ক্লিক করে বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রণালয় এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারবেন।

    ধাপ ২ – এরপর, স্মার্ট ভূমি রেকর্ড ও  ম্যাপ অপশনে ক্লিক করুন। এখানে ক্লিক করলে eporcha.gov.bd ওয়েবসাইটে নিয়ে যাবে।

    ধাপ ৩ – আপনি চাইলে প্রথম দুই ধাপ স্কিপ করে সরাসরি eporcha.gov.bd ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। কারণ উপরের দুইটি ধাপ অনুসরন করলেও এই ওয়েবসাইটে নিয়ে আসবে। এই ওয়েবসাইট ভিজিট করার পর মৌজা ম্যাপ অপশনে ক্লিক করতে হবে।

    ধাপ ৪ – এখন আপনি যে জমির মৌজা ম্যাপ অনুসন্ধান করতে চাচ্ছেন, সেটি কোন বিভাগে, জেলায় এবং উপজেলায় অবস্থিত সেটি সিলেক্ট করে দিতে হবে।

    ধাপ ৫ – এরপর, সার্ভে টাইপ এর নিচে থেকে পর্চার ধরণ নির্বাচন করতে হবে। তারপর, মৌজা নামের তালিকা থেকে যে মৌজার ম্যাপ ডাউনলোড করতে চাচ্ছেন, সেটি সিলেক্ট করতে হবে।

    ধাপ ৬ – মৌজা সিলেক্ট করার পর সিট নং বা দাগ নং জানা থাকতে হবে। দাগ নং বা সিট নং লিখে সার্চ করে মৌজা ম্যাপ দেখতে পাবেন। এছাড়াও, চাইলে স্ক্রোল করে নাম দেখে সিলেক্ট করতে পারবেন।

    সিলেক্ট করার জন্য ডাবল ক্লিক করতে হবে। এরপর একটু সময় লোড নিয়ে আপনার মৌজা ম্যাপ চলে আসবে। এখন আপনি চাইলে আবেদন করুন বাটনে ক্লিক করে মৌজা ম্যাপের অনলাইন কপি বা সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করতে পারবেন। উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে সহজেই মৌজা ম্যাপ চিহ্নিত করতে পারবেন।

    আপনি যদি মৌজা ম্যাপের অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে চান বা মৌজা ম্যাপের সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করতে চান, তাহলে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারেন।

    অনলাইনে মৌজা ম্যাপের আবেদন

    অনলাইনে মৌজা ম্যাপের আবেদন করার মাধ্যমে মৌজা ম্যাপ ডাউনলোড করা যায়। তবে, আমরা অনলাইনে শুধুমাত্র মৌজা ম্যাপের অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবো। আপনি যদি সার্টিফাইড কপি ডাউনলোড করতে চান, তাহলে অবশ্যই পোস্ট অফিসের মাধ্যমে নিতে হবে।

    মৌজা ম্যাপ অনলাইন কপি এবং সার্টিফাইড কপির জন্য কিভাবে আবেদন করতে হবে তা বিস্তারিত নিচে উল্লেখ করে দিয়েছি। চলুন, দেখে নেয়া যাক।

    মৌজা ম্যাপ চিহ্নিত করার পর আবেদন করুন বাটনে ক্লিক করলে আপনার সামনে নতুন একটি পেজ ওপেন হবে। এই পেজে আপনাকে আবেদন করতে হবে। চাইলে অনলাইন কপির জন্য অথবা সার্টিফাইড কপির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।

    ধাপ ১ – জাতীয় পরিচয়পত্র নং, জন্ম তারিখ, নাম (ইংরেজি) জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী, মোবাইল নম্বর লিখে ক্যাপচা কোড পূরণ করতে হবে। এরপর, যাচাই করুন বাটনে ক্লিক করতে হবে। 

    ধাপ ২ – এরপর, বিস্তারিত ঠিকানা লিখতে হবে। অনলাইন কপি সিলেক্ট করা থাকে ডিফল্টভাবে। ১০০ টাকা বিকাশ বা অন্য মাধ্যমে পেমেন্ট করলে উক্ত মৌজার অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।

    ধাপ ৩ – আপনি যদি সার্টিফাইড কপি নিতে চান, তাহলে সার্টিফাইড কপি অপশন সিলেক্ট করতে হবে। এরপর, ডাকযোগে সিলেক্ট করে দেশের ভিতর নিবেন নাকি দেশের বাইরে সেটি সিলেক্ট করতে হবে। দেশের বাইরে নিতে চাইলে দেশের নাম সিলেক্ট করতে হবে। 

    ধাপ ৪ – অতঃপর, পেমেন্ট সম্পন্ন করতে হবে। সার্টিফাইড কপি দেশের ভিতরে ডাকযোগে নিতে চাইলে ১৪০ টাকা পেমেন্ট করতে হবে। যদি দেশের বাইরে নিতে চান, তবে ৫০০+ টাকা পেমেন্ট করতে হবে। পেমেন্ট এর পরিমান দেখতে পাবেন ওখানেই। 

    এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে সহজেই মৌজা ম্যাপ ডাউনলোড করতে পারবেন বা সার্টিফাইড কপির জন্য আবেদন করতে পারবেন। অনলাইন কপি ডাউনলোড করুন কিংবা সার্টিফাইড কপির জন্য আবেদন করুন, অনলাইনে পেমেন্ট করতে হবে। পেমেন্ট করার পর আপনার দেয়া ঠিকানায় সার্টিফাইড কপি পৌঁছে যাবে ডাকযোগে। 

    অনলাইন কপির জন্য পেমেন্ট করলে পেমেন্ট সম্পন্ন করলেই মৌজা ম্যাপ অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।

    শেষ কথা

    আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে মৌজা কিভাবে বের করবো এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত পদ্ধতি আলোচনা করেছি। পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে মৌজা ম্যাপ ডাউনলোড করার পদ্ধতি এবং মৌজা ম্যাপের সার্টিফাইড কপি সংগ্রহের পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আরও এমন তথ্য জানতে প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

  • ফেসবুক পেজে লাইক বাড়ানোর উপায়

    ফেসবুক পেজে লাইক বাড়ানোর উপায়

    ফেসবুক পেজে লাইক বাড়াতে চাচ্ছেন? কিন্তু ফেসবুক পেজে লাইক বাড়ানোর উপায় জানেন না? দুইটি পদ্ধতি অবলম্বন করে কীভাবে সহজেই ফেসবুক পেজে লাইক বাড়ানো যায়, সেটাই জানতে পারবেন এই পোস্টে।

    কেউ শখের বসে ফেসবুক পেজ তৈরি করে, আবার কেউ ফেসবুক পেজ তৈরি করে টাকা ইনকাম করার জন্য। আপনার উদ্দেশ্যে যাই হোক না কেন, ফেসবুক পেজটি অধিক মানুষের কাছে পৌঁছাতে এবং পেজ গ্রো করার জন্য অবশ্যই পেজের লাইক বেশি হতে হবে।

    যারা নতুন ফেসবুক পেজ তৈরি করেন, তাদের মাঝে অধিকাংশই জানেন না যে কীভাবে ফেসবুক পেজের লাইক বাড়ানো যায়। একারণে, অনেকেই শেষমেশ পেজ ফেলে রাখেন বা ডিলেট করে দেন। তো চলুন, ফেসবুক পেজে লাইক বাড়ানোর উপায় জেনে নেয়া যাক।


    ফেসবুক পেজে লাইক বাড়ানোর উপায়

    ফেসবুক পেজে দুইটি পদ্ধতিতে লাইক বাড়াতে পারবেন। একটি হচ্ছে অর্গানিকভাবে এবং অপরটি হচ্ছে পেইড ভাবে। তবে, আমরা আজকে অর্গানিকভাবে পেজের লাইক বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে জানবো। ফেসবুক পেজে লাইক বাড়ানোর উপায়গুলো নিচে উল্লিখিত। 

    • নিয়মিত পোস্ট করে
    • রিলেটেড গ্রুপে যোগদান করে
    • পেজটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে

    এই তিনটি পদ্ধতি অনুসরণ করে ফেসবুক পেজে লাইক বাড়াতে পারবেন অনেক সহজেই। নিচে এসব পদ্ধতি নিয়ে আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন। 

    নিয়মিত পোস্ট করে লাইক বৃদ্ধি

    একটি ফেসবুক পেজ দ্রুত বৃদ্ধি করার মূলমন্ত্র হচ্ছে এখানে একটিভ থাকতে হবে এবং নিয়মিত পোস্ট করতে হবে। নিয়মিত পোস্ট করলে আপনার পূর্বের ফলোয়াররা পোস্টের সাথে এঙ্গেজ হবে। ফলে ফেসবুক পোস্টগুলো আরও অনেক মানুষের সামনে শো করবে। এতে করে আপনার পেজে নতুন নতুন মানুষ লাইক দিবে এবং ফলো করবে। 

    রিলেটেড গ্রুপে যোগদান করে লাইক বৃদ্ধি

    আপনার ফেসবুক পেজটি যে সম্পর্কিত, সেই সম্পর্কিত বিভিন্ন গ্রুপ সার্চ করলেই পাবেন। এসব গ্রুপে যোগদান করতে হবে পেজ দিয়ে কিংবা আপনার আইডি দিয়ে। এরপর, সে সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পোস্ট করতে হবে। ফলে, মানুষ আপনার পোস্ট দেখে আপনার পেজে লাইক দিবে এবং ফলো করবে। এভাবে করে নতুন নতুন ফলোয়ার বৃদ্ধি পাবে আপনার পেজে।

    পেজটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে লাইক বৃদ্ধি

    একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করার পর সেই পেজটি সম্পর্কে কেউ জানবে না এটাই স্বাভাবিক। কারণ, পুরো ফেসবুক জুড়ে কয়েক কোটি পেজ রয়েছে। সবগুলো পেজ সম্পর্কে যেমন আমরা জানি না, তেমনি নতুন তৈরি করা পেজ সম্পর্কে অন্যরা জানবে না এটাই স্বাভাবিক। একারণে, নতুন পেজ তৈরি করার পর বন্ধুদের সাথে পেজটি শেয়ার করতে হবে।

    এছাড়াও, ফেসবুক পেজ থেকে বন্ধুদের ইনভাইট করার অপশন রয়েছে। এটি ব্যবহার করে বন্ধুদেরকে আপনার ফেসবুক পেজে লাইক দেয়ার জন্য ইনভাইট করতে পারবেন। ফলে, তারা আপনার ফেসবুক পেজে লাইক দিবে এবং আপনার পেজের লাইক বৃদ্ধি পাবে। এভাবে করে পেজটি ধীরে ধীরে গ্রো করবে।

    আপনার বন্ধুদেরকে তাদের বন্ধুদের কাছে পেজটি শেয়ার এবং লাইক দেয়ার জন্য ইনভাইট করতে বলতে পারেন। এতে করে পেজটিতে ধীরে ধীরে লাইক বৃদ্ধি পাবে।


    ফেসবুক পেজে ফলোয়ার বাড়ানোর উপায়

    ফেসবুক পেজে ফলোয়ার বাড়ানোর জন্য প্রতিনিয়ত পোস্ট করার কোনো বিকল্প নেই। আপনার ফেসবুক পেজে যত বেশি একটিভ থাকবেন এবং এঙ্গেজিং পোস্ট করবেন, পেজটি তত নতুন নতুন মানুষদের কাছে পৌঁছাবে। এতে করে, নতুন নতুন অনেক ফলোয়ার যুক্ত হবে আপনার পেজে।

    এছাড়াও, বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হয়ে সেসব গ্রুপে পোস্ট করতে হবে। এভাবে করে আপনার পেজের সাথে সম্পর্কিত মানুষদেরকে ফলোয়ার বানাতে পারবেন সহজেই। এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করার পাশাপাশি আপনার পেজটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। 


    আরও পড়ুন: লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায় ও খরচ

    আরও পড়ুন: লিবিয়া যেতে কত টাকা লাগে এবং লিবিয়া যাওয়ার উপায়


    শেষ কথা

    এই পোস্টে আপনাদের সাথে ফেসবুক পেজের লাইক বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি। উপরোক্ত নিয়মগুলো অনুসরণ করলে আপনার ফেসবুক পেজের লাইক এবং ফলোয়ার বাড়াতে পারবেন ফ্রিতেই।